বহুরূপী গল্পটি সুবোধ ঘোষ রচিত একটি বিখ্যাত গল্প। এটি মাধ্যমিক স্তরের বাংলা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত। গল্পটিতে একজন প্রতারক, মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড মানুষের জীবনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদার কাছে কোন্ ঘটনা শোনাতে এসেছিলেন?
সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরুপী’ গল্পে জগদীশবাবুর বাড়িতে খুব উঁচুদরের এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন এবং তিনি সাত দিন ধরে তাঁর বাড়িতে ছিলেন। এই খবরটাই লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদাকে শোনাতে এসেছিলেন।
হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম। — কীসের গল্প?
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পে জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন। হরিদার কাছে সেই সন্ন্যাসীর গল্পই করা হয়েছিল।
সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস – দুর্লভ জিনিসটি কী?
সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পের আলোচ্য অংশে দুর্লভ জিনিসটি হল জগদীশবাবুর বাড়িতে উপস্থিত সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো।
হরিদা সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাঁকে কী বলা হয়েছিল?
বহুরূপী গল্পে হরিদা সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাঁকে বলা হয়েছিল, সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো দুর্লভ জিনিস। একমাত্র জগদীশবাবু ছাড়া কেউই তাই সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পাননি।
কীভাবে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পেয়েছিলেন?
জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর জন্য একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে খড়মজোড়া সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরতেই সন্ন্যাসী বাধ্য হয়ে নিজের পা এগিয়ে দেন। সেই সুযোগে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়ে নেন।
সন্ন্যাসী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কী করেছিলেন?
সন্ন্যাসী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে তাঁকে দিয়েছিলেন আর সন্ন্যাসীর ঝোলায় জোর করে একশো টাকার একটা নোট ফেলে দিয়েছিলেন।
সন্ন্যাসী হাসলেন আর চলে গেলেন – সন্ন্যাসী কী দেখে হাসলেন?
বহুরূপী গল্পে সন্ন্যাসীকে বিদায় দেবার সময় জগদীশবাবু একশো টাকার একটা নোট তাঁর ঝোলায় জোর করে ফেলে দিলেন-তা দেখে সন্ন্যাসী হাসলেন।
হরিদার ঘরটা কীরকম ছিল এবং সেখানে কী হত?
শহরের সবচেয়ে সরু এক গলির মধ্যে হরিদার ছোটো একটা ঘর ছিল। সেখানে সকাল-সন্ধ্যা লেখকদের আড্ডা বসত। চা, চিনি, দুধ তাঁরাই আনতেন। হরিদা শুধু আগুনের আঁচে জল ফুটিয়ে দিতেন।
কোন্ ধরনের কাজ হরিদার পছন্দ ছিল না?
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদার কোনো অফিসের কাজ বা দোকানে বিক্রি করার কাজ পছন্দ ছিল না।
হরিদা কীভাবে প্রতিদিনের অন্নসংস্থান করেন?
হরিদা বহুরূপী সেজে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। বহুরুপীর সাজ দেখে কেউ কেউ এক-আনা, দু-আনা বকশিশ দেয়। সেই রোজগারেই হরিদার দিন চলে।
হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যটি কী ছিল?
হরিদা ছিলেন পেশায় বহুরূপী। তিনি কখনও পাগল সাজতেন, কখনও বাউল, কোনোদিন কাপালিক, কখনও-বা বোঁচকা কাঁধে বুড়ো কাবুলিওয়ালা সাজতেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য।
দুটো একটা পয়সা ফেলেও দিচ্ছে – কারা, কীজন্য পয়সা ফেলে দিচ্ছে?
গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদা একদিন দুপুরবেলায় চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে পাগল সাজলে বাসের যাত্রীরা দুটো-একটা পয়সা ছুড়ে দিচ্ছিল।
এই বার সরে পড়ো – কে, কাকে সরে পড়তে বলেছিল?
