মাধ্যমিক ভূগোল – বর্জ্য ব্যবস্থাপনা – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

আমাদের প্রতিদিনের বাতিল করে দেওয়া পদার্থকে জঞ্জাল বলা হয়। রান্নাঘরের আবর্জনা, শিল্পের আবর্জনা, কৃষি আবর্জনা হল জঞ্জালের উদাহরণ।

যেসব দাহ্য বা অদাহ্য কঠিন বর্জ্য পদার্থ ব্যবহারের পর বাতিল বা প্রত্যাখ্যান করা হয় তাকে রাবিশ বলে। কাগজ, কাঠ, রাবার, বিভিন্ন ধাতু, কাচ এসবই হল বিভিন্ন প্রকার রাবিশ।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই, রং, রাসায়নিক দ্রব্য, আকরিক নিষ্কাশন প্রক্রিয়ায় নির্গত বিভিন্ন ধাতু, এসব হল কারখানার বর্জ্য বস্তু। এসব বস্তু সরাসরি প্রকৃতিতে ফিরে এলে পরিবেশের খুব ক্ষতি হয়।

চিকিৎসাক্ষেত্র থেকে নির্গত বর্জ্য হল চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য। ওষুধের ফয়েল, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, বাতিল ওষুধ, তুলো, রক্তমাখা গজ, টেস্ট টিউব, কাচ, কাটা প্লাস্টার ইত্যাদি হল চিকিৎসা-সংক্রান্ত বর্জ্য। এর মধ্যে ক্যাথিটার, ইঞ্জেকশনের সূচ হল বিষাক্ত বর্জ্য।

সাধারণভাবে শহরের কাছে, নীচু খোলা জমিতে বর্জ্য উন্মুক্তভাবে ফেলে রাখাকে ওপেন ডাম্পিং বা উন্মুক্ত বর্জ্য জমা বলা হয়। এই পদ্ধতির খরচ খুব কম এবং রক্ষণাবেক্ষণেও তেমন খরচ হয় না। কলকাতার ধাপার মাঠে এমন ওপেন ডাম্পিং-এর ব্যবস্থা রয়েছে।

জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য বলতে সেইসব বর্জ্যকে বোঝায় যেগুলি মাটি বা জলের মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়োজিত হতে পারে। সবজি, পাতা, ফল, ফুল ইত্যাদি বর্জ্য এই ধরনের।

যেসব বর্জ্য পদার্থ জীব দ্বারা বিশ্লেষিত না হয়ে প্রকৃতিতে একইরকমভাবে থেকে যায় তাকে জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য বলা হয়। প্লাস্টিক, কাচ, পলিথিন, ডিডিটি এই ধরনের বর্জ্য। এরা পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে।

জীবজগতের ওপর যেসব বর্জ্য খারাপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, তাকে বিষাক্ত বর্জ্য বলা হয়। বিষাক্ত বর্জ্যও জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য। ডিডিটি, প্লাস্টিক, কীটনাশক প্রভৃতি হল বিষাক্ত বর্জ্য।

যেসব বর্জ্য জীবজগতের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে না, তাকে অবিষাক্ত বর্জ্য বলা হয়। এসব বর্জ্য মূলতঃ জীব বিশ্লেষ্য পদার্থ। খাবারের অবশিষ্ট অংশ, বা বাড়িতে উৎপাদিত জৈব বর্জ্য, কৃষিতে সৃষ্ট বর্জ্য এই ধরনের বর্জ্য।

বাড়ির ছেঁড়া কাপড়, কাগজ, বাতিল পদার্থকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলাই হল বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার। বর্তমানে এই বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃষ্টির জল ল্যান্ডফিলের বর্জ্য পদার্থ ধুয়ে জলাশয়ে বা ভৌমজলে মেশে। এইসব ময়লা ধোয়া বা বর্জ্য ধোয়া জলকে লিচেট (leachate) বলে। লিচেট জল ভৌমজলকে দূষিত করে, নদী, পুকুরের জলকেও দূষিত করে দেয়।

