ভারত একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশটির অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল শিল্প। ভারতের শিল্পের উৎপত্তি খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দে। সেই সময় ভারতে লোহা, কাঁচ, পোশাক, মশলা ইত্যাদি শিল্পের বিকাশ ঘটে।
ভারতের শিল্পের বিকাশে প্রাকৃতিক সম্পদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার রয়েছে। এখানে কয়লা, লোহা, তামা, লৌহ আকরিক, ম্যাঙ্গানিজ, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল ইত্যাদি খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়। এই খনিজ সম্পদগুলি শিল্পের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
![মাধ্যমিক ভূগোল - ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ - ভারতের শিল্প - একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও 1 ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ – ভারতের শিল্প -একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও](http://solutionwbbse.com/wp-content/uploads/2023/12/ভারতের-অর্থনৈতিক-পরিবেশ-–-ভারতের-শিল্প-একটি-বা-দুটি-শব্দে-উত্তর-দাও.webp)
মাধ্যমিক ভূগোল বিষয়টি ভারতের ভূগোল বিষয়ক মাধ্যমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত একটি পাঠ্যক্রম। এই বিষয়টির একটি অংশ হল ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ যা ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য নিয়ে থাকে। এর অংশ হল ভারতের শিল্প যা ভারতের বিভিন্ন শিল্প উদ্যোগের প্রস্তুতি এবং তার প্রসারের উপর ভিত্তি করে উত্তর দেওয়া যেতে পারে শিল্প উন্নয়ন।
ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ হল ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ক বিস্তারিত তথ্যের সমন্বয় এবং বিশ্লেষণ। এটি ভারতের অর্থনৈতিক সম্পদ, পুনঃনির্মাণ এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, পরিবেশ বিন্যাস, সম্পদ বিনিময়, কারখানা ও শিল্প, বাণিজ্য ও বাজার প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য নীতি এবং নির্যাতন নীতি এবং আর্থিক প্রবর্তন সম্পর্কিত বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করে। এর মাধ্যমে ছাত্রদের অর্থনৈতিক বিকাশের উপর প্রাসঙ্গিক ধারণা প্রদান করা হয় যা তাদের পরবর্তী অধ্যয়নে সাহায্য করে।
ভারতের শিল্প একটি শব্দে বা দুটি শব্দে উত্তর দিয়ে বোঝায় যে এটি ভারতের বিভিন্ন শিল্প উদ্যোগের সমন্বয় এবং উন্নয়নের বিষয়ক সম্পূর্ণ বিবরণ। এটি ভারতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কারখানা, শিল্পকলা, প্রযুক্তি, উন্নয়ন এবং বিপণি সংক্রান্ত সব তথ্য নিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে ছাত্রদের বিভিন্ন শিল্প উদ্যোগের প্রস্তুতি এবং প্রসারের উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ পরিচিতি হয়। এছাড়াও এর মাধ্যমে ছাত্রদের শিল্প উদ্যোগ সংক্রান্ত নতুন উদ্ভাবন এবং বিপণির প্রবর্তন সম্পর্কিত পরিচিতি হয় এবং এর সাথে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
পেট্রোরসায়ন শিল্পের কয়েকটি কাঁচামালের নাম লেখো।
ন্যাপথা, প্রোপেন, ইথেন প্রভৃতি।
পশ্চিম ভারতের একটি পেট্রোরসায়ন শিল্পকেন্দ্রের নাম লেখো।
ভাদোদরা।
ভিলাই স্টিল প্লান্টে কোন্ জলাধারের জল ব্যবহৃত হয়?
তেন্ডুলা।
কোন্ শিল্পকে সব শিল্পের মূল বলে?
লোহা ও ইস্পাত শিল্পকে।
কোন্ শিল্পকে সকল শিল্পের মেরুদণ্ড বলে?
লোহা ও ইস্পাত শিল্পকে।
ভদ্রাবতী লোহা ও ইস্পাত কারখানায় লৌহ আকরিক কোথা থেকে পাওয়া যায়?
কর্ণাটকের বাবাবুদান পাহাড় থেকে।
SAIL – এর প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?
নিউ দিল্লিতে।
ভারতের প্রাচীনতম লোহা ও ইস্পাত কারখানা কোনটি?
বর্ধমানের কুলটি।
হরিয়ানার কোথায় পেট্রোরসায়ন শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠেছে?
পানিপথে।
প্রকৃত সিলিকন ভ্যালি কোনটি?
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের স্যান্টা ক্ল্যারা ভ্যালি।
ভারতের একটি আধুনিক শিল্পের নাম লেখো।
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প।
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে অগ্রগণ্য ভারতের প্রধান দুটি শহরের নাম করো।
বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই।
একটি অবিশুদ্ধ কাঁচামালের নাম করো|
আকরিক লোহা।
একটি বিশুদ্ধ কাঁচামালের নাম করো|
তুলো।
শিল্প স্থানিকতার তত্ত্বের মূল প্রবক্তা কে?
আলফ্রেড ওয়েবার।
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের মূল কাঁচামাল কী?
মানুষের মেধা।
কয়েকটি ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের নাম লেখো।
বৃহদায়তন যন্ত্রপাতি, মোটরগাড়ি, জেনারেটর প্রভৃতি।
কয়েকটি হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের নাম লেখো|
ঘড়ি, সেলাই মেশিন প্রভৃতি।
কোন্ শিল্পকে সূর্যোদয় শিল্প বলে?
পেট্রোরসায়ন শিল্পকে।
মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্পের কয়েকটি কাঁচামালের নাম লেখো।
কাচ, রং, প্লাস্টিক প্রভৃতি।
কয়েকটি বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের নাম লেখো।
রেফ্রিজারেটর, বৈদ্যুতিক পাখা প্রভৃতি।
কয়েকটি কার্পাসবয়ন শিল্পকেন্দ্রের নাম লেখো।
গুজরাতের আমদাবাদ, সুরাত এবং মহারাষ্ট্রের মুম্বাই, নাগপুর প্রভৃতি।
পশ্চিমবঙ্গে প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পাঞ্চল কোথায় গড়ে উঠেছে?
কলকাতার বিধাননগরে।
এই সমস্ত বিষয়কে একসাথে সংযুক্ত করে বোঝায় যে ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ এবং শিল্প অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যা ভারতের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাধ্যমিক ভূগোল এবং এর মাধ্যমে ছাত্রদের এই বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করে এবং তাদের জ্ঞান এবং উদ্ভাবনী শক্তি উন্নয়নে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে ছাত্রদের প্রাথমিক সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং তাদের ক্রিয়াশীলতা উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। এছাড়াও, এই বিষয়গুলি একটি স্বচ্ছ ভবিষ্যতের উন্নয়নে সহায়তা করে এবং দেশের একটি স্বাস্থ্যকর অর্থনৈতিক পরিবেশ উন্নয়নে উপযোগী হয়।
ভারত একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশটির অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। তবে, শিল্পক্ষেত্রও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতের শিল্পক্ষেত্রের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদ, জনসংখ্যার ঘনত্ব, শ্রমশক্তির প্রাপ্যতা, বাজারের বিশালতা, সরকারি নীতি ইত্যাদি বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
মন্তব্য করুন