আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার সপ্তম পাঠের প্রথম বিভাগ, ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান,’ থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় আসতে পারে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন ও উত্তর
ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।
‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধটির রচয়িতা –
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
- রাজশেখর বসু
- মধুসূদন দত্ত
উত্তর – 3. রাজশেখর বসু
রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম –
- বনফুল
- শ্রীপান্থ
- পরশুরাম
- রূপদর্শী
উত্তর – 3. পরশুরাম
রাজশেখর বসু রচিত গ্রন্থ –
- বিচিন্তা
- কজ্জলী
- গড্ডলিকা
- সবগুলি
উত্তর – 4. সবগুলি
‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধটি যে গ্রন্থের অন্তর্গত, সেটি হল –
- বিচিন্তা
- গীতাঞ্জলি
- মেঘনাদবধ
- দেবদাস
উত্তর – 1. বিচিন্তা
এর মধ্যে যেটি রাজশেখর বসুর অবিস্মরণীয় কীর্তি, সেটি হল –
- মেঘদূত কাব্য রচনা
- ওথেলো নাটক রচনা
- গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ রচনা
- চলন্তিকা অভিধান রচনা
উত্তর – 3. চলন্তিকা অভিধান রচনা
যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ লেখা হয়, তাদের মোটামুটি কতগুলি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়? –
- দুটি
- তিনটি
- চারটি
- পাঁচটি
উত্তর – 1. দুটি
যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয়, তাদের প্রথম শ্রেণিটি –
- ইংরেজি ভাষায় দক্ষ
- বাংলা ভাষায় দক্ষ
- ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে
- ইংরেজি জানে বা ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়েছে
উত্তর – 3. ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে
বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের উদ্দিষ্ট পাঠকদের প্রথম শ্রেণিতে পড়ে –
- অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে
- অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক
- অল্পবয়স্ক ছেলে ও মেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক
- শুধু শিক্ষিত বয়স্ক লোক
উত্তর – 3. অল্পবয়স্ক ছেলে ও মেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক
বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের উদ্দিষ্ট পাঠকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে –
- যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় অল্প বিজ্ঞান পড়েছে
- অল্পবয়স্ক ছেলে
- অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক
- শুধু শিক্ষিত বয়স্ক লোক
উত্তর – 1. যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় অল্প বিজ্ঞান পড়েছে
প্রথম শ্রেণির পাঠকরা কয়েকটি পারিভাষিক শব্দ শিখেছে। এগুলির মধ্যে একটি হতে পারে –
- ম্যালেরিয়া
- টাইফয়েড
- ডায়রিয়া
- ইনফ্লুয়েঞ্জা
উত্তর – 2. টাইফয়েড
পিতলের চাইতে অ্যালুমিনিয়াম হালকা – এই জ্ঞানটি হল –
- বিশেষ জ্ঞান
- অসামান্য জ্ঞান
- সামান্য জ্ঞান
- সুগভীর জ্ঞান
উত্তর – 3. সামান্য জ্ঞান
প্রথম শ্রেণির পাঠকদের বিজ্ঞানের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় না থাকার ফলে তাদের এইরকম স্থূল তথ্য জানা থাকতে পারে –
- জল আর কপূর উবে যায়
- মানুষের পুনর্জন্ম হয়
- মানুষ কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে
- গাছের প্রাণ নেই
উত্তর – 1. জল আর কপূর উবে যায়
ছেলেবেলায় লেখক কার লেখা বাংলা জ্যামিতি পড়েছিলেন? –
- রামমোহন রায়
- ব্রহ্মমোহন মল্লিক
- কেশবচন্দ্র নাগ
- রাধারমণ মল্লিক
উত্তর – 2. ব্রহ্মমোহন মল্লিক
“এক নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার ওপর এক সমবাহু ত্রিভুজ আঁকতে হবে” -এর মানে বুঝতে অসুবিধে হয়নি কারণ –
- মানে স্পষ্ট ছিল
- কথাটা তিনি নিজেই বলেছিলেন
- ভাষাগত বিরোধী সংস্কার ছিল না
- অঙ্ক ভালো লাগত
উত্তর – 3. ভাষাগত বিরোধী সংস্কার ছিল না
যে লোক আজন্ম ইজার পরেছে তার পক্ষে যা পরা শক্ত –
- কোট বা ধুতি
- ধুতি
- হাপ্যান্ট
- লুঙ্গি
উত্তর – 2. ধুতি
‘ইজার’ শব্দের অর্থ –
- ধুতি
- পাজামা
- লুঙ্গি
- জিনস
উত্তর – 2. পাজামা
দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠককে কী পড়ার সময় প্রীতির সঙ্গে মাতৃভাষার পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হয়? –
- অঙ্কবিদ্যা
- বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ
- ব্রজবিলাস
- জ্যামিতি চর্চা
উত্তর – 2. বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ
কারা বহু বছর আগে বাংলায় নানা বিষয়ে পরিভাষা রচনা করেছিলেন? –
- সাহিত্যরসিক মানবগোষ্ঠী
- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের বিদ্যোৎসাহী লেখকবৃন্দ
- কিছু ইংরেজি পণ্ডিত
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিত দল
উত্তর – 2. বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের বিদ্যোৎসাহী লেখকবৃন্দ
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সমিতি গঠিত হয় কত সালে? –
- 1930 সালে
- 1932 সালে
- 1935 সালে
- 1936 সালে
উত্তর – 4. 1936 সালে
বাংলায় পারিভাষিক শব্দের সংকলনের সফল চেষ্টা হয়েছে –
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির কাজে
- বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির কাজে
- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের কাজে
- কিছু ইংরেজি বিদ্যোৎসাহী পণ্ডিতের কাজে
উত্তর – 1. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির কাজে
পারিভাষিক বাংলা শব্দ নেই এমন একটি ইংরেজি শব্দ হল –
- হাওয়া
- অক্সিজেন
- চেয়ার
- কাপ
উত্তর – 2. অক্সিজেন
পরিভাষা রচনার কাজ করতে হয় –
- বিখ্যাত কোনো ব্যক্তির দ্বারা
- দুজন মিলে
- সমবেতভাবে
- বিখ্যাত লেখকের দ্বারা
উত্তর – 3. সমবেতভাবে
কোন্ দেশের তুলনায় এদেশের জনসাধারণের জ্ঞান নগণ্য? –
- পাকিস্তান
- ইরাক
- পাশ্চাত্য
- আরব
উত্তর – 3. পাশ্চাত্য
কোন্ দোষ মুক্ত না হলে বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না? –
- ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ
- বাংলায় ইংরেজির প্রভাব
- ইংরেজি ও বাংলার সমান্তরাল প্রয়োগের দোষ
- দেশবাসীর ইংরেজি নির্ভরতা
উত্তর – 1. ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ
‘Connotation’ শব্দের অর্থ –
- অর্থব্যাপ্তি
- অর্থসংকোচন
- অর্থরূপান্তর
- বিপরীত অর্থ
উত্তর – 1. অর্থব্যাপ্তি
Sensitized Paper -এর অনুবাদ কী লিখলে ঠিক হয় বলে প্রাবন্ধিক মনে করেছেন –
- স্পর্শকাতর কাগজ
- সুবেদী কাগজ
- সুগ্রাহী কাগজ
- ব্যথাপ্রবণ কাগজ
উত্তর – 3. সুগ্রাহী কাগজ
ইংরেজিতে ভেবে তাকে হুবহু বাংলা অনুবাদে প্রকাশের চেষ্টা করলে লেখা হয় –
- উৎকট
- ভালো
- নিম্নমান
- অর্থযুক্ত
উত্তর – 1. উৎকট
“When sulpher burns in air the nitrogen does not take part in the reaction” -এর সংগত বাংলা অর্থ বলেছেন লেখক –
- নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না
- নাইট্রোজেনের কোনো পরিবর্তন হয় না
- গন্ধক হাওয়ায় পুড়ে যায়
- নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে
উত্তর – 2. নাইট্রোজেনের কোনো পরিবর্তন হয় না
স্থানবিশেষে পারিভাষিক শব্দ বাদ দেওয়া চলে যেমন অমেরুদণ্ডীর বদলে লেখা যায় –
- মেরুদণ্ডহীন
- শিরদাঁড়াহীন
- মেরুদণ্ড ভাঙা
- নরম মেরুদণ্ড
উত্তর – 2. শিরদাঁড়াহীন
পরিভাষার উদ্দেশ্য –
- ভাষার সংক্ষেপ
- ভাষার অর্থ সুনির্দিষ্ট করা
- ভাষার সংক্ষেপ ও অর্থ সুনির্দিষ্ট করা
- কোনোটিই নয়
উত্তর – 3. ভাষার সংক্ষেপ ও অর্থ সুনির্দিষ্ট করা
আমাদের দেশে তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে, যখন এ দেশে –
- বাংলায় প্রচুর পারিভাষিক শব্দ তৈরি হবে
- বিজ্ঞানশিক্ষার বিস্তার ঘটবে
- মাতৃভাষার প্রতি মানুষের প্রীতির মনোভাব গড়ে উঠবে
- লেখকেরা অনুবাদের আড়ষ্টতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন
উত্তর – 2. বিজ্ঞানশিক্ষার বিস্তার ঘটবে
শব্দের ‘ত্রিবিধ’ অর্থের প্রথমটি –
- আভিধানিক অর্থ প্রকাশ করে
- লক্ষণা অর্থ প্রকাশ করে
- ব্যঞ্জনা প্রকাশ করে
- শুধু বর্ণনা দেয়
উত্তর – 1. আভিধানিক অর্থ প্রকাশ করে
‘অরণ্য’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ –
- নদী
- বন
- গাছ
- পাহাড়
উত্তর – 2. বন
‘অরণ্যে রোদন’ ব্যঞ্জনাটির অর্থ –
- খুব রাগ
- নিষ্ফল খেদ
- খুব কষ্ট
- খুব ক্ষোভ
উত্তর – 2. নিষ্ফল খেদ
বৈজ্ঞানিক সাহিত্যের ক্ষেত্রে কোন্ কোন্ অলংকার কিছু কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে? –
- উপমা এবং রূপক
- উৎপ্রেক্ষা
- অতিশয়োক্তি
- ব্যাজস্তুতি
উত্তর – 1. উপমা এবং রূপক
বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গে ভাষা অত্যন্ত –
- কঠিন হওয়া উচিত
- সরল ও স্পষ্ট হওয়া উচিত
- দুর্বোধ্য হওয়া উচিত
- জটিল হওয়া উচিত
উত্তর – 2. সরল ও স্পষ্ট হওয়া উচিত
“হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড” – কথাটি বলেছিলেন –
- অশ্বঘোষ
- কালিদাস
- ভবভূতি
- ধোয়ী
উত্তর – 2. কালিদাস
অল্পবিদ্যা যে ভয়ংকরী তার প্রমাণ একটি পত্রিকায় কীভাবে লেখক পেয়েছেন? –
- ওজোন গ্যাস স্বাস্থ্যকর
- হাওয়ার ওজন আছে
- আলোর গতিবেগ খুব কম
- শব্দ আলোর আগে পৌঁছোয়
উত্তর – 1. ওজোন গ্যাস স্বাস্থ্যকর
শব্দের শক্তির ‘ত্রিবিধ’ রূপের প্রথমটি হল –
- লক্ষণা
- ব্যঞ্জনা
- বর্ণনা
- অভিধা
উত্তর – 4. অভিধা
পারিভাষিক শব্দের প্রথমবার প্রয়োগের সময় যা দেওয়া আবশ্যক তা হল –
- উৎস
- ব্যাখ্যা
- অর্থ
- মূল শব্দ
উত্তর – 2. ব্যাখ্যা
“বাংলা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধাদিতে আর একটি দোষ” প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক কোন্ প্রবাদের উল্লেখ করেছেন? –
- অরণ্যে রোদন
- অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী
- হাতের পাঁচ
- হ-য-ব-র-ল
উত্তর – 2. অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী
দুএকটি বাক্যে উত্তর দাও।
রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম কী?
রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম হল পরশুরাম।
রাজশেখর বসু রচিত দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।
রাজশেখর বসু রচিত দুটি গ্রন্থের নাম হল গড্ডলিকা এবং হনুমানের স্বপ্ন।
রাজশেখর বসু রচিত বাংলা অভিধানের নাম কী?
রাজশেখর বসু রচিত বাংলা অভিধানের নাম হল ”চলন্তিকা’।
তোমার পাঠ্য ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধটি কোন্ গ্রন্থ থেকে গৃহীত?
‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধটি রাজশেখর বসু রচিত বিচিন্তা গ্রন্থ থেকে গৃহীত।
“তাদের মোটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে” – ‘তাদের’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
আলোচ্য অংশে ‘তাদের’ বলতে বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের পাঠকদের বোঝানো হয়েছে।
“যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয় তাদের মোটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।” – শ্রেণি দুটি কী কী?
