মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান – পরিবেশের জন্য ভাবনা – দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও

ট্রোপোস্ফিয়ার স্তরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে মেরু অঞ্চলে প্রায় ৪-9 কিমি পর্যন্ত এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় 16-18 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।

10 km উচ্চতার আশেপাশে যে অঞ্চলে ট্রোপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সংযোগ ঘটে এবং উচ্চতার সঙ্গে উষ্ণতার পরিবর্তন ঘটে না, তাকে ট্রোপোপজ বলে।

বায়ুমণ্ডলের ট্রোপোস্ফিয়ার স্তরটিকে ক্রমহ্রাসমান উয়তা স্তর বলা হয়।

ট্রোপোস্ফিয়ারের সর্বনিম্ন উয়তা (-80°C) দেখা যায় নিরক্ষরেখার ঊর্ধ্বে ট্রোপোপজ অংশে।

স্ট্যাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ারের সংযোগস্থলে যে অঞ্চলে উষ্ণতার পরিবর্তন হয় না, তাকে স্ট্র্যাটোপজ বলে।

ট্রোপোস্ফিয়ারের সর্বনিম্ন অঞ্চলে বায়ুর চাপ 76 cm পারদস্তম্ভের চাপের সমান।

মেসোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের শীতলতম স্তর।

থার্মোস্ফিয়ার অঞ্চলে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়।

ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে ওঠার সময় নির্দিষ্ট হারে উয়তা হ্রাসের ঘটনাকে বলে সাধারণ তাপ হ্রাস (normal lapse rate)।

ট্রোপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমায় উয়তা থাকে প্রায় -57°C
থেকে -60°C।

কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস বায়ুমণ্ডলের উন্নতা বৃদ্ধি করে।

পদার্থের গ্যাসীয় ও তরল অবস্থায় পরিচলন স্রোত সৃষ্টি হতে পারে।

সাময়িক বায়ুপ্রবাহের উদাহরণ হল স্থলবায়ু (land breeze), সমুদ্রবায়ু (sea breeze) ইত্যাদি।

বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত মোট ওজোন গ্যাসের শতকরা 90 ভাগ ওজোনোস্ফিয়ারে বর্তমান।

প্রায় 0.032%।

ওজোন অণুগুলি অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে অক্সিজেন অণুতে পরিণত হয়।

অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অসময়ে ছানি পড়ে।

Ozone Depleting Substances (অর্থাৎ, ওজোন বিনষ্টকারী পদার্থসমূহ)।

Ozone Depleting Potential (অর্থাৎ, ওজোন বিনষ্ট করার ক্ষমতা)।

ডবসন স্পেকট্রোমিটার।

স্ট্যাটোস্ফিয়ারে উপস্থিত ওজোনের ধ্বংস এবং সৃষ্টি যে বৃত্তাকার বিক্রিয়া পথের মাধ্যমে ঘটে তাকে Chapman Cycle বলে।

একসময় ব্যাপকভাবে রেফ্রিজারেটর ও বাতানুকূল যন্ত্রে হিমায়করূপে এবং খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের কাজে CFC ব্যবহার করা হত।

একটি সক্রিয় ক্লোরিন পরমাণু লক্ষাধিক ওজোন অণুর বিয়োজন ঘটাতে পারে।

বায়ুমণ্ডলে CO₂, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি না থাকলে বায়ুমণ্ডলের গড় উয়তা হত প্রায় -30°C

গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের গড় উয়তা থাকে প্রায় 15°C

গ্লোবাল ওয়ার্মিং – এর ফলে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, এনকেফেলাইটিসের মতো ব্যাধির প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

