দশম শ্রেণি – বাংলা – পথের দাবী – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্যবইয়ের পঞ্চম পাঠের চতুর্থ বিভাগ, ‘পথের দাবী’ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই পরীক্ষায় আসতে দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সহায়ক হবে।

দশম শ্রেণি – বাংলা – পথের দাবী – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
Contents Show

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন ও উত্তর

ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত শরৎচন্দ্রের উপন্যাসটি হল –

  1. পথের দাবী
  2. শেষপ্রশ্ন
  3. গৃহদাহ
  4. চরিত্রহীন

উত্তর – 1. পথের দাবী

হলঘরে মোটঘাট নিয়ে বসে আছে –

  1. জন-পাঁচেক
  2. জন-ছয়েক
  3. জন-চারেক
  4. জন-তিনেক

উত্তর – 2. জন-ছয়েক

তেলের খনির কারখানার মিস্ত্রিরা চাকরির উদ্দেশে গিয়েছিল –

  1. রেঙ্গুন
  2. কলকাতা
  3. দিল্লি
  4. কোনোটাই নয়

উত্তর – 1. রেঙ্গুন

পলিটিকাল সাসপেক্টের নাম ছিল –

  1. অপূর্ব রায়
  2. সব্যসাচী চক্রবর্তী
  3. সব্যসাচী মল্লিক
  4. নিমাইবাবু

উত্তর – 3. সব্যসাচী মল্লিক

সব্যসাচী সন্দেহে আটক করা ব্যক্তির বয়স –

  1. ত্রিশ-বত্রিশের অধিক নয়
  2. ত্রিশ-বত্রিশের কম
  3. চল্লিশের মধ্যে
  4. চল্লিশের বেশি

উত্তর – 1. ত্রিশ-বত্রিশের অধিক নয়

সব্যসাচী নিজের নাম কী মহাপাত্র বলেছিলেন? –

  1. সব্যসাচী মল্লিক
  2. নিমাই মহাপাত্র
  3. অপূর্ব রায়
  4. গিরীশ মহাপাত্র

উত্তর – 4. গিরীশ মহাপাত্র

গিরীশ মহাপাত্রের পায়ে যে ফুল মোজা ছিল, তার রং –

  1. নীল
  2. লাল
  3. সবুজ
  4. রামধনুর মতো

উত্তর – 3. সবুজ

‘কেবল আশ্চর্য’-আশ্চর্যের বিষয়টি ছিল –

  1. শরীরের গঠন
  2. মাথার পাগড়ি
  3. বাহারের দীনতা
  4. দুটি চোখের দৃষ্টি

উত্তর – 4. দুটি চোখের দৃষ্টি

গিরীশ মহাপাত্র তার ট্যাঁক থেকে বার করেছিল – 

  1. একটি টাকা ও গন্ডা-ছয়েক পয়সা
  2. পাঁচ টাকার একটি নোট
  3. গন্ডা-ছয়েক পয়সা
  4. একটা দেশলাই

উত্তর – 1. একটি টাকা ও গন্ডা-ছয়েক পয়সা

গিরীশ মহাপাত্রের বুকপকেট থেকে দেখা যাচ্ছিল –

  1. একটি রুমালের কিছু অংশ
  2. একটি টাকার নোট
  3. লাল রঙের ফিতে
  4. গাঁজার কলকে

উত্তর – 1. একটি রুমালের কিছু অংশ

গিরীশ মহাপাত্রের বুকপকেটের রুমালে কোন্ প্রাণীর অবয়ব ছিল? –

  1. হরিণ
  2. বাঘ
  3. শেয়াল
  4. হায়না

উত্তর – 2. বাঘ

গিরীশ মহাপাত্রের কাছ থেকে যে গাঁজার কলকে পাওয়া গিয়েছিল সেটি সে রেখেছিল –

  1. সুটকেসে
  2. ব্যাগে
  3. ট্যাঁকে
  4. পকেটে

উত্তর – 4. পকেটে

“… যদি কারও কাজে লাগে তাই তুলে রেখেচি।” – বক্তা তুলে রেখেছিল –

  1. রুমাল
  2. মোজা
  3. টিনের বাক্স
  4. গাঁজার কলকে

উত্তর – 4. গাঁজার কলকে

“পথে কুড়িয়ে পেলাম” – বক্তা পথে কুড়িয়ে পেয়েছিল –

  1. কিছু টাকা
  2. একটি গাঁজার কলকে
  3. কম্পাস
  4. একটি দেশলাই

উত্তর – 2. একটি গাঁজার কলকে

নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন –

  1. সে গাঁজা খায় কি না
  2. সে ফুটবল খেলতে জানে কিনা
  3. সে কী কী বই পড়েছে
  4. সে কোথা থেকে এসেছে

উত্তর – 1. সে গাঁজা খায় কি না

“বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো” – বুড়ো মানুষটি হলেন –

  1. জগদীশ বসু
  2. অপূর্ব
  3. নিমাইবাবু
  4. গিরীশ মহাপাত্র

উত্তর – 3. নিমাইবাবু

“দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে।” – বক্তা হলেন –

  1. জগদীশবাবু
  2. নিমাইবাবু
  3. অপূর্ব
  4. গিরীশ মহাপাত্র

উত্তর – 1. জগদীশবাবু

“তুমি এখন যেতে পারো মহাপাত্র।” – কথাটি বলেছেন –

  1. জগদীশবাবু
  2. অপূর্ব
  3. নিমাইবাবু
  4. তলওয়ারকর

উত্তর – 3. নিমাইবাবু

যার গন্ধে থানাসুদ্ধ লোকের মাথা ধরে গেল –

  1. উগ্র পারফিউমের গন্ধে
  2. আঁশটে গন্ধে
  3. নারকেল তেলের গন্ধে
  4. লেবুর তেলের গন্ধে

উত্তর – 4. লেবুর তেলের গন্ধে

নিমাইবাবু জগদীশকে যে দিকে নজর দিতে বলেছিলেন –

  1. বন্দরের দিকে
  2. স্টেশনের দিকে
  3. জাহাজঘাটের দিকে
  4. রাত্রের মেলট্রেনটার দিকে

উত্তর – 4. রাত্রের মেলট্রেনটার দিকে

“কিন্তু এই জানোয়ারটাকে ওয়াচ করবার দরকার নেই বড়োবাবু।” – এ কথা বলেছেন –

  1. অপূর্ব
  2. নিমাইবাবু
  3. জগদীশবাবু
  4. রামদাস

উত্তর – 3. জগদীশবাবু

ভাঙা টিনের তোরঙ্গটি ধরে বেরিয়ে এসেছিল –

  1. সব্যসাচী রায়
  2. নিমাই মহাপাত্র
  3. অপূর্ব রায়
  4. গিরীশ মহাপাত্র

উত্তর – 4. গিরীশ মহাপাত্র

“আমারও অনুমান কতকটা তাই।” – বক্তার অনুমান –

  1. সব্যসাচী বর্মায় এসেছে
  2. তেওয়ারি চুরি করেছে
  3. গিরীশ মহাপাত্রই সব্যসাচী
  4. সব্যসাচী রেঙ্গুনেই আছে

উত্তর – 2. তেওয়ারি চুরি করেছে

রামদাস পেশায় ছিল –

  1. করণিক
  2. পেশকার
  3. সাংবাদিক
  4. অ্যাকাউন্ট্যান্ট

উত্তর – 4. অ্যাকাউন্ট্যান্ট

অপূর্বকে প্রতিদিন যে ব্যক্তি তার হাতের তৈরি মিষ্টি খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন –

  1. রামদাসের মা
  2. রামদাস
  3. রামদাসের স্ত্রী
  4. নিমাইবাবু

উত্তর – 3. রামদাসের স্ত্রী

সব্যসাচী মল্লিক পেশায় ছিলেন –

  1. শিক্ষক
  2. ডাক্তার
  3. পুলিশ
  4. কেরানি

উত্তর – 2. ডাক্তার

সব্যসাচী ডাক্তারি পাস করেছিলেন – 

  1. জার্মানি থেকে
  2. বিলাত থেকে
  3. আমেরিকা থেকে
  4. জাপান থেকে

উত্তর – 2. বিলাত থেকে

“টিফিনের সময় উভয়ে একত্র বসিয়া জলযোগ করিত।” – ‘উভয়ে’ বলতে বোঝানো হয়েছে –

  1. অপূর্ব ও রামদাসকে
  2. অপূর্ব ও আরদালিকে
  3. অপূর্ব ও তেওয়ারিকে
  4. অপূর্ব ও নিমাইবাবুকে

উত্তর – 1. অপূর্ব ও রামদাসকে

অপূর্বর জন্য মিষ্টি নিয়ে আসত –

  1. রামদাস
  2. রামদাসের মা
  3. অপূর্বর এক সহকর্মী
  4. অফিসের একজন ব্রাহ্মণ পেয়াদা

উত্তর – 4. অফিসের একজন ব্রাহ্মণ পেয়াদা

রামদাসের স্ত্রীর সঙ্গে অপূর্বর সম্পর্ক ছিল –

  1. মাসি-বোনপোর
  2. কাকিমা-ভাসুরপোর
  3. মামিমা-ভাগ্নের
  4. ভাই-বোনের

উত্তর – 4. ভাই-বোনের

কার ঘরে চুরি হয়েছিল? –

  1. সব্যসাচী
  2. অপূর্ব
  3. নিমাই
  4. রামদাস

উত্তর – 2. অপূর্ব

কার জন্য অপূর্বর টাকাকড়ি ছাড়া বাকি সব কিছু চুরি হওয়ার থেকে বেঁচে গিয়েছিল? –

  1. তেওয়ারির জন্য
  2. সব্যসাচীর জন্য
  3. ব্রাহ্মণ পিয়াদার জন্য
  4. ক্রিশ্চান মেয়েটির জন্য

