দশম শ্রেণি – বাংলা – পথের দাবী – সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের চতুর্থ অংশ ‘পথের দাবী’ নিয়ে কিছু সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি পরীক্ষায় প্রায়শই দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

Table of Contents

পথের দাবী – সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
পথের দাবী – সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

পথের দাবী রচনাংশ অবলম্বনে অপূর্বর চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

  • কথামুখ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ উপন্যাসে অপূর্বর অনুভূতিই হয়ে উঠেছে কাহিনির মূল বিষয়। তার চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ করা যায়, তা হলো:
  • দেশপ্রেম – অপূর্ব বাংলার ছেলে এবং সে স্বদেশী ভাবধারায় বিশ্বাসী। নিমাইবাবুর মুখে সব্যসাচীর বর্ণনা শুনে অপূর্বর মনে এই মহান দেশপ্রেমিক সম্পর্কে শ্রদ্ধা ও ভক্তি জেগে ওঠে। তবে সে রাগান্বিত হয় নিমাইবাবুর ওপর, কারণ বাঙালি হয়েও তিনি নিজের দেশের এত বড় একজন মুক্তিযোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করতে উদ্যোগী। সব্যসাচী সন্দেহে আটক গিরীশ মহাপাত্রই যে আসলে সব্যসাচী, তা অনুমান করতে অপূর্বর বেশি সময় লাগেনি। তাই সে নিমাইবাবুকে বলেছে, “এ লোকটিকে কোনো কথা জিজ্ঞেস না করেই ছেড়ে দিন, যাকে খুঁজছেন সে যে এ নয়, তার আমি জামিন হতে পারি।” পুলিশের কাছে এরকম বক্তব্য অপূর্বর চরিত্রের দৃঢ়তা এবং দেশপ্রেমকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
  • সাহসী ও প্রতিবাদী স্বভাব – শান্তশিষ্ট হলেও অপূর্ব প্রতিবাদী। সে রামদাসের কাছে পুলিশের সমালোচনা করেছে, যা তাকে রাজদ্রোহিতার অপরাধে শাস্তির মুখে ফেলতে পারে। তবুও বর্মা সাব-ইনস্পেক্টরের অনুচিত আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি।
  • ইতিকথা – সবদিক দিয়ে বিচার করে বলা যায়, ‘Doing and Suffering’ – এর ভিত্তিতে অপূর্ব এই কাহিনির মুখ্য চরিত্র হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছে।

পথের দাবী রচনাংশ অবলম্বনে নিমাইবাবুর চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

  • কথামুখ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের দাবী’ উপন্যাসে সব্যসাচীকে কেন্দ্র করে কাহিনি বিস্তার লাভ করলেও, নিমাইবাবুর চরিত্র সেখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • পেশাগত দায়বদ্ধতা – নিমাইবাবু পেশায় পুলিশ অফিসার। তিনি একজন বাঙালি এবং একইসঙ্গে ভারতীয়, কিন্তু পেশাগত দায়িত্বের খাতিরে ভারতের মুক্তিসংগ্রামের নায়ক সব্যসাচী মল্লিককে ধরার জন্য তিনি সুদূর রেঙ্গুনে এসে পৌঁছেছেন। কোনো ব্যক্তিগত মোহ বা আবেগই তাঁকে তাঁর কর্তব্য থেকে বিরত করতে পারেনি।
  • মানবিকতা – নিমাইবাবু পুলিশের বড়ো পদে থাকা সত্ত্বেও একজন কঠোর বা নিষ্ঠুর ব্যক্তি নন। সব্যসাচী মল্লিকের সন্দেহে ধৃত গিরীশ মহাপাত্রকে নিয়ে তিনি যে রসিকতা করেছেন, তা নিছক হাস্যরস নয়; এর মধ্য দিয়ে তাঁর চরিত্রের মানবিক দিকটিও প্রকাশিত হয়েছে। গিরীশ মহাপাত্রের স্বাস্থ্য খারাপ দেখে তিনি তাঁকে গাঁজা না খেতে অনুরোধ করেন – “ক’দিনই বা বাঁচবে, এই তো তোমার দেহ, আর খেয়ো না, বুড়ো মানুষটার কথা শোনো।” নিমাইবাবুর এই ভদ্র, শান্ত এবং অল্পভাষী স্বভাব তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় করে তুলেছে। তাঁর এই সমস্ত গুণাবলিই কাহিনিতে তাঁকে স্বতন্ত্র মর্যাদায় উন্নীত করেছে।
  • ইতিকথা – অপূর্ব তাঁর নিকটাত্মীয় এই মানুষটিকে সরাসরি শ্রদ্ধা না করলেও, নিমাইবাবু তাঁর নিজস্ব চরিত্র বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল হয়ে আছেন।

স্বল্প পরিসরে হলেও পথের দাবী রচনাংশে রামদাস তলওয়ারকর চরিত্রটি কীভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে লেখো।

  • কথামুখ – রামদাসের চরিত্রটি ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অতি অল্প পরিসর জুড়ে থাকলেও, চরিত্রবৈশিষ্ট্যে সে উল্লেখযোগ্য ও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
  • বিচক্ষণতা ও বন্ধুপ্রীতি – রামদাস তলওয়ারকর একজন শিক্ষিত মারাঠি যুবক। অপূর্বর অন্যমনস্কতা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। সে ভেবেছিল, বাড়ি থেকে কোনো দুঃসংবাদের চিঠি পেয়েছে সে। পরে অবশ্য তার ভুল ভেঙে যায়। সে বুঝতে পারে সব্যসাচীর প্রতি অগাধ ভক্তিই অপূর্বকে অন্যমনস্ক করে তুলেছে। তবে সেই ভক্তির প্রত্যক্ষ প্রকাশ বিপদ ডেকে আনতে পারে, ভেবে সে অপূর্বকে সাবধান করে দিয়েছিল।
  • সহমর্মিতা – গল্পে রামদাস ছিল অপূর্বর সহমর্মী। ফিরিঙ্গি ছেলেদের অত্যাচার, স্টেশনমাস্টারের অমানবিক আচরণের কথা যখন অপূর্ব বলছিল, তখন সমবেদনায় রামদাসের ফরসা মুখ লাল হয়ে উঠেছিল। তারও দু-চোখ ছলছল করে উঠেছিল।
  • স্বদেশিকতা – গাড়ি ছাড়ার মুহূর্তে, অপূর্ব যখন গিরীশ মহাপাত্ররূপী সব্যসাচীর পিছনে পুলিশের ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে, তখন রামদাসকে শঙ্কিত হয়ে উঠতে দেখা যায়। লেখকের বর্ণনায় সেই ছবি ধরা পড়েছে এইভাবে – এই মুহূর্তকালের মধ্যে রামদাসের প্রশস্ত উজ্জ্বল ললাটের উপরে যেন কোনো এক অদৃশ্য মেঘের ছায়া এসে পড়েছে, এবং সেই সুদূর দুর্নিরীক্ষ্য লোকেই তার সমস্ত মনশ্চক্ষু একেবারে উধাও হয়ে গেছে।
  • ইতিকথা – ‘পথের দাবী’ রচনাংশে খুব স্বল্প পরিসরেও মার্জিত, মানবিক চরিত্রের আলোয় রামদাস ভাস্বর হয়ে উঠেছে।

তোমাদের পাঠ্যাংশ পথের দাবী – তে গিরীশ মহাপাত্র যদি সত্যিই সব্যসাচী হন, তবে তাঁর সম্পর্কে তোমার মনোভাব ব্যক্ত করো।

  • প্রাককথন – ‘পথের দাবী’ রচনায় উল্লিখিত গিরীশ মহাপাত্রই সব্যসাচী কি না, তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। সমগ্র উপন্যাসের কাহিনি অনুযায়ী গিরীশ মহাপাত্রই সব্যসাচী। তবে আলোচ্য আংশিক কাহিনিতে বোঝার কোনো উপায় নেই যে উক্ত ব্যক্তিই সব্যসাচী। এমনকি, অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসার নিমাইবাবু বা জগদীশবাবুও তা বুঝতে পারেননি। গিরীশ মহাপাত্রকে ‘পলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ সব্যসাচী মল্লিক হিসেবে আটক করা হলেও, তিনি বুদ্ধিবলে নিজেকে মুক্ত করে নিতে পেরেছিলেন। অবশ্য অপূর্ব তার দূরদৃষ্টির সাহায্যে বুঝেছিল যে গিরীশ মহাপাত্রই সব্যসাচী। ইংরেজ পুলিশ তাকে ধরতে না পারায় অপূর্ব উল্লসিত হয়েছিল।
  • গিরীশ মহাপাত্ররূপী সব্যসাচী – গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষা নিমাইবাবুসহ সমগ্র পুলিশ দলকে বিভ্রান্ত করেছিল। সদা সতর্ক ইংরেজ পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার এমন কৌশল ছদ্মবেশ ধারণ তাঁর দক্ষতারই পরিচয় দেয়। সেই কারণেই তিনি মাথার চুল অদ্ভুতভাবে ছেঁটেছিলেন। কালচার বা আচার-ব্যবহার পরিবর্তন করলে পুলিশ তাঁকে চিনতে পারবে না — এই ধারণা থেকেই সব্যসাচী তাঁর সমগ্র কালচারটাই পাল্টে ফেলেছিলেন। তাঁর রোগা, জীর্ণ শরীর তাঁকে সাহায্য করেছে। স্বদেশের মুক্তির জন্য দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর কারণে শরীরের দিকে নজর দেওয়ার কোনো অবকাশ তাঁর ছিল না। তবে অমর প্রাণশক্তির কারণে সব্যসাচীকে মৃত্যু অথবা ইংরেজ পুলিশের স্পর্শ করতে পারে না।

পথের দাবী রচনাংশটির নামকরণ কতদূর সার্থক হয়েছে বিচার করো।

নামকরণের মাধ্যমেই যে কোনো সাহিত্যের অন্তর্নিহিত বিষয় বা ভাব তার পাঠকের কাছে ফুটে ওঠে। সাহিত্যকর্মের নামকরণ সাধারণত বিষয়বস্তু, চরিত্র বা ভাব অনুযায়ী হয়, আবার কখনও-বা তা ব্যঞ্জনাধর্মীও হয়ে থাকে।

এখানে শরৎচন্দ্রের লেখা “পথের দাবী” উপন্যাসের একটি নির্বাচিত অংশ আমাদের পাঠ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। পাঠ্যাংশে আমরা গিরীশ মহাপাত্র চরিত্রটি পাই, যিনি আসলে একজন বিপ্লবী এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। তার আসল নাম সব্যসাচী মল্লিক, যিনি বিভিন্ন ছদ্মবেশে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চলাফেরা করেন। দেশকে স্বাধীন করাই সব্যসাচীর জীবনের মূল লক্ষ্য। মূল উপন্যাসে সব্যসাচী মল্লিকের একটি সংগঠন ছিল, যার নাম ছিল “পথের দাবী”। এই সংগঠনে সব্যসাচী ছাড়াও আরও কয়েকজন সদস্য ছিলেন, যারা একত্রিত হয়ে দেশকে কীভাবে স্বাধীন করা যায় এবং এই স্বাধীনতা লাভের জন্য কোন পথে আন্দোলন করা যায়, সেইসব বিষয়ে আলোচনা করতেন। এই সংগঠনের মূল লক্ষ্যই ছিল দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করা এবং স্বাধীনতার জন্য একজোট হয়ে আন্দোলন করা। এই সংগঠনের কার্যকলাপকে কেন্দ্র করেই উপন্যাসটি এগিয়েছে। আর এই সংগঠনের মূল কাণ্ডারি ছিলেন সব্যসাচী মল্লিক। সংগঠনটির নাম অনুযায়ী মূল উপন্যাসের নামকরণ করা হয়েছে, এবং আমাদের পাঠ্যাংশটি মূল উপন্যাসেরই একটি নির্বাচিত অংশ। মূল উপন্যাসটিতেও স্বাধীনতা এবং বিদেশি শাসকের অত্যাচার থেকে মুক্তির দাবি প্রাধান্য পেয়েছে। তাই মূল উপন্যাসের নাম অনুযায়ী আমাদের পাঠ্যাংশের এই নির্বাচিত অংশটির নামও “পথের দাবী” রাখা হয়েছে। সেদিক থেকে “পথের দাবী” নামকরণটি সার্থক ও যথাযথ হয়েছে বলা যায়।

পথের দাবী রচনাংশে অপূর্বর স্বদেশপ্রেমের যে পরিচয় লিপিবদ্ধ হয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখো।

অথবা, আমার মা, আমার ভাই-বোনকে যারা এই – সব সহস্র কোটি অত্যাচার থেকে উদ্ধার করতে চায় তাদের আপনার বলে ডাকবার যে দুঃখই থাক আমি আজ থেকে মাথায় তুলে নিলাম। – এই উক্তির আলোকে বক্তার দেশপ্রেমের পরিচয় দাও।

  • শুরুর কথা – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্বর হৃদয়ে স্বদেশ ও স্বজনের প্রতি অনুরাগ থেকেই বোঝা যায় তার স্বদেশপ্রেম কতখানি অকৃত্রিম।
  • স্বদেশ ও স্বজনের প্রতি অনুরাগ – নিজের বাড়িতে চুরির সংবাদ জানাতে থানায় এসে অপূর্ব দেখেছিল সব্যসাচী সন্দেহে ধৃত গিরীশ মহাপাত্রের খানাতল্লাশির ঘটনা। ‘সব্যসাচী’ নামটি শুনেই অপূর্বর মন বিচলিত হয়েছিল। গিরীশ মহাপাত্রকে সব্যসাচী ভেবেই সে মনে মনে প্রার্থনা করেছিল, পুলিশ যেন ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার না করে। তাই তাকে বলতে শুনি – “কাকাবাবু, এ লোকটিকে আপনি কোনো কথা জিজ্ঞেস না করেই ছেড়ে দিন, যাকে খুঁজছেন সে যে এ নয়, তার আমি জামিন হতে পারি।” আবার, নিমাইবাবুর কার্যকলাপকেও সে সমর্থন করেনি। “আমার বড়ো লজ্জা এই যে, এদের যিনি কর্তা, তিনি আমার আত্মীয়, আমার পিতার বন্ধু।”
  • দেশপ্রেম – অপূর্বর দেশপ্রেমের যথার্থ পরিচয় পাওয়া যায় রামদাসের সঙ্গে কথোপকথনের মধ্যে। সব্যসাচী সম্পর্কে তার শ্রদ্ধা-ভক্তি চেপে রাখতে না পেরে সে বলেছিল – “যাঁকে তিনি দেশের টাকায়, দেশের লোক দিয়ে শিকারের মতো তাড়া করে বেড়াচ্ছেন, তিনি ঢের বেশি আমার আপনার।”
  • আবেগপ্রবণতা – কোনো কোনো সময় অপূর্ব খুব আবেগময় হয়ে পড়েছে। রাজরোষে পড়তে হবে জেনেও সে মনের ক্ষোভ ও বেদনাকে চেপে রাখতে পারেনি।

বিদেশি সাহেবের কাছে অপূর্বর অপমানিত ও লাঞ্ছিত হওয়ার যে দুটি ঘটনার বর্ণনা রয়েছে, তা লেখো।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ উপন্যাসে দুটি ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়, যেখানে ইংরেজরা অপূর্বকে অপমান করেছে।

  • প্রথম ঘটনা – একবার অপূর্বর বিনা দোষে শাস্তি ভোগ করতে হয়েছিল। স্টেশনে কিছু ফিরিঙ্গি ছেলে কোনো কারণ ছাড়াই তাকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দেয়। অপূর্ব যখন সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যায়, তখন সাহেব স্টেশনমাস্টার তাকে ভারতীয় বলে অপমান করে এবং কুকুরের মতো দূর করে দেয়। নিজের দেশে এভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার যন্ত্রণা অপূর্ব কোনোদিন ভুলতে পারেনি।
  • দ্বিতীয় ঘটনা – আরেকবার রেলপথে অপূর্ব রেঙ্গুন থেকে ভামো নগরের উদ্দেশে প্রথম শ্রেণির যাত্রী হিসেবে যাত্রা করছিল। সারাদিনের কাজকর্ম শেষ করে অপূর্ব ভেবেছিল, সে শান্তিতে ঘুমাবে। কিন্তু বারবার পুলিশের লোক এসে তার ঘুম ভেঙে নাম-ঠিকানা লিখে নিয়ে যায়। একবার বিরক্ত হয়ে সে প্রতিবাদ করলে সাব-ইনস্পেকটর কটুকণ্ঠে বলে যে, এসব তাকে সহ্য করতে হবে কারণ সে ইউরোপীয় নয়। অপূর্ব যখন বলে সে প্রথম শ্রেণির যাত্রী, তার সঙ্গে এইরকম আচরণ করা অনুচিত, তখন ইনস্পেকটর উত্তর দেয়, এই নিয়ম রেলের কর্মচারীদের জন্য, তার জন্য নয়। শুধুমাত্র ভারতীয় বলেই তাকে এইভাবে অপমানিত হতে হয়েছিল।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক বাংলার পঞ্চম পাঠের চতুর্থ অংশ “পথের দাবী” থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা ও চাকরির প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আশা করি, এই লেখাটি আপনাদের উপকারী হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা থেকে থাকে, টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন; আমি সহায়তা করার চেষ্টা করবো। এছাড়া, এই পোস্টটি যাদের প্রয়োজন হতে পারে, তাদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ!

Share via:

মন্তব্য করুন