আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের চতুর্দশ অধ্যায় ‘পল্লীসমাজ’ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে। অষ্টম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্নগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পরীক্ষায় এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই আসে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি উপন্যাস হল – ‘দেবদাস’ ও ‘শ্রীকান্ত’।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি ছোটোগল্পের নাম লেখো।
কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা দুটি ছোটোগল্প হল – ‘লালু’ ও ‘মহেশ’।
গোপাল সরকারের কাছে বসে রমেশ কী করছিল?
গোপাল সরকারের কাছে বসে রমেশ জমিদারির হিসাবপত্র দেখছিল।
গ্রামের একমাত্র ভরসা কী ছিল?
একশো বিঘার মাঠটাই গ্রামের একমাত্র ভরসা ছিল।
বোধ করি এই কথাই হইতেছিল – কোন্ কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?
বেণীগোপাল ও তোষামোদকারী হালদারের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত কথোপকথন চলছিল। চাষিদের জমি জলমগ্ন হয়েছে, তারা বিপাকে পড়েছে – এখানে সেই কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
রমা আকবরকে কোথায় পাহারা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিল?
রমা আকবরকে বাঁধ পাহারা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিল।
পারবি নে কেন? – উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোন্ কাজটি করতে পারবে না?
পাঁচটি গ্রামের সর্দার আকবর বেণী ঘোষালের কথায় রমেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে পারবে না।
পল্লীসমাজ গদ্যাংশটির লেখকহলেন – (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়/বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)।
পল্লীসমাজ গদ্যাংশটির লেখকহলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
পল্লীসমাজ গদ্যাংশের মুখ্য চরিত্রের নাম হল – (রমেশ/সুরেশ/বিকাশ)।
পল্লীসমাজ গদ্যাংশের মুখ্য চরিত্রের নাম হল রমেশ।
পল্লীসমাজ গদ্যাংশে (নব্বই/সত্তর/একশো) বিঘার মাঠ ডুবে যাওয়ার কথা আছে।
পল্লীসমাজ গদ্যাংশে একশো বিঘার মাঠ ডুবে যাওয়ার কথা আছে।
বেণীর পদবি হল – (ঘোষাল/মিত্র/মুখুজ্জে)।
বেণীর পদবি হল ঘোষাল।
একশো বিঘার মাঠটার (উত্তর/দক্ষিণ/পূর্ব) দিকে সরকারি প্রকাণ্ড বাঁধ ছিল।
একশো বিঘার মাঠটার পূর্ব দিকে সরকারি প্রকাণ্ড বাঁধ ছিল।
রমেশ অবাক হইয়া কহিল, ব্যাপার কী? – রমেশের এই প্রশ্নের উত্তরে চাষিরা বলেছিল – (বেণীর সঙ্গে তারা কোনো বিষয় আলোচনা করতে চায় না।/ছেলেপুলের হাত ধরে তাদের পথে ভিক্ষে করতে হবে/একশো বিঘের মাঠ ডুবে গেছে, জল বার করে না দিলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে, গ্রামের কেউই খেতে পাবে না/রমা দেবীর কাছে তাদের যাবতীয় আবেদন ব্যর্থ হয়ে গেছে)।
একশো বিঘের মাঠ ডুবে গেছে, জল বার করে না দিলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে, গ্রামের কেউই খেতে পাবে না।
একশো বিঘার মাঠটাই এ গ্রামের একমাত্র ___।
একশো বিঘার মাঠটাই এ গ্রামের একমাত্র ভরসা।
খুড়োর মতামতের জন্য রমেশের ___ ছিল না।
খুড়োর মতামতের জন্য রমেশের কৌতূহল ছিল না।
রমেশ বিস্ময়ে ___ হইয়া গেল।
রমেশ বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া গেল।
তখন রাত্রি বোধ করি ___।
তখন রাত্রি বোধ করি এগারোটা।
আকবর তাহাদের ___ প্রজা।
আকবর তাহাদের পিরপুরের প্রজা।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন্ পুরস্কারে ভূষিত হন?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘কুন্তলীন’ পুরস্কারে ভূষিত হন।
শরৎচন্দ্র কোন গল্পের জন্য ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার পেয়েছিলেন?
শরৎচন্দ্র ‘মন্দির’ গল্পের জন্য ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার পেয়েছিলেন।
গ্রামের দক্ষিণ ধারের বাঁধটা কাদের দখলে ছিল?
গ্রামের দক্ষিণ ধারের বাঁধটা ঘোষাল ও মুখুয্যেদের দখলে ছিল।
বাঁধের ধারের জলা থেকে বছরে কত টাকার মাছ বিক্রি হয়?
বাঁধের ধারের জলা থেকে বছরে দুশো টাকার মাছ বিক্রি হয়।
ওঠ রে গহর এইবার ঘরকে যাই। – গহর কে?
পাঁচ গ্রামের সর্দার আকবরের পুত্র হল গহর।
অসহ্য বিস্ময়ে রমা দুই চোখ বিস্ফারিত করিয়া কহিল কি আমি? – কোন্ কথায় এই উক্তি করা হয়েছে?
রমেশ রমাকে নীচ ও অতি ছোটো বলায় রমা এই উক্তি করেছে।
পল্লীসমাজ অধ্যায়ের উৎস কোথায়?
পল্লীসমাজ উপন্যাসের একাদশ পরিচ্ছেদ থেকে এই গল্পাংশ গ্রহণ করা হয়েছে।
আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের চতুর্দশ অধ্যায় ‘পল্লীসমাজ’ – এর গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রায়ই এগুলো পরীক্ষায় আসে। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!