পথের দাবী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা একটি বিখ্যাত গল্প। গল্পটিতে, আমরা দেখি যে কীভাবে একটি অসহায় যুবক, সব্যসাচী মল্লিক, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয় এবং কীভাবে সে তার জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংগ্রাম করে।
তেলের খনির কারখানার মিস্ত্রিরা কেন রেঙ্গুন চলে এসেছিল?
বর্মা অয়েল কোম্পানিতে, তেলের খনির কারখানায় মিস্ত্রিরা কাজ করত। সেখানকার জলহাওয়া তাদের সহ্য হচ্ছিল না। তাই চাকরির উদ্দেশ্যে তারা রেঙ্গুনে চলে এসেছিল।
কে পুলিশ স্টেশনে বসে থাকা বাঙালিদের তদন্ত করেছিলেন?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে জগদীশবাবু পুলিশ স্টেশনে বসে থাকা বাঙালিদের টিনের তোরঙ্গ ও ছোটো-বড়ো পুঁটুলি খুলে তদন্ত করছিলেন।
কাকে, কী সন্দেহে আটকে রাখা হয়েছিল?
পথের দাবী রচনাংশে পুলিশ স্টেশনের একটি ঘরে একজনকে পলিটিকাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে আটকে রাখা হয়েছিল। সে তার নাম বলেছিল গিরীশ মহাপাত্র।
পলিটিকাল সাসপেক্ট বলতে কী বোঝায়?
রাজনৈতিক দিক থেকে সন্দেহভাজন এবং ব্যবস্থার পক্ষে বিপজ্জনক ব্যক্তিকেই পলিটিকাল সাসপেক্ট বলা হয়। আলোচ্য ‘পথের দাবী’ রচনাংশে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক ইংরেজ সরকারের চোখে ছিল পলিটিকাল সাসপেক্ট।
সব্যসাচীর চোখের দৃষ্টি দেখে কী মনে হয়েছিল?
সব্যসাচীর গভীর জলাশয়ের মতো দৃষ্টির সামনে কোনোরকম খেলা বা চালাকি চলবে না। এই দৃষ্টির গভীরে যে ক্ষীণ প্রাণশক্তি লুকোনো আছে, মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে ভয় পায়।
নিমাইবাবু কীসের প্রতি অপূর্বর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন?
পথের দাবী রচনাংশে নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষার বাহার ও পারিপাট্যের প্রতি অপূর্বর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষার বাহার ও পারিপাট্য দেখে নিমাইবাবু কী বলেছিলেন?
গিরীশ মহাপাত্রকে দেখে নিমাইবাবু বলেছিলেন, বেশভূষা দেখে মনে হচ্ছে লোকটির স্বাস্থ্য গেলেও, তার শখ ষোলো আনাই বজায় আছে।
পলিটিকাল সাসপেক্ট ব্যক্তিটি তার কী নাম বলেছিল?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে নিমাইবাবু পলিটিকাল সাসপেক্ট ব্যক্তিটির নাম জিজ্ঞাসা করায়, সে তার নাম বলেছিল গিরীশ মহাপাত্র।
গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাঁক ও পকেট থেকে কী বার হয়েছিল?
গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাঁক থেকে একটি টাকা আর গন্ডা-ছয়েক পয়সা এবং পকেট থেকে একটা লোহার কম্পাস, একটা কাঠের ফুটরুল, কয়েকটা বিড়ি, একটা দেশলাই ও গাঁজার একটা কলকে বার হয়েছিল।
গিরীশ মহাপাত্রকে গাঁজা খাওয়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, সে কী বলে?
গিরীশ মহাপাত্রকে গাঁজা খাওয়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, সে নিজে খায় না। কারোর কাজে লাগতে পারে এই ভেবে সে কুড়িয়ে পাওয়া কলকেটা নিজের কাছে রেখেছে।
নিমাইবাবু হাসিয়া কহিলেন – নিমাইবাবু হেসে কী বললেন?
গিরীশ মহাপাত্র কতটা সদাশয় ব্যক্তি যে অন্যের কাজে লাগবে বলে গাঁজার কলকেটা কুড়িয়ে পকেটে রেখেছেন-নিমাইবাবু হেসে এ কথাই বলতে চেয়েছিলেন।
অপূর্ব পুলিশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে কী দেখল?
পুলিশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে অপূর্ব দেখল গিরীশ মহাপাত্র একটা ভাঙা টিনের তোরঙ্গ আর বিছানার বান্ডিল সঙ্গে নিয়ে রাস্তা ধরে চলে যাচ্ছে।
তুমি গাঁজা খাও? – কে, কাকে, কেন এই প্রশ্ন করেছিলেন?
গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে একটি গাঁজার কলকে পাওয়া গিয়েছিল। তাই নিমাইবাবু তাকে উক্ত প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো। – বুড়ো মানুষটি কী বলেছিলেন?
বুড়ো মানুষ অর্থাৎ নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রকে বলেছিলেন যে অস্বীকার করলেও তার মধ্যে গাঁজা খাওয়ার চিহ্ন স্পষ্ট। কিন্তু নিজের জীর্ণ শরীরের কথা ভেবে তার গাঁজা খাওয়া উচিত নয়।
সে যে বর্মায় এসেছে এ খবর সত্য। – কার বর্মায় আসার কথা বলা হয়েছে?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে ভারতের মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিকের বর্মায় আসার কথা বলা হয়েছে।
বড়োবাবু হাসিতে লাগিলেন। – বড়োবাবুর হাসির কারণ কী?
গিরীশ মহাপাত্র মাথায় লেবুর তেল মেখেছিল। তারই গন্ধে থানার সমস্ত লোকের মাথা ধরার উপক্রম হয়। জগদীশবাবু বড়োবাবুকে সে-কথা বললে বড়োবাবু হেসে ওঠেন।
এই জানোয়ারটাকে ওয়াচ করার দরকার নেই, বড়োবাবু। – বক্তার এমন উক্তির কারণ কী?
বক্তা জগদীশবাবু আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন কারণ গিরীশ মহাপাত্রের মাথার চুলে লাগানো লেবুর তেলের গন্ধে থানাসুদ্ধ লোকের মাথা ধরার উপক্রম হয়েছিল। তাঁর ধারণায় এমন লোক সব্যসাচী মল্লিক হতে পারেন না।
তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন? – কোন্ ‘বস্তুটি’ পকেটে ছিল?
গিরীশ মহাপাত্রের পকেটে যে ‘বস্তুটি’ থাকার কথা বলা হয়েছে তা হল গাঁজার কলকে।
নিজের বাসায় ফিরে অপূর্বর মধ্যে কী ভাবান্তর দেখা গিয়েছিল?
নিজের বাসায় ফেরার পর অপূর্বর প্রতিদিনের নিয়ম মেনে যে কাজকর্ম তা বাধা পেল না ঠিকই, কিন্তু সে অদেখা, অদৃষ্ট, অপরিচিত রাজবিদ্রোহীর চিন্তায় মগ্ন রইল।
আজ বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছেন নাকি? – তলওয়ারকর এ প্রশ্ন করেছিলেন কেন?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্বকে অন্যমনস্ক থাকতে দেখেই তলওয়ারকর আলোচ্য প্রশ্ন করেছিল।
তলওয়ারকর অপূর্বকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল?
অপূর্বকে বাড়ি ফিরে অত্যন্ত অন্যমনস্ক দেখে তলওয়ারকর জিজ্ঞাসা করেছিল সে তার বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছে কি না এবং তার বাড়ির সবাই ভালো আছে কি না।
রামদাস ও অপূর্ব কেন একসাথে জলযোগ করত?
অপূর্বর সঙ্গে তার মা বা কোনো আত্মীয়া না থাকায় রামদাসের স্ত্রীর অনুরোধ মেনে অপূর্ব রামদাসদের সঙ্গেই জলযোগ করত।
অপূর্ব রাজি হইয়াছিল – অপূর্ব কোন্ বিষয়ে রাজি হয়েছিল?
যতদিন অপূর্বর মা বা কোনো আত্মীয় রেঙ্গুনে এসে উপযুক্ত ব্যবস্থা না করছে ততদিন তার হাতের তৈরি সামান্য খাবার গ্রহণ করতে হবে- রামদাসের স্ত্রীর এই অনুরোধে অপূর্ব রাজি হয়েছিল।
অফিসের একজন ব্রাহ্মণ পিয়াদা এই সকল বহিয়া আনিত। – কী বয়ে আনার কথা বলা হয়েছে?
পথের দাবী রচনাংশে রামদাসের স্ত্রীর নিজের হাতে তৈরি করে দেওয়া খাবার অফিসের ব্রাহ্মণ পেয়াদা নিয়ে আসত।
অপূর্ব কোন্ সময় তার বাড়িতে হওয়া চুরির ঘটনাটা রামদাসকে বলল?
অফিসের এক ব্রাহ্মণ পেয়াদা অপূর্বর জন্য একটি নিস্তব্ধ ঘরে খাবার জিনিস সাজিয়ে রাখলে, খেতে বসে অপূর্ব তার বাড়িতে চুরি হওয়া ঘটনাটি রামদাসকে বলল।
অপূর্বর ঘরে চুরি হওয়ার পর ক্রিশ্চান মেয়েটি কী করেছিল?
অপূর্বর ঘরে চুরি হওয়ার পর ক্রিশ্চান মেয়েটি অবশিষ্ট জিনিসপত্র গুছিয়ে দিয়েছিল এবং কী চুরি গেছে আর কী যায়নি তার ফর্দ বানিয়েছিল।
চুরির ব্যাপারে অপূর্ব ও ক্রিশ্চান মেয়েটি কী অনুমান করেছিল?
অপূর্বর ঘরে চুরি যাওয়ার ব্যাপারে অপূর্ব এবং ক্রিশ্চান মেয়েটি অনুমান করেছিল যে, তেওয়ারি এ কাজটি করেছে অথবা না করলেও এ ব্যাপারে সে সাহায্য করেছে।
তেওয়ারি কোথায় গিয়েছিল এবং সে-সময় কী ঘটনা ঘটেছিল?
তেওয়ারি বর্মা নাচ দেখতে ফয়ারে গিয়েছিল আর সেই সময় অপূর্বর ঘরে চুরি হয়েছিল।
পুলিশে চুরির ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে গিয়ে অপূর্ব কী দেখল?
অপূর্ব চুরির ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে দেখল সেখানকার পুলিশরা পলিটিকাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক ভেবে অন্য একজনকে ধরেছেন। যার অদ্ভুত সাজপোশাক নিয়েই পুলিশ স্টেশনে তামাশা চলছে।
অপূর্ব কোন্ ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল?
কোনোরকম দোষ না থাকা সত্ত্বেও কিছু ফিরিঙ্গি ছেলে অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দিয়েছিল। সে এই অন্যায় ঘটনারই প্রতিবাদ করেছিল।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় অপূর্বকে কারা কীভাবে হেনস্থা করেছিল?
অপূর্ব অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে এক সাহেব স্টেশনমাস্টার অপূর্ব ভারতীয় বলে তার সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করে তাকে স্টেশন থেকে কুকুরের মতো দূর করে দেয়।
কোন্ ঘটনা পরাধীন ভারতবর্ষে প্রায় নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছিল?
পরাধীন ভারতবর্ষে দেশের লোকেদের বিদেশি সাহেবদের হাতে অপমানিত ও অত্যাচারিত হওয়ার বিষয়টি নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছিল।
কী কারণে রামদাসের মুখ রাগে আরক্ত হয়ে উঠল?
অপূর্বর মুখে ফিরিঙ্গিদের তাকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দেওয়া এবং সাহেব স্টেশনমাস্টারের কাছে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা শুনে রামদাসের মুখ রাগে আরক্ত হয়ে উঠল।
কী শুনে রামদাসের চোখ ছলছল করে উঠল?
সাহেবদের কাছে অপূর্বর লাঞ্ছিত হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুস্থানের লোকেরা কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি, বরং লাথির চোটে অপূর্বর হাড়-পাঁজরা ভাঙেনি শুনে খুশি হয়েছিল। এ কথায় রামদাসের চোখ ছলছল করে উঠল।
নিমাইবাবুর সঙ্গে অপূর্বর কী ধরনের সম্পর্ক ছিল?
নিমাইবাবু ছিলেন অপূর্বর বাবার বন্ধু এবং এই সূত্রে তিনি ছিলেন অপূর্বর আত্মীয়। অপূর্বর বাবাই তাঁকে চাকরিটা করে দিয়েছিলেন।
কৈ এ ঘটনা তো আমাকে বলেননি? – এখানে কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
পথের দাবী রচনাংশের আলোচ্য অংশে যে ঘটনার কথ বলা হয়েছে, তা হল-একটি স্টেশনে অপূর্বকে বিনাদোষে কিছু ফিরিঙ্গি ছেলে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিয়েছিল। অপূর্ব তার প্রতিবাদ করলেও কোনো লাভ হয়নি।
তারপর সকালে গেলাম পুলিশকে খবর দিতে। – কে, কেন পুলিশকে খবর দিতে গিয়েছিল?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্বর ঘরে চুরি হয়েছিল। তাই সে পুলিশকে খবর দিতে গিয়েছিল।
অনুমান কতকটা তাই। – বক্তার কী অনুমান?
পথের দাবী রচনাংশের আলোচ্য অংশে অপূর্ব অনুমান করেছিল তেওয়ারিই তার ঘরে চুরি করেছে। অথবা সে কাউকে চুরি করতে সাহায্য করেছে।
এসব কথা বলায় দুঃখ আছে। – কোন্ কথা বলায় দুঃখ আছে বলে বক্তার ধারণা?
অপূর্ব রেঙ্গুনে এসে ভারতীয় বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বক্তা রামদাস মনে করেছিল অপূর্ব সব্যসাচীর কথা বললে ইংরেজদের রোষে পড়তে পারে।
মনে হলে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই – কোন কথা মনে করে অপূর্বর এই মনোবেদনা?
প্ল্যাটফর্ম থেকে বিনা দোষে ফিরিঙ্গি যুবকরা অপূর্বকে লাথি মেরে বার করে দেয় আর সেখানে উপস্থিত দেশি লোকেরাও এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না। এই কথা মনে করেই অপূর্বর এই মনোবেদনা।
বড়োসাহেব কী বলার জন্য টেলিগ্রাম নিয়ে অপূর্বর কাছে এসেছিল?
বড়োসাহেব অপূর্বকে বলেছিলেন ভামোর অফিসে বিশৃঙ্খল অবস্থা। ম্যানডালে, শোএবো, মিকথিলা এবং প্রোম সব অফিসেই গোলযোগ হচ্ছে। তাই অপূর্ব যেন সব অফিসগুলো একবার নিজে গিয়ে দেখে আসে।
ভামো যাত্রায় ট্রেনে অপূর্বের কে কে সঙ্গী হয়েছিল?
অথবা, ভামো নগরের উদ্দেশে যাত্রায় অপূর্বের সঙ্গে কে কে ছিল?
ভামো নগরের উদ্দেশে যাত্রায় অপূর্বর সঙ্গে ছিল আরদালি এবং অফিসের একজন হিন্দুস্থানি ব্রাহ্মণ পেয়াদা।
অপূর্ব ভামো নগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার সময় কাকে দেখে কী জিজ্ঞাসা করল?
ভামো নগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার সময় অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে দেখে জিজ্ঞাসা করল যে, সে তাকে চিনতে পারছে কি না এবং সে কোথায় যাচ্ছে।
গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে অপূর্বর দ্বিতীয় বার কোথায় দেখা হয়েছিল?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ গল্পাংশে গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে অপূর্বর দ্বিতীয় বার দেখা হয়েছিল রেলস্টেশনে।
পুলিশ স্টেশনে দেখা গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে দ্বিতীয় বার যখন অপূর্বর দেখা হল, তখন গিরীশের পোশাকের কী পার্থক্য ঘটেছিল?
অপূর্ব যখন দ্বিতীয় বার গিরীশ মহাপাত্রকে দেখল তখন তার বাহারি জামা থেকে শুরু করে পাম্পশু সবই একরকম ছিল। শুধু বাঘ-আঁকা রুমালটা বুকপকেটের বদলে গলায় জড়ানো ছিল।
দ্বিতীয় বার সাক্ষাতে অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে কী বলেছিল?
দ্বিতীয় বার সাক্ষাতে অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে বলেছিল যে, সে পুলিশের লোক নয়। সেদিন শুধু তামাশা দেখবার জন্য সে পুলিশ স্টেশনে গিয়েছিল।
ট্রেনের মধ্যে কী কারণে অপূর্বর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেছিল?
রাতে অপূর্ব শোয়ার পরে প্রায় বার-তিনেক পুলিশের লোকেরা তার নাম, ঠিকানা লিখে নেওয়ার জন্য তাকে জাগিয়ে বিরক্ত করায় অপূর্বর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেছিল।
ভামো যাত্রাপথে ট্রেনে অপূর্ব বিরক্ত হয়েছিল কেন?
পথের দাবী গল্পাংশে ভামো যাত্রাপথে একাধিকবার পুলিশের লোক অপূর্বর ঘুম ভাঙিয়ে নাম ঠিকানা লিখে নিতে আসায় অপূর্ব বিরক্ত হয়েছিল।
কী ব্যাপারে অপূর্ব বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ করেছিল এবং তাকে কী বলা হয়েছিল?
ট্রেনে বারবার ঘুম ভাঙিয়ে নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করায় অপূর্ব যখন বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ করেছিল তখন তাকে কটুকণ্ঠে বলা হয়েছিল যে, যেহেতু সে ইউরোপিয়ান নয়, তাই এগুলো তাকে সহ্য করতেই হবে।
আমারও তো তাই বিশ্বাস। – বক্তার কী বিশ্বাস?
পথের দাবী রচনাংশে গিরীশ মহাপাত্র অপূর্বকে বলেছিল ললাটের লেখা কখনও খণ্ডন করা যায় না। বক্তা অপূর্বও এই কথা বিশ্বাস করে বলে জানায়।
ইহা যে কতবড়ো ভ্রম তাহা কয়েকটা স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল। – ‘ভ্রম’-টি কী?
অপূর্ব ভেবেছিল যে, প্রথম শ্রেণির যাত্রী বলে কেউ তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে না। কয়েকটি স্টেশন পরেই তার এই ভাবনা ভুল প্রমাণিত হয়।
পথের দাবী গল্পটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বার্তা বহন করে। গল্পটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা একটি ভয়াবহ অপরাধ। এটি একজন মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে।