এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নবম শ্রেণী – ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় ‘পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়’ এর কিছু রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

নবম শ্রেণী - ভূগোল - পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় - রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
নবম শ্রেণী – ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
Contents Show

অক্ষাংশের ভিত্তিতে পৃথিবীর প্রধান প্রধান তাপ বলয়গুলি চিহ্নিত করে তা আলোচনা করো।

পৃথিবীতে যাবতীয় তাপের প্রধান উৎস হল সূর্য। বিভিন্ন অক্ষাংশে সূর্যরশ্মির তাপের তারতম্য ঘটে বলে পৃথিবীতে নিম্নলিখিত তিনটি স্থায়ী তাপবলয় গড়ে উঠেছে –

পৃথিবীর বিভিন্ন তাপমন্ডল
পৃথিবীর বিভিন্ন তাপমন্ডল

উষ্ণমণ্ডল (Torrid Zone) –

অবস্থান – নিরক্ষরেখা (0°) থেকে 23½° উত্তর এবং 23½° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে উষ্ণমণ্ডল অবস্থিত।

বৈশিষ্ট্য –

  • সূর্যরশ্মির পতন – নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে।
  • দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য – নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারা বছরই 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি বিরাজ করে।
  • গড় তাপমাত্রা – উষ্ণমণ্ডলের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা 27°C।
  • ঋতু – এখানে ঋতুবৈচিত্র্য দেখা যায় না, কারণ সারাবছর একটিই ঋতু (গ্রীষ্ম) বিরাজ করে।

নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল (Temperate Zone) –

অবস্থান – পৃথিবীর উভয় গোলার্ধের 23½° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে শুরু করে 66½° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল অবস্থিত।

বৈশিষ্ট্য –

  • সূর্যরশ্মির পতন – নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে সূর্যরশ্মি মাঝারি তির্যকভাবে (10°-20° কোণে) পড়ে।
  • প্রকৃতি – নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের ক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে 45° অক্ষাংশ পর্যন্ত অঞ্চল কিছুটা উষ্ণ প্রকৃতির হলেও, 45° থেকে 66½° অক্ষাংশীয় অঞ্চল শীতল প্রকৃতির হয়ে থাকে।
  • গড় তাপমাত্রা – নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের গড় তাপমাত্রা থাকে 27°-0° সেন্টিগ্রেডের মধ্যে।
  • শ্রেণিবিভাগ – নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল দুই প্রকার –
    • উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল (23½° উঃ/দঃ-45° উঃ/দঃ) এবং
    • শীতল নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল (45° উঃ/দঃ-66½° উঃ/দঃ)।

হিমমণ্ডল (Frigid Zone) –

অবস্থান- পৃথিবীর উভয় গোলার্ধের 66½° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে 90° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে হিমমণ্ডল অবস্থিত।

বৈশিষ্ট্য –

  • সূর্যরশ্মির পতন – হিমমণ্ডলে সারাবছর সূর্য অতি তির্যকভাবে কিরণ দেয়।
  • দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য – এখানের কোনো কোনো স্থানে সারা বছর 6 মাস দিন ও 6 মাস রাত্রি থাকে।
  • গড় তাপমাত্রা – হিমমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা 0°C -এরও নীচে থাকে।

ভূ-পৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান কীভাবে নির্ণয় করা হয়?

অথবা, ভৌগোলিক জালকের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত কোনো একটি স্থানের অবস্থান কীভাবে নির্ণয় করা যায় তা উপযুক্ত চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।

পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো অঞ্চল, স্থান বা বস্তু যেখানে আছে সেটাই হল তার অবস্থান। এই অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করার পদ্ধতিগুলি হল –

  • সমতল পৃষ্ঠের ওপর আপেক্ষিক অবস্থান নির্ণয়।
  • গোলাকার ভূ-পৃষ্ঠের ওপর প্রকৃত অবস্থান নির্ণয়।

