দশম শ্রেণি – বাংলা – নদীর বিদ্রোহ – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্যক্রমের সপ্তম পাঠের তৃতীয় বিভাগ, ‘নদীর বিদ্রোহ’ থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো প্রায়শই পরীক্ষায় আসতে দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

দশম শ্রেণি – বাংলা – নদীর বিদ্রোহ – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
Contents Show

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন ও উত্তর

ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম ছোটোগল্প –

  1. প্রাগৈতিহাসিক
  2. পাশফেল
  3. শিল্পী
  4. অতসী মামী

উত্তর – 4. অতসী মামী

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম –

  1. প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
  2. প্রবোধচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
  3. প্রবোধকুমার মুখোপাধ্যায়
  4. শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়

উত্তর – 1. প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

নদেরচাঁদের বয়স –

  1. পঁচিশ বছর
  2. পঞ্চাশ বছর
  3. ত্রিশ বছর
  4. চল্লিশ বছর

উত্তর – 3. ত্রিশ বছর

নদেরচাঁদ পেশায় ছিলেন একজন –

  1. স্কুলমাস্টার
  2. স্টেশনমাস্টার
  3. পোস্টমাস্টার
  4. উকিল

উত্তর – 2. স্টেশনমাস্টার

“কিন্তু শৈশবে, কৈশোরে আর প্রথম যৌবনে বড়োছোটোর হিসাব কে করে?” – উক্তিটি কার সম্বন্ধে করা হয়েছে? –

  1. নদেরচাঁদ সম্বন্ধে
  2. নদেরচাঁদের সহকারীর সম্বন্ধে
  3. নদেরচাঁদ যেখানে কাজ করত সেখানকার নদীটির সম্বন্ধে
  4. নদেরচাঁদের দেশের নদীটির সম্বন্ধে

উত্তর – 4. নদেরচাঁদের দেশের নদীটির সম্বন্ধে

‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি –

  1. তিনটে পঁয়তাল্লিশের
  2. পাঁচটা পয়তাল্লিশের
  3. ছটা পঁয়তাল্লিশের
  4. চারটে পঁয়তাল্লিশের

উত্তর – 4. চারটে পঁয়তাল্লিশের

স্টেশন থেকে নদীর দূরত্ব ছিল –

  1. আধ মাইল
  2. এক মাইল
  3. দু-মাইল
  4. তিন মাইল

উত্তর – 2. এক মাইল

অবিরত বর্ষণের ফলে নদীকে নদেরচাঁদ কতদিন দেখতে পায়নি? –

  1. পাঁচ দিন
  2. তিন দিন
  3. চার দিন
  4. সাত দিন

উত্তর – 1. পাঁচ দিন

বৃষ্টি কতদিন ধরে হয়েছিল? –

  1. তিন দিন
  2. পাঁচ দিন
  3. আট দিন
  4. চার দিন

উত্তর – 2. পাঁচ দিন

পাঁচ দিন অবিরত বৃষ্টির পর বর্ষণ থেমেছে –

  1. সকালের দিকে
  2. বিকালের দিকে
  3. সন্ধ্যার দিকে
  4. রাত্রির দিকে

উত্তর – 2. বিকালের দিকে

নদীকে ভালোবাসার যে কৈফিয়ত নদেরচাঁদ দিতে পারে, তা হল –

  1. নদীকে সে জীবন্ত ভাবে
  2. নদীর তীরে তার জন্ম
  3. নদীর জল তার তৃষ্ণা নিবারণ করে
  4. নদী সভ্যতার রূপকার

উত্তর – 2. নদীর তীরে তার জন্ম

“… এমনভাবে পাগলা হওয়া কি তার সাজে?” – নদেরচাঁদ পাগল হয়েছিল –

  1. তার মায়ের জন্য
  2. নদীর জন্য
  3. নদীর ব্রিজ ভাঙার জন্য
  4. নদীর কাছে যাওয়ার জন্য

উত্তর – 2. নদীর জন্য

তিরিশ বছর বয়সে নদেরচাঁদের পক্ষে কী অস্বাভাবিক? –

  1. নদীর জন্যে ভালোবাসা
  2. নদীর জন্য দরদ
  3. নদীর জন্য মায়া
  4. নদীর জন্য আকুলতা