উত্তর – 4. ক্রিশ্চান মেয়েটির জন্য

তেওয়ারি বর্মা নাচ দেখতে গিয়েছিল –

  1. এনাঞ্জং
  2. ফয়া
  3. মিকথিলা
  4. ভামো

উত্তর – 2. ফয়া

“বাবাই একদিন এঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন।” – ‘এঁর’ বলতে বোঝানো হয়েছে –

  1. রামদাসকে
  2. জগদীশবাবুকে
  3. নিমাইবাবুকে
  4. তেওয়ারিকে

উত্তর – 3. নিমাইবাবুকে

“আপনাকেই হয়তো আর একদিন তার প্রয়াশ্চিত্ত করতে হবে।” – প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে –

  1. নিমাইবাবুকে
  2. অপূর্বকে
  3. সব্যসাচীকে
  4. রামদাসকে

উত্তর – 2. অপূর্বকে

“এসব কথা বলার দুঃখ আছে” – ‘এসব কথা’ বলতে বোঝানো হয়েছে –

  1. সব্যসাচীর প্রতি ভালোবাসার কথা
  2. সব্যসাচীর লুকিয়ে থাকার কথা
  3. সব্যসাচীর গতিবিধির কথা
  4. অপূর্বর বাড়িতে চুরির কথা

উত্তর – 1. সব্যসাচীর প্রতি ভালোবাসার কথা

“বুনো হাঁস ধরাই এদের কাজ।” – ‘বুনোহাঁস’ বলা হয়েছে –

  1. ভারতীয়দের
  2. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের
  3. কালো মানুষদের
  4. চোর-ডাকাতদের

উত্তর – 2. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের

অপূর্বর পিতার বন্ধু ছিলেন –

  1. গিরীশ মহাপাত্র
  2. নিমাইবাবু
  3. রামদাস
  4. জগদীশবাবু

উত্তর – 2. নিমাইবাবু

তলওয়ারকর হল-

  1. রামদাস
  2. রামদাসের পিতা
  3. ইংরেজ পুলিশ অফিসার
  4. একজন ফিরিঙ্গি

উত্তর – 1. রামদাস

“তেওয়ারী ঘরে ছিল না,” – তেওয়ারি গিয়েছিল –

  1. রেঙ্গুনে
  2. ফয়ায়
  3. ভামোয়
  4. নিজের দেশে

উত্তর – 2. ফয়ায়

অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দিয়েছিল –

  1. স্টেশনমাস্টার
  2. রেলপুলিশ
  3. ফিরিঙ্গি ছোঁড়ারা
  4. টিকিট পরীক্ষক

উত্তর – 3. ফিরিঙ্গি ছোঁড়ারা

ফিরিঙ্গি ছোঁড়ারা লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দিয়েছিল –

  1. গিরীশকে
  2. তলওয়ারকরকে
  3. অপূর্বকে
  4. রামদাসকে

উত্তর – 3. অপূর্বকে

অপূর্বর অন্যমনস্কতা লক্ষ করেছিল –

  1. রামদাস তলওয়ারকর
  2. তেওয়ারি
  3. নিমাইবাবু
  4. জগদীশবাবু

উত্তর – 1. রামদাস তলওয়ারকর

অপূর্বর পিতার বন্ধু হলেন –

  1. জগদীশবাবু
  2. রামদাস
  3. নিমাইবাবু
  4. গিরীশ মহাপাত্র

উত্তর – 3. নিমাইবাবু

“একবার সে বিরক্ত হইয়া প্রতিবাদ করায়” – বিরক্তির কারণ –

  1. ট্রেনে বসার জায়গা না পাওয়া
  2. ট্রেনে জল না থাকা
  3. রাতে ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়া
  4. ট্রেনে ফিরিঙ্গি ছেলেদের অত্যাচার

উত্তর – 3. রাতে ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়া

“আমার অবর্তমানে সমস্ত ভারই তো তোমার।” – বক্তা হলেন –

  1. অপূর্বর অফিসের বড়োবাবু
  2. নিমাইবাবু
  3. জগদীশবাবু
  4. রামদাস

উত্তর – 1. অপূর্বর অফিসের বড়োবাবু

অপূর্বর মন টিকছিল না –

  1. বাংলাদেশে
  2. রেঙ্গুনে
  3. জাপানে
  4. চিনে

উত্তর – 2. রেঙ্গুনে

অপূর্বকে ভামো নগরে পাঠানো হয়েছিল, সেখানকার অফিসের –

  1. শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য
  2. কাজ দেখাশোনার জন্য
  3. বন্ধ কাজকর্ম চালু করার জন্য
  4. ম্যানেজার পদ গ্রহণের জন্য