আলোচ্য প্রবন্ধে উল্লিখিত দুই শ্রেণির মধ্যে প্রথম শ্রেণি হল যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে এবং দ্বিতীয় শ্রেণি হল যারা ইংরেজি জানে।
প্রথম শ্রেণির পাঠকদের সম্পর্কে প্রাবন্ধিক কী বলেছেন?
প্রথম শ্রেণির পাঠকদের সম্পর্কে প্রাবন্ধিক বলেছেন যে, গুটিকয়েক ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ ছাড়া তাদের বিজ্ঞানের সঙ্গে পূর্বপরিচয় নেই।
“গুটিকতক ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ হয়তো তারা শিখেছে।” – শব্দগুলি কী?
প্রবন্ধে উল্লিখিত ‘গুটিকতক’ ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ হল টাইফয়েড, আয়োডিন মোটর, ক্রোটন, জেব্রা।
“অনেক রকম স্থূল তথ্যও তাদের জানা থাকতে পারে” – কীরকম স্থূল তথ্যের কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন?
জল এবং কপূর উবে যায়, লাউ-কুমড়ো জাতীয় গাছে দু-রকম ফুল হয় – এরকম স্থূল তথ্যের কথা প্রাবন্ধিক আলোচ্য প্রবন্ধে বলেছেন।
“এই শ্রেণির পাঠক ইংরেজি ভাষার প্রভাব থেকে মুক্ত।” – ‘এই শ্রেণির’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্পর্কে যাঁরা বিশেষ জানেন না, যাঁদের বিজ্ঞানের সঙ্গে পূর্বপরিচয় নেই, এই অংশে তাঁদেরই কথা বুঝিয়েছেন প্রাবন্ধিক।
ছেলেবেলায় রাজশেখর বসু কার লেখা জ্যামিতি বই পড়তেন?
ছেলেবেলায় প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু ব্রহ্মমোহন মল্লিকের লেখা বাংলা জ্যামিতি বই পড়তেন।
“এর মানে বুঝতে বাধা হয়নি।” – ‘এর মানে’ বলতে কী?
ব্রহ্মমোহন মল্লিকের রচিত জ্যামিতি বইতে লেখা এক নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার উপর এক সমবাহু ত্রিভুজ চিত্রাঙ্কনের কথা বুঝতে প্রাবন্ধিকের অসুবিধা হয়নি।
“তাদের কাছে উক্ত প্রতিজ্ঞাবাক্যটি সুশ্রাব্য ঠেকবে না।” — ‘তাদের’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?
যারা ইংরেজি ভাষায় জ্যামিতি বা জিয়োমেট্রি পড়েছে তাদের কাছে ব্রহ্মমোহন মল্লিকের বইয়ের ভাষা সহজ মনে হবে না।
“যে লোক আজন্ম ইজার পড়েছে” – ‘আজন্ম’, ‘ইজার’ এই শব্দ দুটির অর্থ লেখো।
‘আজন্ম’ কথার অর্থ হল জন্মাবধি বা জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত এবং ‘ইজার’ কথার অর্থ হল পাজামা বা প্যান্টালুন।
বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
রাজশেখর বসু রচিত ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রবন্ধ বা রচনাকে বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠক যখন মাতৃভাষায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ পড়ে তখন তার কোন্ চেষ্টা আবশ্যক?
দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠক যখন মাতৃভাষায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ পড়ে তখন তাকে ইংরেজির প্রতি অতিরিক্ত পক্ষপাত ত্যাগ করে ভালোবেসে মাতৃভাষার পদ্ধতি আয়ত্ত করার চেষ্টা করতে হয়।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার একটি বাধা কী যা প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন?
প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার একটি বড়ো বাধা হল বাংলায় পারিভাষিক শব্দের সংখ্যার ঘাটতি।
“তার ফলে তাঁদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে।” – ‘তার ফলে’ কথাটি প্রাবন্ধিক কেন ব্যবহার করেছেন?
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের বিদ্যোৎসাহী লেখকেরা একত্রিত হয়ে কাজ না করার ফলে একই ইংরেজি শব্দের বিভিন্ন প্রতিশব্দ রচিত হয়েছে। এর ফলে নতুন রচিত পরিভাষার মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করা যায়নি।
পরিভাষা রচনার ক্ষেত্রে কাদের উদ্যোগে ত্রুটি ছিল বলে প্রাবন্ধিক মন্তব্য করেছেন?
