নবম শ্রেণি – বাংলা – দাম – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাম ছোটোগল্পে কথক সুকুমারের স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই ছিলেন তাঁদের কাছে বিভীষিকাস্বরূপ।

অঙ্ক করার সময় খড়ি ভেঙে গেলে বিরক্ত মাস্টারমশাই ভাঙা টুকরো দুটো ছাত্রদের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে আর-একটা খড়ি নিতেন।

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাম ছোটোগল্পে মাস্টারমশাই অঙ্ক কষে ছবির মতো করে ব্ল্যাকবোর্ডে সাজিয়ে দিতেন।

অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের হাতে চড় খেয়েও কান্নার উপায় ছিল না। কারণ, তাহলে তিনি আরও বকতেন এবং পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলার হুমকি দিতেন।

স্কুলে অঙ্ক না পারায় মাস্টারমশাইয়ের চড় খেয়ে যেসব ছাত্ররা কাঁদত, গল্পকথকের অঙ্কের মাস্টারমশাই সেইসব ছাত্রদের এ কথা বলতেন ৷

মাস্টারমশাইয়ের চড়ের জোর থেকে ছাত্ররা আন্দাজ করেছিল যে, তাদের পা ধরে পুকুরে ছুঁড়ে ফেলার শক্তি মাস্টারমশাইয়ের ছিল।

প্লেটোর দোরগোড়ায় লেখা ছিল, যে ব্যক্তি অঙ্ক জানে না সেই ব্যক্তির তাঁর বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ।

স্বর্গের দরজাতেও নাকি প্লেটোর দোরগোড়ার মতো লেখা আছে, যে অঙ্ক জানে না তার প্রবেশ নিষেধ।

বক্তার মতে যে স্বর্গে পা দিয়েই জ্যামিতির এক্সট্রা করতে হয় তার থেকে লক্ষ যোজন দূরে থাকাই নিরাপদ।

ম্যাট্রিকুলেশনের গণ্ডি পার হয়ে সুকুমার অঙ্ক ও বিভীষিকাস্বরূপ অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলেন।

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম ছোটোগল্পে সুকুমার কলেজে বাংলা পড়ান।

একটি অনামি পত্রিকার পক্ষ থেকে সুকুমারের কাছে তাঁর ছেলেবেলার গল্প লেখার ফরমাশ এসেছিল।

সাহিত্যজগতের রথী-মহারথী অর্থাৎ স্বনামধন্য সাহিত্যিকদের সাহিত্যে ইন্দ্ৰ চন্দ্ৰ মিত্র বরুণ’ বলা হয়েছে।

কয়েকজন ঘরোয়া মানুষের কাছে ঘরোয়া গল্প বলাকেই প্রীতির ব্যাপার বলা হয়েছে।

সুকুমার তাঁর স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাইকে নিয়ে ছেলেবেলার গল্প লিখেছিলেন।

পত্রিকা কর্তৃপক্ষ সুকুমারের লেখায় খুশি হয়ে তাঁকে দশ টাকা দক্ষিণা দিয়েছিলেন।

পত্রিকায় মাস্টারমশাইকে নিয়ে লেখা বাল্যস্মৃতির দক্ষিণা হিসেবে পাওয়া দশ টাকাকেই সুকুমার নগদ লাভ বলে মনে করেছিলেন।

অনেকদিন পার হয়ে যাওয়ায় কথক তার পত্রিকার লেখা এবং মাস্টারমশাইয়ের কথা সবই ভুলে গিয়েছিলেন।

দাম গল্পের কথক সুকুমারের কাছে বাংলাদেশের এক প্রান্তের একটি কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠানে আতিথ্যগ্রহণ ও বক্তৃতাদানের জন্য ডাক এসেছিল।

গল্পকথক সুকুমারের মতে, কলকাতার চড়ুই পাখিও বাইরে গেলে রাজহাঁসের সম্মান পায়।

বাংলাদেশের প্রান্তবর্তী কলেজে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিনা পয়সায় আতিথেয়তা নেওয়ার সুযোগের কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রান্তবর্তী এক কলেজের বার্ষিক উৎসবের সভামঞ্চে কথক অর্থাৎ সুকুমার বক্তৃতা করেছিল।

সুকুমার তাঁর বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথের বারোটি উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছিলেন।

সুকুমার তাঁর বক্তৃতার ইংরেজি কোটেশনটি আইরিশ নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ-র নামে চালিয়েছিলেন।

বক্তৃতার শেষের দিকে দেশের তরুণদের জাগ্রত হওয়ার কথা বলে কথক যখন প্রচণ্ড জোরে টেবিলে কিল মেরেছিলেন সেই সময়ের কথা বলা হয়েছে।

সর্বার্থসাধক কথাটির অর্থ যা যে – কোনো প্রয়োজন মেটায় বা সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।

দাম-এর কথক সুকুমার তাঁর তৈরি একটি বক্তৃতাকেই সামান্য পরিবর্তন করে রবীন্দ্র জন্মোৎসব থেকে বনমহোৎসব সর্বত্রই চালাতেন।

আবছা অন্ধকারে সুকুমার যাঁকে দেখেছিলেন তাঁর চেহারা ছিল কুঁজো লম্বা এবং মাথার সাদা চুলগুলি চিকমিক করছিল।

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাম ছোটোগল্প থেকে নেওয়া আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন কথক সুকুমারের ছোটোবেলার স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই।

বাংলাদেশের এক প্রান্তিক অঞ্চলে এক বৃদ্ধের মুখে চেনা কণ্ঠস্বরে তাঁর সুকুমার নামের ডাক শুনে কথক চমকে গিয়েছিলেন।

অঙ্ক না পারলেই অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের ভয়ানক চড় নেমে আসবে পিঠে — এই ছিল সুকুমারের ভয়।

প্রাক্তন ছাত্র সুকুমার কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন জেনে মাস্টারমশাই ছুটে এসেছিলেন।

মাস্টারমশাই পুরোনো পত্রিকার লেখাটির কথা উল্লেখ করায় অপ্রস্তুত সুকুমারের জিভ শুকিয়ে যায়, আত্মগ্লানিতে মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করে।

মাস্টারমশাইয়ের জামার পকেট থেকে শতচ্ছিন্ন এক জীর্ণ পত্রিকা বেরিয়েছিল।

সুকুমারের লেখা বাল্যস্মৃতি পড়ে আনন্দে মাস্টারমশাই সুকুমারকে চিঠি লিখলেও সেটি পাঠাতে তাঁর সাহস হয়নি।

আবছা আলোয় অভ্যস্ত হলে সুকুমার ছোটোবেলার সেই রাগি অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের দু-চোখে আবেগের অশ্রুধারা দেখতে পেয়েছিলেন।

বৃদ্ধ মাস্টারমশাইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সবশেষে সুকুমারের মনে হয়েছিল তিনি স্নেহ-মমতা-ক্ষমার এক মহাসমুদ্রের ধারে এসে দাঁড়িয়েছেন।

দাম ছোটোগল্পে সুকুমারের মনে হয়েছে যে কোটি মণিমাণিক্য দিয়েও মাস্টারমশাইয়ের স্নেহের পরিমাপ হয় না।

সুকুমার মাস্টারমশাইয়ের স্নেহকে কোটি মণিমাণিক্যের সঙ্গে তুলনা করে সেসবের থেকেও তাকে মূল্যবান বলেছেন।

সুকুমারের মতে সংসারের সব ঐশ্বর্যের চেয়ে দামি হল আপাত রাগি মাস্টারমশাইয়ের অসীম মমতা।

সুকুমারের মতে, কুবেরের ভাণ্ডারের বিনিময়েও মাস্টারমশাইয়ের উদারমনের অনায়াস ক্ষমা লাভ করা যায় না, তা অমূল্য।

মাস্টারমশাইকে নিয়ে বাল্যস্মৃতি লিখে সুকুমার দশ টাকা পেয়েছিলেন। পরে তাঁর মনে হয়েছিল ওই টাকায় তিনি যেন মাস্টারমশাইকেই বিক্রি করেছেন।

মাস্টারমশাইয়ের সমালোচনা করে লিখে দশ টাকা দক্ষিণা উপার্জনের লজ্জার কথা বলা হয়েছে।

মাস্টারমশাইয়ের সমালোচনা করে লিখে দশ টাকা দক্ষিণা উপার্জনের লজ্জার ও অপমানের কথা বলা হয়েছে।