উত্তর – 1. শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য

কোন সময় অপূর্ব ভামো নগরের উদ্দেশে যাত্রা করে? –

  1. বিকেলবেলায়
  2. গভীর রাতে
  3. সকালবেলায়
  4. দুপুরবেলায়

উত্তর – 1. বিকেলবেলায়

“আমি কালই বার হয়ে যেতে পারি।” – অপূর্ব যেতে পারে –

  1. ভামো নগরে
  2. এনাঞ্জাং-এ
  3. ম্যানডালে
  4. বর্মায়

উত্তর – 1. ভামো নগরে

ভামো নগরের উদ্দেশে যাত্রা করার সময়, অপূর্ব কাকে দেখল? –

  1. রামদাসের স্ত্রীকে
  2. গিরীশ মহাপাত্রকে
  3. অপূর্বর স্কুলজীবনের এক বন্ধুকে
  4. তলওয়ারকরকে

উত্তর – 2. গিরীশ মহাপাত্রকে

“আমি বাবু ধর্মভীরু মানুষ।” – ধর্মভীরু মানুষটি হলেন –

  1. তেওয়ারি
  2. জগদীশবাবু
  3. অপূর্ব
  4. গিরীশ মহাপাত্র

উত্তর – 4. গিরীশ মহাপাত্র

“আশ্চর্য্যি নেহি হ্যায় বাবুসাহেব” – বাবুসাহেবটি হলেন –

  1. অপূর্ব
  2. বড়োবাবু
  3. সব্যসাচী মল্লিক
  4. তলওয়ারকর

উত্তর – 4. তলওয়ারকর

“সে হাত বাড়াইয়া বন্ধুর করমর্দন করিল।” – বন্ধুটি হল –

  1. নিমাইবাবু
  2. জগদীশবাবু
  3. অপূর্ব
  4. গিরীশ মহাপাত্র

উত্তর – 3. অপূর্ব

গিরীশ মহাপাত্রের দুজন বন্ধুস্থানীয় লোক আসার কথা ছিল –

  1. ভামো থেকে
  2. ম্যানডালে থেকে
  3. এনাঞ্জাং থেকে
  4. বর্মা থেকে

উত্তর – 3. এনাঞ্জাং থেকে

“বামুনের ছেলে, বাংলা লেখাপড়া, শান্তর-টান্তর সবই কিছু কিছু শিখেছিলাম” – এ কথা বলেছিল –

  1. রামদাস
  2. নিমাই
  3. অপূর্ব
  4. গিরীশ

উত্তর – 4. গিরীশ

অপূর্ব কোন্ শ্রেণির যাত্রী ছিল? –

  1. তৃতীয় শ্রেণির
  2. দ্বিতীয় শ্রেণির
  3. প্রথম শ্রেণির
  4. কোনোটাই নয়

উত্তর – 3. প্রথম শ্রেণির

রাত্রে ট্রেনের মধ্যে বার-তিনেক অপূর্বর ঘুম ভাঙিয়েছিল –

  1. সহযাত্রীরা
  2. দু-তিনজন বিপ্লবী
  3. অপূর্বর বন্ধুরা
  4. পুলিশের লোক

উত্তর – 4. পুলিশের লোক

ট্রেনে অপূর্বর শয্যা প্রস্তুত করে দিয়েছিল –

  1. ব্রাহ্মণ আরদালি
  2. রামদাস
  3. বর্মা সাব-ইনস্পেকটর
  4. টিকিট পরীক্ষক

উত্তর – 1. ব্রাহ্মণ আরদালি

অপূর্ব ট্রেনে যে পাত্রে তার আহার সম্পন্ন করল –

  1. মাটির পাত্রে
  2. পিতলের পাত্রে
  3. লোহার পাত্রে
  4. টিনের পাত্রে

উত্তর – 2. পিতলের পাত্রে

অপূর্বকে ট্রেনের কামরায় পুলিশের লোক ঘুম ভাঙিয়েছিল –

  1. পাঁচ বার
  2. চার বার
  3. তিন বার
  4. দু-বার

উত্তর – 3. তিন বার

“তোমার চিন্তা নেই ঠাকুর।” – ‘ঠাকুর’ বলা হয়েছে –

  1. অপূর্বকে
  2. ঈশ্বরকে
  3. রামদাসকে
  4. তেওয়ারিকে

উত্তর – 4. তেওয়ারিকে

“কিন্তু এই হাসিতে তলওয়ারকর যোগ দিল না।” – কার হাসিতে তলওয়ারকর যোগ দিল না? –

  1. সব্যসাচীর
  2. অপূর্বর
  3. নিমাইবাবুর
  4. জগদীশবাবুর

উত্তর – 2. অপূর্বর

গিরীশ মহাপাত্রের সাথে অপূর্বর পুনরায় কোথায় দেখা হয়েছিল? –

  1. পুলিশ স্টেশনে
  2. রেল স্টেশনে
  3. বিমানবন্দরে
  4. জাহাজঘাটায়

উত্তর – 2. রেল স্টেশনে

দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও।

তেলের খনির কারখানার মিস্ত্রিরা কেন রেঙ্গুন চলে এসেছিল?

বর্মা অয়েল কোম্পানির তেলের খনির কারখানায় মিস্ত্রিরা কাজ করত। সেখানকার জল-হাওয়া তাদের সহ্য হচ্ছিল না। তাই তারা চাকরির সন্ধানে রেঙ্গুনে চলে এসেছিল।

কে পুলিশ স্টেশনে বসে থাকা বাঙালিদের তদন্ত করেছিলেন?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে, জগদীশবাবু পুলিশ স্টেশনে বসে থাকা বাঙালিদের টিনের তোরঙ্গ এবং ছোট-বড় পুঁটুলি খুলে তদন্ত করছিলেন।

কাকে, কী সন্দেহে আটকে রাখা হয়েছিল?

‘পথের দাবী’ রচনাংশে, পুলিশ স্টেশনের একটি ঘরে একজনকে রাজনৈতিক সন্দেহভাজন সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে আটক রাখা হয়েছিল। সে তার নাম বলেছিল গিরীশ মহাপাত্র।

পলিটিকাল সাসপেক্ট বলতে কী বোঝায়?

রাজনৈতিক দিক থেকে সন্দেহভাজন এবং রাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক ব্যক্তিকেই পলিটিকাল সাসপেক্ট বলা হয়। আলোচ্য ‘পথের দাবী’ রচনাংশে, বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক ইংরেজ সরকারের চোখে পলিটিকাল সাসপেক্ট ছিলেন।

সব্যসাচীর চোখের দৃষ্টি দেখে কী মনে হয়েছিল?

সব্যসাচীর গভীর জলাশয়ের মতো দৃষ্টির সামনে কোনো রকম খেলা বা চালাকি চলবে না। তার চোখের গভীরতায় এমন এক ক্ষীণ প্রাণশক্তি লুকানো ছিল যে, মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে ভয় পায়।

নিমাইবাবু কীসের প্রতি অপূর্বর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন?

‘পথের দাবী’ রচনাংশে নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষার বাহার ও পারিপাট্যের প্রতি অপূর্বর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।

গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষার বাহার ও পারিপাট্য দেখে নিমাইবাবু কী বলেছিলেন?

গিরীশ মহাপাত্রকে দেখে নিমাইবাবু বলেছিলেন, বেশভূষা দেখে মনে হচ্ছে, লোকটির স্বাস্থ্য গেলেও তার শখ ষোলো আনাই বজায় আছে।

পলিটিকাল সাসপেক্ট ব্যক্তিটি তার কী নাম বলেছিল?

‘পথের দাবী’ রচনাংশে নিমাইবাবু পলিটিকাল সাসপেক্ট ব্যক্তিটির নাম জিজ্ঞাসা করলে, সে তার নাম বলেছিল গিরীশ মহাপাত্র।

গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাঁক ও পকেট থেকে কী বার হয়েছিল?

গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাঁক থেকে একটি টাকা আর গণ্ডা-ছয়েক পয়সা এবং পকেট থেকে একটি লোহার কম্পাস, একটি কাঠের ফুটরুল, কয়েকটি বিড়ি, একটি দেশলাই ও গাঁজার একটি কলকে বার হয়েছিল।

গিরীশ মহাপাত্রকে গাঁজা খাওয়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, সে কী বলে?

গিরীশ মহাপাত্রকে গাঁজা খাওয়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, সে নিজে গাঁজা খায় না। কারও কাজে লাগতে পারে এই ভেবে সে কুড়িয়ে পাওয়া কলকে নিজের কাছে রেখেছে।

“নিমাইবাবু হাসিয়া কহিলেন” – নিমাইবাবু হেসে কী বললেন?

গিরীশ মহাপাত্র কতটা সদাশয় ব্যক্তি যে অন্যের কাজে লাগবে এই ভাবনায় গাঁজার কলকে কুড়িয়ে পকেটে রেখেছেন — নিমাইবাবু হেসে এ কথাই বলতে চেয়েছিলেন।

অপূর্ব পুলিশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে কী দেখল?

পুলিশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে অপূর্ব দেখল, গিরীশ মহাপাত্র একটি ভাঙা টিনের তোরঙ্গ আর বিছানার বান্ডিল নিয়ে রাস্তা ধরে চলে যাচ্ছে।

“তুমি গাঁজা খাও?” – কে, কাকে, কেন এই প্রশ্ন করেছিলেন?

গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে একটি গাঁজার কলকে পাওয়া গিয়েছিল, তাই নিমাইবাবু তাকে এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করেছিলেন।

“বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো।” – বুড়ো মানুষটি কী বলেছিলেন?

