এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নবম শ্রেণী – ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী – ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা

আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের প্রথম অধ্যায় ‘গ্রহরূপে পৃথিবী’ এর কিছু ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা প্রশ্নাবলি নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

এই আর্টিকেলে আমরা ক্লাস ৯ ভূগোলের অধ্যায়-1-এর সাধারণ প্রশ্ন (SAQ), বিশদ ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন (LAQ), ও অধ্যায়ভিত্তিক MCQ গুলোকে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করেছি। প্রশ্নগুলির সঙ্গে মডেল উত্তর, ভৌগোলিক ডায়াগ্রাম, ও পরীক্ষায় নম্বর বৃদ্ধির টিপস যুক্ত করা হয়েছে, যা 2024 সালের পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

যদি আপনি নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন, গ্রহরূপে পৃথিবী প্রশ্নোত্তর PDF, বা ভূগোল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি খোঁজেন, তাহলে এই গাইড আপনার জন্য পারফেক্ট! নবম শ্রেণীর ভূগোল 1 অধ্যায়ের সম্পূর্ণ রিভিশন করতে এখনই পড়ুন!”

নবম শ্রেণী - ভূগোল - গ্রহরূপে পৃথিবী - ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
নবম শ্রেণী – ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী – ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা

পৃথিবী প্রদক্ষিণকারী কৃত্রিম উপগ্রহ নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রদক্ষিণ বৃত্তের বাইরে ও মেরু অঞ্চলে প্রদক্ষিণ বৃত্তের ভিতরে ঢুকে পড়ে।

পৃথিবী নিখুঁত গোলকাকার নয়। পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকাকার হওয়ার কারণ এর নিরক্ষীয় ব্যাস মেরু ব্যাস অপেক্ষা 43 কিমি বেশি এবং নিরক্ষীয় পরিধি মেরু পরিধি অপেক্ষা 51 কিমি বেশি। এই অভিগত গোলকাকার পৃথিবীর চারদিকে যখন কৃত্রিম উপগ্রহগুলি প্রদক্ষিণ করে, তখন পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে নির্দিষ্ট উচ্চতা বজায় রাখার জন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রদক্ষিণ বৃত্তের বাইরে সরে আসে। আবার মেরু অঞ্চলে প্রদক্ষিণ বৃত্তের ভিতরে ঢুকে পড়ে।

পৃথিবী যদি সম্পূর্ণ গোলকাকার হত তাহলে এরূপ ঘটনা ঘটত না।

দোলক ঘড়ি নিরক্ষীয় অঞ্চলে মেরু অঞ্চলের তুলনায় ধীরে চলে।

পর্যবেক্ষণ – পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকাকার এটি প্রমাণ করতে গিয়ে 1671 সালে ফরাসি জ্যোতির্বিদ জাঁ রিচার কেইন দ্বীপ (5° উঃ) থেকে প্যারিস শহরে (48°30′ উঃ) গিয়ে দেখেন যে দোলক ঘড়ি প্রতি 24 ঘণ্টায় 2½ মিনিট সময় এগিয়ে আছে।

কারণসমূহ – এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি পৃথিবীর অভিগত গোলকাকার আকৃতি এবং মাধ্যাকর্ষণ বলের ভিন্নতাকে দায়ী করেন। 1686 সালে নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আবিষ্কৃত হলে জানা যায় – যে বস্তু পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে যত দূরে থাকবে তার উপর এই বলের প্রভাব তত কম হবে। নিরক্ষীয় অঞ্চল স্ফীত বলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব মেরু অঞ্চল অপেক্ষা কম। যেহেতু, দোলক ঘড়ির দোলন তলের উপর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাব থাকে সেহেতু নিরক্ষীয় অঞ্চল অপেক্ষা মেরু অঞ্চলে ওই বল বেশি হওয়ায় দোলক ঘড়ির দোলন কাল নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে অবস্থিত কেইন দ্বীপে একটু বেশি হয় মেরু অঞ্চলের কাছাকাছি প্যারিস শহর অপেক্ষা।

সুতরাং, নিরক্ষীয় অঞ্চলের দোলক ঘড়ি অপেক্ষা মেরু অঞ্চলের দোলক ঘড়ি একটু দ্রুত চলে।

প্রতিটি গ্রহই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, কিন্তু তাদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় না।

সূর্যকে পরিক্রমণরত গ্রহগুলির পারস্পরিক সংঘর্ষ না হওয়ার কারণগুলি হল –

  • প্রতিটি গ্রহ নিজ নিজ কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে এবং প্রত্যেকটি গ্রহের কক্ষপথ ভিন্ন। গ্রহগুলির সঙ্গে সূর্যের দূরত্বও ভিন্ন এবং এদের পরিক্রমণ বেগও ভিন্ন। এ কারণে গ্রহগুলির মধ্যে সংঘর্ষ হওয়া সম্ভব নয়।
  • সূর্য যেমন প্রতিটি গ্রহকে আকর্ষণ করে তেমনি প্রতিটি গ্রহও নিজেদের কেন্দ্রবিমুখ শক্তির জন্য সূর্য থেকে দূরে সরে যেতে চায়। তাই গ্রহগুলি একটি স্বতন্ত্র দূরত্ব বজায় রেখে পরিক্রমণ সম্পন্ন করে। যার ফলে সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকে না।

নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে গেলে কোনো নক্ষত্রের উন্নতি একই হারে হয় না।

