অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সবুজ জামা অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইভাবে সবুজ জামা অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি যদি তোমরা প্রস্তুত করে না যাও তাহলে পরীক্ষায় সবুজ জামা অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলোর উত্তর দিতে পারবে না। তাই সবুজ জামা অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি ভালো করে মুখস্ত করে গেলে তোমরা পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল পাবে।
একটি ছোট তোতাই গাছের সবুজ পাতার মতো সবুজ জামা পরার জন্য অপার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে। সে স্কুলে গিয়ে বর্ণমালা শিখতে চায় না, বরং গাছেদের মতো এক পায়ে দাঁড়িয়ে খেলায় মেতে উঠতে চায়। তোতাই মনে করে যদি তার গাছেদের মতো সবুজ জামা থাকে, তাহলে তার গায়ে প্রজাপতিরা ভিড় জমাত এবং তার কোলে লাল-নীল ফুল ফুটে উঠবে। সে নিজেকে একদিন গাছে পরিণত হয়ে সবুজ পাতার আনন্দে বিভোর হতে দেখে।
কিন্তু তোতাইয়ের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। কারণ, সে একজন মানুষের সন্তান এবং তার নিজস্ব ভাগ্য রয়েছে। তাকে স্কুলে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করতে হবে এবং বর্ণমালা শিখতে হবে। তবে, তোতাই প্রকৃতির প্রতি তার ভালোবাসা ধরে রাখতে পারে এবং গাছেদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। সে গাছের যত্ন নিতে পারে, তাদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে এবং প্রকৃতির সাথে একাত্মতা অনুভব করতে পারে।
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দুটি বিশিষ্ট কাব্যগ্রন্থ হল – ‘রাণুর জন্য’ ও ‘অথচ ভারতবর্ষ তাদের’।
তোতাইবাবুর সবুজ জামা চাই কেন?
গাছেরা সবুজ রঙের জামা পরে আনন্দে অভিভূত হয়, সে কারণে তোতাইবাবুর একটা সবুজ পাতার মতো জামা চাই, যা তাকে আনন্দে আপ্লুত করবে।
সবুজ গাছেরা কোন্ পতঙ্গ পছন্দ করে?
সবুজ গাছেরা বর্ণবৈচিত্র্যময় ডানাবিশিষ্ট প্রজাপতিদের পছন্দ করে।
সবুজ জামা আসলে কী?
সবুজ জামা আসলে রাশি-রাশি সবুজ পাতার সমন্বয়, যা গাছেরা পরিধান করে থাকায় গাছেদের এত ভালো লাগে।
এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তো খেলা – এখানে কোন্ খেলার কথা বলা হয়েছে?
গাছেরা এক পায়ে দাঁড়িয়ে যেন এক্কা-দোক্কা খেলা খেলে যায় বলে তোতাইবাবু মনে করে, এখানে সেই খেলার কথা বলা হয়েছে।
তোতাই সবুজ জামা পরলে কী কী ঘটনা ঘটবে?
তোতাই সবুজ জামা পরলে গাছের ডালে যেমন বর্ণময় প্রজাপতি এসে বসে তেমন তার গায়েও প্রজাপতিরা আনন্দের সঙ্গে এসে বসবে-প্রজাপতিরা যেমন সবুজ জামা পরা গাছেদের পছন্দ করে তেমন তোতাই গাছেদের মতো সবুজ জামা পরলে প্রজাপতি বসার আনন্দ পাবে।
একটি সবুজ জামা চাই – (তোতনবাবুর/ঋভুবাবুর/তোতাইবাবুর)।
তোতাইবাবুর।
আমাদের তোতাইবাবুরও একটি সবুজ জামা চাই। কারণ – (তার স্কুলে ওটাই নির্দিষ্ট পোশাক/সে চায় তার ডালে প্রজাপতি এসে বসুক আর তার কোলের উপর নেমে আসুক একটা, দুটো, তিনটে লাল-নীল ফুল/তার দাদু বহুদিন ধরে তাকে তেমন একটা জামা উপহার দিতে চাইছেন/সে জামাটি পরে গাছেদের মতো একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে চায়)।
সে জামাটি পরে গাছেদের মতো একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে চায়।
গাছেরা জামা পরে থাকে – (নীল রঙের/সাদা রঙের/সবুজ রঙের)।
সবুজ রঙের।
এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তো – (দৌড়ানো/বসে থাকা/খেলা)।
খেলা।
সবুজ জামা পরলে তোতাই-এর ডালে এসে বসবে – (প্রজাপতি/মৌমাছি/বোলতা)।
প্রজাপতি।
আমাদের _ একটি _ জামা চাই।
তোতাইবাবুর, সবুজ।
তাদের জামা _ গায়ে দিতে _ কেন?
তুই, চাস।
_ যেন কেমন, _ ছাড়া চোখে দেখে না।
দাদু, চশমা।
তবেই না তার ডালে _ বসবে।
প্রজাপতি।
আর _ করে তার _ ওপর নেমে আসবে।
টুপ, কোলের।
এই কবিতা তুলে ধরে একজন শিশুর প্রকৃতির প্রতি অপার ভালোবাসা এবং তার সরল কল্পনাকে। তোতাই গাছেদের সবুজ পাতার মতো সবুজ জামা পরার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে কারণ সে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য ও নিরপেক্ষতায় মুগ্ধ। সে গাছেদের মতো এক পায়ে দাঁড়িয়ে খেলায় মেতে উঠতে চায় এবং প্রজাপতিদের তার গায়ে ভিড় জমানোর স্বপ্ন দেখে।
কিন্তু তোতাই ভুলে যায় যে সে একজন মানুষের সন্তান এবং তার নিজস্ব ভাগ্য রয়েছে। তাকে স্কুলে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করতে হবে এবং বর্ণমালা শিখতে হবে।
তবুও, তোতাইয়ের এই কবিতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার এবং এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করার গুরুত্ব। প্রকৃতি আমাদের জীবনে প্রশান্তি ও আনন্দ এনে দেয় এবং আমাদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের সকলের উচিত প্রকৃতির যত্ন নেওয়া এবং এর ভারসাম্য রক্ষা করা।