বাস ড্রাইভার কাশীনাথ জানত হরিদা বহুরূপী সাজে। আর তাই একদিন হরিদা পাগল সাজলে বাস ড্রাইভার হরিদাকে চিনতে পেরে তাঁকে সেখান থেকে সরে যেতে বলেছিল।
পাগলকে বহুরুপী বুঝতে পেরে লোকজন কী করে?
পাগল আসলে বহুরূপী তা বুঝতে পেরে বাসের যাত্রীরা কেউ হাসে, কেউ বিরক্ত হয়, আবার কেউ এই ভেবে অবাক হয় যে লোকটা এমন সেজেছে যে তাকে চেনাই যাচ্ছে না।
কিন্তু দোকানদার হেসে ফেলে-হরির কাণ্ড – হরির কাণ্ডি কী?
সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে আলোচ্য অংশে হরিদার যে কাণ্ডের কথা বলা হয়েছে তা হল শহরের পথে বাইজি সেজে ঘুঙুরের আওয়াজ তুলে নাচতে নাচতে যাওয়া।
বাইজির ছদ্মবেশে হরিদা কত টাকা উপার্জন করেছিল?
বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে রূপসি বাইজির ছদ্মবেশে হরিদা আট টাকা দশ আনা উপার্জন করেছিলেন।
কোন্ বহুরূপীবেশে হরিদার রোজগার বেশি হয়েছিলেন?
বহুরূপী গল্পে রূপসি বাইজি সেজে হরিদার রোজগার বেশি হয়েছিল। বাইজি সেজে দোকানে দোকানে ফুলসাজি এগিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। দোকানদাররা সেই সাজিতে এক সিকি করে দেওয়ায় হরিদা সেদিন মোট আট টাকা দশ আনা পেয়েছিল।
পুলিশ সেজে হরিদা কী করেছিলেন?
প্রখ্যাত গল্পকার সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদা একবার পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে দাঁড়িয়েছিলেন আর সেখান থেকে স্কুলের চারটে ছেলেকে ধরেছিলেন।
পুলিশ সেজে হরিদা কোথায় দাঁড়িয়েছিল?
প্রখ্যাত গল্পকার সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পে পুলিশ সেজে হরিদা দয়ালবাবুর লিচুবাগানে দাঁড়িয়েছিলেন।
স্কুলের ছেলেদের পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে স্কুলের মাস্টার কী করেছিলেন?
স্কুলের মাস্টার ছেলেদের পুলিশের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বহুরূপী বেশে নকল পুলিশ হরিদাকে আট আনা ঘুষ দিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।
মাস্টারমশাই যখন জানতে পারলেন হরিদা পুলিশ সেজেছিলেন তখন তিনি কী করলেন?
মাস্টারমশাই যখন জানতে পারলেন যে হরিদা নকল পুলিশ সেজে ঘুষ নিয়ে ছেলেদের ছেড়েছেন তখন তিনি একটুও রাগ করলেন না বরং হরিদার বহুরুপী সাজের তারিফ করলেন।
তোমরা সেখানে থেকো – কোথায় থাকতে বলা হয়েছে?
বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের আলোচ্য অংশে হরিদা বহুরুপী সেজে জগদীশবাবুর বাড়িতে যাবেন-সেখানেই কথক ও তাঁর বন্ধুদের থাকতে বলা হয়েছে।
হরিদার জীবন এইরকম বহু রূপের খেলা দেখিয়েই একরকম চলে যাচ্ছে। – কী রকম খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে?
সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে নানারকম ছদ্মবেশ ধারণ করে বহুরুপী সেজে খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে।
সপ্তাহে বড়োজোর একটা দিন বহুরুপী সেজে পথে বের হন হরিদা – ‘বহুরূপী’ কাকে বলে?
বহুরূপী হল এক ধরনের লোকশিল্পী যারা বিচিত্র সাজ ধারণ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
কোন্ সময় এবং কী বেশে হরিদা জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন?
