মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান — পরিবেশ তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ — পরিবেশদূষন — সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Rahul

 আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ” অধ্যায়ের ‘পরিবেশদূষন‘ বিভাগের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

পরিবেশদূষন — সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পরিবেশদূষন — সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Contents Show

পরিবেশদূষণ কাকে বলে?

পরিবেশে যখন প্রাণী ও উদ্ভিদজগতের অস্তিত্বের পক্ষে ক্ষতিকর বস্তুর উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়, সেই অবস্থাকে পরিবেশদূষণ বলে।

দূষক কাকে বলে?

যে সকল পদার্থের উপস্থিতি পরিবেশে অবাঞ্ছিত পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং যার ফলে সমগ্র জীবজগৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাকে দূষক বলে। যেমন – ধুলো-বালি, ময়লা, আবর্জনা, CO2, NO2, SO2, সিসা, পারদ ইত্যাদি।

বাস্তুবিজ্ঞানী ওডাম পরিবেশের দূষণকারী পদার্থকে কত ভাগে ভাগ করেছেন ও কী কী?

বাস্তুবিজ্ঞানী ওডাম পরিবেশের দূষণকারী পদার্থকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন, যথা –
 
1. জৈব অভঙ্গুর দূষক।
2. জৈব ভঙ্গুর দূষক।

জৈব অভঙ্গুর দূষক বলতে কী বোঝ?

যে জটিল দূষণকারী পদার্থগুলি সহজে সরল পদার্থে রূপান্তরিত না হওয়ার ফলে পরিবেশে জমা হতে থাকে ও জৈব রাসায়নিক চক্রে আবর্তিত হতে থাকে, তাদের জৈব-অভঙ্গুর দূষক বলে। যেমন – DDT, পলিথিন ইত্যাদি।

জৈব ভঙ্গুর দূষক বলতে কী বোঝ?

গৃহস্থালির জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য

যে জটিল দূষণকারী পদার্থগুলি ব্যাকটেরিয়া, অণুজীব প্রভৃতি দ্বারা বিয়োজিত হয়ে সরল পদার্থে পরিণত হয়, তাকে জৈব ভঙ্গুর দূষক বলে। যেমন – গৃহস্থালির বর্জ্য, আবর্জনা ইত্যাদি।

দূষণের প্রকারভেদগুলি কী কী?

পরিবেশের উপাদান অনুযায়ী দূষণ প্রধানত চারপ্রকার, যথা –
 
1. বায়ুদূষণ।
2. জলদূষণ।
3. মৃত্তিকা দূষণ।
4. শব্দদূষণ।

প্রাকৃতিক বায়ুদূষক কাকে বলে?

প্রাকৃতিক উৎস থেকে যেসব দূষক পদার্থ উৎপন্ন হয়ে বায়ুকে দূষিত করে, তাদের প্রাকৃতিক বায়ুদূষক বলে। যেমন – ফুলের রেণু, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, জলাভূমির মিথেন গ্যাস ইত্যাদি।

মনুষ্যসৃষ্ট বা অ্যানথ্রোপোজেনিক বায়ুদূষক কাকে বলে?

কলকারখানা নিঃসৃত ধোঁয়া

মানুষের কার্যকলাপের ফলে সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ থেকে উৎপন্ন দূষক পদার্থ যা বায়ুকে দূষিত করে, তাকে মনুষ্যসৃষ্ট বা অ্যানোপোজেনিক বায়ুদূষক বলে। যেমন – কারখানা থেকে নির্গত কয়লার ধোঁয়া।

প্রাথমিক বা প্রধান বায়ুদূষক কাকে বলে?

যেসব বায়ুদূষক কোনো প্রাকৃতিক ঘটনায় অথবা মনুষ্যজনিত কারণে সরাসরি উৎপন্ন হয়, সেগুলিকে প্রাথমিক বায়ুদূষক বলে। এই দূষকগুলি হল – CO2, SO2, ভাসমান বস্তুকণা (SPM), ট্রোপোস্ফিয়ারিক ওজোন ইত্যাদি।

গৌণ বায়ুদূষক কাকে বলে?