উত্তর – 3. নদীর জন্য মায়া

নদেরচাঁদ কর্মস্থলের কাছের নদীটিকে যত বছর চেনে –

  1. তিন বছর
  2. চার বছর
  3. ছয় বছর
  4. পাঁচ বছর

উত্তর – 4. পাঁচ বছর

রেলের উঁচু বাঁধ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নদেরচাঁদ কল্পনা করবার চেষ্টা করছিল –

  1. আবার কখন বৃষ্টি শুরু হবে
  2. নদীর বর্ষণ-পুষ্ট মূর্তি 
  3. কখন ফেরা যাবে
  4. ছোটোবেলার ক্ষীণস্রোতা নদীটিকে

উত্তর – 2. নদীর বর্ষণ-পুষ্ট মূর্তি 

শুকনো নদীকে মনে হত –

  1. মরা মানুষ
  2. খাঁ খাঁ মাঠ
  3. দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত মানুষের মৃত্যু
  4. মুমূর্ষু মানুষ

উত্তর – 3. দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত মানুষের মৃত্যু

নদেরচাঁদ কোথায় বসে নদীকে দেখত? –

  1. নদীর ধারে
  2. নদীর ঘাটে
  3. গাছতলায়
  4. ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে

উত্তর – 4. ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে

“তাহাকে বিশ্বাস নাই।” – ‘তাহাকে’ বলতে বোঝানো হয়েছে –

  1. মানুষকে
  2. রেলগাড়িকে
  3. নদীকে
  4. নদীর ব্রিজকে

উত্তর – 3. নদীকে

নদীর চাঞ্চল্য যেন –

  1. পরিপূর্ণতার প্রকাশ
  2. বিদ্রোহের প্রকাশ
  3. জীবনের প্রকাশ
  4. প্রাণের উচ্ছ্বলতা

উত্তর – 1. পরিপূর্ণতার প্রকাশ

নদেরচাঁদের চিঠিটি ছিল –

  1. আনন্দের
  2. অভিজ্ঞতার
  3. কৌতুকের
  4. বিরহবেদনার

উত্তর – 4. বিরহবেদনার

যে পুরাতন চিঠিটা নদীর স্রোতের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলেছিল নদেরচাঁদ, সেই চিঠিটি সে লিখেছিল –

  1. তার মায়ের উদ্দেশ্যে
  2. তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে
  3. তার বাবার উদ্দেশ্যে
  4. তার বোনের উদ্দেশ্যে

উত্তর – 2. তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে

নদেরচাঁদের স্ত্রীকে লেখা চিঠির পৃষ্ঠা সংখ্যা কত ছিল? –

  1. পাঁচ
  2. তিন
  3. দুই
  4. ছয়

উত্তর – 1. পাঁচ

“এই ভীষণ মধুর শব্দ শুনিতে শুনিতে সর্বাঙ্গ অবশ” – শব্দটি হল –

  1. নদীর
  2. বৃষ্টির
  3. নদীর ও বৃষ্টির
  4. ট্রেনের

উত্তর – 3. নদীর ও বৃষ্টির

কতক্ষণ বিরতির পর আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছিল? –

  1. দু-ঘণ্টা
  2. ছ-ঘণ্টা
  3. তিন ঘণ্টা
  4. তিরিশ মিনিট

উত্তর – 3. তিন ঘণ্টা

“বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাঁদের” – ভয়ের কারণ –

  1. নদী যদি আবার বন্দি হয়ে পড়ে
  2. যদি ব্রিজ ভেঙে যায়
  3. যদি নদী তাকে ভুলে যায়
  4. আবার যদি নদী শুকিয়ে যায়

উত্তর – 2. যদি ব্রিজ ভেঙে যায়

উন্মত্ততার জন্য নদেরচাঁদের কাকে জীবন্ত মনে হয়েছিল? –

  1. প্রবল বাতাসকে
  2. বৃষ্টিকে
  3. জলপ্রবাহকে
  4. সামুদ্রিক ঝড়কে

উত্তর – 3. জলপ্রবাহকে

অন্ধকারে অতি সাবধানে নদেরচাঁদ রেললাইন ধরে হাঁটছিল –

  1. বাড়ির দিকে
  2. স্টেশনের দিকে
  3. নদীর দিকে
  4. নদীর উৎসের দিকে

উত্তর – 2. স্টেশনের দিকে

“কিন্তু পারিবে কি?” – এখানে কী পারার কথা বলা হয়েছে? –

  1. নদীর বাঁধ ভাঙতে
  2. চিরকাল স্বাধীনভাবে চলতে
  3. নদীকে বাঁধ দিয়ে বন্দি করতে
  4. নদীকে নিজের করে নিতে