পৃথিবীপৃষ্ঠে বা ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের পদ্ধতিগুলি হল –

একটি স্থান বা বস্তুর সাপেক্ষে আর একটি স্থান বা বস্তুর অবস্থান নির্ণয় হল আপেক্ষিক অবস্থান। দুটি উপায়ে আপেক্ষিক অবস্থান নির্ণয় করা হয়। যথা –

আয়তাকার স্থানাঙ্ক (Rectangular Co-ordinate) – ধরা যাক, সুবিশাল মাঠের B স্থানে একটি বটগাছ আছে। A স্থানের সাপেক্ষে বটগাছটির অবস্থান নির্ণয় করতে হবে। প্রদত্ত চিত্রে B স্থানের অবস্থান A স্থানের সাপেক্ষে আয়তাকার স্থানাঙ্কের মাধ্যমে নির্ণয় করে বলা যায়, বটগাছটি (B) A স্থান থেকে 200 মিটার পূর্বে এবং 200 মিটার উত্তরে অবস্থান করছে। এই পদ্ধতি কার্তেসিয় স্থানাঙ্ক (Cartesian Co-ordinate) নামে পরিচিত।

রৈখিক ও কৌণিক দূরত্বের সাহায্যে অবস্থান নির্ণয়
রৈখিক ও কৌণিক দূরত্বের সাহায্যে অবস্থান নির্ণয়

মেরু স্থানাঙ্ক (Polar Co-ordinate) – আবার বট গাছের এই অবস্থান A বিন্দুর সাপেক্ষে কোণ ও দূরত্বের মাধ্যমেও নির্ণয় করা যায়। একে মেরু স্থানাঙ্ক বলে। মেরু স্থানাঙ্ক অনুসারে B স্থান বা বট গাছের অবস্থান A স্থানের উত্তর-পূর্বে 45° কোণে 283 মিটার দূরত্বে হবে। এই অবস্থান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রিসমেটিক কম্পাস ও থিওডোলাইট নামে দুটি যন্ত্রের প্রয়োজন হয়।

গোলাকার ভূ-পৃষ্ঠের ওপর প্রকৃত বস্থান নির্ণয় – সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে সহজ ও নির্ভুলভাবে গোলাকার ভূ-পৃষ্ঠের ওপর কোনো স্থান বা বস্তুর প্রকৃত অবস্থান নির্ণয় করা যায়। যথা –

ভূ-জালকের সাহায্যে অবস্থান নির্ণয় – গোলীয় পৃথিবী-পৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করতে পূর্ব-পশ্চিমে কল্পিত বৃত্তাকার অক্ষরেখা ও উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত অর্ধবৃত্তাকার দ্রাঘিমারেখার সাহায্য নেওয়া হয়। অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর সমকোণে (90°) মিলিত হয়ে ভূ-জালকের সৃষ্টি করেছে। এই জালকের অক্ষরেখার মানের সাহায্যে জানা যায় কোনো স্থান নিরক্ষরেখা থেকে কতটা উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত এবং দ্রাঘিমারেখার মানের সাহায্যে জানা যায় কোনো স্থান মূলমধ্যরেখা থেকে কতটা পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থিত।

গোলাকার ভূপৃষ্ঠে কলকাতার অবস্থান নির্ণয়
গোলাকার ভূপৃষ্ঠে কলকাতার অবস্থান নির্ণয়