বহুরূপী গল্পে হরিদা সন্ধ্যার সময় আদুড় গায়ে একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় আর ছোটো থান পরে বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন।
চমকে উঠলেন জগদীশবাবু। – জগদীশবাবুর চমকে ওঠার কারণ কী?
গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে আদুড় গা, তার উপরে সাদা উত্তরীয়; পরনে ছোটো বহরের সাদা থান পরা বিরাগীবেশী হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু চমকে গিয়েছিলেন।
জগদীশবাবুর দুই বিস্মিত চোখ অপলক হয়ে গেল – কী দেখে জগদীশবাবুর এমন অবস্থা হয়েছিল?
জগদীশবাবু সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে যখন দেখেছিলেন আদুড় গায়ে সাদা উত্তরীয় পরা এক বিরাগী সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন তিনি অপলক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে চেয়ে রইলেন।
আমার অপরাধ হয়েছে – বক্তার অপরাধ কী ছিল?
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের আলোচ্য অংশে বিরাগী সাজে হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু ওপর থেকে নীচে নেমে আসেননি। এটাই ছিল তাঁর অপরাধ।
হরিদার বিরাগী মূর্তি সম্পর্কে লেখক কী মন্তব্য করেছেন?
বিরাগীকে দেখে লেখক মন্তব্য করেছেন সীমার ওপার থেকে তিনি যেন হেঁটে এসেছেন। তাঁর শীর্ণ শরীর যেন অশরীরী সত্তা। উদাত্ত, শান্ত ও উজ্জ্বল দৃষ্টি তাঁর চোখ থেকে ঝরে পড়ছে।
হতেই পারে না। – কী হতে পারে না বলে বক্তার ধারণা?
হরিদা বিরাগী সাজলে কথক ও তাঁর বন্ধুরা তাঁকে চিনতেই পারেননি। তাঁদের মধ্যে ভবতোষ ভেবেছিল এই বিরাগী কখনোই হরিদা হতে পারেন না।
তিনি আপনার চেয়ে কিছু কম নয়। – ‘তিনি’ বলতে বক্তা কাকে বুঝিয়েছেন?
প্রখ্যাত গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের আলোচ্য অংশে ‘তিনি’ বলতে বক্তা পরম করুণাময় ঈশ্বরকেই বুঝিয়েছেন।
বিরাগী মতে ‘পরম সুখ’ আসলে কী?
বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে বিরাগীর মতে ‘পরম সুখ’ হল সমস্ত সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়া।
বিরাগীর কাছে জগদীশবাবুর প্রাণের অনুরোধটি কী ছিল এবং তা শুনে বিরাগী কী বলেছিলেন?
জগদীশবাবু বিরাগীকে তাঁর বাড়িতে কিছুদিন থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। এই কথা শুনে বিরাগী বলেছিলেন ধরিত্রীই তাঁর আসল থাকার জায়গা। দালান বাড়িতে তিনি থাকতে পারবেন না।
বিরাগী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কী করেছিলেন?
বিরাগী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু নোটের তাড়া ভরতি একটি থলে প্রণামিস্বরূপ বিরাগীর পায়ের কাছে রাখেন। এই টাকা তিনি বিরাগীকে তীর্থভ্রমণ উপলক্ষ্যে দিতে চেয়েছিলেন।
ভ্রমণ করে দেখবার তো কোনো দরকার হয় না। – কেন ভ্রমণ করে দেখবার দরকার হয় না?
গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে বিরাগী হরিদার মতে, তার বুকের ভিতরেই রয়েছে সব তীর্থ, তাই ভ্রমণ করে দেখবার প্রয়োজন হয় না।
বিরাগী জগদীশবাবুর দেওয়া তীর্থভ্রমণের টাকা নিলেন না কেন?
