এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নবম শ্রেণী – ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

আপনি যদি নবম শ্রেণীর ভূগোল পাঠ্যক্রমের প্রথম অধ্যায় “গ্রহরূপে পৃথিবী” সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ) খুঁজে থাকেন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য! এখানে আমরা নবম শ্রেণীর ভূগোলের প্রথম অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব যা ক্লাস টেস্ট, বার্ষিক পরীক্ষা এবং প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অত্যন্ত সহায়ক। এই অধ্যায়ের প্রশ্নগুলি WBBSE সিলেবাস অনুযায়ী প্রায়শই পরীক্ষায় আসে, বিশেষ করে বস্তুনিষ্ঠ প্রশ্নোত্তর (MCQ) এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে। আর্টিকেলটিতে পরীক্ষায় কমন আসা প্রশ্নঅধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু এবং মনে রাখার টেকনিক শেয়ার করা হয়েছে, যা আপনার প্রস্তুতিকে করবে আরও পূর্ণাঙ্গ। নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী ও চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য গাইড!

নবম শ্রেণী - ভূগোল - গ্রহরূপে পৃথিবী - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
নবম শ্রেণী – ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Contents Show

শনি গ্রহকে বলয় গ্রহ বলা হয় কেন?

শনিগ্রহের চারপাশের লক্ষ কোটি পাথরের টুকরো, বরফের কণা, ধূলিকণার উপর সূর্যালোক পড়ে চক্র বা বলয় সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই গ্রহের নাম হয় ‘বলয় গ্রহ’ বা Ring planet।

আবিষ্কার – গ্যালিলিয়ো সর্বপ্রথম এই বলয় প্রত্যক্ষ করেন। পরবর্তীকালে 1659 সালে হাইগেনস্ (Heygnes) এটি আবিষ্কার করেন।

বলয়ের সংখ্যা – শনি গ্রহের প্রধান বলয়ের সংখ্যা হল 7টি এবং অপ্রধান বলয়ের সংখ্যা 320টি। বৃহস্পতি, ইউরেনাস ও নেপচুন গ্রহের বলয় থাকলেও এগুলি শনির বলয়ের কাছে নিতান্তই তুচ্ছ। সৌন্দর্য ও জটিলতায় শনির বলয় অদ্বিতীয়।

পৃথিবীর কোন্ অঞ্চলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে বেশি?

পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে বেশি কারণ –

  • এখানে কেন্দ্রবহির্মুখী শক্তি (Centrifugal force) সবথেকে কম।
  • পৃথিবীর অভিগত গোলকাকার আকৃতির জন্য পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে মেরু অঞ্চলের দূরত্ব কম। তাই মাধ্যাকর্ষণ বল এখানে সব থেকে বেশি।

কাকে কেন পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলা হয়?

শুক্র গ্রহকে পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলা হয়। এই দুই গ্রহের বৈশিষ্ট্যগত দিকগুলি প্রায় একই, মহাকাশ থেকে দেখতে একই লাগে, তাই এদেরকে যমজ গ্রহ বা Twin planet বলে।

সাদৃশ্য –

  • ব্যাস – পৃথিবীর ব্যাস 12,742 কিমি ও শুক্রের 12,112 কিমি।
  • ঘনত্ব – পৃথিবীর ঘনত্ব 5.52 গ্রাম/সেমি3 ও শুক্রের 5.30 গ্রাম/সেমি3। পৃথিবীর ও শুক্রের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সমরূপ বলে একে ‘যমজ ভাই’ বলা হয়। পৃথিবী থেকে এই গ্রহকে খালি চোখে দেখা যায় ভোরবেলায় ও সন্ধ্যাবেলায়, তাই এই শুক্র গ্রহকে ‘শুকতারা’ বা ‘সন্ধ্যাতারা’ও বলে।

ম্যাগেলান কে? তিনি কীভাবে প্রমাণ করেন যে পৃথিবী গোলাকার?

ম্যাগেলান হলেন একজন দুঃসাহসিক পোর্তুগিজ ভূপর্যটক বা নাবিক।

তিনি 1519 খ্রিস্টাব্দে 5টি জাহাজ নিয়ে সমুদ্রে পশ্চিম দিকে যাত্রা শুরু করেন। ক্রমাগত পশ্চিম দিকে যাত্রা করেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা যাত্রা শুরুর বন্দরে ফিরে আসেন। এই ভূ-প্রদক্ষিণের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেন পৃথিবী সমতল নয় বরং গোলাকার।

জিয়ড (Geoid) বলতে কী বোঝো?

গ্রিক শব্দ ‘geo’ ও ‘eidos’ মিলে ‘Geoid’ শব্দের উৎপত্তি। ‘geo’ -এর অর্থ ‘পৃথিবী’ এবং ‘eidos’ -এর অর্থ ‘দর্শন’ বা ‘দেখতে’। অর্থাৎ, Geoid শব্দের অর্থ ‘পৃথিবীর মতো দেখতে’ বা ‘পৃথিবীর সদৃশ’ (Earth Shaped)। পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি কোনো বস্তুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না বলে বলা হয় পৃথিবীর আকৃতি ‘পৃথিবীর সদৃশ’ বা ‘Geoid’। ‘Geoid’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী জোহান বেনডিক্ট লিসটিং।

পৃথিবীর ওপর পর্বত, মালভূমি, হ্রদ, সমুদ্র প্রভৃতি উঁচু নীচু জায়গাগুলির জন্য পৃথিবীর আকৃতির কোনো পরিবর্তন হয় কি?

না, পর্বত, মালভূমি, হ্রদ, সমুদ্র প্রভৃতি উঁচু-নীচু জায়গার জন্য পৃথিবীর আকৃতির তেমন পরিবর্তন হয় না। কারণ – 6400 কিমি ব্যাসার্ধের যে বিশাল গোলক এই পৃথিবী তাতে সামান্য কয়েক হাজার মিটার উঁচু পর্বত, মালভূমি বা নীচু হ্রদ, সমুদ্র থাকলেও পৃথিবীকে বেশ মসৃণ গোলকই মনে হয়।

যখন কম্পাস, ম্যাপ ছিল না তখন মানুষ কীসের সাহায্যে দিক নির্ণয় করত?

যখন কম্পাস, ম্যাপ ছিল না তখন মানুষ রাতে ধ্রুবতারা দেখে উত্তর দিক, হ্যাডলির অকট্যান্ট নামক নক্ষত্র দেখে দক্ষিণ দিক, ভোরবেলা শুকতারা দেখে পূর্ব দিক এবং সন্ধ্যাবেলা সন্ধ্যাতারা দেখে পশ্চিম দিক নির্ণয় করত। দিনেরবেলা সূর্য দেখেও দিক নির্ণয় করত।

দিগন্তরেখা কাকে বলে?

কোনো ফাঁকা মাঠ বা কোনো উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে চারদিকে তাকালে মনে হয় আকাশ ও ভূমি যেন দূরে এক জায়গা বরাবর বৃত্তাকারে মিলিত হয়েছে। এই বৃত্তরেখাকে দিগন্তরেখা বলে। যত উঁচু থেকে দেখা যায় বৃত্তাকার দিগন্তরেখার পরিধি তত বৃদ্ধি পায়।

সূর্যোদয়ের আগে সূর্য দিগন্তরেখার নীচে থাকে এবং সূর্যাস্তের পর সূর্য দিগন্তরেখার নীচে চলে যায় বলে আমরা সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের পরে সূর্যকে দেখতে পাই না।

আকাশগঙ্গা (Milky way) কী?

