মাধ্যমিক ভূগোল – বারিমণ্ডল – সমুদ্রস্রোত – ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

Souvick

আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় “বারিমণ্ডল” -এর “সমুদ্রস্রোত” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

মাধ্যমিক ভূগোল - বারিমণ্ডল - সমুদ্রস্রোত - ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
Contents Show

সমুদ্রস্রোত কয় প্রকার ও কী কী? সংক্ষেপে লেখো।

অথবা, উষ্ণ স্রোত ও শীতল স্রোত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
অথবা, বহিঃস্রোত এবং অন্তঃস্রোত কাকে বলে?

সমুদ্রস্রোত সাধারণত দুই প্রকারের –

  1. উষ্ণ স্রোত ও
  2. শীতল স্রোত।

উষ্ণ স্রোত –

উষ্ণমণ্ডলের মহাসাগরগুলির অন্তর্গত উষ্ণ ও হালকা জল পৃষ্ঠপ্রবাহরূপে সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরের অংশ দিয়ে শীতল মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। একে বলা হয় উষ্ণ স্রোত। সমুদ্রের ওপরের অংশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে উষ্ণ স্রোতের আর-এক নাম হল পৃষ্ঠস্রোত বা বহিঃস্রোত (surface current)। উদাহরণ – উপসাগরীয় স্রোত।

শীতল স্রোত –

উষ্ণমণ্ডলের জল যখন শীতল অঞ্চলের দিকে ধাবিত হয়, তখন সেই স্থানের শূন্যতা পূরণের জন্য মেরু অঞ্চলের শীতল ও ভারী জল সমুদ্রের নিম্নাংশ দিয়ে অন্তঃপ্রবাহরূপে উষ্ণমণ্ডলের দিকে বয়ে যায়। একে বলা হয় শীতল স্রোত। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে শীতল স্রোতের আর-এক নাম অন্তঃস্রোত। উদাহরণ – ল্যাব্রাডর স্রোত।

নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে মগ্নচড়া সৃষ্টি হয়েছে কেন?

নিউফাউন্ডল্যান্ডের অবস্থান –

কানাডার পূর্ব উপকূলের অদূরে নিউফাউন্ডল্যান্ড দ্বীপ অবস্থিত। এই দ্বীপটির কাছে আটলান্টিকের অগভীর অংশে অনেকগুলি মগ্নচড়া সৃষ্টি হয়েছে। এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হল গ্র্যান্ড ব্যাংক।

নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে মগ্নচড়া সৃষ্টির কারণ –

নিউফাউন্ডল্যান্ড দ্বীপটির পূর্বদিক দিয়ে প্রবাহিত দুটি বিপরীতধর্মী স্রোত অর্থাৎ দক্ষিণমুখী শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত এবং উত্তরমুখী উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের মিলনের ফলেই মগ্নচড়ার উৎপত্তি হয়েছে। সুমেরু মহাসাগরের ভাসমান হিমশৈলসমূহ শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের সঙ্গে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়। নিউফাউন্ডল্যান্ডের অদূরে এগুলি যখন উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের সংস্পর্শে আসে, তখন গলে যায়। এর ফলে হিমশৈলের মধ্যে থাকা কাদা, বালি, পাথর প্রভৃতি সমুদ্রবক্ষে জমা হতে থাকে। যুগ যুগ ধরে এইভাবে জমা হওয়ার ফলে এখানকার সমুদ্রবক্ষে মগ্নচড়ার সৃষ্টি হয়েছে।

নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল মৎস্যক্ষেত্রের জন্য বিখ্যাত কেন?

অথবা, গ্র্যান্ড ব্যাংক মৎস্যচাষের জন্য অনুকূল কেন?

কানাডার পূর্ব উপকূলের অদূরে নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে আটলান্টিক মহাসাগরের অগভীর অংশে সৃষ্টি হয়েছে গ্র্যান্ড ব্যাংক নামে একটি বিশাল মগ্নচড়া, যা মৎস্যচাষের জন্য বিখ্যাত।

এই মগ্নচড়া মৎস্যক্ষেত্র হিসেবে বিখ্যাত হওয়ার কারণগুলি হল –

  • গ্র্যান্ড ব্যাংক মগ্ন চড়াটির আয়তন প্রায় 96000 বর্গকিমি এবং এখানে জলের গভীরতা 90 মিটারের কম।
  • নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলে অবস্থিত হওয়ায় এখানে সারাবছর মাছের বসবাসের উপযোগী অনুকূল তাপমাত্রা পাওয়া যায়।
  • উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত ও শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের মিলনের ফলে এখানে মাছের খাদ্য প্ল্যাঙ্কটনও প্রচুর পরিমাণে জন্মায়।
  • এজন্য গ্র্যান্ড ব্যাংককে কেন্দ্র করে নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছ (যেমন – কড, হেরিং, ম্যাকারেল, হ্যাডক, হ্যালিবাট প্রভৃতি) ভিড় করে। এর ফলে সমগ্র এলাকাটি মৎস্যক্ষেত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 
নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলের সৃষ্ট গ্র্যান্ড ব্যাংক

জাপানের উপকূলের কাছে মৎস্যক্ষেত্র দেখা যায় কেন?

উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে জাপান অবস্থিত এবং এই দেশটির পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে উষ্ণ কুরোশিয়ো বা জাপান স্রোত এবং শীতল ওয়াশিয়ো বা কিউরাইল স্রোত। সুমেরু মহাসাগর থেকে আগত শীতল কিউরাইল স্রোতের সঙ্গে বড়ো বড়ো হিমশৈলও থাকে, যেগুলি জাপানের উপকূলের কাছাকাছি উষ্ণ কুরোশিয়ো স্রোতের সংস্পর্শে এসে গলে যায়। এর ফলে হিমশৈলবাহিত বিভিন্ন পদার্থ, যেমন – শৈবাল, কাদা, বালি, পাথর ইত্যাদি এখানকার মহীসোপানে সঞ্চিত হতে থাকে। এইভাবে দীর্ঘকাল জমা হতে হতে জাপানের উপকূলের অদূরে অনেক অগভীর মগ্নচড়া সৃষ্টি হয়েছে, যেগুলিকে কেন্দ্র করে এখানে মাছের খাদ্য প্ল্যাঙ্কটন প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। এজন্য জাপানের উপকূলের কাছে বিভিন্ন ধরনের মাছের ব্যাপক সমাবেশ ঘটে এবং সমগ্র এলাকাটি মৎস্যক্ষেত্র হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

জাপানের পূর্ব উপকূলে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হয় কেন?

মহাসাগরের অভ্যন্তরে যেস্থানে উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলন হয়, সেখানে উষ্ণ স্রোতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত উষ্ণ বায়ুতে থাকা জলীয়বাষ্প শীতল স্রোতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে জমে যায়। ফলে ওই অঞ্চলে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয়। জাপানের পূর্ব উপকূল দিয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তরে উষ্ণ কুরোশিয়ো বা জাপান স্রোত এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে শীতল ওয়াশিয়ো কিউরাইল স্রোত বয়ে যায়। এই দুই ভিন্নধর্মী স্রোতের মিলনের ফলে জাপানের পূর্ব উপকূলে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হয়।

নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল সারাবছর কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে কেন?

সাধারণত যেসব অঞ্চলে উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলন হয়, সেখানে উষ্ণ স্রোতের ওপর সৃষ্ট প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্প শীতল স্রোতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে জমে যায়। ফলে ওই অঞ্চলে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয়। নিউফাউন্ডল্যান্ডের পাশ দিয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তরে উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত বয়ে যায়। এই দুই ভিন্নধর্মী স্রোতের মিলনে নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল সারাবছর কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে।

কুয়াশাচ্ছন্ন নিউফাউন্ডল্যান্ডে উপকূল

উত্তর ভারত মহাসাগরে গ্রীষ্মকালীন স্রোতের বর্ণনা দাও।

উত্তর ভারত মহাসাগরে দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের যে শাখাটি উত্তর দিকে বেঁকে ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করে সেটি মৌসুমি বায়ুর গতি ও দিক অনুসারে প্রবাহিত হয়। তাই এর নাম মৌসুমি স্রোত। গ্রীষ্মকালে এই স্রোতটি দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ডানদিকে বেঁকে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল দিয়ে প্রবহমান হয়।

  • সোমালি স্রোত নামে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। এরপর, এই স্রোতটি
  • দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি স্রোত নামে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের মধ্য দিয়ে সুমাত্রা দ্বীপ পর্যন্ত চলে যায়।

বারিমণ্ডল আসলে কী?

ভূপৃষ্ঠের মোট আয়তনের প্রায় 71 শতাংশ বা 36.1 কোটি বর্গকিমি স্থান জলরাশি দ্বারা আবৃত। এই জলভাগের ভৌগোলিক নাম বারিমণ্ডল। ছোটো-বড়ো পুকুর, খাল, বিল, জলাশয়, হ্রদ, নদী, সাগর, মহাসাগর – সবই বারিমণ্ডলের অন্তর্গত। এমনকি গ্রিনল্যান্ড ও মেরুপ্রদেশে ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত বরফের স্তূপে যে স্বাদু জল আবদ্ধ রয়েছে, তাও বারিমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত। ভূগর্ভে সঞ্চিত ভৌমজলও বারিমণ্ডলের অংশ। এককথায় বলা যায় ভূপৃষ্ঠে, ভূগর্ভে ও বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত জল, ভৌমজল অথবা জলীয়বাষ্প সবই বারিমণ্ডলের অন্তর্গত।

সমুদ্রস্রোতের নামকরণ কীভাবে হয়?

সমুদ্রস্রোতের নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বায়ুর ক্ষেত্রে যেদিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয় সেদিক অনুযায়ী নামকরণ করা হয়। কিন্তু সমুদ্রস্রোতের ক্ষেত্রে সেই ধারণাটি সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থাৎ, সমুদ্রস্রোত যে স্থলভাগের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয় বা যেদিকে প্রবাহিত হয় বা যে সাগর বা মহাসাগরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় সেই অনুযায়ী নামকরণ করা হয়। যেমন – ক্যারিবিয়ান উপসাগরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত স্রোতকে ক্যারিবিয়ান স্রোত নামে ডাকা হয়। আবার, ব্রাজিলের পাশ দিয়ে প্রবাহিত স্রোতকে ব্রাজিল স্রোত নামে আখ্যায়িত করা হয়।

লন্ডন অপেক্ষা নিউইয়র্ক নিম্ন অক্ষাংশে অবস্থিত, অথচ নিউইয়র্কে শীত বেশি -এর কারণ কী?

লন্ডনের অক্ষাংশ প্রায় 51°30′ উত্তর এবং নিউইয়র্কের অক্ষাংশ প্রায় 40°43′ উত্তর। স্বাভাবিকভাবেই লন্ডনের তুলনায় নিউইয়র্কের উষ্ণতা বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু, নিউইয়র্কে লন্ডনের থেকে শীতের তীব্রতা বেশি। এর কারণ সমুদ্রস্রোত। নিউইয়র্কের পাশ দিয়ে সুমেরু মহাসাগর থেকে আগত শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত প্রবাহিত হয় বলে এই স্রোত নিউইয়র্কের পাশাপাশি অঞ্চলকে শীতার্ত করে তোলে। অন্যদিকে, লন্ডনের পাশ দিয়ে উষ্ণ উত্তর আটলান্টিক স্রোত প্রবাহিত হয় বলে লন্ডনের তাপমাত্রা নিউইয়র্ক অপেক্ষা বেশি হয়।

সমুদ্রস্রোত কীভাবে উপকূলের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে?

সমুদ্রস্রোত দ্বারা নিম্নলিখিত উপায়ে উপকূলের জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত হয় –

  • উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ –
    • উষ্ণ সমুদ্রস্রোত শীতল অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হলে সেখানকার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। যেমন – উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলকে উষ্ণ রাখে।
    • শীতল সমুদ্রস্রোত উষ্ণ অঞ্চলের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হলে সেখানকার তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়। যেমন – শীতল পেরু স্রোত পেরুর তাপমাত্রাকে খুব বাড়তে দেয় না।
  • বৃষ্টি, বন্যা, খরা – উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু বেশি জলীয়বাষ্প শোষণ করে বলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাড়ে। অন্যদিকে, শীতল স্রোতযুক্ত অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হয়। এল নিনো এবং লা নিনার প্রভাবে সন্নিহিত অংশে খরা ও বন্যা দেখা যায়।
  • কুয়াশা – শীতল এবং উষ্ণ স্রোত যেখানে মিলিত হয় সেখানে কুয়াশার, ঝড়-ঝঞ্ঝার সৃষ্টি হয়। যেমন – নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল।
  • তুষারপাত – শীতল সমুদ্রস্রোত শীতকালে বহু জায়গায় তুষারপাত ঘটায়।

আটলান্টিক মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রস্রোতগুলির নাম লেখো।

আটলান্টিক মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রস্রোতগুলির নাম লেখো।
আটলান্টিক মহাসাগরে উষ্ণ ও শীতল স্রোত

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের সমুদ্রস্রোতের নাম লেখো।

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রস্রোত –

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের প্রধান স্রোতগুলি হল –

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরীয় স্রোত

দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের বিভিন্ন স্রোতের নাম লেখো।

দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রস্রোত –

দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের প্রধান স্রোতগুলি হল –

দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরীয় স্রোত

উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন স্রোতের নাম লেখো।

উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রস্রোত –

উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের প্রধান স্রোতগুলি হল –

উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্রোত

প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন সমুদ্রস্রোতের নাম লেখো।

প্রশান্ত মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রস্রোত –

প্রশান্ত মহাসাগরের দুই প্রকার স্রোত প্রবাহিত হয় –

  1. উষ্ণ স্রোত এবং
  2. শীতল স্রোত।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্রোত
প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ ও শীতল স্রোত

ভারত মহাসাগরের উষ্ণ ও শীতল স্রোতগুলির নাম লেখো।
 
ভারত মহাসাগরের প্রধান সমুদ্রস্রোত –

ভারত মহাসাগরে দুই প্রকার স্রোত প্রবাহিত হয় –

  1. উষ্ণ স্রোত এবং
  2. শীতল স্রোত।
ভারত মহাসাগরীয় স্রোত
ভারত মহাসাগরে উষ্ণ ও শীতল সমুদ্রস্রোত

সমুদ্রস্রোত এবং সমুদ্রতরঙ্গ -এর মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে?

সমুদ্রস্রোত এবং সমুদ্রতরঙ্গের পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়সমুদ্রস্রোতসমুদ্রতরঙ্গ
চলনসমুদ্রস্রোত সমুদ্রজলের পৃষ্ঠদেশ বরাবর একমুখী চলন।সমুদ্রতরঙ্গ সমুদ্রপৃষ্ঠের জলরাশির পর্যায়ক্রমিক ওঠানামা।
স্থায়িত্বসমুদ্রস্রোত স্থায়ী এবং নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয়।এটি সাময়িক এবং অনিয়মিত। কেবল বায়ুপ্রবাহের ওপর নির্ভরশীল।
তাপমাত্রাতাপমাত্রা অনুযায়ী সমুদ্রস্রোত দু-রকমের হয়। যথা – উষ্ণ এবং শীতলস্রোত।তাপমাত্রার ভিত্তিতে সমুদ্রতরঙ্গের আলাদা কোনো বিভাজন নেই।
নিয়ন্ত্রণসমুদ্রস্রোত যে অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয় সেই অঞ্চলের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে।সমুদ্রতরঙ্গ উপকূলের ভূমিরূপকে নিয়ন্ত্রণ করে।

আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় “বারিমণ্ডল” -এর “সমুদ্রস্রোত” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Categories -
Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

Madhyamik Physical Science Suggestion 2026

Madhyamik Life Science Suggestion 2026

Madhyamik Physical Science Suggestion 2026 – রচনাধর্মী প্রশ্ন

Madhyamik Physical Science Suggestion 2026 – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

Madhyamik Physical Science Suggestion 2026 – সত্য মিথ্যা