এই পদ্ধতিতে দুটি উপায়ে অবস্থান নির্ণয় করা হয়। যথা –

  • স্বল্প পরিসরে বিস্তৃত স্থানের অবস্থান নির্ণয়। যেমন কলকাতা 22°34′ উত্তর অক্ষরেখা ও 88°24′ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার ছেদবিন্দুতে অবস্থিত। অর্থাৎ, কলকাতা নিরক্ষরেখা থেকে 22°34′ উত্তরে এবং মূলমধ্যরেখা থেকে 88°24′ পূর্বে অবস্থিত।
  • বিস্তৃত অঞ্চলের অবস্থান নির্ণয়। যেমন – ভারতের অবস্থান হল 8°4′ উত্তর অক্ষরেখা থেকে 37°6′ উত্তর অক্ষরেখা এবং 68°7′ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে 97°25′ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে।
  • GPS পদ্ধতিতে অবস্থান নির্ণয় – বর্তমানে অত্যাধুনিক উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে মহাকাশে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীপৃষ্ঠের যে-কোনো স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা নির্ণয় করে তার সঠিক অবস্থান জানা সম্ভব হচ্ছে। একে Global Positioning System বা সংক্ষেপে GPS বলা হয়।

পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ অক্ষরেখাগুলির পরিচয় দাও ও তাদের ব্যবহার লেখো।

সমাক্ষরেখা/অক্ষরেখা (Parallel of Latitude) –

পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের সমান অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থানগুলিতে পূর্ব-পশ্চিমে বৃত্তাকার যে-সমস্ত রেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাদের অক্ষরেখা বলে।

পৃথিবীতে যতগুলি অক্ষরেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অক্ষরেখাকে পৃথকভাবে নামকরণ করা হয়েছে। এই অক্ষরেখাগুলি হল –

প্রধান প্রধান অক্ষরেখা
প্রধান প্রধান অক্ষরেখা

নিরক্ষরেখা (Equator) –

পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুবিন্দু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীর ঠিক মাঝখান দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে কল্পিত বৃত্তাকার রেখাকে নিরক্ষরেখা বলে। এর অক্ষাংশ 0°।

গুরুত্ব/ব্যবহার –

  • পৃথিবীকে সমান দুটি গোলার্ধে ভাগ করেছে। যথা – উত্তর গোলার্ধ ও দক্ষিণ গোলার্ধ।
  • কোনো স্থান উত্তর গোলার্ধে কতটা উত্তরে বা দক্ষিণ গোলার্ধে কতটা দক্ষিণে অবস্থিত তা নিরক্ষরেখার সাহায্যে ওই স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয়ের মাধ্যমে জানা যায়।
  • নিরক্ষরেখায় সারা বছর সূর্য প্রায় লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে, এখানে যেমন দিন-রাত্রি সমান হয়, তেমনি উষ্ণতা বেশি হওয়ায় উষ্ণমণ্ডল সৃষ্টি হয়েছে।

কর্কটক্রান্তিরেখা (Tropic of Cancer) –

নিরক্ষরেখার উত্তরে 23½° কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রয়েছে, তাকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে। এর মান 23½° উত্তর।

গুরুত্ব/ব্যবহার –

  • 21 জুন এই রেখায় সূর্যের উত্তরায়ণ শেষ হয়, অর্থাৎ সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ সীমা হিসেবে কর্কটক্রান্তি রেখার গুরুত্ব অপরিসীম।
  • উত্তর গোলার্ধে উষ্ণমণ্ডল ও নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলের মধ্যে সীমা রূপেও কর্কটক্রান্তি রেখা গুরুত্বপূর্ণ।

মকরক্রান্তিরেখা (Tropic of Capricorn) –

নিরক্ষরেখার দক্ষিণে 23½° কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রয়েছে, তাকে মকরক্রান্তি রেখা বলে। এর মান 23½° দক্ষিণ।

গুরুত্ব/ব্যবহার –

  • 22 ডিসেম্বর এই রেখায় সূর্যের দক্ষিণায়ন শেষ হয়। অর্থাৎ, সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষ সীমারূপে মকরক্রান্তিরেখার গুরুত্ব অপরিসীম।
  • দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণমণ্ডল ও নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের মাঝের সীমারূপেও এই রেখা গুরুত্বপূর্ণ।

সুমেরু বৃত্ত (Arctic Circle) –

নিরক্ষরেখার উত্তরে 66½° কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রয়েছে, তাকে সুমেরু বৃত্ত বলে। এর অক্ষাংশ 66½° উত্তর।

গুরুত্ব/ব্যবহার –

  • উত্তর গোলার্ধে এই বৃত্তে নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল শেষ হয় এবং হিমমণ্ডল শুরু হয়।
  • প্রতিবছর 21 জুন থেকে 22 ডিসেম্বর সুমেরু বৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত অঞ্চল সর্বদা আলোকিত থাকে এবং 23 ডিসেম্বর থেকে 20 জুন এই অঞ্চল সর্বদা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।

কুমেরু বৃত্ত (Antarctic Circle) –

নিরক্ষরেখার দক্ষিণে 66½° কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রয়েছে, তাকে কুমেরু বৃত্ত বলে। এর অক্ষাংশ 66½° দক্ষিণ।

গুরুত্ব/ব্যবহার –

  • দক্ষিণ গোলার্ধে এই বৃত্তে নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল শেষ হয় এবং হিমমণ্ডল শুরু হয়।
  • প্রতিবছর 23 ডিসেম্বর থেকে 20 জুন কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত অঞ্চল সর্বদা আলোকিত থাকে এবং 21 জুন থেকে 22 ডিসেম্বর এই অঞ্চল সর্বদা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।

সুমেরু বিন্দু (Arctic Region) –

নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে 90° কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত মেরুবিন্দুকে সুমেরু বিন্দু বলে। অন্যান্য অক্ষরেখার ন্যায় এটি রেখা নয়, এটি পৃথিবীর অক্ষের উত্তর বিন্দু স্বরূপ।

গুরুত্ব/ব্যবহার –

  • এখানে বছরে 6 মাস দিন ও 6 মাস রাত বিরাজ করে।
  • সুমেরু বিন্দুর মাথার উপর 90° কোণে অবস্থিত ধ্রুবতারার সাহায্যে যেমন উত্তর দিক নির্ণয় করা যায়, তেমনি উত্তর গোলার্ধের কোনো স্থানের অক্ষাংশও নির্ণয় করা যায়।
  • পৃথিবীর উত্তরের শেষপ্রান্ত, জীবমণ্ডলের শেষ সীমারূপেও গুরুত্বপূর্ণ।

কুমেরু বিন্দু (Antarctic Region) –

নিরক্ষরেখা থেকে দক্ষিণে 90° কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত মেরুবিন্দুকে কুমেরু বিন্দু বলে। এটিও অক্ষরেখা নয়, পৃথিবীর অক্ষের দক্ষিণ বিন্দু স্বরূপ।

গুরুত্ব/ব্যবহার –

  • এখানে বছরে 6 মাস দিন ও 6 মাস রাত থাকে।
  • কুমেরু বিন্দুর মাথার উপর 90° কোণে অবস্থিত হ্যাডলির অকট্যান্ট নামক নক্ষত্রের সাহায্যে দক্ষিণ দিক নির্ণয় করা যায় এবং দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়।
  • পৃথিবীর দক্ষিণের শেষপ্রান্ত, হিমমণ্ডলের শেষ সীমারূপে গুরুত্বপূর্ণ।

পৃথিবীর উভয় গোলার্ধে অক্ষাংশ নির্ণয় পদ্ধতি আলোচনা করো।

অথবা, ধ্রুবতারা ও হ্যাডলি অকট্যান্ট নক্ষত্র দ্বারা পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে কীভাবে অক্ষাংশ নির্ণয় করা হয়?

অক্ষাংশ নির্ণায়ের মূলনীতি – ভূগোলকের কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ভূকেন্দ্র থেকে কৌণিক দূরত্ব বিচার করা হয়। বাস্তবে ভূকেন্দ্রে পৌঁছানো সম্ভব হয় না বলে রাত্রিতে মেরু নক্ষত্র কিংবা দিনে মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতির সাহায্যেই অক্ষাংশ নির্ণয় করা হয়ে থাকে।

উত্তর গোলার্ধে ধ্রুবতারার সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় – উত্তর গোলার্ধে ধ্রুবতারা ঠিক মাথার উপর অর্থাৎ, নিরক্ষরেখা থেকে দিগন্তরেখায় দেখা যায়। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর কোনো স্থানের দিগন্তরেখা থেকে ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ ও সেই স্থানের অক্ষাংশ সর্বদা সমান হয়।

উত্তর গোলার্ধের কোনো স্থানে একটি ছোটো ও একটি বড়ো খুঁটি এমনভাবে পুঁততে হবে যাতে ছোটো খুঁটি, বড়ো খুঁটি এবং ধ্রুবতারাকে একই সরলরেখায় দেখা যায়। এবার দুটি খুঁটির ব্যবধান ও ভূমিরেখা থেকে ধ্রুবতারার মধ্যেকার দূরত্বকোণ খাতায় এঁকে চাঁদার সাহায্যে মেপে নিলেই উত্তর গোলার্ধের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যাবে।

ধ্রুবতারার সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয়
ধ্রুবতারার সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয়

দক্ষিণ গোলার্ধে হ্যাডলি অকট্যান্ট নক্ষত্রের দ্বারা অক্ষাংশ নির্ণয় – উত্তর গোলার্ধের ধ্রুবতারার মতো দক্ষিণ গোলার্ধে হ্যাডলি অকট্যান্ট নক্ষত্রকেও কোনো স্থানে ঠিক মাথার উপরে দেখা যায়। যেহেতু, দক্ষিণ মেরু থেকে হ্যাডলি অকট্যান্ট নক্ষত্রকে একেবারে দিগন্তরেখায় (90°) দেখা যায়, তাই 0° অক্ষাংশ থেকে 90° দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধের মতো দুটি খুঁটি ও চাঁদার সাহায্য নিয়ে অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়।

সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ – ‘সেক্সট্যান্ট’ কথার অর্থ হল ‘বৃত্তের ষষ্ঠাংশ’ বা 60°। এই যন্ত্রের সাহায্যে উত্তর বা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত কোনো স্থানের সঙ্গে ধ্রুবতারা বা হ্যাডলির অকট্যান্ট নক্ষত্রের যে উন্নতি দেখা যায়, তাই হল ওই স্থানের অক্ষাংশ।

সেক্সট্যান্ট যন্ত্র
সেক্সট্যান্ট যন্ত্র

সূর্যের সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় – দিনের বেলা মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি দেখে ভূপৃষ্ঠের যে-কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়। সূর্যের সাহায্যে যে-কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয়ের সূত্রটি হল –

(90° – সেই স্থানের সেই দিনের সূর্যের উন্নতি) ± সেই দিনের বিষুব লম্ব = সেই স্থানের অক্ষাংশ।

আধুনিক GPS পদ্ধতিতে অক্ষাংশ নির্ণয় – কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা নির্ণয়ের মাধ্যমে সেই স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের পদ্ধতিকে GPS (Global Positioning System) বলে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 20000 কিমি উপরে 6টি কক্ষপথে ঘুরতে থাকা মোট 24টি কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে সহজেই ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।

পৃথিবীপৃষ্ঠে অবস্থান নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।

ভূগোলে ‘স্থান’ ও ‘অবস্থান’ শব্দ দুটি ভূ-পৃষ্ঠে কোনো বিন্দু বা এলাকা চিহ্নিতকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়। গোলীয় পৃষ্ঠ দেশে বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে আছে কত দেশ, শহর, গ্রাম, বসতি। এগুলো পৃথিবীর কোথায় আছে, তা জানা দরকার। সমুদ্রে কোনো জাহাজ বিপদগামী হলে উদ্ধারকারী দলকে দ্রুত সেখানে পৌঁছাতে হবে – সুতরাং জাহাজের অবস্থান জানা প্রয়োজন।

আবার কোনো জায়গার অবস্থান জানা থাকলে, সেখানকার স্থানীয় সময়, জলবায়ু, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে ধারণা করা যায়। এসবের জন্যই অবস্থান নির্ণয় প্রয়োজন।