সংজ্ঞা – মহাবিশ্বের অসংখ্য ছায়াপথের মধ্যে যেটিতে সূর্য তার পরিবার নিয়ে আছে, আর সেই পরিবারের অংশ হিসেবে আমরাও আছি, তাকে আকাশগঙ্গা ছায়াপথ বলা হয়। এর অপর নাম ‘মিল্কি ওয়ে’ (Milky way)

বৈশিষ্ট্য –

  • প্রায় 10 হাজার কোটি নক্ষত্র, গ্যাস, ধূলিকণা নিয়ে আকাশগঙ্গা গঠিত।
  • এটি একটি প্যাঁচানো বা সর্পিল আকৃতির ছায়াপথ। খালি চোখে রাতের আকাশে যত তারা দেখা যায়, সবই আকাশগঙ্গা ছায়াপথের তারা।

আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে কিছুটা দুরে প্রান্তভাগে আছে আমাদের সৌরজগৎ।

আলোকবর্ষ (Light year) কী?

মহাশূন্যের অতি বিশাল দূরত্ব মাপার একক হল আলোকবর্ষ। আলোর গতিবেগ 1 সেকেন্ডে প্রায় 2 লক্ষ 99 হাজার কিমি। এই গতিবেগে 1 বছরে আলো যতটা দূরত্ব যায়, তা হল এক আলোকবর্ষ (9.46 × 1012 কিলোমিটারের সমান)।

প্রাচীনকালে পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে মানুষের বিশ্বাস কী ছিল?

প্রাচীনকালে মানুষ বিশ্বাস করত যে, চ্যাপটা রুটির মতো পৃথিবীর ওপর আকাশটা একটা উপুড় করা বিশাল পেয়ালা।

ব্রহ্মাণ্ড (Universe) বা মহাবিশ্ব বলতে কী বোঝো?

যে অকল্পনীয় পরিসীমায় কোটি কোটি ছায়াপথ, নীহারিকা, নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, বিভিন্ন গ্যাস, ধুলিকণা প্রভৃতি অবস্থান করছে, তাকেই ব্রহ্মাণ্ড বা মহাবিশ্ব বলে।

নীহারিকা (Nebula) কাকে বলে?

‘নীহার’ শব্দের অর্থ ‘তুষারকণা’। মহাশূন্যের মাঝে ছড়িয়ে থাকা হাইড্রোজেন, হিলিয়াম গ্যাস ও ধূলিকণার বিরাট তুষারের মতো সাদা মেঘকে নীহারিকা বা নেবুলা বলে।

উদাহরণ – লেগুন নেবুলা, গ্রেট নেবুলা, ক্যাটস্ আই নেবুলা প্রভৃতি।

জ্যোতিষ্ক (Celestial body) কাকে বলে?

যারা মহাকাশে জ্যোতি বা আলো বিতরণ করে সেই অসংখ্য আলোর বিন্দুকে এককথায় জ্যোতিষ্ক বলা হয়। মহাকাশে নানারকম জ্যোতিষ্ক দেখা যায়, যেমন – নক্ষত্র, গ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, উপগ্রহ, ধূমকেতু, উল্কা, নীহারিকা প্রভৃতি।

ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি (Galaxy) কাকে বলে?

মহাকাশে লক্ষ লক্ষ তারা, ধূলিকণা এবং গ্যাসীয় মেঘপুঞ্জের সমাবেশে গঠিত উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ককে ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি বলে। এগুলি প্যাঁচানো, ডিম্বাকার প্রভৃতি নানা আকৃতির হয়।

উদাহরণ – মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা, অ্যানড্রোমিডা প্রভৃতি।

ধূমকেতু অনেকদিন বাদে বাদে দেখা যায় কেন?