সূর্যালোকের উপস্থিতিতে অথবা অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন প্রাথমিক বায়ুদূষক পদার্থ যখন নিজেদের মধ্যে বিক্রিয়া করে আরও জটিল ও বেশি ক্ষতিকর বায়ুদূষক সৃষ্টি করে তখন সেগুলিকে গৌণ বায়ুদূষক বলে। যেমন – সালফিউরিক অ্যাসিড, ধোঁয়াশা, PAN ইত্যাদি।

গ্রিনহাউস এফেক্ট কাকে বলে?

CO2, CH4, CFC, N2O প্রভৃতি দূষক গ্যাসগুলি পৃথিবীপৃষ্ঠে প্রতিফলিত তাপ শোষণ করে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। এই ঘটনাকে গ্রিনহাউস এফেক্ট বলে।

কয়েকটি ফ্লুরিনযুক্ত গ্যাসের নাম ও উৎস লেখো যেগুলি গ্রিনহাউস গ্যাস রূপে কাজ করে।

ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, হাইড্রোফ্লুরোকার্বন, পারফ্লুরোকার্বন, সালফার হেক্সাফ্লুরাইড ও নাইট্রোজেন ট্রাইফ্লুরাইড গ্যাসগুলি গ্রিনহাউস গ্যাস রূপে কাজ করে। এগুলি স্বল্প পরিমাণে উৎপন্ন হলেও তীব্র গ্রিনহাউস গ্যাস। নানাপ্রকার শিল্প থেকে (রেফ্রিজারেশন, অ্যারোসল উৎপাদন শিল্প) এগুলি উৎপন্ন হয়।

ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে কীভাবে ওজোন নামক গ্রিনহাউস গ্যাসটি উৎপন্ন হয়?

ভূসংলগ্ন ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে দূষণের ফলে সৃষ্ট নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ (NOx), কার্বন মনোক্সাইড (CO) এবং উদ্বায়ী জৈব যৌগ (VOC বা ভোলাটাইল অরগ্যানিক কম্পাউন্ড), সূর্যালোকের প্রভাবে ওজোন গ্যাস তৈরি করে। মূলত যান নির্গমন, শিল্প উৎপাদন ও রাসায়নিক দ্রাবক হল ওই বায়ুদূষক উৎপাদনের প্রধান কারণসমূহ।

মানব ক্রিয়ায় ওজোন গ্যাসের কীরূপ পরিবর্তন ঘটেছে?

1. শিল্পজাত CFC -জাতীয় উপাদানগুলির প্রভাবে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে ওজোন হ্রাস পেয়ে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সূর্যালোকের UV রশ্মি মানুষ ও অন্যান্য জীবের ক্ষতিসাধন করে।
 2. পক্ষান্তরে, মাটি সংলগ্ন ট্রোপোস্ফিয়ার স্তরে নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, VOC প্রভৃতি সূর্যালোকের প্রভাবে ওজোন তৈরি করে। এই ওজোন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঘটায়।

SPM বা PM কাকে বলে? এর উপাদানগুলি কী কী?
অথবা, SPM -এর উদাহরণ দাও।

SPM – শিল্প, দহন, প্রাকৃতিক উৎসজাত বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম কঠিন বা তরল কণাকে SPM বা সাসপেনডেড পারটিকুলেট ম্যাটার বলে।

উপাদান – ভারী ধাতু, তেলের ধোঁয়া কণা, ফ্লাইঅ্যাশ, অণুজীব, পরাগরেণু, সিমেন্টের ধুলো, ধুলো, প্রভৃতি।

SPM -এর উৎসগুলি কী কী?

ভাসমান কণিকাগুলির উৎস হল যানবাহন, তৈল শোধনাগার, শিল্প-কলকারখানা, কৃষিক্ষেত্র প্রভৃতি। এইসব ক্ষেত্রে থেকে নির্গত বস্তুকণাগুলি বাতাসে ভাসমান অবস্থায় থেকে বায়ুকে দূষিত করে।

SPM -এর ক্ষতিকর প্রভাবগুলি লেখো।

1. 10 মাইক্রোমিটারের থেকে ক্ষুদ্র SPM গুলি শ্বাসতন্ত্র দিয়ে রক্তে প্রবেশ করে ও ক্যানসার ঘটায়।
 2. SPM গুলি শ্বাসতন্ত্রে নানা রোগ, যেমন ব্রংকাইটিস, হাঁপানির তীব্রতা বৃদ্ধি, ফুসফুসে সংক্রমণ, কাশি, শ্বাসনালী প্রদাহ ঘটায়।
 3. হার্ট অ্যাটাক, হৃৎস্পন্দন মাত্রার পরিবর্তন এর দ্বারা ঘটে থাকে।
 4. SPM গুলি পরিবেশকে কুয়াশাচ্ছন্ন করে দর্শন-অযোগ্য করে তোলে, অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটায়।

অ্যারোসল কী?

আমাদের চারপাশের বাতাসে বিভিন্ন ধরনের কঠিন অথবা জলীয় পদার্থের সূক্ষ্ম কণিকা কোলয়েড-রূপে ভাসমান অবস্থায় থাকে। এদের অ্যারোসল বলে। এদের ব্যাস 1 মাইক্রনের কম হয়। যেমন – ধুলো, ধোঁয়া, কুয়াশা ও বাষ্প।

ধোঁয়াশা কী?

বাতাসে নাইট্রোজেনের অক্সাইড এবং হাইড্রোকার্বনের সাথে সূর্যরশ্মির আলোকরাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে যে ধোঁয়াটে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে ধোঁয়াশা (smog) বলে। ধোঁয়াশা হল ধোঁয়া এবং কুয়াশার সংমিশ্রণ।

বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইড বৃদ্ধির দুটি কারণ উল্লেখ করো।

বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইড বৃদ্ধির দুটি কারণ হল –
 
1. প্রচুর পরিমাণে কয়লা, পেট্রোলিয়াম বা খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার।
2. নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস।

বায়ুদূষণের দুটি ক্ষতিকারক প্রভাব সম্বন্ধে লেখো।

1. বায়ুদূষণের ফলে বায়ুমণ্ডলে NO2, SO2 প্রভৃতি গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটে। অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে জলজ বাস্তুতন্ত্র, মার্বেলের নির্মিত স্থাপত্য, বনাঞ্চল প্রভৃতির প্রভূত ক্ষতিসাধন ঘটে।
 2. বায়ুদূষণের ফলে বায়ুতে বিভিন্ন দূষক যেমন – SPM -এর পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে ফুসফুসের রোগ যথা – হাঁপানি, COPD, ব্রংকাইটিস প্রভৃতি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।

PAN কীভাবে সৃষ্টি হয়?

সূর্যালোকের উপস্থিতিতে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, হাইড্রোকার্বনের বিক্রিয়ায় পারক্সি-অ্যাসিটাইল নাইট্রেট বা PAN তৈরি হয়। এটির প্রভাবে চোখ জ্বালা, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ প্রভৃতি উপসর্গ দেখা যায়।

যানবাহনের পরিত্যক্ত ধোঁয়া কীভাবে বায়ুদূষণ ঘটায়?

যানবাহনের পরিত্যক্ত ধোঁয়াতে প্রচুর পরিমাণে কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ প্রভৃতি থাকে। এই উপাদানগুলিই বায়ুদূষণ ঘটায়। মোট বায়ুদূষণের প্রায় 40 শতাংশ যানবাহনের ধোঁয়া থেকে ঘটে।

অ্যাসিড বৃষ্টির রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি সংক্ষেপে উল্লেখ করো।

অ্যাসিড বৃষ্টির রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি হল –

1. NOx + H2O → HNO3
 2. 2SO2 + O2 → 2SO3, SO3 + H2O → H2SO4 উৎপন্ন নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) ও সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4) বৃষ্টির সঙ্গে মিশে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে।

অ্যাসিড বৃষ্টির রাসায়নিক উপাদানগুলি লেখো।

অ্যাসিড বৃষ্টির রাসায়নিক উপাদানগুলি হল –
 
1. সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4)।
 2. নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3)।
 3. কার্বনিক অ্যাসিড। (H2CO3)।

অ্যাসিড বৃষ্টিতে তাজমহল বা অন্য মার্বেল নির্মিত স্থাপত্যের ক্ষতি হয় কীভাবে?

মার্বেল, চুনাপাথর প্রভৃতি প্রকৃতপক্ষে হল ক্যালশিয়াম কার্বনেট (CaCO3)। এটি অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সালফেট বা নাইট্রেট যৌগ উৎপন্ন করে যা স্থাপত্যের উজ্জ্বলতা ম্লান করে দেয়। এ ছাড়া পাথর ক্ষয়ে সৌন্দর্যহানি ঘটে, যাকে স্টোন লেপ্রসি বলে।

‘সাধারণ বৃষ্টির pH 5.6 অর্থাৎ সামান্য আম্লিক’ — কেন তা ব্যাখ্যা করো।

বায়ুর CO2, বৃষ্টির জলে দ্রবীভূত হয়ে কার্বনিক অ্যাসিড তৈরি করে। তাই তার pH সামান্য আম্লিক হয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য, অম্লবৃষ্টির pH 4.2-4.4 হয়।

ওজোন হোল বা ওজোন গহ্বর কী?

মানব ক্রিয়াকলাপজনিত কারণে সৃষ্ট ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, হ্যালোন প্রভৃতি গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর বিনাশ করে তাতে গহ্বর সৃষ্টি করে। একে ওজোন হোল বলে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, এভাবে ওজোন স্তরের ক্রমশ ঘনত্ব বিনষ্ট হওয়াকে বলে ওজোন স্তরের বিনাশ (ozone depletion)।

ওজোন হোলের ক্ষতিকর প্রভাব লেখো।

ওজোন হোলের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি হল –
 
1. ওজোন হোল সৃষ্টি হলে সূর্যালোকের UV রশ্মি (UVA) পৃথিবীপৃষ্ঠে নেমে এসে ত্বকের ক্যানসার, ছানি প্রভৃতি রোগ সৃষ্টি করে।
 2. UV রশ্মির প্রভাবে সায়ানোব্যাকটেরিয়া বিনষ্ট হয়, ফলে ধান উৎপাদন অতিমাত্রায় ব্যাহত হয়।

শিল্প, কলকারখানা, যানবাহন ইত্যাদি থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া পরিশোধন করতে ব্যবহৃত দুটি যন্ত্রের নাম লেখো।

শিল্প, কলকারখানা, যানবাহন ইত্যাদি থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া পরিশোধনে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি যন্ত্রের নাম হল –
 
1. ইলেকট্রোস্ট্যাটিক প্রেসিপিটেটর।
 2. ক্যাটালাইটিক কনভার্টার।

জলদূষণ কত প্রকারের হয়?

জলদূষণ প্রধানত পাঁচ প্রকারের হয়, যথা –
 
1. ভূনিম্নস্থ জলদূষণ।
2. সমুদ্রের জলদূষণ।
3. নদীর জলদূষণ।
4. হ্রদের জলদূষণ।
5. পুকুরের ও অন্যান্য জলাশয়ের জলদূষণ।

জলের ভৌতদূষণ বলতে কী বোঝ?

বিভিন্ন প্রকার দূষিত বর্জ্য পদার্থ জলে মিশলে জলের ভৌত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ জলের বর্ণ অস্বচ্ছ হয়ে যায় ও তাতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় ও বিস্বাদ হয়ে পড়ে ও জল ব্যবহারের অযোগ্য হয়। একে জলের ভৌতদূষণ বলে।

ইউট্রোফিকেশন কাকে বলে?

জলদূষণজনিত কারণে জলাশয়ে অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান সৃষ্টির মাধ্যমে প্ল্যাঙ্কটনের সংখ্যার অত্যধিক বৃদ্ধি ঘটে, যার ফলে জলের গুণমানের ঘাটতি দেখা যায়, একে ইউট্রোফিকেশন বলে।

ইউট্রোফিকেশনে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন হ্রাস পায় কেন?

জলে অতিরিক্ত শৈবালের বৃদ্ধির ফলে তাদের বিয়োজনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায় বলে জলের সমস্ত অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন ব্যবহার করে মৃত শৈবালের বিয়োজন বা ডিকম্পোজিশন ঘটায়। ফলে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন মাত্রা হ্রাস পায়।

ইউট্রোফিক জলাশয়ের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
অনুরূপ প্রশ্ন, ইউট্রোফিকেশন -এর ক্ষতিকর প্রভাবগুলি লেখো।

ইউট্রোফিক জলাশয়ের বৈশিষ্ট্যগুলি হল –
 
1. জলে শৈবালের অতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটে ‘অ্যালগাল ব্লুম’ সৃষ্টি হয় ও জলাশয়ের বর্ণ সবুজ হয়ে যায়। ফলে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায়।
2. জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন মাত্রা হ্রাস পায় ফলে মাছ মারা যায়।
3. শৈবালের পচনের ফলে জলে স্ট্রিকনিন নামক বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয়, যার ফলে জলজ জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অ্যালগাল ব্লুম কাকে বলে?

স্বাদু জল বা সামুদ্রিক লবণাক্ত জলে শৈবালের অতিবৃদ্ধি ঘটে জলের বর্ণ সবুজ হয়ে যায় ও ওই জলের বাস্তুতন্ত্র বিনষ্ট হয়। একে অ্যালগাল ব্লুম বলে। ইউট্রোফিকেশনে অ্যালগাল ব্লুম ঘটে থাকে।

COD বলতে কী বোঝ? এটি দূষণ নির্দেশকরূপে কীভাবে কাজ করে?

COD – জলের জৈব উপাদানের পচন ও অজৈব রাসায়নিক, যেমন – অ্যামোনিয়া ও নাইট্রাইটের জারণে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন মাত্রা নির্দেশ করে COD বা কেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড।

দূষণ নির্দেশকরূপে কাজ – এটি জলে উপস্থিত জৈব ও অজৈব দূষক মাত্রা নির্দেশ করে। এর মান বৃদ্ধির অর্থ জলে দূষণ মাত্রা বৃদ্ধি।

জৈব অক্সিজেন চাহিদা বা BOD বলতে কী বোঝ?

কাগজ শিল্প, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প, চর্মশিল্প প্রভৃতির উপজাত দ্রব্য ও গৃহস্থালির উপজাত দ্রব্যে প্রচুর পরিমাণে জৈব পদার্থ থাকে। এগুলি জলে মিশে বিভিন্ন অণুজীবের সংখ্যার অত্যধিক বৃদ্ধি ঘটায়। এতে জলে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায়। এর ফলস্বরূপ জলে অক্সিজেনের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এই ঘটনাকে জৈর অক্সিজেন চাহিদা বা BOD (Biological Oxygen Demand) বলে।

কৃষিক্ষেত্রে বর্জ্য বহির্গমন (agricultural run off) বলতে কী বোঝ?

কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত সার, বিভিন্ন প্রকার আগাছানাশক ও কীটনাশক, মাটি, ফসলজাত বর্জ্য বৃষ্টির জল বা চাষের অতিরিক্ত জলের সাথে মিশে কৃষিক্ষেত্র থেকে নির্গত হয়ে যায়। একেই কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য বহির্গমন (agricultural run off) বলা হয়।

কৃষিক্ষেত্রে বর্জ্য বহির্গমন (agricultural run off) বলতে কী বোঝ?

কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত সার, বিভিন্ন প্রকার আগাছানাশক ও কীটনাশক, মাটি, ফসলজাত বর্জ্য বৃষ্টির জল বা চাষের অতিরিক্ত জলের সাথে মিশে কৃষিক্ষেত্র থেকে নির্গত হয়ে যায়। একেই কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য বহির্গমন (agricultural run off) বলা হয়।

কোন্ কোন্ ধাতু বেশি পরিমাণে মৃত্তিকা দূষণ ঘটায়?

বিভিন্ন ধাতব শিল্প থেকে সিসা, তামা, দস্তা, পারদ, নিকেল, ক্রোমিয়াম প্রভৃতি ধাতু নির্গত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে ধাতুজনিত মৃত্তিকা দূষণ ঘটায়।

কীটনাশক দ্রব্যের মাধ্যমে কোন্ কোন্ ধাতু মৃত্তিকা দূষণ ঘটায়?

বিভিন্ন কীটনাশক দ্রব্যে তামা, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম ও পারদ যৌগ রূপে উপস্থিত থাকে। সেগুলির প্রয়োগে মাটিতে ধাতুজনিত দূষণের সৃষ্টি হয়।

কৃষিক্ষেত্রে বর্জ্যে উপস্থিত পদার্থের নাম লেখো।

কৃষিক্ষেত্রে বর্জ্যে উপস্থিত পদার্থ হল –
 
1. DDT, BHC ধভৃতি কীটনাশক।
2. বিভিন্নপ্রকার নাইট্রেট ও ফসফেটজাতীয় সার।

মাটির পারমাণবিক দূষণ কীভাবে ঘটে?

পারমাণবিক বিস্ফোরণ ও পারমাণবিক চুল্লী থেকে নির্গত বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় উপজাত দ্রব্যের ফলে মাটির দূষণ ঘটে। তেজস্ক্রিয় উপজাত দ্রব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রেডিয়াম-106, প্রোমেথিয়াম-144।

কোন্ ধরনের কীটনাশক অধিকমাত্রায় মৃত্তিকা দূষণ ঘটায়?

কীটনাশক প্রয়োগ

ক্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন-জাতীয় কীটনাশক, যেমন – DDT, BHC, অ্যালড্রিন প্রভৃতি অধিকমাত্রায় মৃত্তিকা দূষণ ঘটায়।

জীববিবর্ধন বা জৈববিবর্ধন (biomagnification) কাকে বলে?

যে পদ্ধতিতে পরিবর্তনহীন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে এবং প্রতিটি খাদ্যস্তরের অন্তর্ভুক্ত জীবদেহে এর ঘনত্বের পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বহুগুণ বৃদ্ধি পায়, তাকে জীববিবর্ধন বা জৈববিবর্ধন বা বায়োম্যাগনিফিকেশন বলে।

জীববিবর্ধনের কুফল লেখো।

দূষকগুলি খাদ্যশৃঙ্খল বরাবর বিবর্ধিত হলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন –
 
1. জীবদেহে ক্যানসার ঘটতে পারে (যেমন – আর্সেনিক সঞ্চয়)।
2. জীবের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
3. বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম ঘটে যাকে টেরাটোজেনেসিস (teratogenesis) বলে।
4. প্রাণীদেহে যকৃৎ ও বৃক্কের ক্ষতি ও রোগ সৃষ্টি হয়।

একটি খাদ্যজালে জীবসংখ্যা বেশি হলে জীববিবর্ধনে তার কী প্রভাব পড়বে?

একটি খাদ্যজালে জীবসংখ্যা বেশি হলে তার খাদ্যশৃঙ্খলও বেশি হবে। ফলে কোনো জীবের খাদ্যে জীবপ্রজাতি সংখ্যাও বেশি থাকবে। ফলে জীববিবর্ধন মাত্রা লাফিয়ে অনেকটা বেড়ে যাবে।

জৈবসঞ্চয়ন বা জৈবপুঞ্জীভবন (bioaccumulation) কাকে বলে?

যে পদ্ধতিতে দূষক উপাদানগুলি জীবদেহ থেকে রেচনের মাধ্যমে নির্গত না হয়ে দেহে সঞ্চিত হয় ও দেহের ক্ষতিসাধন করে, তাকে জৈবসঞ্চয়ন বলে।

জৈবসঞ্চয়ন কেন ঘটে?

1. দূষকগুলি জলে অদ্রাব্য হলে তা মূত্র দ্বারা রেচিত না হয়ে দেহের নানা অঙ্গে জমে যায়।
2. অনেক দূষক ফ্যাটে দ্রবীভূত হয়। এগুলি প্রাণীর মেদকলা বা অ্যাডিপোজ কলায় সঞ্চিত হয়।
3. দূষকগুলি দেহের পক্ষে অপরিচিত উপাদান বলে তার বিপাকে উপযুক্ত উৎসেচক দেহে থাকে না।

শব্দদূষণ বলতে কী বোঝ?

উচ্চ প্রাবল্য ও উচ্চ তীব্রতা সহনসীমার ঊর্ধ্বের সুরবর্জিত কর্কশ যে শব্দ মানবদেহে ক্ষতিকর ও অবাঞ্ছনীয় পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে, তাকে শব্দদূষণ বলে। যেমন – বাজির শব্দ, মাইক্রোফোনের উচ্চ শব্দ, যানবাহন জাত তীব্র শব্দ ইত্যাদি।

নিঃশব্দ অঞ্চল বা সাইলেন্স জোন কী?

সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড (CPCB) হসপিটাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট প্রভৃতি স্থানের সন্নিহিত 100 মিটার অঞ্চলে দিনের বেলায় শব্দের ন্যূনতম মাত্রা 50 dB নির্ধারিত করেছেন। এই অঞ্চলকে নিঃশব্দ অঞ্চল বলে।

শ্রবণেন্দ্রিয়ের অবসাদ বলতে কী বোঝ?

90 ডেসিবেলের বেশি মাত্রায় শব্দ আমাদের কানে এসে পৌঁছলে সেটি শ্রবণ অঙ্গকে সাময়িকভাবে অকেজো করে তোলে এবং মানসিক অবসাদে ভোগে। এই ঘটনাকে শ্রবণেন্দ্রিয়ের অবসাদ বলা হয়।

শব্দদূষণ মানব শরীরে কান ও হৃৎপিণ্ডের ওপর কী কী ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে?

কানের ওপর প্রভাব – দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ শব্দ (100 dB) -এর কারণে অন্তঃকর্ণের অর্গান অফ কর্টির কোশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পায় বা বিনষ্ট হয়। একে ‘নয়েস ইনডিউস্ড হিয়ারিং লস’ বলে।

হৃৎপিন্ডের ওপর প্রভাব – 90 dB -এর ঊর্ধ্বে শব্দ হলে সিস্টোলিক রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন হার বৃদ্ধি পায়। অনবরত 60 dB -এর ঊর্ধ্বে শব্দ শুনলে হৃৎপিন্ডের মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এই রোগে হৃদ্‌পেশিতে আংশিকভাবে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গিয়ে পেশির কার্যকারিতা বিনষ্ট হয়।

শব্দদূষণে মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর কী সমস্যা হয়?

1. শব্দের আওয়াজে বন্যপ্রাণীরা পারস্পরিক যোগাযোগের ভাষা শুনতে পায় না (একে ‘মাস্কিং’ বলে)। ফলে সহজেই তারা অন্য প্রাণী দ্বারা শিকার হয়ে যায়।
2. শব্দদূষণের ফলে বহু প্রাণীর আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যানবাহন-জনিত শব্দদূষণের মাত্রা কত নির্ধারণ করেছে?

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যানবাহন জনিত শব্দদূষণের মাত্রা 70 dB নির্ধারণ করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু শহরে যানবাহন জনিত শব্দদূষণের মাত্রা এর থেকে অনেক বেশি।

নিম্নলিখিত দূষকগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব তালিকাভুক্ত করো – গ্রিনহাউস গ্যাস, SPM, কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, অভঙ্গুর রাসায়নিক কীটনাশক।

বিভিন্ন দূষকের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি হল –

দূষকক্ষতিকারক প্রভাব
গ্রিনহাউস গ্যাস।বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
SPM।মানুষের শ্বাসতন্ত্রে জ্বালা ও শ্বাসকষ্ট।
কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার।ইউট্রোফিকেশন ও জৈবসঞ্চয়ন।
অভঙ্গুর রাসায়নিক কীটনাশক।জৈবসঞ্চয়ন ও জীববিবর্ধন।

জৈবসঞ্চয়ন ও জীববিবর্ধন -এর পার্থক্য লেখো।

জৈবসঞ্চয়ন ও জীববিবর্ধন -এর পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়জৈবসঞ্চয়নজীববিবর্ধন
জীব।একটি জীবে দূষক সঞ্চয়।খাদ্যশৃঙ্খল বরাবর সমস্ত জীবে দূষক সঞ্চয়।
দূষক মাত্রা।দূষক মাত্রা জীবে একই থাকে।পুষ্টিস্তর বরাবর দূষকমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
ধারণা।ক্ষুদ্রতর ধারণা, এটি জীববিবর্ধনের অন্তর্গত একক জীবস্তরের অবস্থা সূচিত করে।বৃহত্তর ধারণা, জৈবসঞ্চয়ন হল জীববিবর্ধনের একটি কারণ।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ” অধ্যায়ের ‘পরিবেশদূষন‘ বিভাগের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন যার এটি প্রয়োজন হবে তার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ভারতে খরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়

ভারতে প্রায়ই খরা হয় কেন? ভারতে খরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

ভারতের বন্যা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়

ভারতে প্রায়ই বন্যা হয় কেন? ভারতের বন্যা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

দশম শ্রেণি - বাংলা - নদীর বিদ্রোহ - পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ

দশম শ্রেণি – বাংলা – নদীর বিদ্রোহ – পাঠ্যাংশের ব্যাকরণ

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণি – বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – বিষয়সংক্ষেপ

ভারতে প্রায়ই খরা হয় কেন? ভারতে খরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?