এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

দশম শ্রেণি – বাংলা – অভিষেক – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের প্রথম অংশ, ‘অভিষেক,’ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সহায়ক হবে।

Table of Contents

অভিষেক - অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
অভিষেক – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

মেঘনাদবধ কাব্য-র প্রথম সর্গের নাম কী?

মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত মেঘনাদবধ কাব্য – এর প্রথম সর্গের নাম ‘অভিষেক’।

প্রণমিয়া, ধাত্রীর চরণে, / কহিলা, – ইন্দ্রজিৎ কী বলেছিলেন?

ইন্দ্রজিৎ ধাত্রীমাতা প্রভাষার কাছে লঙ্কার সুসংবাদ এবং প্রমোদকাননে তাঁর আগমনের কারণ জানতে চান।

ছদ্মবেশী অম্বুরাশি-সুতা উত্তরিলা; – অম্বুরাশি-সুতা কে এবং কেন তাঁর এমন নাম?

‘অম্বুরাশি-সুতা’ হলেন দেবী লক্ষ্মী। সমুদ্রমন্থনের সময় তিনি সমুদ্র থেকে উত্থিত হয়েছিলেন বলে তাঁকে ‘অম্বুরাশি-সুতা’ বা সমুদ্রকন্যা বলা হয়।

ছদ্মবেশী অম্বুরাশি-সুতা – অম্বুরাশি-সুতা কার ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন?

দেবী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিতের ধাইমা প্রভাষার ছদ্মবেশে এসেছিলেন।

ছদ্মবেশী অম্বুরাশি-সুতা – কেন ইন্দ্রজিতের কাছে এসেছিলেন?

দেবী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিতকে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ দিতে এবং তাঁকে যুদ্ধে উৎসাহিত করতে এসেছিলেন।

সসৈন্যে সাজেন আজি যুঝিতে আপনি। — কে সসৈন্যে সাজেন?

এখানে শোকাহত রাবণ, বীরবাহুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে সৈন্যদলসহ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।

জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া; – এই বিস্ময়ের কারণ কী ছিল?

ইন্দ্রজিৎ বিস্মিত হয়েছিলেন, যাঁকে তিনি রণক্ষেত্রে হত্যা করেছেন, সেই রামচন্দ্র কীভাবে তাঁর ভাই বীরবাহুকে হত্যা করলেন।

কি কহিলা ভগবতি – ভগবতি কে?

এখানে ‘ভগবতি’ বলতে দেবী লক্ষ্মীকে বোঝানো হয়েছে, যিনি প্রভাষার ছদ্মবেশে ইন্দ্রজিতের কাছে এসেছিলেন।

কে বধিল কবে / প্রিয়ানুজে? – প্রিয়ানুজ কাকে বলা হয়েছে?

প্রিয়ানুজ বলতে ইন্দ্রজিতের ছোটো ভাই বীরবাহুকে বোঝানো হয়েছে।

ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী কোন্ সংবাদ নিয়ে এসেছিলেন?

দেবী লক্ষ্মী বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ নিয়ে এসেছিলেন এবং এতে রাবণের শোকগ্রস্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন।

এ অদ্ভুত বারতা, – কোন্ বারতা -র কথা বলা হয়েছে?

ইন্দ্রজিৎকে জানানো হয়েছিল যে যাকে তিনি রণক্ষেত্রে হত্যা করেছেন, সেই রামচন্দ্রই তাঁর ভাই বীরবাহুকে হত্যা করেছেন। এটাই সেই অদ্ভুত বারতা।

শীঘ্র কহ দাসে। – শীঘ্র কী বলতে বলা হয়েছে?

ইন্দ্রজিৎ জানতে চেয়েছিলেন যে দেবী লক্ষ্মী কোথা থেকে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ পেয়েছেন।

রত্নাকর রত্নোত্তমা ইন্দিরা সুন্দরী / উত্তরিলা; – ইন্দিরা সুন্দরী কে?

ইন্দিরা সুন্দরী বলতে দেবী লক্ষ্মীকে বোঝানো হয়েছে, যিনি ঐশ্বর্যের দেবী।

যাও তুমি ত্বরা করি; – এই শীঘ্র যাওয়ার প্রয়োজন কী?

লঙ্কাকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে ইন্দ্রজিৎকে দ্রুত যুদ্ধে যেতে হবে বলে দেবী লক্ষ্মী তাঁকে তাড়া দেন।

রোষে মহাবলী / মেঘনাদ; – মেঘনাদ রুষ্ট হয়ে কী করেছিলেন?