পুনঃচক্রীকরণ হল কোনো বর্জ্যকে একেবারে পরিত্যাগ না করে তা থেকে নতুন দ্রব্য নির্মাণ করা। ভাঙা কাচ, ছেঁড়া কাপড়, টায়ার, প্লাস্টিক দ্রব্যকে একেবারে বাতিল না করে সেগুলি থেকে আবার নতুন দ্রব্য বানানো যায়। যেমন— ভাঙা কাচ থেকে নতুন কাচের দ্রব্য, ছেঁড়া কাপড় থেকে কাগজ তৈরি প্রভৃতি।

চিনিকলগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণ আখের ছিবড়ে উৎপন্ন হয়। ওইসব বর্জ্য থেকে কাগজের মণ্ড (paper pulp) বানানো যায়। যা দিয়ে কাগজ তৈরি হয়। গাছের তন্তুর বদলে আখের ছিবড়ে ব্যবহারের ফলে অকারণে বৃক্ষচ্ছেদন বন্ধ করা গেছে।

যেসব বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করে না, তাকে পরিবেশ মিত্র বর্জ্য বলা হয়। টিন, লোহা, স্টিল, মাটি, চট, কাগজ এসব হল পরিবেশ মিত্র বর্জ্য।

ভাগীরথী-হুগলি নদীর দু-পাশে অবস্থিত অসংখ্য কলকারখানা থেকে তরল এবং কঠিন আবর্জনা নদীতে পড়ছে। অন্যদিকে জলযানের তেল, মোবিল, মূর্তি বিসর্জন ভাগীরথী-হুগলিকে দূষিত করছে, হলদিয়া তৈল রাসায়নিক কেন্দ্রও হুগলি নদীর জলদূষণের অন্যতম কারণ।

পরিবেশের ওপর কঠিন বর্জ্যের দুটি কুপ্রভাব হল—
1. কঠিন বর্জ্য বহুদিন মাটির ওপর পড়ে থাকলে সেখানকার জল ও মাটিকে দূষিত করতে পারে। এতে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের মৃত্যু হতে পারে।
2. কঠিন বর্জ্য ড্রেন বা জলনির্গম প্রণালীকে বাধা দেয়। রাস্তার পাশের ড্রেন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুটি প্রয়োজনীয়তা হল —
1. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করলে জল, মাটি, বায়ুদূষণ অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
2. বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা ভালো হলে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

বর্তমান সময়ে পরিবেশদূষণের অন্যতম মাধ্যম বা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বর্জ্যদূষণ। অনেকে একে তৃতীয় দূষণও বলেন। জলদূষণ এবং বায়ুদূষণের পর এই দূষণের তীব্রতা অনেক বেশি হওয়ায় একে ‘তৃতীয় দূষণ’ বলা হয়।

সমুদ্রে আবর্জনা ফেলাকে ওশান ডাম্পিং বলে। সমুদ্রতীর থেকে জলের দিকে প্রায় 300 কিমি দূরে 10000 ফুট গভীরতায় প্রতিবছর দুকোটি টন কঠিন বর্জ্য মহাসমুদ্রে ফেলছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। ফ্রান্স, জাপান, হংকং এরাও মহাসমুদ্রের গভীরে বর্জ্য ঢালছে।

তেজস্ক্রিয় বর্জ্য থেকে নানা ধরনের রোগব্যাধি হতে পারে। এর মধ্যে জীবকোশের বিনাশ, বিভিন্ন অঙ্গের ক্যানসার, গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতি প্রভৃতি ঘটনা ঘটে। তেজস্ক্রিয় পদার্থ বহুদিন প্রকৃতিতে থেকে যায় বলে এগুলি অতীব ক্ষতিকর।

পৌরসভা, পৌরনিগম বা নগরায়ণের ফলে যেসব নাগরিক বর্জ্য সৃষ্টি হয় তাকে কঠিন পৌর বর্জ্য বলা হয়। খাবারের অবশিষ্টাংশ, সবজির খোসা, পুরোনো কাগজ, ভাঙা কাচ, ফোটো, গাছের পাতা প্রভৃতি কঠিন পৌর বর্জ্যের অন্তর্গত।

কলকারখানার দূষিত বায়ুকে পরিশুদ্ধ করার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে স্ক্রাবার বলে। এই যন্ত্রটি কারখানার নির্গত গ্যাসীয় বর্জ্য থেকে বিষাক্ত পদার্থকে শোধন করে। স্ক্রাবারে রাখা কলিচুন এবং জলের মধ্যে দিয়ে দূষিত বায়ু চালনা করলে বস্তুকণাগুলি শোধিত হয়। স্ক্রাবার দুরকমের হয়, যথা — আর্দ্র এবং শুষ্ক স্ক্রাবার।

যেসব তরল পদার্থের কোনো ব্যবহার নেই অথবা পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়, তাদের তরল বর্জ্য বলা হয়। যেমন — বর্জ্য জল, চর্বি, গৃহস্থলী ও শিল্পকারখানা নিঃসৃত তেল, শিল্পকারখানা থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থমিশ্রিত জল প্রভৃতি। এই জাতীয় বর্জ্য বিষাক্ত ও বিষহীন প্রকৃতির হতে পারে।

যে কার্যকরি পরিচালন পদ্ধতির মাধ্যমে বর্জ্য বস্তুর সংগ্রহ, অপসারণ, পরিবহণ, শোধন, ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস ও পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করা হয়, তাকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলে। প্রকৃতপক্ষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোনো একক কাজ নয়, অনেকগুলি কাজের সমষ্টি। এই ব্যবস্থাপনার প্রধান দিকগুলি হল – (i) বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস, (ii) বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার এবং (iii) বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ।

কঠিন বর্জ্য থেকে নানা ধরনের রোগব্যাধি ছড়ায়। প্রধানত কৃমি জাতীয় রোগ, আমাশয়, নানাপ্রকার চামড়ার রোগ, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ কঠিন বর্জ্য থেকে হতে পারে। যারা বর্জ্য অপসারণ করে তাদের রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

প্লাস্টিক হল অবিশ্লেষ্য বর্জ্য। প্লাস্টিক সর্বত্র পাওয়া যায় কিন্তু এর বিয়োজন হয় না বা প্রকৃতিতে সহজে মিশে যায় না। সহজে পচন ঘটে না বলে বহুদিন পরিবেশে টিকে থাকে এবং জল, মাটিকে দূষিত করে। প্লাস্টিক পোড়ালে ভয়ংকর বায়ুদূষণ হয়।

কঠিন বর্জ্য পোড়ালে পরিবেশদূষণের সমস্যা মারাত্মক বেড়ে যায়। এই বর্জ্য থেকে নির্গত সালফার ডাইঅক্সাইড, হাইড্রোজেন ফ্লুরাইড, কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস বায়ুকে দূষিত করে। তাই কঠিন বর্জ্য অবৈজ্ঞানিকভাবে পোড়ানো ঠিক নয়।

সঠিক সময়ে বর্জ্যগুলি ঠিকমতো অপসারণ করতে না পারলে নানা ধরনের রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এদের দ্বারা নানা ধরনের রোগব্যাধির সংক্রমণ হতে পারে। বর্জ্য পরিবেশের সৌন্দর্যহানি ঘটায়।

বর্জ্য পরিচালন বলতে বর্জ্য বা আবর্জনার নিয়ন্ত্রণকে বোঝায়। মানুষের তৈরি বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পরিবেশকে দূষিত করে। সেজন্য বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা দরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না হলে পরিবেশের অবনমন হয়।

উন্মুক্তভাবে বর্জ্য জমা করলে যে যে অসুবিধা হয়, সেগুলি হল –
(i) উন্মুক্তভাবে বর্জ্য জমা করলে সেই বর্জ্যের ওপর মশা, মাছি, ইঁদুর, নানা কীটপতঙ্গ বাসা বাঁধে। এর দ্বারা রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে।
(ii) উন্মুক্ত বর্জ্য পদার্থ পরিবেশে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
(iii) এসব বর্জ্য মুক্ত পরিবেশে পোড়ালে বায়ু দূষিত হয়।

জীবাণুনাশক পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার, জল ফুটিয়ে খাওয়া, ওজোন গ্যাসের ব্যবহার, জলে ক্লোরিনের ব্যবহার ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণ করে বর্জ্য জলকে জীবাণুমুক্ত করা যায়।

নির্মাণ শিল্পে ইট, কাঠ, পাথর, বালি, সিমেন্ট, প্লাস্টিক বর্জ্য দ্রব্য উৎপন্ন হয়। এ ছাড়া লোহার টুকরো, সিরামিক টালি, ফিটিংস দ্রব্য ইত্যাদি নির্মাণ শিল্পের বর্জ্য। বর্তমানে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অধিক বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে অধিক পরিমাণ নির্মাণকাজ।

নির্মাণ শিল্পের বর্জ্য যেমন ইট, বালি, সিমেন্ট, চুন, স্টোনচিপস্ থেকে শ্রমিকদের ফুসফুসের ও পেটের রোগ হতে পারে, এ ছাড়া নির্মাণ শিল্পের বর্জ্য যেখানে পড়ে সেখানকার মাটি অনুর্বর হয়ে পড়ে, এই কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়।

কলকারখানা থেকে যেসব নোংরা আবর্জনা নদীতে বা খালে পড়ে তাতে নদীর জল দূষিত হয়ে যায়, মাছ ও জলজ প্রাণীদের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া জলের বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়। কারখানার নিকটবর্তী মাটি অনুর্বর হয়ে কৃষিকাজে ব্যাঘাত ঘটে।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে প্রতিদিন বাড়ি থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয় না। এই পদ্ধতিতে সপ্তাহে তিন-চার দিন ময়লা পরিষ্কার করার গাড়ি একটি নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড় করানো থাকে। পৌরসভার সাফাইকর্মীরা প্রত্যেক বাড়ি বা অফিস থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে সেই গাড়িতে জমা করেন।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত কয়লার ছাইকে ফ্লাই অ্যাশ বলা হয়। এই অ্যাশ বর্তমানে ইট শিল্পে, সিমেন্ট শিল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া বড় বড় রাস্তা নির্মাণ এবং নীচু জলাভূমি ভরাট করতে ফ্লাই অ্যাশের গুরুত্ব খুব বেড়েছে। ফ্লাই অ্যাশ নামক বর্জ্য এখন সম্পদে পরিণত হয়েছে।

বর্জ্য পুরোনো কাগজকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ বর্জ্য কাগজে ধুলোবালি, প্লাস্টিক, রং ইত্যাদি থাকে। বর্জ্য কাগজ থেকে সেগুলি পৃথক করে কাগজের মন্ড তৈরি করা হয়। ওই মন্ড থেকে কাগজের বোর্ড, কাগজের ব্যাগ, ফলস্ সিলিং ও অন্যান্য দ্রব্য প্রস্তুত করা যায়।

বর্জ্য প্লাস্টিক জৈব অবিশ্লেষ্য পদার্থ। তাই বহুদিন পরেও তা মাটির সাথে মিশে যায় না। তাই বর্জ্য প্লাস্টিক একটি পরিবেশগত সমস্যা। একমাত্র বর্জ্য প্লাস্টিককে গলিয়ে নতুন প্লাস্টিক তৈরিই হল এর একমাত্র সমাধান।

আমি বাড়ির জৈব বিশ্লেষ্য এবং অবিশ্লেষ্য পদার্থগুলিকে আলাদা আলাদা প্যাকেটে ভরে রাখব। এরপর বর্জ্য সংগ্রাহক এলে তার গাড়িতে দিয়ে দেব। তবে বাড়িতে যাতে কম বর্জ্য উৎপন্ন হয় সেদিকে লক্ষ রাখব।