মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবহমানতা – কোশ বিভাজন এবং কোশচক্র – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

জীবনের প্রবাহমানতা অধ্যায়টি দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই অধ্যায়ে জীবের বংশগতি, পরিবর্তন এবং বিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এই অধ্যায় থেকে অনেক প্রশ্ন আসতে পারে। তাই এই অধ্যায়টি ভালোভাবে পড়াশোনা করা জরুরি।

Table of Contents

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবহমানতা – কোশ বিভাজন এবং কোশচক্র

উদ্ভিদকোশে ও প্রাণীকোশে মাইটোসিস পদ্ধতিতে কোশ বিভাজনের টেলোফেজ দশার বর্ণনা দাও।

টেলোফেজ দশা হলো অদ্ভুত ও সুদূর সময়ের অনুভব, যেখানে মানুষ নিজেকে পৃথিবীর বাইরের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত করতে পারে।

টেলোফেজ দশা

ক্যারিওকাইনেসিসের যে দশায় দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস সৃষ্ট হয়, তাকে টেলোফেজ বলে।

  • উদ্ভিদকোশের ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্য 1. টেলোফেজ দশার শুরুতে বেমের উভয় মেরুপ্রান্তে সমান সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে। 2. ক্রোমোজোমগুলির পাক খুলে দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায় এবং জালকের আকারে বিন্যস্ত হয়ে নিউক্লীয় জালক, গঠন করে। 3. ক্রোমোজোমগুলিকে বেষ্টন করে পুনরায় নিউক্লীয় পর্দার আবির্ভাব ঘটে। 4. নিউক্লিয়াসের মধ্যে নিউক্লিওলাসের পুনরাবির্ভাব ঘটে। 5. এরপর ক্রোমোজোমগুলির ক্রমিক জলশোষণ, প্রসারণ ফলে দুই মেরুতে সমসংখ্যক ক্রোমোজোমবিশিষ্ট সমগুণসম্পন্ন এবং সম-আকৃতিবিশিষ্ট দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি হয়।
উদ্ভিদকোশে ও প্রাণীকোশে মাইটোসিস পদ্ধতিতে কোশ বিভাজনের টেলোফেজ দশার বর্ণনা দাও।
  • প্রাণীকোশের ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্য প্রাণীকোশের টেলোফেজ দশায় উদ্ভিদকোশের টেলোফেজ দশার মতো একই ঘটনা ঘটে।

সাইটোকাইনেসিস কাকে বলে? উদ্ভিদকোশের এবং প্রাণীকোশের সাইটোকাইনেসিস পদ্ধতি বর্ণনা করো।

সাইটোকাইনেসিস হলো গাছের বা গোড়ার পাতায় শাক্তিশালী প্রস্তুতিকরণ, যার মাধ্যমে তা সূর্যের আলোর প্রভাব নিয়ে শাক্তিশালী খাদ্যসারান উৎপাদন করে।

সাইটোকাইনেসিস

যে প্রক্রিয়ায় কোশের সাইটোপ্লাজম সমান দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি করে, তাকে সাইটোকাইনেসিস। প্রকৃতপক্ষে টেলোফেজ দশাতেই সাইটোকাইনেসিস শুরু হয় এবং এই দশাতেই তা সম্পূর্ণ হয়।

উদ্ভিদ ও প্রাণীকোশের সাইটোকাইনেসিস

  • উদ্ভিদকোশের সাইটোকাইনেসিস 1. টেলোফেজের শেষ পর্যায়ে কোশের বিষুব অঞ্চল বরাবর মাইক্রোটিউবিউল সঞ্চিত হয়ে ফ্র্যাগমোপ্লাস্ট নামক গঠন সৃষ্টি করে। এই স্থানে গলগিবস্তুগুলি জমা হয় এবং পরস্পর মিলিত হয়ে দুটি কোশপর্দা গঠন করে। 2. এইসময় ফ্র্যাগমোপ্লাস্ট পরিবর্তি হয়ে কোশপাত বা সেলপ্লেট গঠন করে। এ সেলপ্লেট পরে মধ্যচ্ছদা বা মিড্ল্ ল্যামেলাতে পরিবর্তিত হয়। এটি প্রধানত ক্যালশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম পেকটেটর দ্বারা গঠিত 3. মধ্যচ্ছদার উভয়পার্শ্বে সেলুলোজ, ক্যালোজ হেমিসেলুলোজ প্রভৃতি উপাদান সরিত হয়ে প্রাথমিক কোশপ্রাচীর তৈরি করে। 4. এইভাবে সৃষ্ট কোশপর্দাসহ কোশপ্রাচীর কোশের মাঝবরাবর বিস্তৃত হয় ও শেষপর্যন্ত সাইটোপ্লাজমসহ দুটি অপত্য কোশকে সম্পূর্ণ পৃথক করে।
উদ্ভিদকোশের সাইটোকাইনেসিস
  • প্রাণীকোশের সাইটোকাইনেসিস 1. প্রাণীকোশে টেলোফেজ দশার শুরুতেই সাইটোকাইনেসিস শুরু হয়। কোশের মাঝ বরাবর অঞ্চলে দু-পাশ থেকে কোশপর্দা সংকুচিত হয়ে খাঁজ বা ফারো গঠন করে। অ্যাকটন ও মায়োসিন প্রোটিন নির্মিত অণুনালিকা কোশপর্দার নীচে সঞ্চিত হয়ে মিডবডি গঠন করে। এদের আন্তঃক্রিয়ার ফলে সংকোচন বলের সৃষ্টি হয়, যার ফলে, কোশপর্দায় খাঁজ সৃষ্টি হয়। 2. এই খাঁজ বা ফারো ভিতরের দিকে ক্রমশ বিস্তৃত হয়ে পরস্পরকে স্পর্শ করলে সাইটোপ্লাজম দুটি সমান অংশে বিভক্ত হয়। 3. এর ফলে সমগুণসম্পন্ন, সমান আকারের দুটি অপত্য কোশের সৃষ্টি হয়। প্রাণীকোশে সাইটোকাইনেসিস পদ্ধতিকে ক্লিভেজ বা ফারোয়িং বলে।
প্রাণীকোশের সাইটোকাইনেসিস

কোশ বিভাজন কাকে বলে? কোশ বিভাজনের তাৎপর্য উল্লেখ করো।

কোশ বিভাজন হলো একটি জীবন বিজ্ঞানের প্রবহমানতা, যেখানে একটি কোশ বিভিন্ন নতুন কোষে বিভক্ত হয় এবং এটি প্রজনন, প্রস্তুতিকরণ এবং প্রবহমান প্রক্রিয়াগুলির সাথে সম্পর্কিত।

কোশ বিভাজন

যে পদ্ধতিতে একটি কোশ বিভাজিত হয়ে দুই বা ততোধিক অপত্য কোশ সৃষ্টি হয়, তাকে কোশ বিভাজন বলে।

কোশ বিভাজনের তাৎপর্য

  • বৃদ্ধি কোশ বিভাজনের ফলে কোশের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। উৎপন্ন কোশগুলি আবার আকারে বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ জীবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি কোশ বিভাজনের ওপরেই নির্ভর করে।
  • প্রজনন মাইটোসিস, অ্যামাইটোসিস ও মিয়োসিস কোশ বিভাজন বিভিন্ন প্রকার জননে সহায়তা করে। যেমন – মিয়োসিস কোশ বিভাজনের মাধ্যমে গ্যামেট (শুক্রাণু, ডিম্বাণু) এবং রেণু উৎপন্ন হয় যা, যথাক্রমে যৌন ও অযৌন জননের একক। মাইটোসিস, অযৌন জনন ও অঙ্গজ জননের মাধ্যমে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।অ্যামিবা অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে প্রজনন সম্পন্ন করে।
  • ক্ষয় পূরণ জীবের ক্ষতস্থান নিরাময়, অঙ্গের পুনরুৎপত্তি মূলত মাইটোসিস কোশ বিভাজনের ফলেই ঘটে থাকে।
  • বংশগত বৈশিষ্ট্যের সঞ্চারণ কোশ বিভাজনের ফলে মাতৃকোশের বৈশিষ্ট্য অপত্যকোশে সঞ্চারিত হয় এবং নতুন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অপত্যকোশ গঠিত হয়, যা অভিযোজন ও অভিব্যক্তিতে সহায়তা করে।

কোশচক্র বলতে কী বোঝ? কোশচক্রের বিভিন্ন দশা বর্ণনা করো।

কোশচক্র হলো জীবন বিজ্ঞানের একটি মূলগঠন, যেখানেকোশগুলি একসাথে বিভিন্ন পর্যায়ে পারিবর্তন করে এবং প্রস্তুতিকরণ ও প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

কোশচক্র

কোশ বিভাজনে নতুন কোশ সৃষ্টি থেকে পরবর্তী কোশ বিভাজন পর্যন্ত কোনো কোশে সংঘটিত ধারাবাহিত, ছন্দোবদ্ধ ও চক্রাকার ঘটনাক্রমকে কোশচক্র বলে।

কোশচক্রের বিভিন্ন দশা

কোশচক্রের প্রধান দুটি দশা বর্তমান যথা 1. ইন্টারফেজ বা অবিভাজন দশা এবং 2. মাইটোটিক বা বিভাজন দশা।