উত্তর – 2. চিরকাল স্বাধীনভাবে চলতে

“… এতকাল নদেরচাঁদ গর্ব অনুভব করিয়াছে।” – নদেরচাঁদ গর্ব অনুভব করত –

  1. নদীর জন্য
  2. জন্মভূমির জন্য
  3. নিজের পেশার জন্য
  4. নূতন রং করা ব্রিজটির জন্য

উত্তর – 4. নূতন রং করা ব্রিজটির জন্য

“আজ তার মনে হইল কী প্রয়োজন ছিল ___?” – 

  1. নদীর
  2. বৃষ্টির
  3. ব্রিজের
  4. চঞ্চলতার

উত্তর – 3. ব্রিজের

কীসের আকস্মিক আঘাত নদেরচাঁদের চেতনাকে দিশাহারা করে দিয়েছিল? –

  1. ট্রেন চলে যাওয়ার শব্দ
  2. বাতাসের প্রবল শব্দ
  3. বৃষ্টির ঝাপটা
  4. ব্রিজ ভাঙার শব্দ

উত্তর – 1. ট্রেন চলে যাওয়ার শব্দ

নদেরচাঁদের মৃত্যু হয়েছিল –

  1. দুরারোগ্য ব্যাধিতে
  2. বাসের ধাক্কায়
  3. ট্রামের ধাক্কায়
  4. ট্রেনের ধাক্কায়

উত্তর – 4. ট্রেনের ধাক্কায়

কোন্ ট্রেনের ধাক্কায় নদেরচাঁদ মারা গিয়েছিল? –

  1. 3 নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
  2. 7 নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
  3. 10 নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
  4. 5 নং ডাউন প্যাসেঞ্জার

উত্তর – 2. 7 নং ডাউন প্যাসেঞ্জার

নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টারি করেছিল –

  1. পাঁচ বছর
  2. তিন বছর
  3. চার বছর
  4. ছয় বছর

উত্তর – 3. চার বছর

“নদেরচাঁদকে পিষিয়া দিয়া চলিয়া গেল” –

  1.  7 নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
  2. 5 নং ডাউন প্যাসেঞ্জার
  3. 7 নং অ্যাপ প্যাসেঞ্জার
  4. 5 নং অ্যাপ প্যাসেঞ্জাব

উত্তর – 1. 7 নং ডাউন প্যাসেঞ্জার

দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও।

‘নদীর বিদ্রোহ’ গদ্যাংশটি কার লেখা?

‘নদীর বিদ্রোহ’ গদ্যাংশটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা।

‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদেরচাঁদ পেশায় কী ছিল?

‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদেরচাঁদ পেশায় ছিলেন একজন স্টেশনমাস্টার।

নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টারি করতে এসে কতদিন তার পরিচিত নদীটিকে দেখতে পায়নি?

নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টারি করতে এসে পাঁচ দিন তার পরিচিত নদীটিকে দেখতে পায়নি।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম কী?

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।

নদেরচাঁদের দেশের নদীটি কীরকম ছিল?

নদেরচাঁদের দেশের নদীটি ছিল ক্ষীণস্রোতা ও নির্জীব।

“নদেরচাঁদ ছেলেমানুষের মতো ঔৎসুক্য বোধ করিতে লাগিল।” — কেন তার এমন বোধ হয়েছিল?

নদীকে দেখতে না পেয়ে নদেরচাঁদের অবস্থা ছেলেমানুষের মতো হয়ে গিয়েছিল। সে ছোটো ছেলের মতো উতলা হয়ে উঠেছিল নদীকে দেখার জন্য।

“নদীকে এভাবে ভালোবাসিবার একটা কৈফিয়ত নদেরচাঁদ দিতে পারে।” — নদেরচাঁদের নদীকে ভালোবাসার কৈফিয়ত কী ছিল?

নদেরচাঁদ নদীর ধারে জন্মেছে, নদীর ধারেই মানুষ হয়েছে, নদী যেন তার চিরপরিচিত আপনজন। এই বিষয়টিকেই নদেরচাঁদ নদীর প্রতি তার ভালোবাসার সহজ কৈফিয়ত হিসেবে তুলে ধরতে পারে।

নদেরচাঁদের ওপর কীসের দায়িত্ব ছিল?

নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টার ছিলেন। তাই সারা দিনরাতে যেসব মেল, প্যাসেঞ্জার ও মালগাড়ি তীব্র গতিতে ছুটে চলে, তাদের গতি নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব ছিল নদেরচাঁদের ওপর।

স্টেশনমাস্টারি করতে এসে নদেরচাঁদের সাথে পরিচয় হওয়া নদী আর তার দেশের নদীর মধ্যে পার্থক্য কী ছিল?

স্টেশনমাস্টারি করতে এসে নদেরচাঁদের সঙ্গে পরিচয় হওয়া নদীটি ছিল গভীর, প্রশস্ত ও জলপূর্ণ, আর তার দেশের নদীটি ছিল ক্ষীণস্রোতা ও নির্জীব।

নদেরচাঁদের দেশের ক্ষীণস্রোতা নদীটি শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে তার অবস্থা কীরকম হয়েছিল?

নদেরচাঁদের দেশের ক্ষীণস্রোতা নদীটি শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে সে প্রায় কেঁদে ফেলেছিল। দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরমাত্মীয় মারা যাওয়ার উপক্রম হলে মানুষ যেভাবে কাঁদে, সেও সেভাবেই কেঁদেছিল।

“দেখিয়া সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল” — সে কী দেখে প্রায় কেঁদে ফেলেছিল?

নদেরচাঁদের দেশের ক্ষীণস্রোতা নদীটি অনাবৃষ্টির বছরে প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে সে কেঁদে ফেলেছিল।

“নদেরচাঁদ সব বোঝে,” — নদেরচাঁদ কী বোঝে?

তিরিশ বছর বয়সে নিজের পেশারত দায়িত্ব কীভাবে পালন করতে হয় এবং আচরণ কেমন হওয়া উচিত তা নদেরচাঁদ বোঝে।

“নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হইয়া গেল।” — নদেরচাঁদের স্তম্ভিত হওয়ার কারণ কী?

ব্রিজের কাছে এসে নদীর দিকে প্রথমবার তাকিয়ে নদীর উন্মত্ত চেহারা দেখেই নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে গেল।

“… ফেনিল আবর্ত রচনা করিতেছে।” — কীভাবে নদীতে আবর্ত রচনা হয়েছিল?

নদীর জল বর্ষায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। তাই নদীর স্রোত ব্রিজের ধারকস্তম্ভে বাধা পেয়ে আবর্ত রচনা করছিল।

“জলপ্রবাহকে আজ তাহার জীবন্ত মনে হইতেছিল।” — কেন নদেরচাঁদের নদীর জলপ্রবাহকে জীবন্ত মনে হল

বৃষ্টির জল পেয়ে নদীর জলপ্রবাহ উন্মত্ত হয়ে উঠেছিল। আর এই উন্মত্ততার জন্যই নদেরচাঁদের নদীর জলপ্রবাহকে জীবন্ত বলে মনে হল।

“চিঠি পকেটেই ছিল।” — কোন্ চিঠির কথা বলা হয়েছে?

নদেরচাঁদ তার স্ত্রীকে যে পাঁচ পৃষ্ঠার বিরহ-বেদনাপূর্ণ চিঠিটি লিখেছিল, এখানে সেই চিঠির কথা বলা হয়েছে।

কীসের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নদেরচাঁদ স্ত্রীকে চিঠি লিখেছিল?

অবিরাম হয়ে চলা বৃষ্টিধারার সঙ্গে সুর মিলিয়ে নদেরচাঁদ তার স্ত্রীকে চিঠি লিখেছিল।

পুরোনো চিঠিটি নদীর জলস্রোতে ফেলার পর নদেরচাঁদের কী মনে হল?

স্ত্রীকে লেখা পুরোনো চিঠিটি নদীর জলস্রোতে ফেলার পর নদেরচাঁদের মনে হল নদীর জীবন্ত জলপ্রবাহ চিঠিটাকে যেন তাড়াতাড়ি লুকিয়ে ফেলেছে।

নদেরচাঁদের কখন মনে হল তার সর্বাঙ্গ অবশ, অবসন্ন হয়ে আসছে?

নদী থেকে উঠে আসা অশ্রুতপূর্ব একটি শব্দের সঙ্গে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ মিশে যেন একটা সংগত পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। ওই শব্দ শুনে নদেরচাঁদের মনে হল তার সর্বাঙ্গ যেন অবশ ও অবসন্ন হয়ে আসছে।

“বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাঁদের” — নদেরচাঁদ কেন ভয় পেয়েছিল?

নদীর অবস্থা ভয়ংকর ছিল, নদী যেন রোষে ও ক্ষোভে উন্মত্ত ছিল। নদেরচাঁদ নদী থেকে এক হাত উঁচুতেই বসেছিল। তাই বর্ষার জলে ফুলে ফেঁপে ওঠা নদী যে-কোনো মুহূর্তে বিপদ ঘটাতে পারে, এই ভেবে নদেরচাঁদ ভয় পেয়েছিল।

“তাহাকে বিশ্বাস নাই।” — কাকে, কেন বিশ্বাস নেই?

নদেরচাঁদ নদীকে বিশ্বাস করতে পারেনি তার উন্মত্ত চেহারার জন্য।

নদী কী চায় বলে নদেরচাঁদের মনে হল?

ব্রিজ ও মানুষের হাতে গড়া বাঁধ ভেঙে নদী নিজের স্বাভাবিক গতি ফিরে পেতে চায় বলে নদেরচাঁদের মনে হল।

“নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে।” — নদীর বিদ্রোহের কারণ নদেরচাঁদ বুঝতে পারল কীভাবে?

শুকনো নদী পাঁচ দিনের বৃষ্টির জলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। উন্মত্ত নদীর তীব্র স্রোতযুক্ত জলধারা দেখে নদেরচাঁদ নদীর বিদ্রোহের কারণ বুঝতে পারল।

ব্রিজ ও বাঁধ ভেঙে ফেললেও নদী কেন রেহাই পাবে না বলে নদেরচাঁদের মনে হল?

ব্রিজ ও বাঁধ ভেঙে ফেললেও নদী রেহাই পাবে না বলে নদেরচাঁদের মনে হলো। কারণ, মানুষ আবারও নতুন করে ব্রিজ ও বাঁধ গড়ে তুলে নদীকে বন্দি করবে।

“নদেরচাঁদ গর্ব অনুভব করিয়াছে” — নদেরচাঁদ কীসের জন্য গর্ব অনুভব করেছে?

স্টেশনের কাছে নতুন রং করা ব্রিজটির জন্য নদেরচাঁদ গর্ব অনুভব করেছিল।

কীভাবে নদেরচাঁদের মৃত্যু হয়েছিল?

অন্ধকারে অন্যমনস্কভাবে লাইন ধরে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নদেরচাঁদের মৃত্যু হয়েছিল।

পাঁচ দিন পর নদীকে দেখে নদেরচাঁদ কেন স্তম্ভিত হয়েছিল?

পাঁচ দিন ধরে বৃষ্টির জল পেয়ে নদী যেন ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল, বাঁধ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছিল। নদীর এই উন্মত্ত রূপ দেখেই নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল।

“আজও সে সেইখানে গিয়ে বসল।” — কোথায় গিয়ে বসল?

নদেরচাঁদ ব্রিজের মাঝামাঝি ইট, সুরকি আর সিমেন্ট দিয়ে গাঁথা ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে গিয়ে বসল।

“এক একখানি পাতা ছিঁড়িয়া দুমড়াইয়া মোচড়াইয়া জলে ফেলিয়া দিতে লাগিল।” — উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কীসের পাতা জলে ফেলতে লাগল?

নদেরচাঁদ তার স্ত্রীকে লেখা পত্রখানি নদীর জলে ছিঁড়ে ফেলতে লাগল।

“নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে” — নদীর বিদ্রোহের কারণ কী ছিল?

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে আমরা দেখি, নদেরচাঁদ অনুভব করে নদীর ওপরে ব্রিজ তৈরি করা ও বাঁধ দেওয়ার কারণেই নদী বিদ্রোহ করেছে।

“ট্রেনটি নদেরচাঁদকে পিষিয়া দিয়া চলিয়া গেল” — কোন্ ট্রেনটি?

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প থেকে নেওয়া আলোচ্য অংশে 7 নম্বর ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কথা বলা হয়েছে।


আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার সপ্তম পাঠের তৃতীয় বিভাগ, “নদীর বিদ্রোহ” থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারী হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা থাকে, তাহলে আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি সাহায্য করার চেষ্টা করবো। এছাড়া, পোস্টটি আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাদের এটি কাজে আসতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও-মাধ্যমিক ভূগোল

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য লেখো

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব উল্লেখ করো।

বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণি বাংলা – ভাঙার গান – বিষয়সংক্ষেপ

নবম শ্রেণি বাংলা – আবহমান – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – আবহমান – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – আবহমান – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – আবহমান – বিষয়সংক্ষেপ