ধূমকেতু গ্রহের মতোই নক্ষত্রের চারদিকে ঘোরে। কিন্তু এদের ঘোরার পথ এত দীর্ঘ যে মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য যখন এরা নক্ষত্রের কাছাকাছি আসে তখন এদের গ্যাস ও বাষ্পরাশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তাই আমরা তাদের দেখতে পাই। এরপর ওই দীর্ঘপথ পরিভ্রমণ করে আবার নক্ষত্রের সামনে আসতে ধূমকেতুর বহু বছর সময় লাগে (যেমন – হ্যালির ধূমকেতুর সূর্যের সামনে আসতে 76 বছর সময় লাগে)। তাই অনেকদিন বাদে বাদে ধূমকেতু দেখা যায়।

মঙ্গলকে লালগ্রহ বলা হয় কেন?

অথবা, মঙ্গলের মাটির রং লাল কেন?

মঙ্গল গ্রহের মাটিতে প্রচুর রেড অক্সাইড বা লোহা রয়েছে। বিশুদ্ধ লোহার রং লাল। তাই মঙ্গলের মাটি লাল। এই কারণে মহাকাশে মঙ্গলকে লাল রং -এর দেখায় বলে ‘লালগ্রহ’ নাম দেওয়া হয়েছে।

ইউরেনাসকে সবুজ গ্রহ বলা হয় কেন?

সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ হল ইউরেনাস। বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান-হাইড্রোজেন (83%), হিলিয়াম (15%), মিথেন (2%) -এর সমন্বয়ে গঠিত। গ্রহের উপরিস্তরে মিথেন গ্যাসের প্রাধান্য থাকায় এই গ্রহ লাল আলোকে শোষণ করে নেয় এবং গ্রহটিকে সবুজ রঙের দেখায়।

সৌরজগতের কোন্ কোন্ গ্রহের বলয় আছে?

সৌরজগতের চারটি গ্রহের বলয় আছে। যথা – বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন।

‘Curiosity’ কী?

NASA -এর দ্বারা মঙ্গল গ্রহে প্রেরিত সর্বাধুনিক গাড়ি আকৃতির রোভার হল কিউরিওসিটি। এটি পাঠানো হয় 26 নভেম্বর 2011 সালে এবং এটি মঙ্গলে সফলভাবে অবতরণ করে 2012 সালের 6 আগস্ট। এই রোভারটি মঙ্গল গ্রহের মাটি, জল, আবহাওয়া ও প্রাণের অস্তিত্ব সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করে চলেছে।

সূর্য একটি বিশাল নক্ষত্র কিন্তু চাঁদ উপগ্রহ মাত্র। কিন্তু পৃথিবী থেকে আমরা এই দুটি জ্যোতিষ্ককে প্রায় একই আকৃতির দেখি -এর কারণ কী?

সূর্য আমাদের পৃথিবী থেকে প্রায় 15 কোটি কিমি দূরে অবস্থিত। আর চাঁদ মাত্র 3 লক্ষ 84 হাজার কিমি দূরে অবস্থিত। অর্থাৎ, চাঁদ কাছে অবস্থিত বলেই আমরা চাঁদকে প্রায় সূর্যের মতোই বড়ো দেখি।

আমরা চাঁদের একটা পিঠ দেখতে পাই কেন?

পৃথিবীর মতো চাঁদও নিজের মেরুদণ্ডের চারদিকে পাক খাচ্ছে। চারদিকে একবার পাক খেতে চাঁদের সময় লাগে প্রায় 27 দিন ৪ ঘণ্টা। আবার এই একই সময়ে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকেও একবার ঘোরে। অর্থাৎ, চাঁদের আবর্তন ও পরিক্রমণ গতির সময়কাল প্রায় একই -এই অদ্ভুত ধরনের আবর্তন ও পরিক্রমণ গতির জন্য চাঁদের একটা পিঠই শুধু আমরা পৃথিবী থেকে দেখতে পাই।

মম (MOM) বা Mars Orbitar Mission বলতে কি বোঝো?

মম (MOM = Mars Orbitar Mission)

  • নাম – ভারতের ‘মঙ্গলযান’ ‘মম’ – ‘মার্স অরবিটার মিশন’।
  • উৎক্ষেপণ – ইসরোর একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ‘মম’ -এর যাত্রা শুরু মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র শ্রীহরিকোটা থেকে 5 নভেম্বর 2013, দুপুর 2 টো 38 মিনিটে।
  • ওজন – ‘মম’ -এর ওজন 1337 কেজি।
  • রকেট – PSLVC 25 রকেটে করে যাত্রা।
  • পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়ে – 1 ডিসেম্বর 2013 রাত 12 টা 48 মিনিটে।
  • মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে – 2014 সালের 21-24 সেপ্টেম্বর।
  • কাজ – মঙ্গল গ্রহে মিথেন গ্যাসের সন্ধান এর প্রধান কাজ, যা দেবে মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান। এছাড়া খোঁজ করবে হাইড্রোজেনের অস্তিত্ব, ছবি তুলবে লাল মাটির, বিশ্লেষণ করবে মঙ্গলের তাপমাত্রা ও চারপাশের কণার।

বহিস্থ গ্রহ (Outer Planet) কাকে বলে?

সৌর পরিবারে যে সমস্ত গ্রহগুলি অন্তঃস্থ গ্রহগুলির চেয়ে অনেক দূরবর্তী স্থানে অবস্থান করছে তাদের, বহিস্থ গ্রহ বলে। যেমন – বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন।

সৌরজগতের সবচেয়ে বড়ো ও সবচেয়ে ছোটো উপগ্রহের নাম কী?

সৌরজগতের সবচেয়ে বড়ো উপগ্রহ হল শনির উপগ্রহ টাইটান এবং সবচেয়ে ছোটো উপগ্রহ হল মঙ্গলের উপগ্রহ ডাইমোস।

বুধ সূর্যের নিকটতম গ্রহ হলেও শুক্রগ্রহের উষ্ণতা সবচেয়ে বেশি কেন?

বুধ সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ হওয়ায় এর গড় উষ্ণতা প্রায় 430°C। কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে থাকা শুক্রগ্রহের গড় উষ্ণতা প্রায় 465°C। কারণ, শুক্রগ্রহের বায়ুমণ্ডলে রয়েছে প্রচুর কার্বন ডাইঅক্সাইড যা উষ্ণতাকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।

পৃথিবীকে ‘জলগ্রহ’ বা ‘নীলগ্রহ’ বলা হয় কেন?

সৌরজগতের একমাত্র গ্রহ পৃথিবী যার 70.8% অর্থাৎ প্রায় 36.1 বর্গকিমি অঞ্চল জুড়ে রয়েছে জল। তাই মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে নীল দেখায়। এ কারণে পৃথিবীকে ‘জলগ্রহ’ বা ‘নীলগ্রহ’ বলা হয়।

জীবমণ্ডল (Biosphere) কাকে বলে?

পৃথিবীর শিলামণ্ডল, বায়ুমণ্ডল ও বারিমণ্ডলের সমস্ত জীবকুলকে নিয়ে গঠিত অঞ্চল। যেখানে প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ বর্তমান, তাকে বলে জীবমণ্ডল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 6000 মিটার ওপরে এবং সমুদ্রগর্ভে 300 মিটার পর্যন্ত জীবমণ্ডল বিরাজমান।

জলচক্র (Hydrological cycle) বলতে কী বোঝো?

পৃথিবীর সমস্ত জলভাগ – সমুদ্র, নদী, জলাশয় প্রভৃতির জল সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়ে ওপরে উঠে ঘনীভূত হয় এবং মেঘ সৃষ্টি করে। এরপর মেঘ মধ্যস্থ জলকণা আরও ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি আকারে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসে। জলের এই চক্রাকার আবর্তনকেই জলচক্র বলা হয়।

জলচক্র (Hydrological cycle) বলতে কী বোঝো।
জলচক্র (Hydrological cycle) বলতে কী বোঝো।

পৃথিবীর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্থানগুলি কী কী?

পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান হিমালয় পর্বতের মাউন্ট এভারেস্ট, উচ্চতা 8848 মিটার।

পৃথিবীর সর্বনিম্ন স্থান হল প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে মারিয়ানা খাত, গভীরতা 11,034 মিটার।

GPS কী?

GPS -এর পুরো কথাটি হল Global Positioning System। যার দ্বারা মানুষের তৈরি 24টি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে ভূ পৃষ্ঠের ওপর কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা যায়। জাহাজ চালানো থেকে শুরু করে মিসাইল উৎক্ষেপণ সবেতেই সঠিক দিশা ও নির্ভুল নির্দেশ দিতে GPS -এর ব্যবহার করা হয়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ প্রথম GPS চালু করে। বর্তমানে GPS handset দ্বারা মানচিত্র প্রস্তুত, জরিপ কার্য, টোপোম্যাপ তৈরি, মৌজা ম্যাপ তৈরি, ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভে, শহর পরিকল্পনা সম্ভবপর হয়েছে।

GPS রিসিভার থেকে কী কী তথ্য পাওয়া যায়?

মহাকাশ থেকে GPS (Global Positioning System) -এর কৃত্রিম উপগ্রহগুলো বিশেষ ধরনের Signal পৃথিবীর দিকে প্রেরণ করে। ভূপৃষ্ঠে মানুষের কাছে থাকা GPS গ্রাহক যন্ত্রগুলো (GPS Receiver) এই Signal সংগ্রহ করে। এরপর GPS রিসিভার থেকে নানা তথ্য আমরা পাই। যেমন – পৃথিবীপৃষ্ঠের যে-কোনো স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা জানা যায়। ফলে ওই স্থানের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয়। যে-কোনো স্থানের সঠিক উচ্চতা জানা যায়। ভূমিরূপের গঠন বা ধরন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।

কুইপার বেল্ট (Kuiper Belt) কী?

কুইপার বেল্ট হল তুষার দ্বারা গঠিত চাকতি আকৃতির অঞ্চল, যা নেপচুন, প্লুটোসহ বিভিন্ন বামন গ্রহ ও বিভিন্ন ধুমকেতুর কক্ষপথের চারিদিকে পরিলক্ষিত হয়। কুইপার বেল্টে 100 কিমিরও বেশি তুষার নির্মিত অংশ দেখা যায়। প্রথম কুইপার বেল্ট আবিষ্কৃত হয় 1992 সালে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী Gerard Kuiper 1950 সালে Kuiper Belt -এর অস্তিত্ব অনুধাবন করেন।


এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় “গ্রহরূপে পৃথিবী”-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ)MCQ এবং পরীক্ষায় কমন আসা টপিক্স নিয়ে আলোচনা করেছি। WBBSE সিলেবাস অনুযায়ী এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষাক্লাস টেস্ট এবং প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় (যেমন – WBCS, WBPSC) বারবার আসে। তাই এই অধ্যায়ের প্রস্তুতি আপনার স্কোর বাড়ানোর পাশাপাশি মৌলিক ধারণা শক্তিশালী করতেও সাহায্য করবে।

কী পেলেন এই আর্টিকেলে?

  • অধ্যায়ের 100% কমন প্রশ্নোত্তর
  • SAQ ও MCQ সমাধানের ট্রিকস
  • পরীক্ষার সময় ব্যবস্থাপনার টিপস

আর্টিকেলটি কীভাবে আপনার প্রস্তুতিতে সাহায্য করলো? কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হয়ে আমাদের জানান – আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে উত্তর দেব! এছাড়া, এই পোস্টটি শেয়ার করুন আপনার বন্ধু, স্টাডি গ্রুপ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় – যারা নবম শ্রেণীর ভূগোল বা চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য এটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে!

ধন্যবাদ সহযোগিতার জন্য! 

Share via:

মন্তব্য করুন