‘বুড়ো মানুষ’ অর্থাৎ নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রকে বলেছিলেন যে, যদিও সে অস্বীকার করছে, তার মধ্যে গাঁজা খাওয়ার চিহ্ন স্পষ্ট। তবে তার জীর্ণ শরীরের কথা ভেবে গাঁজা খাওয়া উচিত নয়।

“সে যে বর্মায় এসেছে এ খবর সত্য।” – কার বর্মায় আসার কথা বলা হয়েছে?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে ভারতের মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিকের বর্মায় আসার কথা বলা হয়েছে।

“বড়োবাবু হাসিতে লাগিলেন।” – বড়োবাবুর হাসির কারণ কী?

গিরীশ মহাপাত্র মাথায় লেবুর তেল মেখেছিল, যার গন্ধে থানার সমস্ত লোকের মাথা ধরার উপক্রম হয়। জগদীশবাবু বড়োবাবুকে এ-কথা বললে, বড়োবাবু হেসে ওঠেন।

“এই জানোয়ারটাকে ওয়াচ করার দরকার নেই, বড়োবাবু।” – বক্তার এমন উক্তির কারণ কী?

বক্তা জগদীশবাবু আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন কারণ গিরীশ মহাপাত্রের মাথার চুলে লাগানো লেবুর তেলের গন্ধে থানাসুদ্ধ লোকের মাথা ধরার উপক্রম হয়েছিল। তাঁর ধারণায় এমন লোক সব্যসাচী মল্লিক হতে পারেন না।

“তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন?” – কোন্ ‘বস্তুটি’ পকেটে ছিল?

গিরীশ মহাপাত্রের পকেটে যে ‘বস্তুটি’ ছিল তা হল গাঁজার কলকে।

নিজের বাসায় ফিরে অপূর্বর মধ্যে কী ভাবান্তর দেখা গিয়েছিল?

নিজের বাসায় ফেরার পর অপূর্বর প্রতিদিনের নিয়ম মেনে যে কাজকর্ম তা বাধা পেল না ঠিকই, তবে সে অদেখা, অদৃষ্ট, অপরিচিত রাজবিদ্রোহীর চিন্তায় মগ্ন রইল।

“আজ বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছেন নাকি?” – তলওয়ারকর এ প্রশ্ন করেছিলেন কেন?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্বকে অন্যমনস্ক থাকতে দেখেই তলওয়ারকর এ প্রশ্ন করেছিল।

তলওয়ারকর অপূর্বকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল?

অপূর্বকে বাড়ি ফিরে অত্যন্ত অন্যমনস্ক দেখে তলওয়ারকর জিজ্ঞাসা করেছিল সে তার বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছে কি না এবং তার বাড়ির সবাই ভালো আছে কি না।

রামদাস ও অপূর্ব কেন একসাথে জলযোগ করত?

অপূর্বর সঙ্গে তার মা বা কোনো আত্মীয়া না থাকায়, রামদাসের স্ত্রীর অনুরোধে অপূর্ব রামদাসদের সঙ্গেই জলযোগ করত।

“অপূর্ব রাজি হইয়াছিল” – অপূর্ব কোন্ বিষয়ে রাজি হয়েছিল?

যতদিন অপূর্বর মা বা কোনো আত্মীয় রেঙ্গুনে এসে উপযুক্ত ব্যবস্থা না করেন, ততদিন রামদাসের স্ত্রীর হাতে তৈরি সামান্য খাবার গ্রহণ করতে হবে — এই অনুরোধে অপূর্ব রাজি হয়েছিল।

“অফিসের একজন ব্রাহ্মণ পিয়াদা এই সকল বহিয়া আনিত।” – কী বয়ে আনার কথা বলা হয়েছে?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে রামদাসের স্ত্রীর হাতে তৈরি খাবার অফিসের একজন ব্রাহ্মণ পেয়াদা অপূর্বর জন্য নিয়ে আসত।

অপূর্ব কোন্ সময় তার বাড়িতে হওয়া চুরির ঘটনাটা রামদাসকে বলল?

অফিসের ব্রাহ্মণ পেয়াদা অপূর্বর জন্য নিস্তব্ধ ঘরে খাবার সাজিয়ে রাখার পর, খেতে বসে অপূর্ব তার বাড়িতে চুরির ঘটনা রামদাসকে জানায়।

অপূর্বর ঘরে চুরি হওয়ার পর ক্রিশ্চান মেয়েটি কী করেছিল?

অপূর্বর ঘরে চুরির পর ক্রিশ্চান মেয়েটি অবশিষ্ট জিনিসপত্র গুছিয়ে দেয় এবং কী কী চুরি হয়েছে আর কী হয়নি তার একটি ফর্দ বানিয়েছিল।

চুরির ব্যাপারে অপূর্ব ও ক্রিশ্চান মেয়েটি কী অনুমান করেছিল?

অপূর্বর ঘরে চুরি যাওয়ার ব্যাপারে অপূর্ব এবং ক্রিশ্চান মেয়েটি অনুমান করেছিল যে, তেওয়ারি এ কাজটি করেছে অথবা না করলেও এ ব্যাপারে সে সাহায্য করেছে।

তেওয়ারি কোথায় গিয়েছিল এবং সে-সময় কী ঘটনা ঘটেছিল?

তেওয়ারি বর্মা নাচ দেখতে ফয়ারে গিয়েছিল, আর সেই সময় অপূর্বর ঘরে চুরি হয়েছিল।

পুলিশে চুরির ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে গিয়ে অপূর্ব কী দেখল?

অপূর্ব চুরির ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে দেখল সেখানকার পুলিশরা পলিটিকাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক ভেবে অন্য একজনকে ধরেছেন। যার অদ্ভুত সাজপোশাক নিয়েই পুলিশ স্টেশনে তামাশা চলছে।

অপূর্ব কোন্ ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল?

কোনোরকম দোষ না থাকা সত্ত্বেও কিছু ফিরিঙ্গি ছেলে অপূর্ববে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দিয়েছিল। সে এই অন্যায় ঘটনারই প্রতিবাদ করেছিল।

অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় অপূর্বকে কারা কীভাবে হেনস্থা করেছিল?

অপূর্ব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে এক সাহেব স্টেশনমাস্টার অপুন ভারতীয় বলে তার সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করে তাকে স্টেশন থেকে কুকুরের মতো দূর করে দেয়।

কোন্ ঘটনা পরাধীন ভারতবর্ষে প্রায় নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছিল?

পরাধীন ভারতবর্ষে বিদেশি সাহেবদের হাতে দেশীয় মানুষদের অপমানিত ও অত্যাচারিত হওয়া প্রায় নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছিল।

কী কারণে রামদাসের মুখ রাগে আরক্ত হয়ে উঠল?

অপূর্বর মুখে ফিরিঙ্গিদের তাকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দেওয়া এবং সাহেব স্টেশনমাস্টারের কাছে অপমানিত ও লাঞ্ছ্যি হওয়ার ঘটনা শুনে রামদাসের মুখ রাগে আরক্ত হয়ে উঠল।

কী শুনে রামদাসের চোখ ছলছল করে উঠল?

সাহেবদের কাছে অপূর্বর লাঞ্ছিত হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুস্থানের লোকেরা কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি, বরং লাথির চোটে অপূর্বর হাড়-পাঁজরা ভাঙেনি শুনে খুশি হয়েছিল। এ কথায় রামদাসের চোখ ছলছল করে উঠল।

নিমাইবাবুর সঙ্গে অপূর্বর কী ধরনের সম্পর্ক ছিল?

নিমাইবাবু ছিলেন অপূর্বর বাবার বন্ধু এবং এই সূত্রে তিনি ছিলেন অপূর্বর আত্মীয়। অপূর্বর বাবাই তাঁকে চাকরিটা করে দিয়েছিলেন।

“কৈ এ ঘটনা তো আমাকে বলেননি?” – এখানে কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?

‘পথের দাবী’ রচনাংশের আলোচ্য অংশে যে ঘটনার কথ বলা হয়েছে, তা হল-একটি স্টেশনে অপূর্বকে বিনাদোষে কিছু ফিরিঙ্গি ছেলে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিয়েছিল। অপূর্ব তার প্রতিবাদ করলেও লোনো লাভ হয়নি।

“তারপর সকালে গেলাম পুলিশকে খবর দিতে।” – কে, কেন পুলিশকে খবর দিতে গিয়েছিল?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্বর ঘরে চুরি হয়েছিল। তাই অপূর্ব পুলিশকে খবর দিতে গিয়েছিল।

“অনুমান কতকটা তাই।” – বক্তার কী অনুমান?

‘পথের দাবী’ রচনাংশের আলোচ্য অংশে অপূর্ব অনুমান করেছিল তেওয়ারিই তার ঘরে চুরি করেছে। অথবা সে কাউকে চুরি করতে সাহায্য করেছে।

“এসব কথা বলায় দুঃখ আছে।” – কোন্ কথা বলায় দুঃখ আছে বলে বক্তার ধারণা?

অপূর্ব রেঙ্গুনে এসে ভারতীয় বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বক্তা রামদাস মনে করেছিল অপূর্ব সব্যসাচীর কথা বললে ইংরেজদের রোষে পড়তে পারে।

“মনে হলে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই” – কোন কথা মনে করে অপূর্বর এই মনোবেদনা?

প্ল্যাটফর্ম থেকে বিনা দোষে ফিরিঙ্গি যুবকরা অপূর্বকে লাথি মেরে বার করে দেয় আর সেখানে উপস্থিত দেশি লোকেরাও এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না। এই কথা মনে করেই অপূর্বর এই মনোবেদনা।

বড়োসাহেব কী বলার জন্য টেলিগ্রাম নিয়ে অপূর্বর কাছে এসেছিল?

বড়োসাহেব অপূর্বর কাছে এসে বলেছিলেন ভামোর অফিসে বিশৃঙ্খল অবস্থা। ম্যানডালে, শোএবো, মিকথিলা এবং প্রোম সব অফিসেই গোলযোগ হচ্ছে। তাই অপূর্ব যেন সব অফিসগুলো একবার নিজে গিয়ে দেখে আসে।

ভামো যাত্রায় ট্রেনে অপূর্বের কে কে সঙ্গী হয়েছিল?
অথবা, ভামো নগরের উদ্দেশে যাত্রায় অপূর্বের সঙ্গে কে কে ছিল?

ভামো নগরের উদ্দেশে যাত্রায় অপূর্বর সঙ্গে ছিল আরদালি এবং অফিসের একজন হিন্দুস্থানি ব্রাহ্মণ পেয়াদা।

অপূর্ব ভামো নগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার সময় কাকে দেখে কী জিজ্ঞাসা করল?

ভামো নগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার সময় অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে দেখে জিজ্ঞাসা করল যে, সে তাকে চিনতে পারছে কি না এবং সে কোথায় যাচ্ছে।

গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে অপূর্বর দ্বিতীয় বার কোথায় দেখা হয়েছিল?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ গল্পাংশে গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে অপূর্বর দ্বিতীয় বার দেখা হয়েছিল রেলস্টেশনে।

পুলিশ স্টেশনে দেখা গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে দ্বিতীয় বার যখন অপূর্বর দেখা হল, তখন গিরীশের পোশাকের কী পার্থক্য ঘটেছিল?

অপূর্ব যখন দ্বিতীয় বার গিরীশ মহাপাত্রকে দেখল তখন তার বাহারি জামা থেকে শুরু করে পাম্পশু সবই একরকম ছিল। শুধু বাঘ-আঁকা রুমালটা বুকপকেটের বদলে গলায় জড়ানো ছিল।

দ্বিতীয় বার সাক্ষাতে অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে কী বলেছিল?

দ্বিতীয় বার সাক্ষাতে অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে বলেছিল যে, সে পুলিশের লোক নয়। সেদিন শুধু তামাশা দেখবার জন্য সে পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিল।

ট্রেনের মধ্যে কী কারণে অপূর্বর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেছিল?

রাতে অপূর্ব শোয়ার পরে প্রায় বার-তিনেক পুলিশের লোকেরা তার নাম, ঠিকানা লিখে নেওয়ার জন্য তাকে জাগিয়ে বিরক্ত করায় অপূর্বর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেছিল।

ভামো যাত্রাপথে ট্রেনে অপূর্ব বিরক্ত হয়েছিল কেন?

‘পথের দাবী’ গল্পাংশে ভামো যাত্রাপথে একাধিকবার পুলিশের লোক অপূর্বর ঘুম ভাঙিয়ে নাম ঠিকানা লিখে নিতে আসায় অপূর্ব বিরক্ত হয়েছিল।

কী ব্যাপারে অপূর্ব বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ করেছিল এবং তাকে কী বলা হয়েছিল?

ট্রেনে বারবার ঘুম ভাঙিয়ে নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করায় অপূর্ব যখন বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ করেছিল তখন তাকে কটুকণ্ঠে বলা হয়েছিল যে, যেহেতু সে ইউরোপিয়ান নয়, তাই এগুলো তাকে সহ্য করতেই হবে।

“আমারও তো তাই বিশ্বাস।” – বক্তার কী বিশ্বাস?

‘পথের দাবী’ রচনাংশে গিরীশ মহাপাত্র অপূর্বকে বলেছিল ললাটের লেখা কখনও খণ্ডন করা যায় না। বক্তা অপূর্বও এই কথা বিশ্বাস করে বলে জানায়।

“ইহা যে কতবড়ো ভ্রম তাহা কয়েকটা স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল।” – ‘ভ্রম’-টি কী?

অপূর্ব ভেবেছিল যে, প্রথম শ্রেণির যাত্রী বলে কেউ তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে না। কয়েকটি স্টেশন পরেই তার এই ভাবনা ভুল প্রমাণিত হয়।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের চতুর্থ বিভাগ, ‘পথের দাবী’ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে, কারণ এগুলো পরীক্ষায় বারবার আসতে দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। যদি আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকে, তবে নির্দ্বিধায় টেলিগ্রামে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়াও, এই পোস্টটি আপনার পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করুন, যাদের এটির প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ-কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ-মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

দেশীর রাজ্য দফতর কেন গঠিত হয়েছিল? দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির দলিল বলতে কী বোঝায়?

দেশীর রাজ্য দফতর কেন গঠিত হয়েছিল?

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

দেশীর রাজ্য দফতর কেন গঠিত হয়েছিল?

ভারতের জনজীবনে নদনদীর প্রভাব আলোচনা করো।

উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদনদীর পার্থক্য লেখো।