মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবহমানতা – বৃদ্ধি ও বিকাশ – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায় “জীবনের প্রবহমানতা” অধ্যায়ের ‘বৃদ্ধি ও বিকাশ‘ বিভাগের রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

বৃদ্ধি ও বিকাশ – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
বৃদ্ধি ও বিকাশ – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
Contents Show

বৃদ্ধি কাকে বলে? প্রকৃতি অনুযায়ী জীবের বৃদ্ধির তিনটি ধরন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

বৃদ্ধি –

যে উপচিতি বিপাকক্রিয়ায় কোশ বিভাজনের মাধ্যমে জীবদেহের আকার, আয়তন ও শুষ্ক ওজন সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে স্থায়ী এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে বেড়ে যায়, তাকে বৃদ্ধি বলে।

জীবের বৃদ্ধির ধরন –

জীবদেহের বৃদ্ধি তিনটি ভিন্ন প্রকৃতিতে হতে পারে, নীচে এই তিন প্রকার বৃদ্ধির সংজ্ঞা দেওয়া হল।

অঙ্গজ বৃদ্ধি বা দৈহিক বৃদ্ধি

এইপ্রকার বৃদ্ধির ফলে এককোশী ভ্রূণাণু থেকে বহুকোশী পূর্ণাঙ্গ জীবদেহ সৃষ্টি হয়। উদ্ভিদের জীবনচক্রে বীজের অঙ্কুরোদ্‌গম, চারাগাছের সৃষ্টি, পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদদেহ সৃষ্টি পর্যন্ত সময়কালকে অঙ্গজ বা দৈহিক বৃদ্ধি বলে।

পুনরুৎপাদনমূলক বৃদ্ধি

এইপ্রকার বৃদ্ধির ফলে জীবদেহের জীর্ণ ও ক্ষয়প্রাপ্ত স্থানগুলির নিরাময় হয় এবং দেহ পুনর্গঠিত হয়ে স্বাভাবিক আকার ধারণ করে।

জননগত বৃদ্ধি

এইপ্রকার বৃদ্ধির দ্বারা জীবদেহের জনন-অঙ্গসমূহের পূর্ণতাপ্রাপ্তি ঘটে থাকে। পরিণত উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ফুল, ফল এবং বীজ গঠনকে এবং প্রাণীদের ক্ষেত্রে জননাঙ্গ গঠন ও তাদের বৃদ্ধিকে জননগত বৃদ্ধি বলা হয়।

বৃদ্ধি ও বিকাশের প্রধান তিনটি দশার নাম লেখো। এদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

বৃদ্ধির প্রধান তিনটি দশা –

বহুকোশী জীবের বৃদ্ধিকে প্রধান তিনটি দশায় ভাগ করা যায়। এই দশাগুলি হল —

  1. কোশ বিভাজন দশা।
  2. কোশীয় আকার বৃদ্ধি দশা।
  3. কোশীয় বিভেদন দশা।

বৃদ্ধির দশাগুলির বিবরণ

বৃদ্ধির তিনটি দশা সম্পর্কে নীচে বর্ণনা করা হল।

কোশ বিভাজন দশা –

এই দশায় কোশ মূলত মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে নতুন কোশ উৎপন্ন করে। ফলে কোশের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে। উদ্ভিদে প্রধানত অগ্রস্থ ও পার্শ্বস্থ ভাজক কলার বিভাজনের দ্বারা দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে বৃদ্ধি ঘটে। প্রাণীদের ক্ষেত্রে এককোশী ভূণাণু থেকে মাইটোসিস বিভাজনের দ্বারা মরুলা, ব্লাস্ট্রুলা, গ্যাস্ট্রুলা দশার মাধ্যমে বহুকোশী প্রাণীদেহ গঠিত হয়।

কোশীয় আকার বৃদ্ধিকরণ দশা

এই দশায় বিভাজিত কোশগুলি জল শোষণ করে ও প্রোটোপ্লাজম সংশ্লেষ করে। ফলে কোশের আকার অপরিবর্তনীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। অনেকক্ষেত্রে আকারের এই বৃদ্ধি বহিঃকোশীয় প্রকৃতির হয়। যেমন — অস্থি ও তরুণাস্থি কলাকোশ ক্ষরিত ধাত্র এই কলার আয়তন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

কোশীয় বিভেদন দশা

এই দশায় অপত্য কোশগুলির বিশেষত্ব লাভ করে। কোশগুলি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়ে বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত কোশ, কলা ও কলাতন্ত্র গঠন করে। পরিবর্ধন ও বিভেদনের মাধ্যমে কোশগুলি পরিণত হয় ও ভিন্ন ভিন্নভাবে বিন্যস্ত হয়ে পৃথক পৃথক অঙ্গ সৃষ্টি করে।

বৃদ্ধির প্রধান তিনটি দশা
বৃদ্ধির প্রধান তিনটি দশা

মানুষের বৃদ্ধি ও বিকাশের তুলনা করো।

মানুষের বৃদ্ধি ও বিকাশের তুলনা

বিষয়বৃদ্ধিবিকাশ
বৈশিষ্ট্যপ্রোটোপ্লাজমের নিয়ন্ত্রণাধীনে দেহের আকার,আয়তন শুষ্ক ওজনের স্থায়ী অপরিবর্তনীয়ভাবে বেড়ে যাওয়াকে বৃদ্ধি বলে।আকার, আয়তন ও শুষ্ক ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সক্রিয়তা ও কার্যসম্পাদনে উৎকর্ষ বিকাশের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বিকাশ।
সম্পর্কবৃদ্ধি হল কারণ।বিকাশ বৃদ্ধির ফল।
ধারণাবৃদ্ধির ধারণা কেবল দৈহিক বা শরীরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।বিকাশের ধারণায় দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, প্রাক্ষোভিক সবই অন্তর্ভুক্ত।
প্রভাবকবৃদ্ধি স্বতঃস্ফূর্ত, তবে অনুশীলনের প্রভাব এক্ষেত্রে দেখা যায়।পরিবেশের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ফলেই বিকাশ ঘটে অর্থাৎ ব্যক্তির সক্রিয়তা ও অনুশীলন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক।
সময়কালবৃদ্ধি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘটে।বিকাশ আমৃত্যু ঘটে।
পরিবর্তনের ধরনবৃদ্ধি পরিমাণগত।বিকাশ পরিমাণগত ও গুণগত।

মানব বিকাশের প্রধান পাঁচটি দশার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

মানব বিকাশের প্রধান পাঁচটি দশা –

মানব বিকাশের প্রধান পাঁচটি দশা হল –

  1. সদ্যোজাত।
  2. শৈশব।
  3. বয়ঃসন্ধি।
  4. পরিণত দশা।
  5. অন্তিম পরিণতি দশা বা বার্ধক্য।

সদ্যোজাত –

জন্মের সময় থেকে শুরু করে প্রথম মাস পর্যন্ত সময়কালকে সদ্যোজাত দশা বলা হয়।

বৈশিষ্ট্য –

  1. এই দশায় শিশু অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটায়।
  2. শিশুমায়ের মুখ, প্রাথমিক বর্ণ, আলো প্রভৃতি চিনতে পারে।
  3. এইসময়ে শিশুর দেহে বিপাকের হার খুব বেশি থাকে।
  4. এইসময়ে ওজন সামান্য হ্রাস পেলেও কিছুদিন পরে তা পুনরায় বাড়তে থাকে।
  5. সদ্যোজাতদের কান্না ও হাসি হল মনের ভাবপ্রকাশের উপায়।

শৈশব –

সাধারণত জীবনের দ্বিতীয় মাস থেকে 10 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কালকে শৈশব বলে।

বৈশিষ্ট্য –

  1. এইসময়ে সদ্যোজাত শিশুর মাথার আকার দেহের সাপেক্ষে ছোটো হয়, তবে হাত ও পায়ের বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।
  2. পরবর্তী ধাপে চেষ্টীয় ক্রিয়াগুলি (যেমন – লেখা, দৌড়োনো) বিকশিত হয় ও শিশুদের বৃদ্ধি, স্মৃতি ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
  3. এইসময়ে ভয়, আনন্দ প্রভৃতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটলেও বিভিন্ন সূক্ষ্ম অনুভূতির বিকাশ ধীরে হয়।
সদ্যোজাত দশা ও শৈশব দশা
সদ্যোজাত দশা ও শৈশব দশা

বয়ঃসন্ধি বা কৈশোর –

শৈশব ও পরিণত দশার মধ্যবর্তী পর্যায় হল বয়ঃসন্ধি বা কৈশোর। সাধারণত 10-19 বছর (WHO অনুযায়ী) বয়সকালকে বয়ঃসন্ধিকাল হিসেবে গণ্য করা হয়। ব্যক্তি, লিঙ্গ, পরিবেশ ও অঞ্চলভেদে বয়ঃসন্ধি আগমনের সময় ভিন্ন হয়।

বৈশিষ্ট্য –

  1. এই পর্যায়ে ছেলেমেয়েদের দৈহিক, মানসিক, সামাজিক এবং প্রাক্ষোভিক দিকের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। যেমন – এইসময়ে দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত ঘটে।
  2. সাধারণত এইসময় থেকে যৌন চেতনার উন্মেষ ঘটে ও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়।
  3. মনোযোগ, চিন্তাশক্তি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত ঘটে।
  4. বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। এইসব কারণে বয়ঃসন্ধিকালকে ঝড়ঝঞ্ঝার কাল বলা হয়।

পরিণত দশা বা প্রাপ্তবয়স্ককাল –

19-60 বছর বয়সিদের পরিণত দশার অন্তর্গত বলা হয়।

বৈশিষ্ট্য –

  1. এইসময় দৈহিক বৃদ্ধি ক্রমশ হ্রাস পায় ও ক্রমে একেবারে বন্ধ হয়।
  2. পরিণত দশার মানুষদের নিজের ও পরিবার সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।
  3. এই পর্যায়ে মানুষদের জীবন সম্বন্ধে অভিজ্ঞতাও ক্রমশ বাড়তে থাকে।

অন্তিম পরিণতি দশা বা বার্ধক্য দশা –

60 বছর বয়সের পরবর্তী সময়কালকে অন্তিম পরিণতিদশা বা বার্ধক্য দশা বলে।

বৈশিষ্ট্য –

  1. এই দশায় দেহের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে এবং ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি ক্রমশ হ্রাস পায়।
  2. অস্থি ও অস্থিসন্ধির ক্ষয়ের ফলে এইসময় অস্থিজনিত বিভিন্ন রোগ, যথা – অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস দেখা দেয়।
  3. এইসময়ে চুলের বর্ণ ধূসর হয় ও ত্বক কুঞ্চিত হয়।
  4. এই দশায় ব্যক্তির স্মৃতিহ্রাস, অবসাদ ও হীনমন্যতা প্রভৃতি মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
মানব বিকাশের বিভিন্ন দশা
মানব বিকাশের বিভিন্ন দশা

বয়ঃসন্ধিকাল কাকে বলে? বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষ ও স্ত্রীদেহে কী কী পরিবর্তন ঘটে তা লেখো।

বয়ঃসন্ধিকাল –

যে বয়সে নারী ও পুরুষের দেহে গৌণ যৌন লক্ষণগুলি প্রকাশিত হয় এবং একই সঙ্গে মুখ্য যৌনাঙ্গের অন্তঃক্ষরণধর্মী কাজ ও জননকোশের উৎপাদন শুরু হয়, সেই বয়সকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। সাধারণত 10-19 বছর বয়স পর্যন্ত সময়কাল বয়ঃসন্ধিকালের অন্তর্ভুক্ত।

বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষ ও স্ত্রীদেহে পরিবর্তন –

পুরুষের দেহে পরিবর্তন –

বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষদের দৈহিক পরিবর্তনগুলি হল —

  • দৈহিক ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
  • তেল ও ঘর্মক্ষরণকারী গ্রন্থির সক্রিয়তার ফলে মুখমণ্ডলে ব্রণ হয়।
  • বক্ষ, বগল, মুখমণ্ডল এবং পিউবিক অঞ্চলে লোম ও চুল গঠিত হয়।
  • পেশি ও অস্থি শক্তিশালী ও কঠিন হয়।
  • দেহের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিগুলির পূর্ণ বিকাশ ঘটে।
  • কণ্ঠস্বর ভারী হয়।
  • পুরুষের জননাঙ্গের পরিণতিপ্রাপ্তি ঘটে।

স্ত্রীদেহে পরিবর্তন

বয়ঃসন্ধিকালে নারীদের দৈহিক পরিবর্তনগুলি হল —

  • দৈহিক ওজন ও উচ্চতার বৃদ্ধি ঘটে।
  • ত্বকের নীচে মেদ জমায় দেহে নমনীয় ভাব দেখা যায়।
  • স্তনগ্রন্থির বৃদ্ধি ঘটে।
  • নারীত্বের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে।
  • তেল ও ঘর্মগ্রন্থির সক্রিয়তার কারণে মুখে ব্রণ গঠিত হয়।
  • পিউবিক অঞ্চলে লোম ও চুল গঠিত হয়।
  • নারীদেহে জননাঙ্গের পরিণতিপ্রাপ্তি ঘটে।
  • রজঃচক্র শুরু হয়।

বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। বৃদ্ধির শর্তগুলি আলোচনা করো।

বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্য –

  • কোশ বিভাজন, কোশের আকার পরিবর্তন দ্বারা বৃদ্ধি ঘটে।
  • বৃদ্ধির দ্বারা জীবের আকার, আয়তন ও শুষ্ক ওজনের স্থায়ী, ধনাত্মক পরিবর্তন ঘটে।
  • জীবের জীবনকালে বৃদ্ধির হার বিভিন্ন হতে পারে।
  • বৃদ্ধির সময় উপচিতি বিপাক অপচিতি বিপাকের তুলনায় বেশি মাত্রায় ঘটে।
  • প্রাণী ও উদ্ভিদের বৃদ্ধির ধরন পৃথক হয়। উদ্ভিদের বৃদ্ধি অনেক ক্ষেত্রেই আমৃত্যু হয়।

বৃদ্ধির শর্ত –

বৃদ্ধির শর্তগুলিকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায় –

  1. বাহ্যিক শর্ত।
  2. অভ্যন্তরীণ শর্ত।

বাহ্যিক শর্ত –

  • জল – প্রোটোপ্লাজমে উপচিতি বিপাকের জন্য জল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
  • তাপমাত্রা – একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বিস্তারে জীবের বৃদ্ধি ভালো ঘটে।
  • আলো – উদ্ভিদের ক্ষেত্রে সালোকসংশ্লেষ ও প্রাণীর হাড়ের বৃদ্ধিতে আলোর গুরুত্ব অপরিসীম। উল্লেখ্য, সালোকসংশ্লেষ প্রোটোপ্লাজমীয় ওজন বৃদ্ধি করে।

অভ্যন্তরীণ শর্ত –

  • হরমোন – উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে অক্সিন, জিব্বেরেলিন আর প্রাণীর বৃদ্ধিতে গ্রোথ হরমোন, থাইরক্সিন ও যৌন হরমোনগুলির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
  • জিনগত গঠন – কোনো জীবের জিনগত বৈশিষ্ট্য তার বৃদ্ধির হার নির্ণয়ে মুখ্য ভূমিকা নেয়।

মানুষের বৃদ্ধি ও বিকাশের পার্থক্য লেখো।

মানুষের বৃদ্ধি ও বিকাশের পার্থক্য –

বিষয়বৃদ্ধিবিকাশ
বৈশিষ্ট্যএক্ষেত্রে প্রোটোপ্লাজমের নিয়ন্ত্রণাধীনে দেহের আকার, আয়তন ও শুষ্ক ওজন স্থায়ী অপরিবর্তনীয়ভাবে বেড়ে যায়।আকার, আয়তন ও শুষ্ক ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সক্রিয়তা ও কার্যসম্পাদনে উৎকর্ষ বিকাশের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বিকাশ।
প্রকৃতিবৃদ্ধি পরিমাণগত।পরিমাণগত ও গুণগত।
সম্পর্কবৃদ্ধি হল কারণ।বিকাশ হল বৃদ্ধির ফল।
ধারণাবৃদ্ধির ধারণা কেবল দৈহিক বা শরীরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।বিকাশের ধারণায় দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, প্রাক্ষোভিক সবই অন্তর্ভুক্ত।
প্রভাবকবৃদ্ধি স্বতঃস্ফূর্ত, তবে অনুশীলনের প্রভাব এক্ষেত্রে দেখা যায়।পরিবেশের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ফলেই বিকাশ ঘটে অর্থাৎ ব্যক্তির সক্রিয়তা ও অনুশীলন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক।
সময়কালনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘটে।বিকাশ আমৃত্যু ঘটে।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায় “জীবনের প্রবহমানতা” অধ্যায়ের ‘বৃদ্ধি ও বিকাশ‘ বিভাগের রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন যার এটি প্রয়োজন হবে তার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ভারতে খরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়

ভারতে প্রায়ই খরা হয় কেন? ভারতে খরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

ভারতের বন্যা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়

ভারতে প্রায়ই বন্যা হয় কেন? ভারতের বন্যা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

দশম শ্রেণি - বাংলা - নদীর বিদ্রোহ - পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ

দশম শ্রেণি – বাংলা – নদীর বিদ্রোহ – পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণি – বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – বিষয়সংক্ষেপ

ভারতে প্রায়ই খরা হয় কেন? ভারতে খরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?