মেঘনাদ রুষ্ট হয়ে তাঁর পরা ফুলের মালা ছিঁড়ে ফেলেন এবং সোনার বালা দূরে ফেলে দেন।

পদতলে পড়ি শোভিল কুণ্ডল, – কুণ্ডল শব্দের অর্থ কী?

কুণ্ডল বলতে বোঝানো হয়েছে কানের অলংকার বা কর্ণভূষণ।

হা ধিক্ মোরে! – বক্তা কেন নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিলেন?

ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিলেন কারণ শত্রুপক্ষ লঙ্কাকে ঘিরে ফেলেছে, অথচ তিনি নারীদের সঙ্গে প্রমোদকাননে সময় কাটাচ্ছিলেন।

বৈরিদল বেড়ে / স্বর্ণলঙ্কা, – কাদের বৈরিদল বলা হয়েছে?

এখানে বৈরিদল বলতে রামচন্দ্র এবং তাঁর সৈন্যবাহিনীকে বোঝানো হয়েছে।

হেথা আমি বামাদল মাঝে? – কখন ইন্দ্রজিৎ এ কথা বলেছেন?

শত্রুপক্ষের সৈন্য যখন লঙ্কাপুরীতে আক্রমণ করে বীরবাহুকে হত্যা করে, তখন প্রমোদকাননে বিলাসমত্ত অবস্থায় থাকা ইন্দ্রজিৎ রাগে ক্ষুব্ধ হয়ে এ কথা বলেছেন।

হেথা আমি বামাদল মাঝে? – ‘হেথা’ বলতে কোন্ স্থানের কথা বলা হয়েছে?

উদ্ধৃত পঙক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ থেকে গৃহীত। ‘হেথা’ বলতে স্বর্ণলঙ্কার প্রমোদ উদ্যান বোঝানো হয়েছে।

এই কি সাজে আমারে, – কী সাজে না বলে বক্তার মনে হয়েছে?

বীরবাহুর মৃত্যু হয়েছে এবং রামচন্দ্রের সৈন্যবাহিনী স্বর্ণলঙ্কাকে ঘিরে ফেলেছে। এরকম পরিস্থিতিতে প্রমোদকাননে থাকা ইন্দ্রজিতের সাজ মানানসই মনে হয়নি।

হৈমবতীসুত কে?

হৈমবতীসুত বলতে পার্বতীর পুত্র কার্তিককে বোঝানো হয়েছে।

হৈমবতীসুত যথা – কীসের কথা এখানে বলা হয়েছে?

এখানে দেবসেনাপতি কার্তিকের তারকাসুর বধের কথা বলা হয়েছে।

কিম্বা যথা বৃহন্নলারূপী/কিরীটী – বৃহন্নলারূপী কিরীটী কাকে বলা হয়েছে?

মহাভারতের অন্যতম বীর যোদ্ধা অর্জুনকে ‘বৃহন্নলারূপী কিরীটী’ বলা হয়েছে, যিনি অজ্ঞাতবাসে বৃহন্নলারূপ ধারণ করেছিলেন।

সাজিলা শূর শমীবৃক্ষমূলে। – শমিবৃক্ষ কোন্ গাছকে বলা হয়?

শমিবৃক্ষ একটি বাকল-জাতীয় গাছ, যা এখানে মহাভারতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিরাটপুত্র সহ, উদ্ধারিতে/গোধন, – বিরাট কে এবং তার পুত্রগণের নাম লেখো।

মহাভারতের কাহিনি অনুসারে বিরাট মৎস্য রাজ্যের রাজা ছিলেন। তাঁর পুত্রদের নাম শঙ্খ, শ্বেত, এবং উত্তর।

উদ্ধারিতে/গোধন, – কে গোধন উদ্ধার করেছিলেন?

অর্জুন বিরাটের পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে গোধন উদ্ধার করেছিলেন।

অর্জুন কোথায় যুদ্ধসজ্জা করেছিলেন?

মহাভারতের বিরাট পর্বে, শমিবৃক্ষের নিচে দাঁড়িয়ে অর্জুন যুদ্ধসজ্জা করেছিলেন।

ধ্বজ ইন্দ্রচাপরূপী; — ইন্দ্রচাপ কথার অর্থ কী?

ইন্দ্রচাপ কথার অর্থ দেবরাজ ইন্দ্রের ধনু।

হেন কালে প্রমীলা সুন্দরী/ধরি পতি-কর-যুগ – প্রমীলার এই আচরণকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

কবি প্রমীলার স্বামী ইন্দ্রজিতের হাত ধরার আচরণকে স্বর্ণলতার বনস্পতিকে জড়িয়ে রাখার সাথে তুলনা করেছেন।

হেন কালে প্রমীলা সুন্দরী, – হেন কালে বলতে কোন্ সময়কে বলা হয়েছে?

বীরবাহুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য ইন্দ্রজিৎ যখন রথে উঠেছেন, তখন সেই সময়কে বোঝানো হয়েছে।

তবু তারে রাখে পদাশ্রয়ে যূথনাথ। – যুথনাথ শব্দের অর্থ কী?

যুথনাথ শব্দের অর্থ হল হাতির দলের প্রধান।

ব্রততী বাঁধিলে সাধে করি-পদ, – করি-পদ শব্দটির অর্থ কী?

করি-পদ শব্দটির অর্থ হল হাতির পা।

কে পারে খুলিতে/সে বাঁধে? – এখানে কোন্ বন্ধনের কথা বলা হয়েছে?

এখানে ইন্দ্রজিতের ধনুকের টংকারের শব্দ বোঝানো হয়েছে, যা গরুড় পাখির ডাকার মতো গম্ভীর।

কাঁপিলা লঙ্কা – লঙ্কার কেঁপে ওঠার কারণ কী?

ইন্দ্রজিতের ধনুকের প্রচণ্ড টংকারে লঙ্কাপুরী কেঁপে উঠেছিল।

উঠিছে আকাশে/কাঞ্চন-কম্বুক-বিভা। – কাকে কাঞ্চন-কম্বুক- বিভা বলা হয়েছে?

রাবণের রাক্ষসবাহিনীর রেশমি পতাকার ঔজ্জ্বল্যকে ‘কাঞ্চন-কম্বুক-বিভা’ বলা হয়েছে।

নাদিলা কর্বূরদল – কেন কর্বূরদল আওয়াজ করেছিল?

মেঘনাদকে দেখে কর্বূরদল উল্লসিত হয়ে মহাগর্বে আওয়াজ করেছিল। এটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে সংগৃহীত।

নমি পুত্র পিতার চরণে, – পিতা ও পুত্র কে?

পিতা হলেন লঙ্কার রাজা রাবণ এবং পুত্র হলেন রাজপুত্র মেঘনাদ। এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে নেওয়া।

এ মায়া, পিতঃ, বুঝিতে না পারি। — কোন্ মায়া বক্তা বুঝতে পারছেন না?

মৃত্যু পরেও রামচন্দ্র আবার কীভাবে বেঁচে উঠলেন — সেই মায়ার ছলনা বক্তা মেঘনাদ বুঝতে পারছেন না।

সমূলে নির্মূল/করিব পামরে আজি! – কাকে পামর বলা হয়েছে?

উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত। এখানে রামচন্দ্রকে ‘পামর’ অর্থাৎ পাপী বলা হয়েছে।

নতুবা বাঁধিয়া আনি দিব রাজপদে। — কে, কাকে রাজপদে এনে দিতে চেয়েছেন?

উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটি মাইকেল মধুসুদন দত্তের ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত। মেঘনাদ রামচন্দ্রকে বা বধ করে, নইলে বেঁধে এনে রাজপদে, অর্থাৎ রাবণের পায়ের কাছে দিতে চেয়েছেন।

নাহি চাহে প্রাণ মম – বক্তার প্রাণ কী চায় না?

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ পদ্যাংশে দেখা যায়, প্রাণঘাতী যুদ্ধে বারবার মেঘনাদকে পাঠাতে লঙ্কেশ্বর রাবণের প্রাণ চায় না।

বিধি বাম মম প্রতি। – বিধি কার প্রতি বাম?

অভিষেক কাব্যাংশে রাবণের কথানুসারে বিধি তাঁর প্রতি বিরূপ।

কে কবে শুনেছে, পুত্র, ভাসে শিলা জলে, – কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে?

মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে রামচন্দ্রের মৃত্যুর পরে পুনর্জীবন লাভ প্রসঙ্গে এ ধরণের অবাস্তব কথা বলা হয়েছে।

উত্তরিলা বীরদর্পে অসুরারি-রিপু, – অসুরারি-রিপু কে?

উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত। এখানে ‘অসুরারি-রিপু’ বলতে অসুরদের যারা শত্রু, তাদের শত্রু অর্থাৎ মেঘনাদকে বোঝানো হয়েছে।

এ কলঙ্ক, পিতঃ, ঘুষিবে জগতে। – এখানে কোন্ কলঙ্কের কথা বলা হয়েছে?

মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে পুত্র ইন্দ্রজিৎ থাকতেও পিতা রাবণের যুদ্ধযাত্রাকেই বীরত্বের ক্ষেত্রে কলঙ্ক বলা হয়েছে।

হাসিবে মেঘবাহন; – মেঘবাহন কে?

মেঘবাহন হলেন দেবরাজ ইন্দ্র। উল্লেখ্য যে, দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন মেঘ, তাই তাঁকে ‘মেঘবাহন’ বলা হয়।

হাসিবে মেঘবাহন; – মেঘবাহন – এর হাসার কারণটি কী?

ইন্দ্রজিৎ জীবিত থাকতেও রাবণ যুদ্ধযাত্রা করলে তা ‘মেঘবাহন’ অর্থাৎ ইন্দ্রের হাসির কারণ হবে।

আর একবার পিতঃ, দেহ আজ্ঞা মোরে; – এখানে কোন্ আদেশের কথা বলা হয়েছে?

মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত আলোচ্য উদ্ধৃতিতে রামচন্দ্রকে বধ করার জন্য রাবণের আদেশের কথা বলা হয়েছে।

দেখিব এবার বীর বাঁচে কি ঔষধে! – কার বাঁচার কথা এখানে বলা হয়েছে?

উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত। এখানে রামচন্দ্রের বাঁচার অর্থাৎ রক্ষা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সিন্ধু-তীরে/ভূপতিত, – এখানে কীসের কথা বলা হয়েছে?

মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ পদ্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে সিন্ধুতীরে কুম্ভকর্ণের দেহ পড়ে থাকার কথা বলা হয়েছে।

সিন্ধুতীরে কুম্ভকর্ণের দেহের পড়ে থাকাকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ পদ্যাংশে সিন্ধুতীরে কুম্ভকর্ণের দেহের পড়ে থাকাকে বজ্রাঘাতে পড়ে থাকা গিরিশৃঙ্গ কিংবা তরুর পড়ে থাকার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

আগে পুজ ইষ্টদেবে, – কেন ইষ্টদেবতাকে পুজো করার কথা বলা হয়েছে?

রামের সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভ করতে চাইলে মেঘনাদের উচিত সবার আগে ইষ্টদেবতা অগ্নির পুজো করে তাঁর আশীর্বাদ নেওয়া — এ কথাই বলেছেন রাবণ।

নিকুম্ভিলা যজ্ঞ সাঙ্গ কর, – নিকুম্ভিলা যজ্ঞ কী?

রাক্ষসবংশের কুলদেবতার পূজাস্থান হল নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগার। এখানে মেঘনাদকে ইষ্টদেবতা অগ্নির পূজার যজ্ঞ করতে বলা হয়েছে।

সেনাপতি-পদে আমি বরিণু তোমারে। – কে কাকে সেনাপতি পদে বরণ করেছিলেন?

লঙ্কার অধিপতি রাবণ তাঁর পুত্র মেঘনাদকে (ইন্দ্রজিৎ) সেনাপতি পদে বরণ করেছিলেন।

দেখ, অস্তাচলগামী দিননাথ এবে; – এই উল্লেখের কারণ কী?

সূর্যের অস্ত যাওয়ার উল্লেখ করে রাবণ বোঝাতে চেয়েছিলেন যে দিনের সমাপ্তি হয়েছে। পরদিন সকালে ইন্দ্রজিৎ যেন রাঘবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যায়।

প্রভাতে যুঝিও, বৎস, – প্রভাতে যুদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে কেন?

ইন্দ্রজিৎ যখন যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন, তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল। রাতের বেলা যুদ্ধ করে জয় পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে রাবণ তাঁকে প্রভাতে যুদ্ধে যেতে বলেছিলেন।

অভিষেক, করিলা কুমারে। – কে, কার অভিষেক করলেন?

উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ থেকে গৃহীত। লঙ্কার রাজা রাবণ তাঁর পুত্র ইন্দ্রজিৎকে সেনাপতির পদে অভিষিক্ত করেন।

সেনাপতিপদে ইন্দ্রজিতের অভিষেক হয়েছিল কীভাবে?

গঙ্গাজল ছিটিয়ে এবং বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে ইন্দ্রজিতের সেনাপতি পদে অভিষেক হয়েছিল।

কে কবে শুনেছে পুত্র, ভাসে শিলা জলে, – বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?

রামচন্দ্রের পুনর্জীবন লাভের ঘটনায় রাবণের ধারণা জন্মেছিল যে, বিধাতা তাঁর প্রতি বিরূপ, তাই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে রামের পুনর্জীবন যেন অসম্ভব কোনো ঘটনা, যেমন শিলা (পাথর) জলে ভাসে না, তেমনি এই ঘটনা।


আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের প্রথম অংশ ‘অভিষেক’ – এর উপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা অসুবিধা হয়, তাহলে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি সাহায্য করার চেষ্টা করবো। এছাড়া, এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাদের এটির প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন