আজকের আর্টিকেলে আমরা দশম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের তৃতীয় অধ্যায় “প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ” এর থেকে “অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন” আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো দশম শ্রেণির ইউনিট টেস্ট থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা এর জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি চাকরি বা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পরীক্ষাতেও কাজে লাগবে। এই অধ্যায় থেকে স্কুল পরীক্ষা থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই প্রশ্ন আসে, তাই এই প্রশ্নোত্তরগুলো সবাইকে সাহায্য করবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে, যাতে সবাই বুঝতে পারেন। পড়ার শেষে এই অধ্যায়ের মুখ্য বিষয়গুলো আপনার আয়ত্তে চলে আসবে এবং যেকোনো পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লিখতে পারবেন।

পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও।
কত খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়?
1864 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনকালে প্রথম অরণ্য আইন কবে প্রবর্তিত হয়?
ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনকালে প্রথম অরণ্য আইন 1865 খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয়।
বিদ্রোহ কী?
প্রচলিত সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করাকে বিদ্রোহ বলা হয়।
অভ্যুত্থান কী?
যখন কোনো বিদ্রোহে ব্যাপক সংখ্যক জনগণ অংশগ্রহণ করে তখন তাকে অভ্যুত্থান বলা হয়।
বিপ্লব কী?
দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত কোনো অবস্থার আমূল পরিবর্তনকে বলা হয় বিপ্লব।
ভারতের অরণ্য অঞ্চলের উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত দুটি বিশেষ ধরনের কৃষিব্যবস্থার নাম কী?
ভারতের অরণ্য অঞ্চলের উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত দুটি বিশেষ ধরনের কৃষিব্যবস্থার নাম হল – ঝুম ও রেওয়াং।
পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল কোন্ অঞ্চলকে বলা হয়?
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও ধলভূম অঞ্চল নিয়ে গঠিত অংশকে জঙ্গলমহল বলা হয়।
জঙ্গলমহল -এর আদি অধিবাসী কারা?
জঙ্গলমহল -এর আদি অধিবাসী ছিল চুয়াড়রা।
চুয়াড় কথার অর্থ কী?
চুয়াড় কথার অর্থ হল দুর্বৃত্ত ও নীচ জাতি।
চুয়াড়রা যে নিষ্কর জমি ভোগদখল করত তার নাম কী?
চুয়াড়রা যে নিষ্কর জমি ভোগদখল করত তার নাম হল পাইকান জমি।
কোন্ সময়ে জমিদারশ্রেণি চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিল?
1768 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ জমিদারশ্রেণি চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিল।
ঘাটশিলা বা ধলভূমে চুয়াড় বিদ্রোহে প্রথম কে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন?
ঘাটশিলা বা ধলভূমে চুয়াড় বিদ্রোহে প্রথম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জগন্নাথ ধল (সিং)।
চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব) কবে সংঘটিত হয়?
চুয়াড় বিদ্রোহ (দ্বিতীয় পর্ব) 1798 থেকে 1799 খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে সংঘটিত হয়।
চুয়াড় বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখো।
চুয়াড় বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম হল – গোবর্ধন দিকপতি ও লাল সিং।
রানি শিরোমণি কে ছিলেন?
মেদিনীপুরের চুয়াড় বিদ্রোহের অন্যতম নেত্রী ছিলেন রানি শিরোমণি।
কোন্ অঞ্চলে পাইক বিদ্রোহ হয়েছিল?
উড়িষ্যার খুরদা অঞ্চলে পাইক বিদ্রোহ হয়েছিল।
ভারতের কোন্ অঞ্চল উপজাতি আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি ছিল?
ভারতের ছোটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চল উপজাতি আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি ছিল।
প্রথম কোল বিদ্রোহ কবে দেখা দিয়েছিল?
প্রথম কোল বিদ্রোহ 1820 খ্রিস্টাব্দে দেখা দিয়েছিল।
কারা প্রথম কোল বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল?
রাঁচি জেলার মুন্ডা ও ওঁরাও সম্প্রদায় প্রথম কোল বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল।
চাইবাসার যুদ্ধ কবে হয়েছিল?
চাইবাসার যুদ্ধ 1820-1821 খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল।
দ্বিতীয়বার কবে কোলরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে?
দ্বিতীয়বার 1831 খ্রিস্টাব্দে কোলরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
কোল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখো।
কোল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম হল – বুদ্ধু ভগত ও জোয়া ভগত।
কোন্ গভর্নর জেনারেলের নির্দেশে কোল বিদ্রোহ দমিত হয়েছিল?
গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্কের নির্দেশে কোল বিদ্রোহ দমিত হয়েছিল।
কবে কোল বিদ্রোহের অবসান হয়?
1832 খ্রিস্টাব্দে কোল বিদ্রোহের অবসান হয়।
হুল শব্দের অর্থ কী?
হুল শব্দের অর্থ হল বিদ্রোহ।
দামিন-ই-কোহ কথার অর্থ কী?
দামিন-ই-কোহ কথার অর্থ হল পাহাড়ের প্রান্তদেশ।
দিকু কারা?
সাঁওতালদের এলাকার বাইরে থেকে আসা মানুষজনকে সাঁওতালরা দিকু বলে ডাকত।
ভগনাডিহির মাঠ কোন্ বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত?
ভগনাডিহির মাঠ সাঁওতাল বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত।
সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতারা বিদ্রোহের বার্তা চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কী পাঠিয়েছিল?
সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতারা বিদ্রোহের বার্তা চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য শালগাছের ডাল পাঠিয়েছিল।
সাঁওতালদের আন্দোলনের মূল দাবি কী ছিল?
সাঁওতালদের আন্দোলনের মূল দাবি ছিল – ‘জমি চাই, মুক্তি চাই’।
সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখো।
সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম হল সিধু ও কানু।
কালো প্রামাণিক ও ডোমন মাঝি কোন্ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন?
কালো প্রামাণিক ও ডোমন মাঝি সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন।
সাঁওতাল বিদ্রোহ কবে দমন করা হয়?
সাঁওতাল বিদ্রোহ 1856 খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে দমন করা হয়।
হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কোন্ পত্রিকা সাঁওতাল বিদ্রোহকে সমর্থন করে?
হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা সাঁওতাল বিদ্রোহকে সমর্থন করে।
উলগুলান বলতে কী বোঝায়?
উলগুলান বলতে বোঝায় চরম বিশৃঙ্খলা বা বিরাট তোলপাড়।
মুন্ডা বিদ্রোহের সূচনা হয় কবে?
1899 খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে মুন্ডা বিদ্রোহের সূচনা হয়।
মুন্ডা বিদ্রোহ কোথায় হয়?
বর্তমান ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ ও রাঁচি অঞ্চলে মুন্ডা বিদ্রোহ হয়েছিল।
মুন্ডাদের বংশপরম্পরাগত ভূমিব্যবস্থার নাম কী?
মুন্ডাদের বংশপরম্পরাগত ভূমিব্যবস্থার নাম হল খুৎকাঠি প্রথা।
বেত বেগারি কী?
বেত বেগারি হল বহিরাগতদের দ্বারা মুন্ডাদের বেগার শ্রম দিতে বাধ্য করার ঘটনা।
মুন্ডা বিদ্রোহ কার নেতৃত্বে হয়েছিল?
মুন্ডা বিদ্রোহ হয়েছিল বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে।
সিং বোঙা নামে কে পরিচিত?
সিং বোঙা নামে পরিচিত বিরসা মুন্ডা।
বিরসা কখন মুন্ডাদের ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার ডাক দেন?
বিরসা 1895 খ্রিস্টাব্দে মুন্ডাদের ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার ডাক দেন।
কত জন মুন্ডাকে নিয়ে বিরসা তাঁর সেনাবাহিনী গঠন করেন?
6000 জন মুন্ডাকে নিয়ে বিরসা তাঁর সেনাবাহিনী গঠন করেন।
বিরসা কবে মারা যান?
বিরসা 1900 খ্রিস্টাব্দের 9 জুন মারা যান।
ছোটোনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন কবে পাস হয়?
ছোটোনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন 1908 খ্রিস্টাব্দে পাস হয়।
মুন্ডাদের প্রভাবে তানাভকৎ আন্দোলন কারা শুরু করেছিল?
মুন্ডাদের প্রভাবে তানাভকৎ আন্দোলন ওঁরাও সম্প্রদায় শুরু করেছিল।
রংপুরে কোন্ অত্যাচারী ইজারাদারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়?
রংপুরে ইজারাদার দেবী সিংহ -এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয়।
রংপুর বিদ্রোহ কবে হয়?
1783 খ্রিস্টাব্দে রংপুর বিদ্রোহ হয়।
রংপুর বিদ্রোহে কে নেতৃত্ব দেন?
রংপুর বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নুরুলউদ্দিন।
রংপুর বিদ্রোহে বিদ্রোহীরা কাকে নবাব উপাধিতে ভূষিত করেন?
রংপুর বিদ্রোহে বিদ্রোহীরা নুরুলউদ্দিনকে নবাব উপাধিতে ভূষিত করেন।
রংপুর বিদ্রোহ কোন্ কোন্ অঞ্চলে বিস্তৃত হয়েছিল?
রংপুর বিদ্রোহ দিনাজপুর ও কোচবিহার অঞ্চলে বিস্তৃত হয়েছিল।
কত খ্রিস্টাব্দে রংপুর বিদ্রোহ দমন করা হয়?
1783 খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে রংপুর বিদ্রোহ দমন করা হয়।
ভিল বিদ্রোহ কবে শুরু হয়?
1819 খ্রিস্টাব্দে ভিল বিদ্রোহ শুরু হয়।
ভিল বিদ্রোহ ভারতের কোন্ অঞ্চলে ঘটে?
পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চলে ভিল বিদ্রোহ ঘটে।
ঔপনিবেশিক ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রথম কৃষক বিদ্রোহের নাম কী?
ঔপনিবেশিক ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রথম কৃষক বিদ্রোহ হল সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ।
অধিকাংশ সন্ন্যাসী-ফকির কোন্ দ্রব্যের ব্যাবসা করতেন?
অধিকাংশ সন্ন্যাসী-ফকির রেশমের ব্যাবসা করতেন।
সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ কত দিন ধরে চলেছিল?
সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ 1763 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1800 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চলেছিল।
সন্ন্যাসী বিদ্রোহের সূচনা কোথায় হয়?
সন্ন্যাসী বিদ্রোহের সূচনা হয় ঢাকায়।
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ কোথায় দেখা দিয়েছিল?
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ তৎকালীন বাংলা ও বিহার প্রদেশে দেখা দিয়েছিল।
সন্ন্যাসী বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখো।
সন্ন্যাসী বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম হল ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরাণী।
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ দুর্বল হয়ে পড়েছিল কেন?
1776 খ্রিস্টাব্দ থেকে সন্ন্যাসী ও ফকিরদের মধ্যে আত্মকলহের ফলে সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
মজনু শাহ কে ছিলেন?
মজনু শাহ ছিলেন সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের একজন নেতা।
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে লেখা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসটির নাম কী?
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে লেখা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসটির নাম হল আনন্দমঠ।
ওয়াহাবি কথার অর্থ কী?
ওয়াহাবি কথার অর্থ হল নবজাগরণ।
ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃত নাম কী?
ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃত নাম হল তারিকা-ই-মহম্মদীয়া।
তারিকা-ই-মহম্মদীয়া কথার অর্থ কী?
তারিকা-ই-মহম্মদীয়া কথার অর্থ হল মহম্মদ প্রদর্শিত পথ।
ওয়াহাবি আন্দোলনের সূচনা কে করেন?
ওয়াহাবি আন্দোলনের সূচনা করেন মহম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাব।
ওয়াহাবি কাদের বলা হয়?
ওয়াহাবি ধর্মগোষ্ঠীর প্রবর্তক আবদুল ওয়াহাবের অনুগামীদের বলা হয় ওয়াহাবি।
ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের মূল প্রবর্তক কে ছিলেন?
ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের মূল প্রবর্তক ছিলেন সৈয়দ আহমদ।
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান সংগঠক কে ছিলেন?
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান সংগঠক ছিলেন তিতুমির।
তিতুমিরের আসল নাম কী?
তিতুমিরের আসল নাম হল মির নিশার আলি।
ওয়াহাবি আন্দোলন বাংলায় কোথায় শুরু হয়?
ওয়াহাবি আন্দোলন বাংলায় 24 পরগনার নারকেলবেড়িয়া গ্রামে শুরু হয়।
তিতুমির কার কাছে ওয়াহাবি মন্ত্রে দীক্ষিত হন?
অথবা, তিতুমিরের গুরু কে ছিলেন?
তিতুমির সৈয়দ আহমদের কাছে ওয়াহাবি মন্ত্রে দীক্ষিত হন।
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় কোনটি?
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হল বারাসত বিদ্রোহ।
তিতুমিরের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
তিতুমিরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মইনুদ্দিন।
তিতুমিরের সেনাপতি কে ছিলেন?
তিতুমিরের সেনাপতি ছিলেন গোলাম মাসুম।
তিতুমির কোথায় বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন?
তিতুমির বারাসতের নারকেলবেড়িয়া গ্রামে বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন।
তিতুমির কবে ইংরেজদের কাছে পরাস্ত ও নিহত হন?
তিতুমির 1831 খ্রিস্টাব্দের 19 নভেম্বর ইংরেজদের কাছে পরাস্ত ও নিহত হন।
কবে বালাকোটের যুদ্ধ ঘটে?
1831 খ্রিস্টাব্দে বালাকোটের যুদ্ধ ঘটে।
ওয়াহাবিরা পরবর্তী কোন্ আন্দোলনকে প্রভাবিত করেছিল?
ওয়াহাবিরা পরবর্তীকালে পাবনার কৃষক আন্দোলনকে প্রভাবিত করেছিল।
ফরাজি কথাটি কোন্ শব্দ থেকে এসেছে?
ফরাজি কথাটি ফরাজ শব্দ থেকে এসেছে।
ফরাজি কথাটির অর্থ কী?
ফরাজি কথাটির অর্থ হল ঈশ্বর নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্তব্য।
ফরাজি আন্দোলন কবে শুরু হয়?
ফরাজি আন্দোলন 1820 খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়।
ফরাজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
ফরাজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হাজি শরিয়ৎউল্লাহ।
পূর্ব বাংলার কোথায় ফরাজি আন্দোলনের সূচনা হয়?
পূর্ব বাংলার ফরিদপুরে ফরাজি আন্দোলনের সূচনা হয়।
শরিয়ৎউল্লাহ -এর মৃত্যুর পর কে ফরাজি আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন?
শরিয়ৎউল্লাহ -এর মৃত্যুর পর মহম্মদ মহসিন বা দুদু মিঞা ফরাজি আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
মহম্মদ মহসিন কী নামে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন?
মহম্মদ মহসিন দুদু মিঞা নামে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন।
ফরাজি-খিলাফৎ -এর প্রধানকে কী বলা হত?
ফরাজি-খিলাফৎ -এর প্রধানকে বলা হত ওস্তাদ।
মহম্মদ মহসিন বা দুদু মিঞার প্রধান কার্যালয় কোথায় ছিল?
মহম্মদ মহসিন বা দুদু মিঞার প্রধান কার্যালয় ছিল বাহাদুরপুর গ্রামে।
দুদু মিঞা কবে ইংরেজদের হাতে বন্দি হন?
দুদু মিঞা 1857 খ্রিস্টাব্দে ইংরেজদের হাতে বন্দি হন।
দুদু মিঞা কবে মারা যান?
দুদু মিঞা 1862 খ্রিস্টাব্দে মারা যান।
দুদু মিঞার পরে ফরাজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন কে?
দুদু মিঞার পরে ফরাজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন নোয়া মিঞা।
পাগলপন্থী আদর্শের প্রবর্তন কে করেন?
পাগলপন্থী আদর্শের প্রবর্তন করেন ফকির করিম শাহ।
পাগলপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী কয়েকটি উপজাতির নাম লেখো।
পাগলপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী কয়েকটি উপজাতির নাম হল গারো, হাজঙ্গ, হাড়ি ইত্যাদি।
পাগলপন্থী বিদ্রোহের কারণ কী?
পাগলপন্থী বিদ্রোহের কারণ ছিল জমিদার গোষ্ঠীর আর্থিক শোষণ।
পাগলপন্থী বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?
পাগলপন্থী বিদ্রোহ 1825 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1827 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে হয়েছিল।
পাগলপন্থী বিদ্রোহে কে নেতৃত্ব দেন?
পাগলপন্থী বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন ফকির করিম শাহের পুত্র টিপু শাহ।
1857 -এর বিদ্রোহের পরে সবচেয়ে বড়ো কৃষক বিদ্রোহের নাম কী?
1857 -এর বিদ্রোহের পরে সবচেয়ে বড়ো কৃষক বিদ্রোহের নাম হল নীল বিদ্রোহ।
নীল বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?
নীল বিদ্রোহ 1859 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1860 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে হয়েছিল।
দাদন কথার অর্থ কী?
দাদন কথার অর্থ হল অগ্রিম অর্থ।
নীলকুঠিগুলি কী নামে পরিচিত ছিল?
নীলকুঠিগুলি আড়ং নামে পরিচিত ছিল।
নীলচাষ সংক্রান্ত পঞ্চম ও সপ্তম আইন কবে পাস হয়?
নীলচাষ সংক্রান্ত পঞ্চম ও সপ্তম আইন 1830 খ্রিস্টাব্দে পাস হয়।
নদিয়া জেলার কোথায় নীল বিদ্রোহ শুরু হয়?
নদিয়া জেলার চৌগাছা নামক স্থানে নীল বিদ্রোহ শুরু হয়।
নীল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখো।
নীল বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম হল দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস।
নীল বিদ্রোহকে সমর্থন করে তৎকালীন কোন্ পত্রিকা?
নীল বিদ্রোহকে সমর্থন করে তৎকালীন হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকা।
নীলদর্পণ নাটকটির নাট্যকার কে ছিলেন?
নীলদর্পণ নাটকটির নাট্যকার ছিলেন দীনবন্ধু মিত্র।
নীলকররা কার নামে মানহানির মামলা করেছিল?
নীলকররা জেমস লঙ্ -এর নামে মানহানির মামলা করেছিল।
জেমস লঙ্ -এর নামে মানহানির মামলার জরিমানার টাকা আদালতে কে জমা দেন?
জেমস লঙ -এর নামে মানহানির মামলার জরিমানার টাকা আদালতে জমা দেন কালীপ্রসন্ন সিংহ।
কত খ্রিস্টাব্দে নীল কমিশন গঠিত হয়?
1860 খ্রিস্টাব্দে নীল কমিশন গঠিত হয়।
কবে নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে?
1863 খ্রিস্টাব্দে নীল বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
কত জন কৃষক নীল বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিল?
প্রায় 60 লক্ষ কৃষক নীল বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিল।
কোন্ পত্রিকা নীল বিদ্রোহকে প্রথম বিপ্লব বলেছিল?
অমৃতবাজার পত্রিকা নীল বিদ্রোহকে প্রথম বিপ্লব বলেছিল।
The Blue Mutiny গ্রন্থের লেখক কে?
The Blue Mutiny গ্রন্থের লেখক হলেন ব্লেয়ার ক্লিং।
পাবনার কৃষক বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?
পাবনার কৃষক বিদ্রোহ 1873 খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল।
পাবনার কৃষক বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম লেখো।
পাবনার কৃষক বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম হল ঈশানচন্দ্র রায় এবং ক্ষুদিমোল্লা।
কে ঈশান রাজা নামে পরিচিত?
ঈশানচন্দ্র রায় ঈশান রাজা নামে পরিচিত।
পাবনার কৃষক বিদ্রোহের লক্ষ্য কী ছিল?
পাবনার কৃষক বিদ্রোহের লক্ষ্য ছিল আইনের পথে জমিদারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা।
কবে রেন্টস্ কমিশন গঠিত হয়?
1879 খ্রিস্টাব্দে রেন্টস্ কমিশন গঠিত হয়।
কত খ্রিস্টাব্দে সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের সূচনা হয়?
1763 খ্রিস্টাব্দে সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের সূচনা।
কত খ্রিস্টাব্দে রংপুর বিদ্রোহের সূচনা হয়?
1783 খ্রিস্টাব্দে রংপুর বিদ্রোহের সূচনা।
কত খ্রিস্টাব্দে চুয়াড় বিদ্রোহের সূচনা হয়?
1798-1799 খ্রিস্টাব্দে চুয়াড় বিদ্রোহের সূচনা হয়।
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের অবসান কত খ্রিস্টাব্দে হয়?
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের অবসান 1800 খ্রিস্টাব্দে হয়।
ভিল বিদ্রোহের সময়কাল লেখো।
1819 খ্রিস্টাব্দ ভিল বিদ্রোহের সময়কাল।
ফরাজি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা কত খ্রিস্টাব্দে হয়?
ফরাজি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা 1820 খ্রিস্টাব্দে হয়।
কত খ্রিস্টাব্দে পাগলপন্থী বিদ্রোহ হয়?
1825-1827 খ্রিস্টাব্দে পাগলপন্থী বিদ্রোহ হয়।
কত খ্রিস্টাব্দে কোল বিদ্রোহ হয়?
1831-1832 খ্রিস্টাব্দে কোল বিদ্রোহ হয়।
কত খ্রিস্টাব্দে বারাসত বিদ্রোহের সূচনা হয়?
1831 খ্রিস্টাব্দে বারাসত বিদ্রোহের সূচনা হয়।
সাঁওতাল হুল -এর সূচনা কত খ্রিস্টাব্দে হয়?
সাঁওতাল হুল -এর সূচনা 1855 খ্রিস্টাব্দে হয়।
নদিয়ার চৌগাছা গ্রামে নীল বিদ্রোহের সূচনা কত খ্রিস্টাব্দে হয়?
নদিয়ার চৌগাছা গ্রামে নীল বিদ্রোহের সূচনা 1859 খ্রিস্টাব্দে হয়।
কত খ্রিস্টাব্দে নীল কমিশন গঠন হয়?
1860 খ্রিস্টাব্দে নীল কমিশন গঠন হয়।
ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট কত খ্রিস্টাব্দে স্থাপন হয়?
ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট 1864 খ্রিস্টাব্দে স্থাপন হয়।
কত খ্রিস্টাব্দে অরণ্য আইন পাস হয়?
1865 খ্রিস্টাব্দে অরণ্য আইন পাস হয়।
নীলচুক্তি আইন কত খ্রিস্টাব্দে রদ হয়?
নীলচুক্তি আইন 1868 খ্রিস্টাব্দে রদ হয়।
কত খ্রিস্টাব্দে পাবনার কৃষক বিদ্রোহ হয়?
1873 খ্রিস্টাব্দে পাবনার কৃষক বিদ্রোহ হয়।
কত খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় অরণ্য আইন পাস হয়?
1878 খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় অরণ্য আইন পাস হয়।
মুন্ডা উলগুলান -এর সূচনা কত খ্রিস্টাব্দে হয়?
মুন্ডা উলগুলান -এর সূচনা 1899 খ্রিস্টাব্দে হয়।
ইংরেজ সেনাপতি জার্ভিস সাঁওতালদের বীরত্বের প্রশংসায় কী বলেছেন?
ইংরেজ সেনাপতি জার্ভিস সাঁওতালদের বীরত্বের প্রশংসা করে বলেছেন – “আত্মসমর্পণ কাকে বলে, তা সাঁওতালরা জানত না। যতক্ষণ তাদের মাদল বাজত ততক্ষণ বিদ্রোহীরা লড়াই করত।”
জঙ্গলমহল বলতে কী বোঝায় এবং চুয়াড় সম্প্রদায়ের সাথে এর সম্পর্ক কী?
জঙ্গলমহল – চুয়াড় সম্প্রদায় বাঁকুড়া জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, মেদিনীপুর জেলার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল ও মানভূম জেলার পূর্বাঞ্চলের অধিবাসী ছিল। অষ্টাদশ শতকে এই অঞ্চলগুলি ছিল বনজঙ্গলে পরিপূর্ণ। এইজন্যই ইংরেজ শাসকগণ এই সকল অঞ্চলের নাম দিয়েছিল ‘জঙ্গলমহল’।
কেল্লা কাকে বলে?
কেল্লা – জঙ্গলমহল অঞ্চলের গভীরতম অংশে চুয়াড় সর্দারদের বাসস্থানকে ‘কেল্লা’ বলা হত।
রেভারেন্ড জেমস লঙ ‘নীলদর্পণ’ নাটক অনুবাদের জন্য কারারুদ্ধ হলে তিনি কী বলেছিলেন এবং তা কী ইঙ্গিত করে?
দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটক অনুবাদ করার অপরাধে যখন রেভারেন্ড জেমস লঙ-কে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন তিনি বলেছিলেন – “আমি এইরূপ কার্যে অর্থাৎ অত্যাচারী ইংরেজের বিরুদ্ধে নিপীড়িত বাঙালি প্রজার সপক্ষে দাঁড়াইয়া সহস্রবার জেলে যাইতে গৌরববোধ করিব।”
প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহ কত খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়েছিল?
প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহ 1767 খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়েছিল।
চুয়াড় বিদ্রোহ কোথায় হয়েছিল?
চুয়াড় বিদ্রোহ মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও ধলভূমের ব্যাপক এলাকা জুড়ে হয়েছিল।
চুয়াড় বিদ্রোহের কারণ কী?
চুয়াড় বিদ্রোহের কারণ ছিল দুর্ভিক্ষ, রাজস্ববৃদ্ধি ও রাজস্ব আদায়ে কঠোরতা।
কত খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর কোম্পানির হাতে চলে যায়?
মেদিনীপুর 1760 খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির হাতে চলে যায়।
চুয়াড়দের প্রধান পেশা কী ছিল?
চুয়াড়দের প্রধান পেশা ছিল কৃষিকাজ ও পশুশিকার।
পাইক কাদের বলা হয়?
পাইক বলতে ইংরেজ শাসনের আগে জমিদারের অধীনস্থ লেঠেল বাহিনীকে বোঝায়।
জমিদারের অধীনে পাইকের কাজ করার বিনিময়ে যে জমি পেতেন তার নাম কী?
জমিদারের অধীনে পাইকের কাজ করার বিনিময়ে যে জমি পেতেন তার নাম পাইকান জমি।
দ্বিতীয় চুয়াড় বিদ্রোহ কত খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়?
দ্বিতীয় চুয়াড় বিদ্রোহ 1799 খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়।
প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহ কোথায় হয়?
প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহ ধলভূমে হয়।
প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কে?
প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জগন্নাথ বল।
জগন্নাথ বলের সঙ্গে কোন্ কোন্ মহলের জমিদাররা যোগ দেন?
জগন্নাথ বলের সঙ্গে ধোলক, বড়ভূম প্রভৃতি মহলের জমিদাররা যোগ দেন।
প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহে বিদ্রোহীদের কাছে কে পরাজিত হন?
প্রথম চুয়াড় বিদ্রোহে বিদ্রোহীদের কাছে স্টিফেন মরগান (ইংরেজ সেনাপতি) পরাজিত হন।
1798 খ্রিস্টাব্দের চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্ব কে দেন?
1798 খ্রিস্টাব্দের চুয়াড় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন দুর্জন সিং।
কোন্ বড়লাটের নির্দেশে ব্রিটিশ সেনাদল সাঁড়াশি আক্রমন চালিয়ে চুয়াড় বিদ্রোহীদের পর্যদস্তু করে?
লর্ড ওয়েলেসলি-র নির্দেশে ব্রিটিশ সেনাদল সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে চুয়াড় বিদ্রোহীদের পর্যুদস্ত করে।
আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য চুয়াড় বিদ্রোহের নেতাদের কী করা হয়েছিল?
আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য বিদ্রোহীদের ফাঁসি দেওয়া হয় এবং তাঁদের ঘাঁটিগুলিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
চুয়াড় বিদ্রোহ সম্পর্কে জে. সি. প্রাইস কী লিখেছেন?
জে. সি. প্রাইস 1798 ও 1799 খ্রিস্টাব্দকে ভয়ংকর চুয়াড় বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
কোলরা কোথায় বাস করত?
কোলরা বর্তমান ঝাড়খণ্ডের ছোটোনাগপুরে বাস করত।
ছোটোনাগপুরে কোলরা ছাড়াও কোন্ কোন্ উপজাতির বাস ছিল?
ছোটোনাগপুরে কোলরা ছাড়াও মুন্ডা, হো, ওরাওঁ প্রভৃতি উপজাতির বাস ছিল।
অরণ্যের অধিকারকে কোলরা কী মনে করত?
কোলরা অরণ্যের অধিকারকে ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার মনে করত।
দর্পনাথ সাহি কোথাকার রাজা ছিলেন?
দর্পনাথ সাহি পালমৌর-এর রাজা ছিলেন।
দর্পনাথ সাহির সঙ্গে কোম্পানি কি চুক্তি হয়েছিল?
দর্পনাথ সাহির সঙ্গে কোম্পানির ইতিপূর্বে নির্ধারিত বাৎসরিক খাজনা ছাড়াও অতিরিক্ত 6000 টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল।
কত খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি ও দর্পনাথ সাহির চুক্তি হয়?
কোম্পানি ও দর্পনাথ সাহির চুক্তি 1770 খ্রিস্টাব্দে হয়।
কোম্পানি কত খ্রিস্টাব্দে ছোটোনাগপুরের শাসনভার সরাসরি গ্রহণ করে?
কোম্পানি 1820 খ্রিস্টাব্দে ছোটোনাগপুরের শাসনভার সরাসরি গ্রহণ করে।
কোল বিদ্রোহের একটি কারণ বলো।
কোল বিদ্রোহের একটি কারণ ছিল সরকারি কাজে কোলদের বেগার খাটানো।
কোল বিদ্রোহের সূচনা কবে হয়?
কোল বিদ্রোহের সূচনা 1831-1832 খ্রিস্টাব্দে হয়।
কোল বিদ্রোহ কোথায় প্রথম শুরু হয়?
কোল বিদ্রোহ প্রথম শুরু হয় ছোটোনাগপুরের রাঁচিতে।
কোল বিদ্রোহের নেতৃত্বে কারা ছিলেন?
কোল বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন সুই মুন্ডা, সিংরাই মানকি, বুন্ধু ভগৎ, জোয়া ভগৎ, খাঁদু পাতর প্রমুখ নেতা।
কোল বিদ্রোহে আর কোন্ কোন্ উপজাতির লোকেরা যোগ দিয়েছিল?
কোল বিদ্রোহে ওরাওঁ, মুন্ডা, হো উপজাতির লোকেরা যোগ দিয়েছিল।
কোলরা কী বাজিয়ে বিদ্রোহের সূচনা করত?
কোলরা ঢাক বাজিয়ে বিদ্রোহের সূচনা করত।
কোল বিদ্রোহীদের আক্রণের লক্ষ্য কারা ছিল?
কোল বিদ্রোহীদের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল জমিদার, মহাজন, শস্য ব্যবসায়ী ও কোম্পানির কর্মচারী।
কোলরা পুলিশ বাহিনীকে কাদের সহযোগী মনে করত?
কোলরা পুলিশ বাহিনীকে জমিদার ও মহাজনদের সহযোগী মনে করত।
কোল বিদ্রোহ দমন করতে কার নেতৃত্বে ইংরেজবাহিনী এসেছিল?
কোল বিদ্রোহ দমন করতে ক্যাপটেন উইলকিনসনের নেতৃত্বে ইংরেজবাহিনী এসেছিল।
কোলদের সমরাস্ত্র কী কী ছিল?
কোলদের সমরাস্ত্র ছিল তির, ধনুক, বল্লম প্রভৃতি।
দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি নামক পৃথক অঞ্চল কত খ্রিস্টাব্দে গঠন করা হয়?
দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি নামক পৃথক অঞ্চল 1834 খ্রিস্টাব্দে গঠন করা হয়।
মাধব সিং কে ছিলেন?
মাধব সিং ছিলেন কোম্পানির দেওয়ান।
ফসল বিক্রি করতে গেলে কোলদের কারা প্রতারিত করত?
ফসল বিক্রি করতে গেলে কোলদের মহাজন ও জমিদাররা প্রতারিত করত।
কোলদের ঐতিহ্যবিরোধী কাজ কোনটি ছিল?
কোলদের ঐতিহ্যবিরোধী কাজ ছিল আফিম চাষ।
একটি উপজাতি বিদ্রোহের নাম বলো?
একটি উপজাতি বিদ্রোহের নাম হলো কোল/সাঁওতাল/মুন্ডা বিদ্রোহ।
“দিকু” শব্দের অর্থ কী?
“দিকু” শব্দের অর্থ উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় বহিরাগত মহাজন।
The Santal Insurrection of 1855-1857 গ্রন্থটির লেখক কে?
The Santal Insurrection of 1855-1857 গ্রন্থটির লেখক কালীকিঙ্কর দত্ত।
মহাজনরা সাঁওতালদের ক্রীতদাসের স্তরে নামিয়ে এনেছেন — কথাটি কে বলেছেন?
“মহাজনরা সাঁওতালদের ক্রীতদাসের স্তরে নামিয়ে এনেছেন” — কথাটি বলেছেন ব্র্যাডলে বার্ট।
দামিন-ই-কোহে কতজন সাঁওতাল বাস করত (1851 খ্রিস্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুযায়ী)?
দামিন-ই-কোহে প্রায় 83,000 জন সাঁওতাল বাস করত (1851 খ্রিস্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুযায়ী)।
কবে সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল?
সাঁওতাল বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল 1855 খ্রিস্টাব্দের 30 জুন।
বহিরাগত বাঙালি ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে কোন কোন্ পণ্য কিনে এনে চড়া দামে বিক্রি করত?
বহিরাগত বাঙালি ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে তেল, নুন প্রভৃতি পণ্য কিনে এনে চড়া দামে বিক্রি করত।
সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল কীভাবে?
সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল খাদ্য সামগ্রীর লুঠ বা ডাকাতি দিয়ে।
হুল কী?
হুল হলো সাঁওতালদের বিদ্রোহ।
হুল কবে গড়ে উঠে?
হুল গড়ে উঠে 1855 সালের জুন-জুলাই মাসে।
সাঁওতাল ও অন্যান্য উপজাতিদের ঐক্যের প্রতীক কী ছিল?
সাঁওতাল ও অন্যান্য উপজাতিদের ঐক্যের প্রতীক ছিল শালগাছ।
দিঘি থানার কোন্ দারোগাকে সাঁওতালরা হত্যা করে?
দিঘি থানার মহেশলাল দত্ত দারোগাকে সাঁওতালরা হত্যা করে।
সাঁওতালদের হাতিয়ার কী কী ছিল?
সাঁওতালদের হাতিয়ার ছিল বিষ মাখানো তির, ধনুক, কুঠার, তলোয়ার প্রভৃতি।
মাল ও ভুয়ান কী?
মাল ও ভুয়ান হলো দুটি উপজাতি যাঁরা সাঁওতাল বিদ্রোহে শামিল হয়েছিল।
কে সাঁওতালদের হাতে পরাজিত হন?
মেজর বারোস্ সাঁওতালদের হাতে পরাজিত হন।
সাঁওতাল বিদ্রোহ কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়েছিল?
সাঁওতাল বিদ্রোহ ভাগলপুর, সিংভূম, মুঙ্গের, হাজারিবাগ, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ছড়িয়ে পড়েছিল।
গোছ মাঝি কে ছিলেন?
গোছ মাঝি ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহকালে পাকুড়ের নেতা।
কাদের নেতৃত্বে পাকুড়ের রাজবাড়ি লুণ্ঠন হয়?
সিধু, কানহু, চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে পাকুড়ের রাজবাড়ি লুণ্ঠন হয়।
সাঁওতাল বিদ্রোহীরা কোথায় কোথায় ব্যাপক লুণ্ঠন চালায়?
সাঁওতাল বিদ্রোহীরা লক্ষ্মীপুর, লিটিপুরা, হিরণপুর, মানসিংহপুর, অম্বর পরগনা প্রভৃতি এলাকায় ব্যাপক লুণ্ঠন চালায়।
সাঁওতাল বিদ্রোহীরা কাদের কোনো ক্ষতি করেননি?
সাঁওতাল বিদ্রোহীরা কামার, কুমোর, ছুতোর, তেলি ও গয়লা — এই পাঁচ শ্রেণির মানুষের কোনো ক্ষতি করেননি।
কারা বিদ্রোহীদের তথ্য সরাবরাহ করত?
গোয়ালাদের একাংশ বিদ্রোহীদের তথ্য সরাবরাহ করত।
সাঁওতালরা গ্রাম লুঠ করে সেখানে কী রেখে যেতেন?
সাঁওতালরা গ্রাম লুঠ করে সেখানে চামড়া বাঁধা বাঁশ পুঁতে রেখে যেতেন।
সাঁওতাল বিদ্রোহ দমনে ইংরেজ সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছিল?
সাঁওতাল বিদ্রোহ দমনে ইংরেজ সরকার সামরিক বাহিনীর 7ম এবং 63তম পদাতিক বাহিনীকে নিয়োগ করেছিল।
সিধুকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল?
সিধুকে গ্রেফতার করার সাথে সাথে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
কানহু কোথায় ধরা পড়েন?
কানহু ধরা পড়েন উপেনবান্দায় (1856 খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি মাসে)।
কানহুর কী শাস্তি হয়?
কানহুর শাস্তি হয় ফাঁসি দেওয়া।
মহাজনরা সাঁওতালদের কাছ থেকে কত সুদ নিত?
মহাজনরা সাঁওতালদের কাছ থেকে 50-500 শতাংশ সুদ নিত।
ছোটো বাউ ও বড়ো বাউ কী?
ছোটো বাউ ও বড়ো বাউ হলো ওজনের হেরফেরযুক্ত বাটখারার নাম।
ফেডারিক হ্যাডসি সিলে কে ছিলেন?
ফেডারিক হ্যাডসি সিলে ছিলেন বাংলার ছোটো লাট।
সাঁওতাল বিদ্রোহে অন্য কোন্ মানুষেরা যোগ দিয়েছিলেন?
সাঁওতাল বিদ্রোহে মধ্য ও নিম্নবর্ণের বহু হিন্দুরা যোগ দিয়েছিলেন।
মাঝি পরগাইন, প্রামাণিক এঁরা কারা ছিলেন?
মাঝি পরগাইন, প্রামাণিক এঁরা ছিলেন সাঁওতাল গোষ্ঠীপতি।
খেরওয়ারি কী ধরনের আন্দোলন?
খেরওয়ারি হলো সাঁওতালদের একটি ধর্মীয় আন্দোলন।
সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন কারা?
সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন সিধু, কানহু, চাঁদ, ভৈরব, ডোমন মাঝি, কালো প্রামাণিক প্রমুখ।
কার বিশ্বাসঘাতকতায় সিধু ধরা পড়েছিলেন?
ভাগনা মাঝির বিশ্বাসঘাতকতায় সিধু ধরা পড়েছিলেন।
মুন্ডা বিদ্রোহ কবে শুরু হয়?
মুন্ডা বিদ্রোহ 1899 খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়।
মুন্ডা চাষিরা কার আহ্বানে বিদ্রোহের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে?
মুন্ডা চাষিরা বিরসা মুন্ডার আহ্বানে বিদ্রোহের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে।
মুন্ডারা কেমন মানুষ ছিলেন?
মুন্ডারা ছিলেন নিরীহ, সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ।
খুঁৎকাঠি প্রথা মানে কী?
খুঁৎকাঠি প্রথা মানে জমির যৌথ মালিকানা।
মাঝি হাম মানে কী?
মাঝি হাম মানে খাসজমি।
বেট বেগার বেগারি মানে কী?
বেট বেগার বেগারি মানে বিনা মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য করা।
মুন্ডাদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে চেষ্টা করেছিল এমন দুই মিশনারি সম্প্রদায়ের নাম লেখো।
মুন্ডাদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে চেষ্টা করেছিল লুথারান ও অ্যাংলিকান মিশনারি সম্প্রদায়।
The curious History of a Munda Fanatic গ্রন্থের লেখক কে?
The curious History of a Munda Fanatic গ্রন্থের লেখক শরৎ রায়।
কত খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার ছোটোনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন পাস করে?
ব্রিটিশ সরকার 1899 খ্রিস্টাব্দে ছোটোনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন পাস করে।
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে শেষ উল্লেখযোগ্য উপজাতি অভ্যুত্থান কোনটি?
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে শেষ উল্লেখযোগ্য উপজাতি অভ্যুত্থান হলো মুন্ডা বিদ্রোহ।
বিরসা মুন্ডার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর অনুগামীরা কোন্ সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছিল?
বিরসা মুন্ডার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর অনুগামীরা বিরসা সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছিল।
মুন্ডা বিদ্রোহের প্রভাবে ওরাওঁ সম্প্রদায় যে আন্দোলনটি শুরু করে তার নাম কী?
মুন্ডা বিদ্রোহের প্রভাবে ওরাওঁ সম্প্রদায় তানা ভগৎ আন্দোলন শুরু করে।
মুন্ডা উপজাতির লোকেরা কী কাজ করত?
মুন্ডা উপজাতির লোকেরা কৃষিকাজ করত।
বিরসা মুন্ডাকে তাঁর অনুগামীরা কী রূপে দেখত?
বিরসা মুন্ডাকে তাঁর অনুগামীরা ভগবান রূপে দেখত।
প্রথম জীবনে বিরসা কী কাজ শুরু করেছিলেন?
প্রথম জীবনে বিরসা ধর্মপ্রচারের কাজ শুরু করেছিলেন।
মুন্ডা বিদ্রোহীরা ব্রিটিশদের কার সঙ্গে তুলনা করেছিল?
মুন্ডা বিদ্রোহীরা ব্রিটিশদের রাবণের সঙ্গে তুলনা করেছিল।
বিরসা মুন্ডা গ্রেফতার হবার কতদিন পরে মুক্তি পান?
বিরসা মুন্ডা গ্রেফতার হবার 2 বছর পরে মুক্তি পান।
মুন্ডা বিদ্রোহ কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়েছিল?
মুন্ডা বিদ্রোহ রাঁচি, হাজারিবাগ, ছোটোনাগপুর ও সিংভূম অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল।
বিরসা মুন্ডার কবে মৃত্যু হয়?
বিরসা মুন্ডার মৃত্যু হয় 1900 খ্রিস্টাব্দে।
ওয়াহাবি কী?
ওয়াহাবি ছিল মুসলমানদের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী।
আরবে ওয়াহাবি গোষ্ঠীর প্রবর্তক কে?
আরবে ওয়াহাবি গোষ্ঠীর প্রবর্তক আব্দুল ওয়াহাব।
ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের পুরোধা কে ছিলেন?
ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি অঞ্চলের সৈয়দ আহমদ।
দার-উল-হারব কথার অর্থ কী?
দার-উল-হারব কথার অর্থ শত্রুর দেশ।
দার-উল-ইসলাম কথার অর্থ কী?
দার-উল-ইসলাম কথার অর্থ ধর্মরাজ্য বা ইসলামের দেশ।
কত খ্রিস্টাব্দে সৈয়দ আহমদ কলকাতায় আসেন?
সৈয়দ আহমদ 1821 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় আসেন।
মির নিসার আলির আরেক নাম কী?
মির নিসার আলির আরেক নাম তিতুমির।
তিতুমির কোন্ আদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন?
তিতুমির সৈয়দ আহমদের প্রভাবে ওয়াহাবি মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশে ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতৃত্ব কে দেন?
বাংলাদেশে ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মির নিসার আলি/তিতুমির।
প্রথম জীবনে তিতুমির কীসের কাজ করতেন?
প্রথম জীবনে তিতুমির নদিয়ার জমিদারের অধীনে লেঠেলের কাজ করতেন।
মক্কাতে হজ করতে গিয়ে তিতুমিরের কার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল?
মক্কাতে হজ করতে গিয়ে তিতুমিরের সৈয়দ আহমদের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল।
তিতুমির প্রথম দিকে কাদের কাছে ওয়াহাবি আদর্শ প্রচার করেন?
তিতুমির প্রথম দিকে দরিদ্র মুসলমান চাষি ও জেলেদের (তাঁতি) মধ্যে ওয়াহাবি আদর্শ প্রচার করেন।
কৃষ্ণদেব রায় কে ছিলেন?
কৃষ্ণদেব রায় ছিলেন একজন জমিদার।
তিতুমিরের অনুগামীরা নিজেদের কী বলে পরিচয় দিত?
তিতুমিরের অনুগামীরা নিজেদের হেদায়তি বলে পরিচয় দিত।
ধর্ম প্রচার ও ধর্ম সংস্কার লক্ষ্য হলেও তিতুমিরের আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য কী ছিল?
ধর্ম প্রচার ও সংস্কার ছাড়াও তিতুমিরের আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল উৎপীড়ক জমিদার ও নীলকরদের থেকে কৃষকদের মুক্ত করা এবং ইংরেজ বিতাড়ন।
তিতুমির কীসের রাজত্বের কথা ঘোষণা করেন?
তিতুমির দীন মহম্মদের রাজত্বের কথা ঘোষণা করেন।
কৃষ্ণদেব রায়ের সঙ্গে তিতুমিরের সংঘর্ষ বাধে কবে?
কৃষ্ণদেব রায়ের সঙ্গে তিতুমিরের সংঘর্ষ বাধে 6 নভেম্বর 1830 খ্রিস্টাব্দে।
ওয়াহাবি আন্দোলন কত খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে তীব্র আকার ধারণ করে?
ওয়াহাবি আন্দোলন 1831 খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে তীব্র আকার ধারণ করে।
কলভিন কে ছিলেন?
কলভিন ছিলেন বারাসতের যুগ্ম ম্যাজিস্ট্রেট।
কলভিন কবে তিতুমিরের বিরুদ্ধে সিপাহি ও বরকন্দাজ নিয়ে অগ্রসর হন?
কলভিন 1831 খ্রিস্টাব্দের 7 নভেম্বর তিতুমিরের বিরুদ্ধে সিপাহি ও বরকন্দাজ নিয়ে অগ্রসর হন।
গোলাম মাসুম কে ছিলেন?
গোলাম মাসুম ছিলেন তিতুমিরের প্রধান সেনাপতি তথা সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান।
বসিরহাট থানার দারোগাকে ওয়াহাবি বিদ্রোহীরা হত্যা করেছিল কেন?
বসিরহাট থানার দারোগাকে ওয়াহাবি বিদ্রোহীরা হত্যা করেছিল কারণ দারোগা রামরতন চক্রবর্তীর চক্রান্তেই জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র রায় মসজিদ পোড়ানোর অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পান।
তিতুমিরের বিদ্রোহ আর কী নামে পরিচিত?
তিতুমিরের বিদ্রোহ বারাসত বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
বিদ্রোহ ঘোষণা হতেই তিতুমির কী বলেন?
বিদ্রোহ ঘোষণা হতেই তিতুমির বলেন কোম্পানির সরকারের অবসান আসন্নপ্রায়।
তিতুমির বাঁশের কেল্লা তৈরি করেছিলেন কীসের প্রতীক হিসেবে?
তিতুমির বাঁশের কেল্লা তৈরি করেছিলেন সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে।
তিতুমির কী উপাধি ধারণ করেন?
তিতুমির বাদশা উপাধি ধারণ করেন।
তিতুমিরের অভিষেক অনুষ্ঠান কোথায় হয়?
তিতুমিরের অভিষেক অনুষ্ঠান হয় মইন উদ্দিনের বাড়িতে।
তিতুমিরের সদর দফতর কোথায় ছিল?
তিতুমিরের সদর দফতর ছিল নারকেলবেড়িয়ার বাঁশের কেল্লায়।
তিতুমিরের প্রধানমন্ত্রী পদে কে নিযুক্ত হন?
তিতুমিরের প্রধানমন্ত্রী পদে মইন উদ্দিন নামক একজন দরিদ্র জেলে নিযুক্ত হন।
মালগুজারি মানে কি?
মালগুজারি মানে খাজনা।
বাঁশের কেল্লা কীভাবে ধ্বংস হয়?
বাঁশের কেল্লা ধ্বংস হয় ব্রিটিশ বাহিনীর কামানের আঘাতে।
তিতুমিরের জীবনীকারের নাম কী?
তিতুমিরের জীবনীকারের নাম বিহারীলাল সরকার।
তিতুমিরের অনুগামীরা কীসের বিরোধী ছিলেন?
তিতুমিরের অনুগামীরা মূর্তিপূজা, পিরের পূজা ও মহাজনি কারবার কুসংস্কারের বিরোধী ছিলেন।
মিকিন শাহ কে ছিলেন?
মিকিন শাহ ছিলেন তিতুমিরের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান।
কে তিতুমিরকে নিয়ে গান লিখেছেন?
সাজন গাজি তিতুমিরকে নিয়ে গান লিখেছেন।
তিতুমিরের মৃত্যু হয় কত খ্রিস্টাব্দে?
তিতুমিরের মৃত্যু হয় 1831 খ্রিস্টাব্দে।
ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তক কে?
ফরাজি আন্দোলনের প্রবর্তক হাজি শরিয়ত উল্লাহ।
ফরাজি আন্দোলন কোথায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল?
ফরাজি আন্দোলন পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বাখরগঞ্জ জেলাতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
ফরাজি শব্দের অর্থ কী?
ফরাজি শব্দের অর্থ আল্লাহ্র আদেশ।
দুদু মিয়াঁ কে ছিলেন?
দুদু মিয়াঁ ছিলেন হাজি শরিয়ত উল্লাহের পুত্র এবং ফরাজি আন্দোলনের সংগঠক।
দুদু মিয়াঁর অন্য নাম কী?
দুদু মিয়াঁর অন্য নাম মহম্মদ মহসীন।
ফরাজিদের বেজুম্মাওয়ালা বলা হত কেন?
ফরাজিদের বেজুম্মাওয়ালা বলা হত কারণ তাঁরা জুম্মা প্রার্থনায় আপত্তি করতেন।
ফরাজি আন্দোলনের অন্য নাম কী?
ফরাজি আন্দোলনের অন্য নাম মিয়া আন্দোলন।
হাজি শরিয়ত উল্লাহের মতে ইংরেজ অধিকৃত ভারতবর্ষ কী ছিল?
হাজি শরিয়ত উল্লাহের মতে ইংরেজ অধিকৃত ভারতবর্ষ ছিল দার-উল-হারব।
আদি-ইসলামীয় সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন কে?
আদি-ইসলামীয় সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন হাজি শরিয়ত উল্লাহ।
দুদু মিয়াঁ জমি নিয়ে কী প্রচার করেছিলেন?
দুদু মিয়াঁ প্রচার করেছিলেন জমি আল্লাহ্র দান, সুতরাং সেখানে জমিদারের কর ধার্য করার অধিকার নেই।
দুদু মিয়ার আদর্শে কারা অনুপ্রাণিত হয়?
দুদু মিয়ার আদর্শে বহু মুসলিম কৃষক ও তাঁতি অনুপ্রাণিত হয়।
দুদু মিয়া যে প্রশাসনটি গড়ে তোলেন তার নাম কী?
দুদু মিয়া ফরাজি খিলাফত নামক প্রশাসন গড়ে তোলেন।
ফরাজি খিলাফতের শীর্ষব্যক্তিকে কী বলা হত?
ফরাজি খিলাফতের শীর্ষব্যক্তিকে বলা হত ওস্তাদ।
হচ্ছা কথার অর্থ কী?
হচ্ছা কথার অর্থ অঞ্চল।
দুদু মিয়ার প্রধান কার্যালয় কোথায় ছিল?
দুদু মিয়ার প্রধান কার্যালয় ছিল বাহাদুরপুরে।
ফরাজিরা জমিদারদের দুর্গা পূজার কর দিতেন না কেন?
ফরাজিরা জমিদারদের দুর্গা পূজার কর দিতেন না কারণ তাঁরা ছিলেন পৌত্তলিকতা বিরোধী।
ফরাজিরা পির ও মুরিদের নাম বদলে কী রাখেন?
ফরাজিরা পির ও মুরিদের নাম বদলে রাখেন ওস্তাদ ও কারিগর।
দুদু মিয়াঁ কবে সংগ্রাম ঘোষণা করেন?
দুদু মিয়াঁ 1838 খ্রিস্টাব্দে সংগ্রাম ঘোষণা করেন।
দুদু মিয়াঁ কত খ্রিস্টাব্দে গ্রেফতার হন?
দুদু মিয়াঁ 1847 খ্রিস্টাব্দে গ্রেফতার হন।
দুদু মিয়ার মৃত্যুর পর কে ফরাজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন?
দুদু মিয়ার মৃত্যুর পর নোয়া মিয়া ফরাজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
ভারতের প্রথম নীলকর কে ছিলেন?
ভারতের প্রথম নীলকর ছিলেন ফরাসি বণিক লুই বোনার্ড।
কে ভারতে প্রথম নীল শিল্প গড়ে তোলেন?
ইংরেজ বণিক কার্ল ব্ল্যাম ভারতে প্রথম নীল শিল্প গড়ে তোলেন।
নীল বিদ্রোহে কৃষকদের প্রধান প্রতিপক্ষ কারা ছিলেন?
নীল বিদ্রোহে কৃষকদের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন নীলকররা।
নীল বিদ্রোহে চাষি ছাড়াও কারা অংশ নেন?
নীল বিদ্রোহে চাষি ছাড়াও ছোটো জমিদাররা এবং কয়েকজন খ্রিস্টান মিশনারিও অংশ নেন।
শিল্পবিপ্লব কোন্ দেশে প্রথম হয়?
শিল্পবিপ্লব প্রথম হয় ইংল্যান্ডে।
বাংলায় নীল চাষ মূলত কারা প্রবর্তন করেন?
বাংলায় নীল চাষ মূলত প্রবর্তন করেন ইংরেজ বণিকরা।
ব্রিটিশ মূলধন সর্বপ্রথম কোন্ কাজে বিনিয়োগ করা হয়?
ব্রিটিশ মূলধন সর্বপ্রথম ভারতে নীলচাষে বিনিয়োগ করা হয়।
কোন আইনে শ্বেতাঙ্গরা ভারতে জমি কেনার অধিকার পান?
1833 খ্রিস্টাব্দের চার্টার আইনে শ্বেতাঙ্গরা ভারতে জমি কেনার অধিকার পান।
নীলকররা কেমন মানুষ ছিলেন?
নীলকররা ছিলেন অত্যন্ত ধূর্ত ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ।
নীলচাষ না করলে চাষিদের কী করা হত?
নীলচাষ না করলে চাষিদের ঘরে আটকে রেখে প্রহার করা হত।
নীলকররা গ্রামে কিছু রাস্তাঘাট করেছিলেন কেন?
নীলকররা গ্রামে কিছু রাস্তাঘাট করেছিলেন নিজেদের স্বার্থে।
দাদন নিলে কৃষকরা কীসে বাধ্য থাকত?
দাদন নিলে কৃষকরা নীল কুঠিতে উৎপাদিত নীল জমা দিতে বাধ্য থাকত।
তিন কাঠিয়া প্রথা কোথায় প্রবর্তিত হয়েছিল?
তিন কাঠিয়া প্রথা প্রবর্তিত হয়েছিল বিহারের চম্পারণে।
নীল বিদ্রোহের প্রথম শহিদ কে ছিলেন?
নীল বিদ্রোহের প্রথম শহিদ ছিলেন বিশ্বনাথ সর্দার বা বিশে ডাকাত।
স্যামুয়েল ফেডি কে ছিলেন?
স্যামুয়েল ফেডি ছিলেন নদিয়ার নীল কুঠিয়াল।
রেনি কোথাকার নীল কুঠিয়াল ছিলেন?
রেনি ছিলেন খুলনার নীল কুঠিয়াল।
নীল বিদ্রোহ কবে প্রথম শুরু হয়?
নীল বিদ্রোহ প্রথম শুরু হয় 1859 খ্রিস্টাব্দে।
নীলবিদ্রোহ প্রথম কোথায় হয়?
নীলবিদ্রোহ প্রথম হয় কৃষ্ণনগরের চৌগাছা গ্রামে।
নীল বিদ্রোহকালে বাংলার বেশিরভাগ জমিদার জোতদাররা কাকে সমর্থন করেছিল?
নীল বিদ্রোহকালে বাংলার বেশিরভাগ জমিদার জোতদাররা নীল বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছিল।
বাংলাদেশের ওয়াট-টাইলার কাদের বলা হত?
বাংলাদেশের ওয়াট-টাইলার বলা হত দিগম্বর বিশ্বাস ও বিচরণ বিশ্বাসদের।
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়।
নীল বিদ্রোহের কাহিনি কোন্ কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?
নীল বিদ্রোহের কাহিনি সমাচার চন্দ্রিকা, সমাচার দর্পণ ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
নীল দর্পণ নাটকটি কার লেখা?
নীল দর্পণ নাটকটি দীনবন্ধু মিত্রের লেখা।
নীল দর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ কে প্রকাশ করেন?
নীল দর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেন পাদ্রি জেমস লং সাহেব।
নীলচাষিদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যে কমিশনটি গঠিত হয় তার নাম কী?
নীলচাষিদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইন্ডিগো কমিশন গঠিত হয়।
1868 খ্রিস্টাব্দের অষ্টম আইনে কী বলা হয়?
1868 খ্রিস্টাব্দের অষ্টম আইনে নীল চুক্তি আইন রদ করা হয় এবং বলা হয় নীলচাষ সম্পূর্ণ চাষিদের ইচ্ছার ব্যাপার।
নীল বিদ্রোহের নেতৃত্ব কারা দিয়েছিলেন?
নীল বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মহেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাদের মোল্লা, রফিক মণ্ডল, মেঘাই সর্দার, বৈদ্যনাথ সর্দার, বিশ্বনাথ সর্দার, দিগম্বর বিশ্বাস, বিষুচরণ বিশ্বাস প্রমুখ।
মহাবিদ্রোহ কত খ্রিস্টাব্দে হয়?
মহাবিদ্রোহ 1857 খ্রিস্টাব্দে হয়।
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন
ভারতে প্রথম অরণ্য আইন পাস হয় –
- 1859 খ্রিস্টাব্দে
- 1860 খ্রিস্টাব্দে
- 1865 খ্রিস্টাব্দে
- 1878 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 3. 1865 খ্রিস্টাব্দে
ঔপনিবেশিক ভারতে ‘দ্বিতীয় অরণ্য আইন’ পাস হয় –
- 1870 খ্রিস্টাব্দে
- 1878 খ্রিস্টাব্দে
- 1880 খ্রিস্টাব্দে
- 1892 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 2. 1878 খ্রিস্টাব্দে
1878 খ্রিস্টাব্দের অরণ্য আইনে অরণ্যকে ভাগ করা হয় –
- দুটি স্তরে
- তিনটি স্তরে
- চারটি স্তরে
- পাঁচটি স্তরে
উত্তর – 2. তিনটি স্তরে
চুয়াড় বিদ্রোহ হয়েছিল –
- মেদিনীপুরে
- কলকাতায়
- মুরশিদাবাদে
- নদিয়ায়
উত্তর – 1. মেদিনীপুরে
ধাদকার শ্যামগঞ্জন যে বিদ্রোহের নেতা ছিলেন, তার নাম –
- মুন্ডা বিদ্রোহ
- সাঁওতাল বিদ্রোহ
- কোল বিদ্রোহ
- চুয়াড় বিদ্রোহ
উত্তর – 4. চুয়াড় বিদ্রোহ
দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহের নেতা ছিলেন –
- সিধু
- তিতুমির
- বিরসা মুন্ডা
- দুর্জন সিং
উত্তর – 4. দুর্জন সিং
কোল বিদ্রোহ (1831-1832 খ্রিস্টাব্দ) অনুষ্ঠিত হয়েছিল –
- মেদিনীপুরে
- ঝাড়গ্রামে
- ছোটোনাগপুরে
- রাঁচিতে
উত্তর – 3. ছোটোনাগপুরে
সুই মুন্ডা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন –
- চুয়াড় বিদ্রোহ
- কোল বিদ্রোহ
- সাঁওতাল হুল
- মুন্ডা বিদ্রোহ
উত্তর – 2. কোল বিদ্রোহ
কোল বিদ্রোহ হয়েছিল –
- 1707 খ্রিস্টাব্দে
- 1731-1732 খ্রিস্টাব্দে
- 1831 খ্রিস্টাব্দে
- 1931 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 3. 1831 খ্রিস্টাব্দে
দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি গঠন করা হয় –
- কোল বিদ্রোহের পরে
- মুন্ডা বিদ্রোহের পরে
- সাঁওতাল বিদ্রোহের পরে
- ভিল বিদ্রোহের পরে
উত্তর – 1. কোল বিদ্রোহের পরে
সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়েছিল –
- 1809 খ্রিস্টাব্দে
- 1855 খ্রিস্টাব্দে
- 1857 খ্রিস্টাব্দে
- 1865 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 2. 1855 খ্রিস্টাব্দে
সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা হলেন –
- সিধু
- ধীরেন্দ্রনাথ
- বুদ্ধু ভগত
- ঝিন্দরাই মানকি
উত্তর – 1. সিধু
সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়েছিল –
- নারকেলবেড়িয়ায়
- চট্টগ্রামে
- ভগনাডিহিতে
- বারাসতে
উত্তর – 3. ভগনাডিহিতে
সাঁওতালদের ঐক্যবদ্ধকরণের প্রতীকী রূপ ছিল –
- শালগাছ
- সেগুন গাছ
- শিমুল গাছ
- কোনোটিই নয়
উত্তর – 1. শালগাছ
সাঁওতালদের কাছ থেকে পণ্য কেনার জন্য ব্যবহার করা হত যে বাটখারা, তার নাম –
- কেনারাম
- গিরা
- বেচারাম
- চার
উত্তর – 1. কেনারাম
সাঁওতালদের কাছে পণ্য বিক্রয় করার জন্য ব্যবহার করা হত যে বাটখারা, তার নাম –
- কেনারাম
- বেচারাম
- গিরা
- চার
উত্তর – 2. বেচারাম
সাঁওতাল বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী দুটি উপজাতি গোষ্ঠী হল –
- মুন্ডা ও হো
- হো ও ভুয়ান
- ওঁরাও ও মুন্ডা
- মাল ও ভুয়ান
উত্তর – 4. মাল ও ভুয়ান
খেরওয়ার বলতে বোঝায় –
- প্রলয়ের দিন
- সাঁওতালদের স্বাধীন সত্তা
- ঈশ্বর প্রদর্শিত পথ
- নবজাগরণ
উত্তর – 2. সাঁওতালদের স্বাধীন সত্তা
সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল ভারতের প্রথম মুক্তিসংগ্রাম’। এটি বলেছেন –
- নরহরি কবিরাজ
- রমেশচন্দ্র মজুমদার
- বরুণ দে
- সুপ্রকাশ রায়
উত্তর – 4. সুপ্রকাশ রায়
কোন্ বিদ্রোহ ‘উলগুলান’ নামে পরিচিত?
- মুন্ডা
- সাঁওতাল
- কোল
- ভিল
উত্তর – 1. মুন্ডা
মুন্ডা বিদ্রোহ হয়েছিল-
- 1810-1811 খ্রিস্টাব্দে
- 1855 খ্রিস্টাব্দে
- 1885 খ্রিস্টাব্দে
- 1899-1900 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 4. 1899-1900 খ্রিস্টাব্দে
মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা ছিলেন –
- সুই মুন্ডা
- সিধু
- বিরসা মুন্ডা
- মঙ্গল পাণ্ডে
উত্তর – 3. বিরসা মুন্ডা
সিং বোডা হল –
- সূর্য দেবতা
- বায়ুদেবতা
- জলদেবতা
- আকাশ দেবতা
উত্তর – 1. সূর্য দেবতা
মুন্ডা সমাজে ‘সিং বোঙা’ বা ‘সূর্য দেবতা’ নামে পূজিত হন –
- সুগান মুন্ডা
- বিরসা মুন্ডা
- সুই মুন্ডা
- সিং মুন্ডা
উত্তর – 2. বিরসা মুন্ডা
ধরতি আবা কথার অর্থ হল –
- পৃথিবীর পিতা
- একমাত্র নেতা
- পৃথিবীর ভগবান
- পৃথিবীর মালিক
উত্তর – 1. পৃথিবীর পিতা
বিরসা মুন্ডা মারা যান –
- কলেরা রোগে
- যক্ষ্মা রোগে
- কুষ্ঠ রোগে
- অনাহারে
উত্তর – 1. কলেরা রোগে
ডিং খরচা নামে চাঁদা সংগ্রহ করা হত –
- কোল বিদ্রোহে
- ভিল বিদ্রোহে
- রংপুর বিদ্রোহে
- পাবনা বিদ্রোহে
উত্তর – 3. রংপুর বিদ্রোহে
রংপুর বিদ্রোহে নুরুলউদ্দিনের সহকারী ছিলেন-
- দয়ারাম শীল
- শিউরাম
- দেবী সিংহ
- তিতুমির
উত্তর – 1. দয়ারাম শীল
ভিল বিদ্রোহ হয়েছিল –
- 1819 খ্রিস্টাব্দে
- 1839 খ্রিস্টাব্দে
- 1858 খ্রিস্টাব্দে
- 1898 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 1. 1819 খ্রিস্টাব্দে
ভিল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন –
- জোয়া ভগত
- মজনু শাহ
- ভৈরব
- শিউরাম
উত্তর – 4. শিউরাম
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ শুরু হয় –
- 1763 খ্রিস্টাব্দে
- 1797 খ্রিস্টাব্দে
- 1855 খ্রিস্টাব্দে
- 1900 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 1. 1763 খ্রিস্টাব্দে
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের অন্যতম নেতা ছিলেন –
- রানি কর্ণাবতী
- রানি শিরোমণি
- দেবী চৌধুরাণী
- রানি দুর্গাবতী
উত্তর – 3. দেবী চৌধুরাণী
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহকে ‘পেশাদার ডাকাতদের উপদ্ৰৰ’ বলেছেন –
- উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক
- ওয়ারেন হেস্টিংস
- লর্ড কর্নওয়ালিস
- উইলিয়ম হান্টার
উত্তর – 1. উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক
ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন –
- সৈয়দ আহমদ
- দুদু মিঞা
- মজনু শাহ
- শরিয়ৎউল্লাহ
উত্তর – 1. সৈয়দ আহমদ
বারাসত বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন –
- দুদু মিঞা
- দিগম্বর বিশ্বাস
- তিতুমির
- বিরসা মুন্ডা
উত্তর – 3. তিতুমির
তিতুমিরের প্রকৃত নাম ছিল –
- চিরাগ আলি
- হায়দার আলি
- মির নিশার আলি
- তোরাপ আলি
উত্তর – 3. মির নিশার আলি
বালাকোটের যুদ্ধে ওয়াহাবিরা পরাজিত হয় –
- শিখদের কাছে
- গোর্খাদের কাছে
- মারাঠিদের কাছে
- ব্রিটিশদের কাছে
উত্তর – 1. শিখদের কাছে
হাজি শরিয়ৎউল্লাহ ফরাজি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করেন-
- 1818 খ্রিস্টাব্দে
- 1820 খ্রিস্টাব্দে
- 1850 খ্রিস্টাব্দে
- 1855 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 2. 1820 খ্রিস্টাব্দে
ফরাজি আন্দোলনের অপর নাম –
- তারিকা-ই-মহম্মদীয়া
- মিঞা আন্দোলন
- পাগলী আন্দোলন
- আগস্ট আন্দোলন
উত্তর – 2. মিঞা আন্দোলন
ফরাজি আন্দোলনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল –
- ইংরেজদের অত্যাচারের প্রতিবাদ করা
- সংস্কারসাধন করা
- ইসলাম ধর্মের সংস্কারসাধন
- কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলা
উত্তর – 3. ইসলাম ধর্মের সংস্কারসাধন
পাগলপন্থী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন –
- মজনু শাহ
- করিম শাহ
- দুদু মিঞা
- তিতুমির
উত্তর – 2. করিম শাহ
পাগলপন্থী বিদ্রোহ হয়েছিল –
- ঢাকাতে
- যশোহরে
- খুলনাতে
- ময়মনসিংহে
উত্তর – 4. ময়মনসিংহে
ভারতে প্রথম নীলচাষ শুরু হয় –
- 1777 খ্রিস্টাব্দে
- 1797 খ্রিস্টাব্দে
- 1859 খ্রিস্টাব্দে
- 1860 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 1. 1777 খ্রিস্টাব্দে
ভারতের প্রথম নীলকর হলেন –
- জেমস মিল
- মেকলে
- লুই বোনার্ড
- ডেইট্রিক ব্রান্ডিস
উত্তর – 3. লুই বোনার্ড
ভারতে সর্বপ্রথম নীল শিল্প গড়ে তোলেন যে ইংরেজ বণিক –
- লুই বোনার্ড
- উইলিয়ম হান্টার
- জেমস লঙ
- কার্ল ব্ল্যাম
উত্তর – 4. কার্ল ব্ল্যাম
1859 খ্রিস্টাব্দে প্রথম নীল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল –
- নদিয়ায়
- বীরভূমে
- বর্ধমানে
- মালদহে
উত্তর – 1. নদিয়ায়
নীল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন –
- বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস
- লুই বোনার্ড
- দীনবন্ধু মিত্র
- মধুসূদন দত্ত
উত্তর – 1. বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস
বাংলাদেশের ‘ওয়াট-টাইলার’ নামে পরিচিত ছিলেন-
- দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস
- ভবানী পাঠক
- মজনু শাহ
- দীনবন্ধু মিত্র
উত্তর – 1. দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস
বাংলার নানাসাহেব বলা হয় –
- রামরতন মল্লিককে
- হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়কে
- দিগম্বর বিশ্বাসকে
- দীনবন্ধু মিত্রকে
উত্তর – 1. রামরতন মল্লিককে
পাবনা বিদ্রোহের নেতা ছিলেন –
- ঈশানচন্দ্র রায়
- দিগম্বর বিশ্বাস
- রফিক মণ্ডল
- নুরুলউদ্দিন
উত্তর – 1. ঈশানচন্দ্র রায়
পাবনা বিদ্রোহের খবর প্রকাশিত হয় –
- গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা পত্রিকায়
- বঙ্গদর্শন পত্রিকায়
- সমাচারদর্পণ পত্রিকায়
- বামাবোধিনী পত্রিকায়
উত্তর – 1. গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা পত্রিকায়
শূন্যস্থান পূরণ করো।
___ -এর অধীনে প্রথম বন বিভাগ স্থাপিত হয়েছিল।
উত্তর – ডেইট্রিক ব্রান্ডিস -এর অধীনে প্রথম বন বিভাগ স্থাপিত হয়েছিল।
ভয়েলকার ভারতে আসেন ___ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর – ভয়েলকার ভারতে আসেন 1894 খ্রিস্টাব্দে।
চুয়াড় শব্দটি এসেছে ___ শব্দ থেকে।
উত্তর – চুয়াড় শব্দটি এসেছে চার শব্দ থেকে।
চুয়াড়রা পাইক হিসেবে কাজ করে বিনিময়ে জমিদারদের কাছ থেকে যে জমি লাভ করত, তাকে বলা হত ___ জমি।
উত্তর – চুয়াড়রা পাইক হিসেবে কাজ করে বিনিময়ে জমিদারদের কাছ থেকে যে জমি লাভ করত, তাকে বলা হত পাইকান জমি।
চুয়াড় বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল ___ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর – চুয়াড় বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল 1798 খ্রিস্টাব্দে।
মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ নামে পরিচিত ছিলেন ___।
উত্তর – মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ নামে পরিচিত ছিলেন রানি শিরোমণি।
চাইবাসার যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি ছিলেন ___।
উত্তর – চাইবাসার যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি ছিলেন রোগসেস।
___ উপজাতির লোকেরা কৃষিজমিকে ‘ঈশ্বরপ্রদত্ত’ বলে মনে করত।
উত্তর – কোল উপজাতির লোকেরা কৃষিজমিকে ‘ঈশ্বরপ্রদত্ত’ বলে মনে করত।
রাঁচি জেলার ___ ও ___ সম্প্রদায় প্রথম কোল বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল।
উত্তর – রাঁচি জেলার মুন্ডা ও ওঁরাও সম্প্রদায় প্রথম কোল বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল।
কোল উপজাতির ___ চাষের সঙ্গে ঐতিহ্যগত বিরোধ ছিল।
উত্তর – কোল উপজাতির আফিম চাষের সঙ্গে ঐতিহ্যগত বিরোধ ছিল।
সুই মুন্ডা ছিলেন ___ বিদ্রোহের অন্যতম নেতা।
উত্তর – সুই মুন্ডা ছিলেন কোল বিদ্রোহের অন্যতম নেতা।
কোলদের জন্য ‘দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি’ গঠন করা হয় ___ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর – কোলদের জন্য ‘দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি’ গঠন করা হয় 1834 খ্রিস্টাব্দে।
আদিবাসী সাঁওতালদের একটি ধর্মীয় আন্দোলন হল ___।
উত্তর – আদিবাসী সাঁওতালদের একটি ধর্মীয় আন্দোলন হল খেরওয়ারি।
হুল কথাটির অর্থ হল ___।
উত্তর – হুল কথাটির অর্থ হল বিদ্রোহ।
চল্ চল্ ভগনাডিহি’ – এই আহ্বান দিয়েছিল ___।
উত্তর – চল্ চল্ ভগনাডিহি’ – এই আহ্বান দিয়েছিল সিধু ও কানু।
The Santal Insurrection of 1855-1857 গ্রন্থটি লিখেছেন ___।
উত্তর – The Santal Insurrection of 1855-1857 গ্রন্থটি লিখেছেন কালীকিংকর দত্ত।
সাঁওতাল বিদ্রোহকে ‘নিম্নশ্রেণির গণবিদ্রোহ’ বলে অভিহিত করেছেন ___।
উত্তর – সাঁওতাল বিদ্রোহকে ‘নিম্নশ্রেণির গণবিদ্রোহ’ বলে অভিহিত করেছেন নরহরি কবিরাজ।
বর্তমানে ___ বিদ্রোহের স্মরণে ‘হুল দিবস’ পালিত হয়।
উত্তর – বর্তমানে সাঁওতাল বিদ্রোহের স্মরণে ‘হুল দিবস’ পালিত হয়।
মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান কেন্দ্র ছিল ___।
উত্তর – মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান কেন্দ্র ছিল রাঁচি।
মুন্ডারা রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে প্রতিবাদপত্র প্রেরণ করে ___ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর – মুন্ডারা রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে প্রতিবাদপত্র প্রেরণ করে 1886 খ্রিস্টাব্দে।
বিরসা মুন্ডা ___ খ্রিস্টাব্দে মুন্ডাদের উদ্দেশে ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার ডাক দেন।
উত্তর – বিরসা মুন্ডা 1895 খ্রিস্টাব্দে মুন্ডাদের উদ্দেশে ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার ডাক দেন।
Birsha Munda and His Movement 1874-1901 গ্রন্থের লেখক হলেন ___।
উত্তর – Birsha Munda and His Movement 1874-1901 গ্রন্থের লেখক হলেন কুমার সুরেশ সিং।
মধ্য ভারতে খান্দেশ -এর ভিল বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ___।
উত্তর – মধ্য ভারতে খান্দেশ -এর ভিল বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শিউরাম।
ভিল বিদ্রোহ দমনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন ___।
উত্তর – ভিল বিদ্রোহ দমনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন জেনারেল আউট্রাম।
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের সূচনা হয় ___।
উত্তর – সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের সূচনা হয় ঢাকায়।
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ফকিরদের ক্ষোভের কারণ ছিল ___।
উত্তর – সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ফকিরদের ক্ষোভের কারণ ছিল তীর্থকর।
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের একজন নেতা ছিলেন ___।
উত্তর – সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের একজন নেতা ছিলেন ভবানী পাঠ।
নাটোরের জমিদার ___ সন্ন্যাসী-ফকিরদের বিদ্রোহে সমর্থন জানাননি।
উত্তর – নাটোরের জমিদার রানি ভবানী সন্ন্যাসী-ফকিরদের বিদ্রোহে সমর্থন জানাননি।
দার-উল-হারব কথার অর্থ হল ___।
উত্তর – দার-উল-হারব কথার অর্থ হল বিধর্মীদের দেশ।
ওয়াহাবি’ বলতে বোঝায় ___।
উত্তর – ওয়াহাবি’ বলতে বোঝায় নবজাগরণ।
মালগুজারি কথার অর্থ হল ___।
উত্তর – মালগুজারি কথার অর্থ হল খাজনা।
বাংলায় ‘ওয়াহাবি আন্দোলন’ -এর সময় গভর্নর-জেনারেল ছিলেন ___।
উত্তর – বাংলায় ‘ওয়াহাবি আন্দোলন’ -এর সময় গভর্নর-জেনারেল ছিলেন উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক।
___ ছিলেন বারাসত বিদ্রোহের নেতা।
উত্তর – তিতুমির ছিলেন বারাসত বিদ্রোহের নেতা।
তিতুমিরের অনুগামীরা নিজেদের ___ নামে ডাকতেন।
উত্তর – তিতুমিরের অনুগামীরা নিজেদের হেদায়েতী নামে ডাকতেন।
হেদায়েতী কথার অর্থ ___।
উত্তর – হেদায়েতী কথার অর্থ সঠিক পথে পরিচালনা।
তিতুমিরের আন্দোলন ছিল ‘অন্ধ মুসলিম জেহাদ’ বলেছেন ___।
উত্তর – তিতুমিরের আন্দোলন ছিল ‘অন্ধ মুসলিম জেহাদ’ বলেছেন অভিজিৎ দত্ত।
জমি আল্লাহর দান, বলেছিলেন ___।
উত্তর – জমি আল্লাহর দান, বলেছিলেন দুদু মিঞা।
The Annals of Rural Bengal, 1868 গ্রন্থটির লেখক হলেন ___।
উত্তর – The Annals of Rural Bengal, 1868 গ্রন্থটির লেখক হলেন উইলিয়ম হান্টার।
ফরাজি আন্দোলনকারীদের ‘লাল প্রজাতন্ত্রী’ বলেছেন ___।
উত্তর – ফরাজি আন্দোলনকারীদের ‘লাল প্রজাতন্ত্রী’ বলেছেন উইলিয়ম হান্টার।
পাগলপন্থী আদর্শের প্রবর্তন করেন ___।
উত্তর – পাগলপন্থী আদর্শের প্রবর্তন করেন ফকির করিম শাহ।
পাগলপন্থী বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন ___।
উত্তর – পাগলপন্থী বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন টিপু শাহ।
ডেপুটি কালেক্টর ডানবার -এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল ___।
উত্তর – ডেপুটি কালেক্টর ডানবার -এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল পাগলপন্থীরা।
রাসায়নিক পদ্ধতিতে নীল উৎপাদন শুরু হয় ___ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর – রাসায়নিক পদ্ধতিতে নীল উৎপাদন শুরু হয় 1892 খ্রিস্টাব্দে।
দাদন কথার অর্থ হল ___।
উত্তর – দাদন কথার অর্থ হল অগ্রিম অর্থ।
বেএলাকা চাষ বা রায়তি আবাদ -এর ধারণা যুক্ত ছিল ___ চাষের সঙ্গে।
উত্তর – বেএলাকা চাষ বা রায়তি আবাদ -এর ধারণা যুক্ত ছিল নীল চাষের সঙ্গে।
নীল বিদ্রোহের প্রথম শহিদ ছিলেন ___।
উত্তর – নীল বিদ্রোহের প্রথম শহিদ ছিলেন বিশ্বনাথ সর্দার।
নীল বিদ্রোহের সমর্থনে ___ সংবাদপত্র দাঁড়িয়েছিল।
উত্তর – নীল বিদ্রোহের সমর্থনে হিন্দু প্যাট্রিয়ট সংবাদপত্র দাঁড়িয়েছিল।
গ্রামে গ্রামে ঘুরে নীলচাষিদের দুর্দশার কাহিনি নিয়ে সংবাদপত্রে লেখালেখি করতেন ___।
উত্তর – গ্রামে গ্রামে ঘুরে নীলচাষিদের দুর্দশার কাহিনি নিয়ে সংবাদপত্রে লেখালেখি করতেন শিশির কুমার ঘোষ।
নীল কমিশন গঠিত হয় ___ উদ্যোগে।
উত্তর – নীল কমিশন গঠিত হয় জে পি গ্রান্টের উদ্যোগে।
নীলচুক্তি আইন রদ করা হয় ___ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর – নীলচুক্তি আইন রদ করা হয় 1868 খ্রিস্টাব্দে।
প্রথম পাবনা বিদ্রোহ শুরু হয় ___ পরগনায়।
উত্তর – প্রথম পাবনা বিদ্রোহ শুরু হয় ইউসুফজাই পরগনায়।
ক-স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো।
ক-স্তম্ভ | খ-স্তম্ভ | উত্তর |
1. চুয়াড় বিদ্রোহ | A. জোয়া ভগত | 1. → 3. |
2. কোল বিদ্রোহ | B. বিরসা মুন্ডা | 2. → 1. |
3. সাঁওতাল বিদ্রোহ | C. দুর্জন সিং | 3. → 4. |
4. মুন্ডা বিদ্রোহ | D. সিধু | 4. → 2. |
ক-স্তম্ভ | খ-স্তম্ভ | উত্তর |
1. 1763 খ্রিস্টাব্দ | A. সাঁওতাল বিদ্রোহ | 1. → 2. |
2. 1798 খ্রিস্টাব্দ | B. সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ। | 2. → 3. |
3. 1831 খ্রিস্টাব্দ | C. চুয়াড় বিদ্রোহ | 3. → 4. |
4. 1855 খ্রিস্টাব্দ | D. কোল বিদ্রোহ | 4. → 1. |
নীচের বিবৃতিগুলির কোনটি ঠিক কোনটি ভুল বেছে নাও।
চুয়াড় বিদ্রোহের নেতা ছিলেন দুর্জন সিং।
উত্তর – ঠিক।
চুয়াড় বিদ্রোহের পর জঙ্গলমহল জেলা তৈরি করা হয়।
উত্তর – ঠিক।
কোল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন বিরসা মুন্ডা।
উত্তর – ভুল।
সঠিক উত্তর – কোল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন বুদ্ধু ভগত।
মুন্ডা বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে মহাশ্বেতা দেবী রচনা করেন ‘অরণ্যের অধিকার’।
উত্তর – ঠিক।
সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন বিরসা মুন্ডা।
উত্তর – ভুল।
সঠিক উত্তর – সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন সিধু ও কানু।
ভগনাডিহির মাঠে সাঁওতালরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
উত্তর – ঠিক।
রংপুর বিদ্রোহ হয়েছিল 1883 খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর – ভুল।
সঠিক উত্তর – রংপুর বিদ্রোহ হয়েছিল 1783 খ্রিস্টাব্দে।
রংপুর বিদ্রোহ হয়েছিল কোম্পানির ইজারাদার দেবী সিংহের বিরুদ্ধে।
উত্তর – ঠিক।
রংপুর বিদ্রোহের নেতা ছিলেন নুরুলউদ্দিন।
উত্তর – ঠিক।
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল 1863 খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর – ভুল।
সঠিক উত্তর – সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল 1763 খ্রিস্টাব্দে।
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের নেতা ছিলেন ভবানী পাঠক।
উত্তর – ঠিক।
ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃত নাম তারিকা-ই-মহম্মদীয়া।
উত্তর – ঠিক।
ওয়াহাবি কথার অর্থ হল ইসলাম নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্তব্য।
উত্তর – ভুল।
সঠিক উত্তর – ওয়াহাবি কথার অর্থ হল নবজাগরণ।
ভারতে শাহ ওয়ালিউল্লাহ ওয়াহাবি আন্দোলন শুরু করেন।
উত্তর – ঠিক।
ভারতে ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সৈয়দ আহমদ ব্রেলভি।
উত্তর – ঠিক।
1731 খ্রিস্টাব্দে বালাকোটের যুদ্ধে সৈয়দ আহমদ নিহত হন।
উত্তর – ভুল।
সঠিক উত্তর – 1831 খ্রিস্টাব্দে বালাকোটের যুদ্ধে সৈয়দ আহমদ নিহত হন।
বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন মির নিশার আলি বা তিতুমির।
উত্তর – ঠিক।
মির নিশার আলি বাঁশের কেল্লা বানিয়েছিলেন।
উত্তর – ঠিক।
ফরাজি একটি প্রাচীন উপজাতির নাম।
উত্তর – ভুল।
সঠিক উত্তর – ফরাজি একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নাম।
নীচের বিবৃতিগুলির সঙ্গে তার নীচের কোন ব্যাখ্যাটি সবচেয়ে মানানসই খুঁজে নাও।
বিবৃতি: কোম্পানি সরকার অরণ্য আইন চালু করেছিল।
ব্যাখ্যা 1: দেশের জাতীয়তাবোধে আঘাত করেছিল।
ব্যাখ্যা 2: আদিবাসীদের জীবন-জীবিকায় আঘাত করেছিল।
ব্যাখ্যা 3: বুদ্ধিজীবীদের সংগঠিত করেছিল।
উত্তর – ব্যাখ্যা 2: আদিবাসীদের জীবন-জীবিকায় আঘাত করেছিল।
বিবৃতি: 1855 খ্রিস্টাব্দে সাঁওতালরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
ব্যাখ্যা 1: সাঁওতালরা খুব কলহপ্রিয় জাতি।
ব্যাখ্যা 2: সাঁওতালরা ঔপনিবেশিক শাসক, জমিদার, ইজারাদার, মহাজনদের অত্যাচার ও শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিদ্রোহ করেছিল।
ব্যাখ্যা 3: সাঁওতালরা দিল্লির সিংহাসন দখল করতে চেয়েছিল।
উত্তর – ব্যাখ্যা 2: সাঁওতালরা ঔপনিবেশিক শাসক, জমিদার, ইজারাদার, মহাজনদের অত্যাচার ও শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিদ্রোহ করেছিল।
বিবৃতি: তিতুমিরের আন্দোলনকে কেউ কেউ ‘ধর্মীয় আন্দোলন’ বলে মনে করেন।
ব্যাখ্যা 1: তিতুমির হিন্দুদের আন্দোলনে অংশ নিতে দেননি।
ব্যাখ্যা 2: তিতুমির শুধু মুসলিমদের নিয়ে আন্দোলন চালান।
ব্যাখ্যা 3: তিতুমিরের আন্দোলনে ইসলামের নীতি আদর্শের প্রাধান্য ছিল।
উত্তর – ব্যাখ্যা 3: তিতুমিরের আন্দোলনে ইসলামের নীতি আদর্শের প্রাধান্য ছিল।
আজকের আর্টিকেলে আমরা দশম শ্রেণির ইতিহাস বইয়ের তৃতীয় অধ্যায় “প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ” এর “অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন” থেকে পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো দশম শ্রেণির মাধ্যমিক পরীক্ষা, এমনকি চাকরি বা যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্যও উপযোগী। কারণ, এই অধ্যায়ের প্রশ্ন প্রায়ই বিভিন্ন পরীক্ষায় কমন আসে।
আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। যদি কোনো প্রশ্ন, মতামত বা সাহায্যের প্রয়োজন হয়, নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন কিংবা টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন—আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি সর্বদা প্রস্তুত।
ধন্যবাদ সবাইকে।
মন্তব্য করুন