পরিভাষা রচনার ক্ষেত্রে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের বিদ্যোৎসাহী লেখকদের উদ্যোগে ত্রুটি ছিল বলে প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু মন্তব্য করেছেন।
“তার ফলে তাঁদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে।” – ‘তার ফলে’ কথাটি প্রাবন্ধিক কেন ব্যবহার করেছেন?
1936 খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির হয়ে বিভিন্ন বিষয়ের অধ্যাপক এবং লেখকরা মিলিতভাবে কাজ করেছিলেন বলে, তাঁদের পরিভাষা নির্মাণের চেষ্টা অনেক বেশি সফল হয়েছিল। একযোগে কাজ করার প্রসঙ্গেই প্রাবন্ধিক ‘তার ফলে’ কথাটি ব্যবহার করেছেন।
পরিভাষা সংকলনে কাদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে বলেছেন প্রাবন্ধিক?
1936 খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত পরিভাষা সমিতির পরিভাষা তৈরির চেষ্টা অনেক বেশি সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু।
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন?
1936 খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির বিশেষত্ব কী?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতিতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অধ্যাপক, ভাষাতত্ত্বজ্ঞ, সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত এবং লেখকেরা একযোগে কাজ করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি কী বিধান দিয়েছে?
অথবা, বিশ্ববিদ্যলয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নাম সম্বন্ধে কী বিধান দিয়েছিলেন?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি এই বিধান দিয়েছিল যে, নতুন কোনো রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নামই বাংলায় ব্যবহার করা যাবে।
উপযুক্ত পরিভাষা না পাওয়া পর্যন্ত প্রাবন্ধিক কী পরামর্শ দিয়েছেন?
‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে উপযুক্ত পরিভাষা না পাওয়া পর্যন্ত প্রাবন্ধিক বাংলা বানানে ইংরেজি শব্দই ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
“আমাদের সরকার ক্রমে ক্রমে রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালাচ্ছেন।” — তাতে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন কেন?
রাজশেখর বসুর মতে, সরকার থেকে উদ্যোগ নিয়ে দেশি পরিভাষা প্রচলন করায় অনেকে মুশকিলে পড়েছেন। কারণ তাঁরা ইংরেজিতে অভ্যস্ত বলে পরিভাষাগুলি তাঁদের নতুন করে শিখতে হচ্ছে।
“বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন।” – এ কথা কেন বলা হয়েছে?
প্রাবন্ধিকের মতে, এদেশের মানুষের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান কম। প্রাথমিক বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না থাকলে সাধারণ মানুষের পক্ষে বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন।
কোন্ দেশে বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ লেখা সহজ এবং কেন?
ইউরোপ এবং আমেরিকার মতো পাশ্চাত্য দেশে বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ লেখা সহজ, কারণ সেখানে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। তাই সাধারণ মানুষ বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো সহজেই বুঝতে পারে।
“তাঁরা এ-বিষয়ে অবহিত না হলে তাঁদের লেখা জনপ্রিয় হবে না।” – এরূপ বলার তাৎপর্য কী?
‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সামান্যমাত্র পরিচয় না থাকা সাধারণ মানুষের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ বোঝার অসুবিধার কথা বলা হয়েছে।
“কালক্রমে এ দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার হলে এই অসুবিধা দূর হবে” – কোন অসুবিধার কথা বলা হয়েছে?
বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় না থাকার কারণে প্রবন্ধ বোঝার যে অসুবিধা হচ্ছে, সেটির কথা বলা হয়েছে।
“তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।” — কখন সুসাধ্য হবে?
এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার হলে জনসাধারণ বিজ্ঞানের বিষয়ে বেশি জানবে, তাহলেই বৈজ্ঞানিক সাহিত্য লেখা ও বোঝা সহজ হবে।
“এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না।” – ‘এই দোষ’ বলতে প্রাবন্ধিক কী বুঝিয়েছেন?
ভাষার আড়ষ্টতা এবং ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ করার ত্রুটি দূর করতে না পারলে বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না।
“এজন্য অনেক সময় তাঁরা অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ প্রয়োগ করেন।” – কেন তাঁরা এরুপ করেন?
ইংরেজি শব্দের মতো বাংলা শব্দেও অর্থের ব্যাপ্তি আনার চেষ্টায় অনেক সময় লেখকরা অদ্ভুত শব্দ প্রয়োগ করেন।
কীসের অনুবাদকে লেখক উৎকট বলেছেন এবং কী লিখলে ঠিক হয় বলেছেন?
লেখকের মতে, Sensitized Paper-এর অনুবাদ ‘স্পর্শকাতর কাগজ’ লিখলে অর্থের দিক থেকে উৎকট হয়; বরং ‘সুগ্রাহী কাগজ’ লিখলে ঠিক হয়।
Sensitized paper -এর ঠিক অনুবাদ কী?
Sensitized Paper -এর সঠিক অনুবাদ হওয়া উচিত সুগ্রাহী কাগজ।
“এতে রচনা উৎকট হয়।” — কী কারণে রচনা উৎকট হয় বলেছেন প্রাবন্ধিক?
বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা করার সময় তা ইংরেজিতে ভেবে নিয়ে হুবহু বাংলায় অনুবাদ করার চেষ্টা করলে রচনা উৎকট হয়।
“এ রকম বর্ণনা বাংলা ভাষায় প্রকৃতিবিরুদ্ধ।” — কীরকম বর্ণনা প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক এই উক্তি করেছেন?
“The atomie engine has not even reached the blue print stage” -এর বাংলা “পরমাণু এঞ্জিন নীল চিত্রের অবস্থাতেও পৌছায়নি” – এই জাতীয় লেখা প্রকৃতিবিরুদ্ধ।
“এ রকম বর্ণনা বাংলা ভাষায় প্রকৃতিবিরুদ্ধ।” – কীরকম লিখলে ভালো হয় বলেছেন প্রাবন্ধিক?
প্রাবন্ধিকের মতে “The atomic engine has not even reached the blue print stage” -এর বাংলা “পরমাণু এঞ্জিনের নকশা পর্যন্ত এখনও প্রস্তুত হয়নি” লিখলে ভালো হয়।
কী প্রসঙ্গে লেখক ‘মাছিমারা নকল’ কথাটি বলেছেন?
“When sulpher burns in air the nirtrogen does not take part in the reaction” -এর বাংলা “যখন গন্ধক হাওয়ায় পোড়ে তখন নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না” – প্রাবন্ধিক এ-জাতীয় আক্ষরিক অনুবাদকে ‘মাছিমারা নকল’ বলেছেন।
“এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।” — কোন্ ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয় বলেছেন প্রাবন্ধিক?
প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে, সমস্ত পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয় — এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।
স্থানবিশেষে পারিভাষিক শব্দ যে বাদ দেওয়া চলে তোমার পাঠ্য বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধ থেকে তার একটা উদাহরণ দাও।
‘অমেরুদণ্ডী’ শব্দের বদলে যেসব প্রাণীর শিরদাঁড়া নেই – এরকম লিখে স্থানবিশেষে পারিভাষিক শব্দ বাদ দেওয়া চলে।
পরিভাষার উদ্দেশ্য কী বলেছেন লেখক?
অথবা, পরিভাষার উদ্দেশ্য কী?
প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে, পরিভাষার উদ্দেশ্য ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করা এবং তার অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।
শব্দ সম্পর্কে আলংকারিকরা যে ত্রিবিধ বলেছেন তা কী কী?
অথবা, “আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন” – কোন্ ‘ত্রিবিধ কথা’-র প্রসঙ্গ লেখক স্মরণ করেছেন?
অথবা, “আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন” – শব্দের ত্রিবিধ কথা কী?
রাজশেখর বসু রচিত ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, শব্দ সম্পর্কে আলংকারিকরা অভিধা, লক্ষণা এবং ব্যঞ্জনা — এই তিনটি বৃত্তির উল্লেখ করেছেন।
সাধারণদের জন্য লিখিত বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভে পারিভাষিক শব্দের কীরূপ ব্যবহারের পরামর্শ প্রাবন্ধিক দিয়েছেন?