কোশচক্রের বিভিন্ন দশা
  • ইনটারফেজ কোশচক্রের অন্তর্গত যে দীর্ঘস্থায়ী দশায় DNA, প্রোটিন, RNA প্রভৃতি সংশ্লেষিত হয় এবং কোশ বিভাজনে উপযোগী হয়ে ওঠে, তাকে ইনটারফেজ বলে। এটি তিনটি উপদশায় বিভক্ত, যথা — G1 দশা, S দশা এবং G2 দশা 1. G1 দশা (প্রারম্ভিক দশা বা প্রাকসংশ্লেষ দশা) পূর্ববর্তী কোশ বিভাজনের শেষ ও S উপদশার মধ্যবর্তী এই উপদশায় rRNA, mRNA এবং tRNA, রাইবোজোম, DNA সংশ্লেষের উপাদান প্রভৃতি সংশ্লেষিত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন কোশীয় অঙ্গাণু দ্বিগুণিত হয়। একে প্রথম বৃদ্ধি দশা ও বলে। 2. S দশা (সংশ্লেষ দশা) G1 ও G2 দশার মধ্যবর্তী এই দশায় DNA-র প্রতিলিপিকরণ ও হিস্টোন প্রোটিন সংশ্লেষ ঘটে। এই দশায় DNA-এর মাত্রা দ্বিগুণিত হয়ে 2n থেকে 4n হয়। 3. G2 দশা (সংশ্লেষ পরবর্তী দশা) S উপদশা ও মাইটোটিক দশার মধ্যবর্তী এই উপদশায় কোশ বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়। একে দ্বিতীয় বৃদ্ধি দশা-ও বলে।
  • মাইটোটিক দশা ইনটারফেজের পরবর্তী অপেক্ষাকৃত স্বল্পস্থায়ী কোশ বিভাজন দশাকে মাইটোটিক বা M দশা বলে। এই দশায় কোশ বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোশ গঠন করে। এর দুটি উপদশা। এর প্রথম উপদশাটি হল ক্যারিওকাইনেসিস বা নিউক্লিয়াস বিভাজন। এই দশায় প্রোফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ এবং টেলোফেজ-এর মাধ্যমে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়। অপর উপদশাটি হল সাইটোকাইনেসিস বা সাইটোপ্লাজম বিভাজন। টেলোফেজ দশায় নিউক্লিয়াস বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গেই সাইটোপ্লাজমের বিভাজন শুরু হয়ে যায়।

মানবদেহের নির্দিষ্ট কোশ বিভাজনের জন্য মোট প্রায় 20-24 ঘণ্টা সময় লাগলে তার প্রায় 19-23 ঘণ্টা শুধুমাত্র ইনটারফেজ দশা সম্পন্ন করতে ও বাকি ৷ ঘণ্টা সময় কোশ বিভাজনের জন্য ব্যয়িত হয়।

কোশচক্রের গুরুত্ব লেখো। কোশ বিভাজনের তাৎপর্য লেখো।

কোশচক্রের মাধ্যমে জীবনের গতিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যা প্রস্তুতিকরণ, প্রজনন এবং শরীরের পুনর্নির্মাণ সম্পন্ন করে। এটি জীবন প্রক্রিয়াগুলির উত্থান ও পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কোশচক্রের গুরুত্ব

কোশচক্রের প্রধান গুরুত্বগুলি নীচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।

কোশচক্রের গুরুত্ব লেখো। কোশ বিভাজনের তাৎপর্য লেখো।
  • কোশ বিভাজন নিয়ন্ত্রণ কোশচক্রের কতকগুলি নির্দিষ্ট বিন্দুতে কোশ বিভাজন নিয়ন্ত্রিত হয়। কোশচক্রের নিয়ন্ত্রণ বিন্দুগুলি বিনষ্ট হলে কোশ বিভাজন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে, অনিয়ন্ত্রিত কোশ বিভাজন দ্বারা টিউমার সৃষ্টি হয়। টিউমার দুই প্রকার হয়। যেমন — বিনাইন টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। বিনাইন টিউমারগুলি দেহের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। তবে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের কোশগুলি পার্শ্ববর্তী কোশের সঙ্গে সংলগ্ন না থেকে রক্ত বা লসিকা দ্বারা বাহিত হয় ও অপর স্থানে গিয়ে পুনরায় টিউমার তৈরি করে। এই ঘটনাকে মেটাস্ট্যাসিস বলে। মেটাস্ট্যাসিস প্রকৃতপক্ষে ক্যানসারের কোশের বৈশিষ্ট্যবিশেষ।
  • স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ স্বাভাবিক কোশ বিভাজন নিয়ন্ত্রণ দ্বারা কোশের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণের জন্য কোশচক্র গুরুত্বপূর্ণ।

কোশ বিভাজনের তাৎপর্য

  • বৃদ্ধি কোশ বিভাজনের ফলে কোশের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। উৎপন্ন কোশগুলি আবার আকারে বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ জীবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি কোশ বিভাজনের ওপরেই নির্ভর করে।
  • প্রজনন মাইটোসিস, অ্যামাইটোসিস ও মিয়োসিস কোশ বিভাজন বিভিন্ন প্রকার জননে সহায়তা করে। যেমন– মিয়োসিস কোশ বিভাজনের মাধ্যমে গ্যামেট (শুক্রাণু, ডিম্বাণু) এবং রেণু উৎপন্ন হয় যা, যথাক্রমে যৌন ও অযৌন জননের একক। মাইটোসিস, অযৌন জনন ও অঙ্গজ জননের মাধ্যমে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।অ্যামিবা অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে প্রজনন সম্পন্ন করে।
  • ক্ষয় পূরণ জীবের ক্ষতস্থান নিরাময়, অঙ্গের পুনরুৎপত্তি মূলত মাইটোসিস কোশ বিভাজনের ফলেই ঘটে থাকে।
  • বংশগত বৈশিষ্ট্যের সঞ্চারণ কোশ বিভাজনের ফলে মাতৃকোশের বৈশিষ্ট্য অপত্যকোশে সঞ্চারিত হয় এবং নতুন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অপত্যকোশ গঠিত হয়, যা অভিযোজন ও অভিব্যক্তিতে সহায়তা করে।

ক্রোমোজোম, DNA-এর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক কী? মিয়োসিস II ও মাইটোসিস কোশ বিভাজনের তুলনা করো।

ক্রোমোজোম হলো জীবন বিজ্ঞানের অস্ত্র, যা জীবিত সংস্থানে ডিএনএ সংগঠিত করে এবং ধর্মীয় ও আণবিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে থাকে। এটি জীবনের উত্পাদন, প্রজনন এবং ধ্রুবক আকারান্ত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।

ক্রোমোজোম, DNA-এর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক

অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে কোশকে পর্যবেক্ষণ করলে নিউক্লিয়াসের ভিতর সূক্ষ্ম জালকাকার গঠন দেখা যায়। লক্ষ করলে বোঝা যায় যে, এগুলি প্যাচানো সিঁড়ির মতো দ্বিতন্ত্রী গঠন — এগুলিই হল DNA। এরা বৃহৎ অণু, তাই নিউক্লিয়াসে কুণ্ডলীকৃত অবস্থায় থাকে। বিভাজনের সময়ে DNA আরও কুণ্ডলীকৃত হয় ও বিভিন্ন প্রোটিনকে দৃঢ়ভাবে পেঁচিয়ে লুপ তৈরি করে। কুণ্ডলীকৃত এই গঠনকে ক্রোমোজোম বলা হয়। অর্থাৎ, প্রোটিন সমন্বিত কুণ্ডলীকৃত DNA-এই হল ক্রোমোজোম।

মিয়োসিস II ও মাইটোসিসের তুলনা

বিষয়মিয়োসিস IIমাইটোসিস
 1. দশা নিউক্লিয়াস বিভাজনের চারটি দশা, যথা — প্রোফেজ II, মেটাফেজ II, অ্যানাফেজ II ও টেলোফেজ II।নিউক্লিয়াস বিভাজনের চারটি দশা, যথা — প্রোফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ ও টেলোফেজ।
 2. ক্রোমাটিড পৃথক্করণপ্রতিটি ক্রোমোজোমের সিস্টার ক্রোমটিডগুলি অ্যানাফেজ II-তে পৃথক হয়ে গিয়ে অপত্য নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম-রূপে বিন্যস্ত হয়।একইভাবে প্রতিটি ক্রোমোজোমের সিস্টার ক্রোমোজোমগুলি অ্যানাফেজ দশায় পৃথক হয়ে যায় ও নতুন ক্রোমোজোম সৃষ্টি করে।
3. ক্রোমোজোম সংখ্যা মিয়োসিস I-এ ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্রাস পেয়ে অর্ধেক (n) হয়ে যায়। ফলে মিয়োসিস II-তে n সংখ্যক ক্রোমোজোম অংশগ্রহণ করে।মাইটোসিস দেহকোশে (2n) ঘটে, ফলে এতে 2n সংখ্যক ক্রোমোজোম অংশ নেয়।

কোশ বিভাজন হল একটি জটিল প্রক্রিয়া যা জীবের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং প্রজননের জন্য অপরিহার্য। কোশ বিভাজনের নিয়ন্ত্রণকারী উপাদানগুলির মধ্যে জিন, কোষের অভ্যন্তরীণ উপাদান এবং বাইরের কারণগুলি অন্তর্ভুক্ত।

Share via:

মন্তব্য করুন