বিরাগীকে জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের টাকা দেওয়ায় তিনি বলেন তাঁর বুকের ভেতরই রয়েছে সব তীর্থ। তাই তাঁর ভ্রমণ করে তীর্থ দেখার কোনো প্রয়োজন হয় না।
আমার অনুরোধ বিরাগীজি। – বক্তা বিরাগীজিকে কী অনুরোধ করেছিলেন?
গল্পকার সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের আলোচ্য অংশের বক্তা জগদীশবাবু বিরাগীজিকে তীর্থভ্রমণের জন্য কিছু টাকা নিতে অনুরোধ করেছিলেন।
জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য কত টাকা দিতে চেয়েছিলেন?
সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য বিরাগীকে একশো এক টাকা দিতে চেয়েছিলেন।
বলতে বলতে সিঁড়ি থেকে নেমে গেলেন বিরাগী – কী বলতে বলতে নেমেছিলেন?
আমি যেমন অনায়াসে ধুলো মাড়িয়ে চলে যেতে পারি, তেমনই অনায়াসে সোনাও মাড়িয়ে চলে যেতে পারি। – এ কথা বলতে বলতেই বিরাগী সিঁড়ি দিয়ে নেমে যান।
হরিদার ঘরে গিয়ে গল্পের কথক কী দেখেছিলেন?
হরিদার ঘরে গিয়ে কথক দেখেন, উনানের গনগনে আগুনে হাঁড়িতে চাল ফুটছে আর হরিদা একটা বিড়ি ধরিয়ে নিয়ে চুপ করে বসে আছেন।
এটা কী কাণ্ড করলেন – কে, কী কান্ড করেছিলেন?
হরিদা বিরাগী সেজেছিলেন। জগদীশবাবু তাঁকে তীর্থভ্রমণের টাকা দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এই কাণ্ডের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়। — কীসে ঢং নষ্ট হয়ে যেতে পারতো?
গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে জগদীশবাবুর বাড়িতে টাকা স্পর্শ করলে হরিদার ঢং নষ্ট হয়ে যেতে পারতো।
অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না। – হরিদার কোন্ ভুলের কথা এখানে বলা হয়েছে?
হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর কাছ থেকে অনেকগুলো টাকা পেয়েও গ্রহণ করেননি। এখানে তাঁর টাকা না নেওয়াকেই ভুল বলা হয়েছে।
হরিদা কী কারণে আবার জগদীশবাবুর বাড়ি যেতে চেয়েছিল?
সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপি’ গল্পে হরিদা বহুরুপী সেজে নিজের পাওনা বকশিশটুকু নেওয়ার জন্য জগদীশবাবুর বাড়ি আবার যেতে চেয়েছিলেন।
কী অদ্ভুদ কথা বললেন হরিদা! – হরিদার অদ্ভুদ কথাটি কী ছিল?
হরিদার অদ্ভুদ কথাটি ছিল একজন বিরাগী সন্ন্যাসী সেজে টাকা স্পর্শ করা যায় না, তাতে তাঁর বহুরুপীর ঢং নষ্ট হয়ে যায়।
হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে কত বকশিশ পেতে পারতেন?
হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে খুব বেশি হলে আট আনা কিংবা দশ আনা বকশিশ পেতে পারতেন।
কেন হরিদা বকশিশ হিসেবে আট আনা বা দশ আনাকেই তাঁর প্রাপ্য মনে করেছিলেন?
বহুরূপি গল্পে বহুরূপীর জীবনে আট আনা বা দশ আনার বেশি আশা করা উচিত নয় বলেই সেটুকুকেই হরিদা তাঁর প্রাপ্য মনে করেছিলেন।
বহুরূপী গল্পটি সমাজের এক অন্ধকার দিককে তুলে ধরে। গল্পটি আমাদের প্রতারক ও মিথ্যাবাদী মানুষের চরিত্র সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এটি আমাদের সততা ও সৎপথের অনুসরণ করার শিক্ষা দেয়।