অভিগত গোলকাকৃতি পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস মেরু ব্যাসের তুলনায় 43 কিমি (12757 – 12714 = 43) বেশি দীর্ঘ। অর্থাৎ নিরক্ষীয় অঞ্চল স্ফীত এবং মেরু অঞ্চল চাপা। নিরক্ষরেখার কোনো স্থান থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে কোনো একটি নক্ষত্রকে লক্ষ করে ওই স্থানের দ্রাঘিমারেখা বরাবর অগ্রসর হলে নক্ষত্রের উন্নতি কোণ ক্রমশ বাড়তে থাকে। কিন্তু নক্ষত্রের এই উন্নতি অতিক্রান্ত দূরত্বের সঙ্গে সমান হারে হয় না। নিরক্ষীয় অঞ্চল স্ফীত হওয়ায় নক্ষত্রের 1° উন্নতির জন্য যে দূরত্ব অতিক্রম করতে হয় মেরু অঞ্চল চাপা হওয়ায় তার থেকে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। এই কারণেই নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে গেলে কোনো নক্ষত্রের উন্নতি একই হারে হয় না।

চাঁদকে আমরা অনেক বড়ো দেখি।

পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হল চাঁদ। পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব 3.82 লক্ষ কিমি। পৃথিবীর তুলনায় চাঁদ অনেক ছোটো (প্রায় পঞ্চাশ ভাগের এক ভাগ) অর্থাৎ, পৃথিবীতে প্রায় পঞ্চাশটা চাঁদ ঢুকে যাবে। তা সত্ত্বেও অন্যান্য জ্যোতিষ্ক অপেক্ষা চাঁদকে বড়ো দেখায় তার অন্যতম প্রধান কারণ চাঁদ পৃথিবীর অনেক কাছে আছে। আর ঠিক একই কারণে পৃথিবীতে সৃষ্ট জোয়ারভাটার উপর সূর্য অপেক্ষা চাঁদের প্রভাব তথা আকর্ষণ বল বেশি কার্যকরী। অর্থাৎ, চাঁদ আকারে ছোটো হলেও দূরত্বের কারণে তাকে আমরা বড়ো দেখি।

কোনো জিনিসের ওজন পৃথিবীর মাঝ বরাবর অর্থাৎ নিরক্ষরেখায় যত হয়, দুই প্রান্তে মেরুর কাছে তার বেশি হয় – এরকম কেন হয়?

অথবা, নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি হয় কেন?

কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে পরিমাণ বল দ্বারা তার কেন্দ্রের এদিকে আকর্ষণ করে, তাকে ওই বস্তুর ওজন বলে। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলের দূরত্ব মেরু অঞ্চলের তুলনায় বেশি। এর কারণ পৃথিবীর অভিগত গোলকাকৃতি, অর্থাৎ দুই মেরুর দিক সামান্য চাপা ও নিরক্ষরেখা অংশে ফোলা। তাই পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে নিরক্ষরেখায় 6378 কিমি দূরত্বে থাকা বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে, মেরুতে 6257 কিমি দূরত্বে থাকা বস্তুকে অপেক্ষাকৃত বেশি বল দ্বারা আকর্ষণ করে। অর্থাৎ, মেরু অঞ্চল নিরক্ষীয় অঞ্চলের তুলনায় কেন্দ্রের কাছে থাকায় এখানে বস্তুর ওজন বেশি হয়।

নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরুর দিকে অগ্রসর হলে বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়।

নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরুর দিকে অগ্রসর হলে বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় তার প্রধান কারণটি হল –

পৃথিবীর অভিগত গোলকাকার আকৃতি – পৃথিবীর অভিগত গোলকাকার আকৃতির ফলে দুই মেরু প্রদেশ চাপা ও নিরক্ষীয় প্রদেশ স্ফীত। নিরক্ষীয় অঞ্চলে পৃথিবীর পরিধি 40075 km, মেরুতে পরিধি 40,024 km, অর্থাৎ মেরুর বক্রতা নিরক্ষীয় অঞ্চলের বক্রতার কম। সেইজন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলের বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য কম এবং মেরু অঞ্চলে বেশি।

পরীক্ষা ও প্রমাণ – 1737 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের রয়‍্যাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স কিটো (0°), প্যারিস (49° উত্তর) এবং ল্যাপল্যান্ড (68° উত্তর) এই তিনটি শহরের পৃথিবীর পরিধির একটি নির্দিষ্ট বৃত্তচাপের পরীক্ষা করে দেখেন যে, কিটোর বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম। প্যারিস শহরে তার থেকে বেশি ও ল্যাপল্যান্ডে এই বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য সর্বাধিক। এ থেকে প্রমাণিত যে, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হলে বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়।


এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় ‘গ্রহরূপে পৃথিবী’-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর (SAQ, LAQ ও MCQ) সহজ ও গঠনমূলকভাবে উপস্থাপন করেছি। এই প্রশ্নগুলো বোর্ড পরীক্ষা, স্কুল টেস্ট এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার (যেমন – WBCS, UPSC, SSC) জন্য অত্যন্ত কার্যকরী, কারণ এগুলি প্রায়শই পরীক্ষায় আসে।

আপনার যদি ‘গ্রহরূপে পৃথিবী’ অধ্যায় সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন থাকে বা ভূগোলের অন্যান্য অধ্যায়ের PDF নোটস প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে Solution Wbbse Commulnity যোগ দিন। আমরা আপনার প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব!

এই গাইডটি যদি আপনার উপকারে আসে, তাহলে এটি আপনার বন্ধু ও সহপাঠীদের সাথে শেয়ার করুন—যাতে তারাও নবম শ্রেণীর ভূগোলের প্রস্তুতিতে সুবিধা পেতে পারে। আরও ভূগোল-সম্পর্কিত আপডেট ও স্টাডি মেটেরিয়াল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে SolutionWbbse ভিজিট করুন।

Share via:

মন্তব্য করুন