মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় – প্রাণীদের সাড়া প্রদান ও ভৌত সমন্বয় স্নায়ুতন্ত্র – অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একককে নিউরোন বা স্নায়ুকোশ বলে।

নিউরোনের কোশদেহের যে শাঙ্কব অংশ থেকে অ্যাক্সন নির্গত হয়, তাকে অ্যাক্সন হিলক বলে।

অ্যাক্সনের শেষ প্রান্ত সূক্ষ্ম শাখান্বিত হয়ে যে বুরুশের মতো আকার ধারণ করে, তাকে প্রান্তবুরুশ বলে।
 

গুরুমস্তিষ্কের বহির্ভাগে ধূসর ও অন্তর্ভাগে শ্বেত বস্তু থাকে।

গুরুমস্তিষ্কের বহির্ভাগে অবস্থিত নিচু খাঁজগুলিকে সালকাস এবং উঁচু ভাঁজগুলিকে জাইরাস বলে।

মায়েলিনযুক্ত স্নায়ুতন্তুতে অ্যাক্সনকে ঘিরে মায়েলিন আবরণী থাকে।

স্নায়ুতন্ত্র এবং অন্তঃক্ষরা তন্ত্র শরীরের বিভিন্ন কাজের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে।

নিউরোনের প্রধান তিনটি অংশের নাম হল — 1. কোশ- দেহ, 2. অ্যাক্সন ও 3. ডেনড্রন।

নিল দানা কেবল স্নায়ুকোশে পাওয়া যায়।

মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের গহ্বরে যে রস থাকে তা হল, মস্তিষ্ক-সুষুম্না রস বা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF)।

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ত্রিস্তরী ঝিল্লিময় আবরকের নাম মেনিনজেস।

অ্যাক্সনের প্রান্তবুরুশ থেকে যে রাসায়নিক বস্তু নিঃসৃত হয়, তাকে নিউরোহিউমর বলে।

পরপর অবস্থিত দুটি নিউরোনের সংযোগস্থলকে স্নায়ুসন্নিধি বা সাইন্যাপস্ বলে।

বিজ্ঞানী ইভান প্যাভলভ সহজাত ও অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেন।

CNS-এর পুরো কথাটি হল সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম।

PNS -এর পুরো কথাটি হল পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম।

ANS-এর পুরো নাম হল অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের মস্তিষ্কের গড় ওজন 1.36 kg

মস্তিষ্কের সর্ববৃহৎ অংশ হল গুরুমস্তিষ্ক বা সেরিব্রাম।

মানবদেহের দীর্ঘতম স্নায়ুর নাম হল সায়াটিক স্নায়ু।

সহযোগী নিউরোন কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবস্থান করে।

সুষুম্নাকাণ্ডের ভিতর দিকে ধূসর বস্তু ও বাইরের দিকে শ্বেতবস্তু থাকে।

মানুষের সুষুম্নাকাণ্ডের দৈর্ঘ্য প্রায় 45cm।

মস্তিষ্কের গহ্বরগুলিকে ভেন্ট্রিল বা মস্তিষ্ক নিলয় বলে।

মেরুদণ্ডী প্রাণীদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের চারপাশে যে রক্ষামূলক আবরণ থাকে তার নাম মেনিনজেস।

শর্তাধীন প্রতিবর্তক্রিয়ার জনক হলেন ইভান প্যাট্রোভিচ প্যাভলভ।

চাপ, তাপ, আলো ইত্যাদি বাহ্যিক উদ্দীপক।

ক্ষুধা, তৃষ্মা, যন্ত্রণা ইত্যাদি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক।

পরিবেশের পরিবর্তন অনুভব করাকে সংবেদন বলে।

নিউরোনের কোশদেহের অপর নাম — পেরিক্যারিয়ন বা নিউরোসাইটন। 

নিউরোনের কোশদেহের মধ্যে অবস্থিত ঘন সাইটোপ্লাজমকে নিউরোপ্লাজম বলে।

সমগ্র নিউরোপ্লাজম জুড়ে অসংখ্য সূক্ষ্ম তন্তুর মতো যে অংশ ছড়িয়ে থাকে, তাদের নিউরোফাইব্রিল বলে।

মায়েলিন বা মেডুলারি আচ্ছাদনযুক্ত অ্যাক্সনকে মায়েলিনেটেড বা মেডুলেটেড তন্তু বলে।

মায়েলিন আচ্ছাদনবিহীন স্নায়ুতন্তুকে নন্-মায়েলিনেটেড বা নন্-মেডুলেটেড তন্তু বলে।

একটি নিউরোট্রান্সমিটার হল অ্যাসিটাইল কোলিন।

দেহের বিভিন্ন আন্তরযন্ত্র, অনৈচ্ছিক পেশি ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র।

থ্যালামাস-কে মস্তিষ্কের রিলে স্টেশন বলা হয়।

প্রতিবর্ত ক্রিয়া সুষুম্নাকাণ্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

দুটি চেষ্টায় স্নায়ু হল ট্রকলিয়ার স্নায়ু হাইপোগ্লাসাল স্নায়ু।

অনেকগুলি নিউরোনের কোশসেই একত্রিত হয়ে যে স্ফীত অংশের সৃষ্টি করে, তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বলে।

মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড থেকে উৎপন্ন স্নায়ুগুলি নিয়ে প্রান্তস্থ বা প্রান্তীয় বা পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্র গঠিত হয়।

মেনিনজেস এর ডুরা মেটার ও অ্যারাকনয়েড মেটারের মধ্যবর্তী স্থানকে সাব-ডুরাল স্পেস বা স্থান বলে।

মেনিনজেস-এর অ্যারাকনয়েড মেটার ও পিয়া মেটারের মধ্যবর্তী স্পেস বা স্থানকে সাব-অ্যারাকনয়েড স্পেস বা স্থান বলে।

মানুষের অগ্রমস্তিষ্ক যে দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত তাদের নাম — টেলেনসেফালন ও ডায়েনসেফালন।

মধ্যমস্তিষ্কের যে অংশ থ্যালামাসের সাথে পশ্চাদমস্তিষ্ক ও মধ্যমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের স্নায়বিক উদ্দীপনা প্রেরণের মাধ্যমে সংযোগ রক্ষা করে, তাকে সেরিব্রাল পেডাংকূল বলে।

চোখের প্রতিসারক মাধ্যমগুলি হল — কর্নিয়া, অ্যাকোয়াস হিউমর, লেন্স এবং ভিট্রিয়াস হিউমর।

অক্ষিগোলকের প্রধান তিনটি স্তর হল — স্ক্লেরা, কোরয়েড ও রেটিনা।

অক্ষিগোলককে যান্ত্রিক আঘাত থেকে রক্ষা করে নেত্রবত্মকলা।

চক্ষুর প্রধান কাজ হল দর্শনে সাহায্য করা।

স্ক্লেরা চোখের অক্ষিগোলকের বহিরাবরক।

রেটিনার সঙ্গে অপটিক স্নায়ু যুক্ত থাকে।

চোখের আইরিস তারারন্ধ্রকে ছোটো ও বড়ো হতে সাহায্য করে।

পিউপিল বা তারারম্ভের মাধ্যমে আলো চোখে প্রবেশ করে।

অচ্ছোদপটল বা কর্নিয়া চোখে দেখা যায়।

বাইরের আঘাত ও ধূলিকণা থেকে অক্ষিপল্লব চোখকে রক্ষা করে।

পূর্ণবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের আয়তন প্রায় 1400 cm³।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে CSF-এর পরিমাণ প্রায় 150ml।

মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত অসুখকে মেনিনজাইটিস বলে।

মায়োপিয়ার ত্রুটি দূরীকরণের জন্য অবতল লেন্স ব্যবহার করা উচিত।

হাইপারমেট্রোপিয়ার ত্রুটি দূরীকরণের জন্য উত্তল লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহার করা উচিত।

ক্ষুদ্রতম করোটি স্নায়ুর নাম টুকলিয়ার স্নায়ু।

দেহের উন্নতা বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র হাইপো- থ্যালামাস-এ অবস্থিত।

মানবমস্তিষ্কের তিনটি প্রধান অংশ আছে। এগুলি হল — অগ্রমস্তিষ্ক, মধ্যমস্তিষ্ক এবং পশ্চাদমস্তিষ্ক।

6 m-এর অধিক দূরত্বে থাকা বস্তু দূরদৃষ্টির আওতায় পড়ে।

মধ্যমস্তিষ্কের দুটি প্রধান অংশ আছে। এগুলি হল — সেরিব্রাল পেডাংকূল ও টেকটাম।

পশ্চাদমস্তিষ্কের দুটি প্রধান অংশ হল – মেটেনসেফালন এবং মায়েলেনসেফালন।

শিশুর মাতৃস্তন্যপান জন্মগত বা সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

দূরের বস্তু কম দেখতে পাওয়া সমস্যার নাম মায়োপিয়া।

কাছের বস্তু কম দেখতে পাওয়া সমস্যার নাম হাইপারমেট্রোপিয়া।

চোখের বয়সজনিত একটি সমস্যা হল প্রেসবায়োপিয়া।

প্রেসবায়োপিয়া সংশোধনে বাইফোকাল লেন্স ব্যবহৃত হয়।

প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের অন্তর্গত রক্তবাহ সমন্বিত যোগকলা দ্বারা আবৃত অ্যাক্সনগুচ্ছ যা উদ্দীপনা বহন করে, তাকে স্নায়ু বা নার্ভ বলে।

লঘুমস্তিষ্কের অর্ধগোলক দুটি যে তন্তুময় যোজক দিয়ে পরস্পর যুক্ত থাকে, তাকে ভারমিস বলে।

পশ্চাদমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশগুলি হল — লঘুমস্তিষ্ক, পনস্ ও মেডালা অবলংগাটা।

হাঁচি, কাশি, বমি নিয়ন্ত্রণকারী পশ্চাদমস্তিষ্কের হাঁচি, কাশি, বমি প্রভৃতি আন্তরযন্ত্রীয় প্রতিবর্ত নিয়ন্ত্রণকারী পশ্চাদ্‌মস্তিষ্কের অংশটিকেটিকে মেডালা অবলংগাটা বলে।