জীবাশ্ম জ্বালানি সঞ্চয় ও সংরক্ষণের জন্য যেসব অপ্রচলিত
শক্তির উৎসকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদের বিকল্প জ্বালানি বলে। যেমন-সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ইত্যাদি।

i. চিরাচরিত এবং
ii. অচিরাচরিত শক্তির উৎস।

জলপ্রবাহজনিত শক্তি যেমন – জলবিদ্যুৎ এবং জীবভর শক্তি যেমন – জ্বালানি কাঠ।

জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন – কয়লা।

i. সৌরশক্তি এবং
ii. সমুদ্রশক্তি।

i. ভূ-তাপশক্তি এবং
ii. পারমাণবিক শক্তি।

কারণ কালো পৃষ্ঠতল সৌর বিকিরণ থেকে অধিক তাপ শোষণ করে।

ইড্রোজেন (150 kJ/g)|

Department of Non-conventional Energy sources (অর্থাৎ, অপ্রচলিত শক্তির উৎস দপ্তর)।

কঠিন মিথেন হাইড্রেট গঠিত হওয়ার ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন অনেক সময় ব্লক হয়ে যায়।

জ্বালানি গ্যাসটি হল মিথেন (CH₁)। এটি বায়ুর সঙ্গে বিস্ফোরক মিশ্রণ উৎপন্ন করে এবং খনিতে প্রায়শই অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি করে। তাই একে firedamp বলা হয়।

এমন কিছু উদ্ভিদ আছে যাদের নিঃসৃত রস থেকে কিছু তরল হাইড্রোকার্বন পাওয়া যায় যা পেট্রোলিয়ামজাত জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই উদ্ভিদগুলিকে পেট্রোপ্ল্যান্ট বলে। ইউফোরবিয়েসি, অ্যাসক্লেপিয়াডেসি, অ্যাপোসায়নেসি গোত্রভূক্ত উদ্ভিদগুলি এই গুণসমন্বিত।

সূর্য থেকে আগত আলো ও উত্তাপ থেকে যে শক্তি আহরণ করা যায় তাকেই সৌরশক্তি বলে।

সূর্যরশ্মিতে থাকা ফোটন কণা সৌরবিদ্যুৎ কোশে ব্যবহৃত অর্ধপরিবাহীর (যেমন – Si) ওপর আপতিত হলে ওর মধ্যেকার ইলেকট্রনগুলি উত্তেজিত হয়ে ওঠে ও বিচ্যুত হয়ে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি করে।

প্রাকৃতিক বায়ুপ্রবাহের গতিশক্তিই বায়ুশক্তি নামে পরিচিত। প্রাকৃতিক বায়ুপ্রবাহের অভিমুখে বায়ুকল বা বায়ুচক্র বসিয়ে বায়ুর গতিশক্তিকে ব্যবহার করে চক্রের সঙ্গে যুক্ত টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা হয়।

উত্তপ্ত শিলাস্তরের সংস্পর্শে এসে ভূ-গর্ভস্থ জলস্তর বাষ্পে পরিণত হয়। এই বাষ্পকে কাজে লাগিয়ে টারবাইনের সাহায্যে যে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা হয়, তাকে ভূ-তাপশক্তি বলে।

জোয়ার-ভাটার প্রভাবে নদীর মোহনায় সৃষ্ট প্রবল জলস্রোতের অভিমুখে টারবাইন যন্ত্র বসিয়ে যে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা হয় তাকে জোয়ার-ভাটার শক্তি বলে।

বায়োগ্যাস উৎপাদনে গোবর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

উদ্ভিজ্জ তেল বা প্রাণীজ চর্বির ট্রান্সএস্টারিফিকেশনের ফলে বায়োডিজেল তৈরি হয়।

আখ বা ভুট্টা থেকে সন্ধান (fermentation) প্রক্রিয়ায় বায়োইথানল তৈরি করা হয়।

আমাদের দেশে জ্যাট্রোফা গাছের বীজ থেকে বায়োডিজেল তৈরি করা হয়।

কয়লাখনি থেকে প্রাপ্ত মিথেন গ্যাসে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস অশুদ্ধিরূপে মিশে থাকে না বলে একে Sweet gas বলে।

মিথেন হাইড্রেট – কে ফায়ারি আইস বলা হয়।

মিথেন হাইড্রেট একটি কেলাসাকার কঠিন পদার্থ। জল (H₂O) অণুর সমন্বয়ে গঠিত বরফের মতো কেলাসটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ মিথেন আবদ্ধ হয়ে এটির সৃষ্টি হয়।

মিথেন হাইড্রেটের সংকেত হল – 4CH, 23H₂O