প্রাবন্ধিকের মতে, সাধারণদের জন্য লিখিত বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভে অল্প পরিচিত পারিভাষিক শব্দ প্রথমবার ব্যবহার হলে তার ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। পরে শুধু পারিভাষিক শব্দটির ব্যবহারই যথেষ্ট।
অভিধা কী? একটি উদাহরণ দাও।
শব্দের মুখ্য অর্থ প্রকাশিত হয় যে বৃত্তির দ্বারা, তার নাম অভিধা। যেমন — পাঁকে জন্মে যা, তা ‘পঙ্কজ’ হলেও শব্দটির অভিধা ‘পদ্ম’ অর্থেই সীমাবদ্ধ।
লক্ষণা কী? একটি উদাহরণ দাও।
যখন কোনো শব্দের মুখ্য অর্থের চেয়ে গৌণ অর্থ বেশি ব্যবহৃত হয়, তখন তা হয় লক্ষণা। যেমন — “এই রিকশা, এদিকে এসো” — এখানে রিকশা নয়, রিকশাওয়ালাই লক্ষণার্থে ফুটে উঠেছে।
ব্যঞ্জনা কী? একটি উদাহরণ দাও।
যে প্রবণতার কারণে শব্দ নতুন অর্থের ইঙ্গিত তৈরি করে, তাকে বলা হয় ব্যঞ্জনা। যেমন — ‘অরণ্যে রোদন’ – যার আক্ষরিক অর্থ অন্য কিছু হলেও ব্যঞ্জনা অনুযায়ী অর্থ হল নিষ্ফল খেদ।
“একটি দোষ প্রায় নজরে পড়ে।” – কোন্ দোষের কথা বলা হয়েছে?
বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে লেখকরা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধগুলিতে যেসব ভুল তথ্য দেন এখানে সেই ‘দোষ’ -এর কথা বলা হয়েছে।
অলংকারের প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক সাহিত্য ও সাধারণ সাহিত্যে কী পার্থক্য রয়েছে?
বৈজ্ঞানিক সাহিত্য অলংকারহীন, সহজ, স্পষ্ট হওয়া উচিত। সাধারণ সাহিত্যের ভাষা, উপমা, উৎপ্রেক্ষা প্রভৃতি অলংকারে পূর্ণ কাব্যিক হতে পারে।
কোন্ উক্তিকে লেখক কাব্যের উপযুক্ত, ভূগোলের উপযুক্ত নয় বলেছেন?
“হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড” – কালিদাসের এই উক্তিকে প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু বলেছেন কাব্যের উপযুক্ত, ভূগোলের উপযুক্ত নয়।
“বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে যত কম থাকে তত ভালো।” – কী কম থাকার কথা বলা হয়েছে?
লক্ষণা বা ব্যঞ্জনা এবং উৎপ্রেক্ষা, অতিশয়োক্তি ইত্যাদি অলংকার বৈজ্ঞানিক রচনায় যথাসম্ভব কম থাকা ভালো।
“এই কথাটি সকল লেখকেরই মনে রাখা উচিত।” – কোন্ কথা মনে রাখা উচিত?
বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের ভাষা অত্যন্ত সরল ও স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক – এই কথাটি সমস্ত বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ রচয়িতাদের মনে রাখা উচিত।
“এই রকম ভুল লেখা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর।” – কোন ভুলের কথা বলেছেন প্রাবন্ধিক?
অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন স্বাস্থ্যকর এ বিষয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। কিন্তু ওজোন গ্যাস স্বাস্থ্যকর – এই ধরনের ভুল লেখার কথা বলেছেন প্রাবন্ধিক।
‘অল্পবিদ্যা ভংয়করী’ প্রবাদটিকে একটি বাক্যে প্রয়োগ করো।
হাতুড়ে ডাক্তাররা যেভাবে সামান্য জ্ঞান নিয়ে মানুষজনের চিকিৎসা করে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে, কথায় বলে না, ‘অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী’?
অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী কোন্ বিষয় সম্পর্কে এই অভিমত দেওয়া হয়েছে?
‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ রচনা করতে গিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া প্রসঙ্গে এই অভিমত দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় দেখেছি – কিছুদিন আগে পত্রিকায় প্রাবন্ধিক কী দেখেছেন?
প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু একটি পত্রিকায় লেখা দেখেছিলেন – “অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন স্বাস্থ্যকর বলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। তারা জীবনে বেঁচে থাকার পক্ষে অপরিহার্য অঙ্গ মাত্র। তবে ওজন গ্যাস স্বাস্থ্যকর।”
আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক বাংলার সপ্তম পাঠের প্রথম বিভাগ, ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান,’ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই পরীক্ষায় দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকে, তবে আপনারা টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া, এই পোস্টটি আপনার পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন