অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতায় কবি জয় গোস্বামী অস্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে অস্ত্রের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। অস্ত্রের ব্যবহার শুধুমাত্র মৃত্যু, ধ্বংস ও বিপর্যয় ডেকে আনে। কবি তাই অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান গেয়ে প্রচার করতে চান যে, পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো অস্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো – কোথায় অস্ত্র ফেলার কথা বলা হয়েছে?
কবি জয় গোস্বামী ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় গানের পায়ে অস্ত্র ফেলার অর্থাৎ আত্মসমর্পণ করার কথা বলেছেন।
অস্ত্র রাখো বলার অর্থ কী?
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতায় ‘অস্ত্র রাখো’ কথাটি বলার মাধ্যমে কবি অস্ত্র সমর্পণের কথা বলেছেন।
কবি অস্ত্রকে কোথায় সমর্পণ করতে বলেছেন?
কবি জয় গোস্বামী গানের পায়ের কাছে অস্ত্রকে সমর্পণ করতে বলেছেন।
কবি গানকে কীভাবে ব্যবহার করেন?
কবি সমস্ত অশান্তি ও অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে গানকে বর্মের মতো শরীরে পরে থাকেন।
হাজার হাতে পায়ে কবি কী করেন?
হাজার হাতে পায়ে অর্থাৎ হাজার হাজার মানুষের সাথে দলবদ্ধ হয়ে কবি এগিয়ে আসেন, উঠে দাঁড়ান, লড়েন অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে।
গানের বর্ম পরিধান করে কবি কোন্ কাজ করতে সক্ষম?
অথবা, গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে – গানের বর্ম পরিধান করে কবি কোন্ কাজ করতে পারেন?
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতায় কবি জানিয়েছেন যে, গানের বর্ম পরে তিনি হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়াতে পারেন।
আঁকড়ে ধরে সে-খড়কুটো — কবি ‘খড়কুটো’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
কবি ‘খড়কুটো’ বলতে তাঁর জানা একটা-দুটো গানের কথা বলেছেন।
মাথায় কত শকুন বা চিল — শকুন এবং চিলেরা কীসের প্রতীক?
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় উল্লেখিত শকুন এবং চিলেরা যুদ্ধবাজদের হিংস্রতা এবং নৃশংসতার প্রতীক।
আমার শুধু একটা কোকিল — কোকিল কীসের প্রতীক?
জয় গোস্বামী রচিত ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কোকিল মানুষের অন্তর্গত সৃজনশীলতার প্রতীক।
গানের গায়ে কবি কী করেন?
গানের গায়ে কবি রক্ত ও যাবতীয় হিংস্রতা মোছেন।
আমার শুধু একটা কোকিল — কোকিলটি কী করে?
বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে চারপাশের নৃশংসতা ও হিংস্রতার মধ্যে কোকিলটি হাজার উপায়ে গান বাঁধে, শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে — কথাটির অর্থ কী?
জয় গোস্বামী রচিত ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি মনে করেন হিংসা, রক্তাক্ততা থেকে মুক্ত করতে পারে গান বা শিল্পসৃষ্টি।
অস্ত্র ফ্যালো অস্ত্র রাখো — কোথায় অস্ত্র ফেলার কথা বলা হয়েছে?
কবি জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় গানের পায়ে অস্ত্র রাখার কথা বলা বলেছেন।
বর্ম খুলে দ্যাখো – বর্ম খুললে কী দেখা যায়?
কবির কথা অনুযায়ী, বর্ম খুললে দেখা যায় গান ঋষিবালকের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
গান দাঁড়াল ঋষিবালক – এ কথা বলার অর্থ কী?
গান শুধু প্রতিবাদের বাহন নয়, যুদ্ধের শেষে গানের মধ্যে স্নিগ্ধতা ও শান্তিও খুঁজে পাওয়া যায়। আর তখন গান হয়ে যায় ‘ঋষিবালক’-এর মতো স্নিগ্ধ ও শান্ত।
গান দাঁড়াল ঋষিবালক – ঋষিবালকের মাথায় কী ছিল?
যে গানকে কবি জয় গোস্বামী ‘ঋষিবালক’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, তার মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা ছিল।
তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান – কোথায় বেড়াবে?
নদীতে এবং দেশ-গ্রামে গানের সঙ্গে শ্রোতার বেড়ানোর কথা কবি উল্লেখ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে গান ও তার সুরের আন্তর্জাতিক বিস্তারের কথা বলা হয়েছে।
তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান – কথাটির অর্থ কী?
গানের কথা ও সুরের হাত ধরেই শ্রোতা সারা বিশ্বের সাথে পরিচিত হন,-এ-কথাই বোঝানো হয়েছে উদ্ধৃত পঙ্ক্তিতে।
তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান / নদীতে, দেশগাঁয়ে – কীভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে তুমি মনে করো?
পৃথিবীতে যুদ্ধের অবসান ঘটলে গান আর প্রতিবাদের বাহন নয়, মানুষের মানসিক বিস্তারের ও শুদ্ধতার বাহক হয়ে ওঠে, তখনই গানের হাত ধরে মানুষ দেশের সীমা অতিক্রম করে বিশ্বনাগরিক হয়ে ওঠে।
অস্ত্র ও ‘গান’ শব্দ দুটি কবিতায় কতবার করে আছে?
কবি জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ‘অস্ত্র’ শব্দটি ছ্-বার এবং ‘গান’ শব্দটি সাতবার ব্যবহার করেছেন।
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার মূল বার্তা হলো অস্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। কবি বিশ্বাস করেন যে, অস্ত্রের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। অস্ত্রের ব্যবহার শুধুমাত্র মৃত্যু, ধ্বংস ও বিপর্যয় ডেকে আনে। তাই মানুষকে অস্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তির পথে এগিয়ে যেতে হবে। এই কবিতাটি বিশ্বের সকল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এই কবিতাটি আমাদেরকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অস্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে।