জোয়ারভাটার প্রভাব বা ফলাফল লেখো

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে জোয়ারভাটার প্রভাব বা ফলাফল লেখো। অথবা, মানবজীবনে জোয়ারভাটার প্রভাব কী কী? অথবা, জোয়ারভাটার সুবিধা ও অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো। এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় বারিমণ্ডলের প্রশ্ন। জোয়ারভাটার প্রভাব বা ফলাফল লেখো। অথবা, মানবজীবনে জোয়ারভাটার প্রভাব কী কী? অথবা, জোয়ারভাটার সুবিধা ও অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো। – আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন। এই তিনটি প্রশ্নের একটি উত্তর হবে সেটি এর পরে আমরা আলোচনা করব। অর্থাৎ আপনি যদি এই একটি প্রশ্নের উত্তর করেন তাহলে আপনার তিনটি উত্তর হয়ে যাবে।

মানবজীবনে জোয়ারভাটার উল্লেখযোগ্য প্রভাবগুলি নীচে আলোচনা করা হল —

জোয়ারভাটার সুপ্রভাব বা সুবিধা –

  • জোয়ারের সময় বড়ো বড়ো জাহাজ নদীতে আসতে পারে, আবার ভাটার টানে সাগরে ফিরে যেতে পারে।
  • ভাটার টানে নদীর পলি ও আবর্জনা সমুদ্রে গিয়ে পড়ে, ফলে নদীখাত গভীর থাকে।
  • অনেক জায়গায় জোয়ারভাটার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
  • জোয়ারের সময় অনেক সামুদ্রিক মাছ নদীতে চলে আসে।
  • জোয়ারের লোনা জলে বন্দর ও নদী অনেক সময় বরফমুক্ত থাকে।

জোয়ারভাটার কুপ্রভাব বা অসুবিধা –

  • জোয়ারের মাধ্যমে নদীর মিষ্টি জল লোনা হয়ে যায়। লোনা জল কৃষি, শিল্প প্রভৃতি কাজে ব্যবহার করা যায় না এবং তা পানেরও অযোগ্য।
  • প্রবল জোয়ারে বা প্রবল বানে যে জলস্ফীতি ঘটে তার ফলে অনেক সময় নদী উপকূলে চাষাবাদ ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়।
  • নদীর জোয়ারের সময় জলবাহিত বিভিন্ন যান, যেমন — নৌকা, লঞ্চ, ছোটো জাহাজ প্রভৃতির ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
  • জোয়ারের জলের মাধ্যমে অনেক সময় পলি পড়ে নদীগর্ভ অগভীরও হয়ে যায়।

জোয়ারভাটা আমাদের জীবনে দ্বিধারা প্রভাব ফেলে। সুবিধাগুলি কাজে লাগিয়ে এবং অসুবিধাগুলি নিয়ন্ত্রণ করে আমরা জোয়ারভাটার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে পারি।

জোয়ারভাটার প্রভাব সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং এর সুবিধাগুলি কাজে লাগানোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

এই আর্টিকেলটি আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করি।

Please Share This Article

Related Posts

দুটি কঠিন পদার্থ ‘A’ ও ‘B’ -এর ঘন জলীয় দ্রবণ উত্তপ্ত করলে একটি বর্ণহীন ও গন্ধহীন গ্যাসীয় পদার্থ ‘C’ ও জল উৎপন্ন হয়। একটি জ্বলন্ত পাটকাঠি ‘C’ গ্যাসের মধ্যে প্রবেশ করালে তা নিভে যায়। একটি ম্যাগনেসিয়াম ফিতা ‘C’ গ্যাসে প্রবেশ করালে তা জ্বলতে থাকে এবং একটি সাদা অবশেষ ‘D’ উৎপন্ন হয়। ‘D’ ফুটন্ত জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন করে। A, B, C ও D -কে শনাক্ত করো ও সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়ার সমীত সমীকরণ দাও।

A ও B উত্তপ্তে গ্যাস C ও জল সৃষ্টি হয়; C-তে Mg জ্বলে D দেয়, D ফুটন্ত জলে NH₃ উৎপন্ন করে — A, B, C, D শনাক্ত করো।

ধাতব লবণ শনাক্তকরণে H₂S গ্যাসের প্রয়োগ উদাহরণ সহযোগে বুঝিয়ে দাও।

ধাতব লবণ শনাক্তকরণে H₂S গ্যাসের প্রয়োগ উদাহরণ সহযোগে বুঝিয়ে দাও।

HCl প্রস্তুতিতে H₂SO₄ -এর পরিবর্তে HNO₃ ব্যবহার করা যায় না কেন?

HCl প্রস্তুতিতে H₂SO₄ -এর পরিবর্তে HNO₃ ব্যবহার করা যায় না কেন?

About The Author

Rahul

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

A ও B উত্তপ্তে গ্যাস C ও জল সৃষ্টি হয়; C-তে Mg জ্বলে D দেয়, D ফুটন্ত জলে NH₃ উৎপন্ন করে — A, B, C, D শনাক্ত করো।

ধাতব লবণ শনাক্তকরণে H₂S গ্যাসের প্রয়োগ উদাহরণ সহযোগে বুঝিয়ে দাও।

HCl প্রস্তুতিতে H₂SO₄ -এর পরিবর্তে HNO₃ ব্যবহার করা যায় না কেন?

লা ব্লাঙ্ক পদ্ধতিতে কীভাবে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড প্রস্তুত করা হয়?

স্পর্শ পদ্ধতিতে SO₂ ও O₂ মিশ্রণ বিশুদ্ধ ও ধূলিমুক্ত রাখা কেন প্রয়োজন?