আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের সপ্তবিংশ অধ্যায় ‘আদাব’-এর অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই প্রশ্নগুলো প্রায়ই অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষায় আসে।
আদাব – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
সমরেশ বসুর ছদ্মনাম কী?
সমরেশ বসুর ছদ্মনাম ‘কালকূট’।
তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো।
তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম ‘গঙ্গা’ ও ‘মহাকালের রথের ঘোড়া’।
কোন সময়পর্বের কথা গল্পে রয়েছে?
গল্পে বর্ণিত সময়কালটি হল প্রাক্স্বাধীনতাপূর্বকাল, অর্থাৎ ১৯৪৬-৪৭ খ্রিস্টাব্দের বিশেষ সময় পর্ব।
ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটি প্রাণী – প্রাণীদুটির পরিচয় দাও।
প্রাণীদুটির পরিচয় হল তারা একজন নাওয়ের মাঝি, একজন সুতামজুর।
ওইটার মধ্যে কী আছে? – বক্তা কীসের প্রতি ইঙ্গিত করে?
বক্তা এখানে সুতামজুর। সে যে জিনিসটির প্রতি ইঙ্গিত করেছে, সেটি হল মাঝির বগলে চেপে ধরা একটা পুঁটলি।
গল্পে কোন্ নদীর প্রসঙ্গ রয়েছে?
গল্পে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রসঙ্গ রয়েছে।
সুতা-মজুরের ঠোঁটের কোণে একটু হাসি ফুটে উঠল – তার এই হাসির কারণ কী?
তার এই হাসির কারণ হল সে ভেবেছিল, ঘরে ফিরলে সোহাগে আর কান্নায় তার বিবি ভেঙে পড়বে মিয়াসাহেবের বুকে, বলবে – মরণের মুখ থেইকা তুমি বাঁইচা আইছ?
দাঙ্গা বেধেছে হিন্দু আর – (শিখ-এ/মুসলমান-এ/বৌদ্ধ-এ)।
দাঙ্গা বেধেছে হিন্দু আর মুসলমান-এ।
কিছুই বোঝা যায় না। ‘আল্লাহু আকবর’ কি – (জয় হিন্দ/জয় বজরঙ্গী/বন্দেমাতরম্)।
কিছুই বোঝা যায় না। ‘আল্লাহু আকবর’ কি বন্দেমাতরম্।
মাঝির মন আবার দুলে উঠল – (আবেগে/ভালোবাসায়/সন্দেহে)।
মাঝির মন আবার দুলে উঠল সন্দেহে।
মুহূর্তগুলি কাটে যেন মৃত্যুর – (প্রতীক্ষার মতো/আশঙ্কার মতো/কাতরতার মতো)।
মুহূর্তগুলি কাটে যেন মৃত্যুর প্রতীক্ষার মতো।
হঠাৎ বজ্রপাতের মতো নেমে এলো – (মৃত্যু/দাঙ্গা/মহামারি)।
হঠাৎ বজ্রপাতের মতো নেমে এলো দাঙ্গা।
তখন দানা জুটাইব কোন্ – (মামা/কাকা/সুমুন্দি)।
তখন দানা জুটাইব কোন্ সুমুন্দি।
মাঝি তাড়াতাড়ি পুঁটলিটাকে – (আড়াল করে/লুকিয়ে ফেলে/বগলদাবা করে)।
মাঝি তাড়াতাড়ি পুঁটলিটাকে বগলদাবা করে।
নৌকা না পাই সাঁতরাইয়া পার হমু – (গঙ্গা/পদ্মা/বুড়িগঙ্গা) নদী।
নৌকা না পাই সাঁতরাইয়া পার হমু বুড়িগঙ্গা।
শহরে ___ ধারা আর ___ অর্ডার জারি হয়েছে।
শহরে ১৪৪ ধারা আর কারফিউ অর্ডার জারি হয়েছে।
তার উপর এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ___।
তার উপর এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সৈন্যবাহী গাড়ি।
সুতাকলের মজুর আর ___ দুজনেই ___ হয়ে একটু নড়েচড়ে ওঠে।
সুতাকলের মজুর আর নাওয়ের মাঝি দুজনেই সন্ত্রস্ত হয়ে একটু নড়েচড়ে ওঠে।
___ ভুলে রাগে-দুঃখে মাঝি প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে।
স্থান-কাল ভুলে রাগে-দুঃখে মাঝি প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে।
একটা হালকা বাতাস এসে যেন ___ নিভিয়ে দিল কাঠিটা।
একটা হালকা বাতাস এসে যেন ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিল কাঠিটা।
তোমাগো দু’গা লোক মরবে, আমাগো দু’গা মরবে। তাতে ___ কী উপকার হইব?
তোমাগো দু’গা লোক মরবে, আমাগো দু’গা মরবে। তাতে দ্যাশের কী উপকার হইব?
গলিটার যে মুখটা দক্ষিণ দিয়ে চলে গেছে সেদিকে ___ করল মাঝি।
গলিটার যে মুখটা দক্ষিণ দিয়ে চলে গেছে সেদিকে পথনির্দেশ করল মাঝি।
মাঝি বলে, ___ এইটা আস্তানা আর ইসলামপুর হইল ___।
মাঝি বলে, হিন্দুগো এইটা আস্তানা আর ইসলামপুর হইল মুসলমানগো।
তা ছাড়া চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে – কারা ছড়িয়ে পড়ে কী করছে?
গুপ্তঘাতকের দল চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে অন্ধকারকে আশ্রয় করে চোরাগোপ্তা হানছে।
হঠাৎ ডাস্টবিনটা একটু নড়ে উঠল। – এরপর কী ঘটল?
গলি থেকে এসে যে লোকটি ডাস্টবিনের আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিল। হঠাৎ শিরশিরিয়ে উঠল তার দেহের সমস্ত শিরা-উপশিরা, দাঁতে দাঁত চেপে, হাত-পাগুলোকে কঠিন করে ভীষণ কিছুর জন্য সে প্রতীক্ষা করে রইল।
মাঝির মন আবার সন্দেহে দুলে উঠল। – প্রসঙ্গক্রমে মাঝির ভাবনা কী?
মাঝি ভাবল যে, লোকটার কোনো বদ মতলব নেই তো।
লোকটার জেদ দেখে সুতামজুরের গলায়ও ফুটে উঠল সন্দেহ। – এরপর সে কী বলেছিল?
সে বলেছিল – ‘তোমার মতলবডা তো ভালো মনে হইতেছে না। কোন জাতির লোক তুমি কইলা না, শেষে তোমাগো দলবল যদি ডাইকা লইয়া আহ আমারে মারণের লেইগা?’
নাওয়ের মাঝির পুটলিটার মধ্যে কী ছিল?
নাওয়ের মাঝির পুঁটলিতে ছিল ইদের পরব উপলক্ষ্যে কেনা ছেলেমেয়ের জন্য দুটো জামা আর বিবির জন্য একখানা শাড়ি।
গেল সনের রায়টের ফলে সুতামজুরের জীবনে কী ঘটেছিল?
গেল সনের রায়টে কারা যেন সুতামজুরের ভগ্নীপতিকে চার টুকরো করে মেরেছিল, তার ফলে বোন হয়েছিল বিধবা আর তার ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব সুতামজুরের ঘাড়ের উপর এসে পড়েছিল।
বাঁ-পাশের মেথর যাতায়াতের সরু গলির মধ্যে দুই বিপন্ন মানুষ লুকিয়ে থাকাকালে কী হয়েছিল?
একটু পরেই এক ইংরেজ অশ্বারোহী রিভলবার হাতে তীব্র বেগে বেরিয়ে গিয়ে তাদের বুকের মধ্যেও অশ্বখুর ধ্বনি তুলে দিয়েছিল।
মরার আগে মাঝি সুতামজুরের উদ্দেশে কী বলেছিল?
মাঝি কাতরকণ্ঠে বলেছিল যে, সে পারল না, তার বিবি, ছেলেরা পরবের দিন চোখের জলে ভাসবে, শত্রুরা তাকে তাদের কাছে যেতে দিল না।
আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের সপ্তবিংশ অধ্যায় ‘আদাব’–এর অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো পরীক্ষায় প্রায়ই আসে। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। দয়া করে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারা এই উপকারিতা পেতে পারে। ধন্যবাদ!