অবস্থান নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা –

প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক বিষয়ের ঠিকানা জানতে অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা – পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো মহাদেশ, দেশ, রাজ্য, জেলা, গ্রামের মতো স্থলভাগ ও মহাসাগর ও সাগর ও উপসাগরের মতো জলভাগের ঠিকানা জানতে অবস্থান জানা প্রয়োজন।

আবার রৈখিক বিষয় যেমন – রাস্তাঘাট, নদনদী প্রভৃতির ঠিকানা ও অবস্থান দ্বারাই জানা সম্ভব, এমনকি পৃথিবীপৃষ্ঠে অবস্থিত স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও টিউবওয়েলের মতো ক্ষুদ্র ঠিকানা জানতে অবস্থান জানা জরুরি।

মানচিত্রায়নে অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা – মানচিত্রায়নে মানচিত্রের প্রধান দুটি আবশ্যিক উপাদান হল – অবস্থান ও ভৌগোলিক উপাদান। পৃথিবীপৃষ্ঠের সঠিক অবস্থান ছাড়া ভৌগোলিক উপাদান উপস্থাপন অর্থহীন। উদাহরণ – সঠিক অবস্থানের সাপেক্ষে আন্টার্কটিকার তুষার ক্ষেত্রের বিস্তার না দেখিয়ে ভারতের থর মরুভূমিতে যদি এই তুষার ক্ষেত্রের বিস্তার দেখানো হয় তা যেমন অমূলক হয়ে ওঠে তেমনি আমাজন অববাহিকায় যেখানে সারা বছর বৃষ্টিপাত হয়, সেখানে সাহারা মরুভূমির বিস্তার দেখানোও তেমনি ভ্রান্ত ধারণার উপস্থাপন করে। তাই মানচিত্রে ভৌগোলিক উপাদান উপস্থাপনে অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা – কোন্ সম্পদ প্রকৃতির থেকে আহরণ করতে হবে, তা নির্বাচন যেমন দরকার তেমনি কোন্ স্থানে সম্পদ গচ্ছিত আছে তা জানাও প্রয়োজন। সম্পদের সঠিক অবস্থান না জানা থাকলে, দক্ষতার সঙ্গে তা আহরণ করা সম্ভব হয় না। যেমন – কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে সমুদ্রে মাছের কেন্দ্রীভবন অনুসন্ধান করা যায়। মাছের অবস্থান জানতে পারলে GPS -এর সহযোগিতায় নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছালে, তা সংগ্রহ করা সম্ভব। মাছের ঝাঁকের অবস্থান পূর্ব নির্দেশিত না হলে, যত্রতত্র মাছের সন্ধানে ঘুরে বেড়াতে হয়। তাই সম্পদ আহরণে পৃথিবীপৃষ্ঠের সম্পদ সঞ্চয়ের অবস্থান অত্যন্ত জরুরি।

সামরিক ক্ষেত্রে অবস্থান নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা – সামরিক প্রয়োজনে লক্ষ্য বস্তুর অবস্থান সঠিকভাবে নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। সঠিকভাবে অবস্থান নির্ণয় না করে আক্রমণ চালালে দেশের অভ্যন্তরের অংশও আক্রান্ত হতে পারে। যেমন – কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে শত্রু দেশের নির্দিষ্ট লক্ষ্য বস্তুর সঠিকভাবে অবস্থান নির্ধারণ করে নিজ দেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করা যায়।

নৌ বা আকাশপথ পরিক্রমণে অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা – সঠিক গন্তব্যস্থলের অবস্থান জানা থাকলে সমুদ্রপথে বা আকাশ পথে পূর্ব নির্ধারিত স্থানে কখনো পৌঁছানো সম্ভব নয়। যেমন – আকাশপথে কলকাতা থেকে লন্ডন বা সিডনি যাওয়া স্থির হলে ওই দুটি স্থানের অবস্থান সঠিকভাবে জানা না থাকলে লন্ডন বা সিডনির পরিবর্তে অন্য স্থানে পৌঁছাতে হবে। তাই সঠিকভাবে গন্তব্যস্থলের অবস্থান জানা প্রয়োজন।

প্রকল্পের পরিকল্পনা ও প্রকল্প রূপায়ণে অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা – প্রকল্পের পরিকল্পনা ও রূপায়ণে অবস্থান নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি। যেমন – কোনো জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রূপায়ণে নদীতে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দিয়ে বাঁধের পিছনে জলাশয় গঠন প্রয়োজন। এর জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন ও অবস্থান নির্ণয় প্রয়োজন। যেখানে নদী খাত সংকীর্ণ এবং এর সংলগ্ন অংশের শিলাস্তর কঠিন, সেই স্থানে প্রকল্প রূপায়ণ না হলে ব্যয় অধিক হতে পারে, বাঁধের স্থায়িত্ব ও প্রকল্প রূপায়ণে বাধার সৃষ্টি হতে পারে।

সীমানা পরিবর্তনে – সীমানা বা ‘Boundary’ পরিবর্তনে অবস্থান নির্ণয় জরুরি। যেমন – রাজনৈতিক সীমানা (Political Boundary) যেমন স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ভারত ও পাকিস্তানের দেশ বিভাজনের ক্ষেত্রে অবস্থান নির্ণয় করে সীমানা নির্দিষ্ট করা হয়।

দ্রাঘিমা ও দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে? দ্রাঘিমা ও দ্রাঘিমারেখার উপাদানগুলি লেখো।

দ্রাঘিমা (Longitude) – মূলমধ্যরেখার পূর্ব ও পশ্চিম দিকে অবস্থিত কোনো স্থানের নিরক্ষীয়তল বরাবর কৌণিক দূরত্বকে ওই স্থানের দ্রাঘিমা বলে। ধরা যাক, ভূপৃষ্ঠের ওপর A স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করতে হবে। এখন, A থেকে নিরক্ষীয়তলের সমান্তরাল করে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত একটি সরলরেখা টানা হল (OA)। এবার, মূলমধ্যরেখা থেকে নিরক্ষীয়তল বরাবর পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত একটি সরলরেখা (OB) অঙ্কন করা হল। এখন, \(\angle AOB\) বা 40° হল ওই স্থানটির দ্রাঘিমা বা দ্রাঘিমাংশ। এর মধ্যে মূলমধ্যরেখার পূর্বে অবস্থিত যে-কোনো স্থানের দ্রাঘিমাকে পূর্ব দ্রাঘিমা এবং পশ্চিমদিকে অবস্থিত যে-কোনো দ্রাঘিমাকে পশ্চিম দ্রাঘিমা বলে।

দ্রাঘিমার সাহায্যে দ্রাঘিমারেখা নির্ণয়
দ্রাঘিমার সাহায্যে দ্রাঘিমারেখা নির্ণয়

দ্রাঘিমারেখা – মূলমধ্যরেখা থেকে 1° অন্তর পূর্ব ও পশ্চিম উভয় দিক পর্যন্ত 180টি রেখা কল্পনা করা হয়, যারা উত্তর মেরুবিন্দু থেকে শুরু করে নিরক্ষরেখাকে সমকোণে ছেদ করার পর দক্ষিণ মেরুবিন্দুতে পরস্পর মিলিত হয়। এদের দেশান্তররেখা বা মধ্যরেখা বা দ্রাঘিমারেখা বলে। দ্রাঘিমারেখাগুলি এক-একটি অর্ধবৃত্ত।

বিভিন্ন দ্রাঘিমারেখা
বিভিন্ন দ্রাঘিমারেখা

দ্রাঘিমার উপাদান – দ্রাঘিমার উপাদানগুলি হল –

  • পূর্ব দ্রাঘিমা – মূলমধ্যরেখা (0°) থেকে পূর্বদিকে 180° পর্যন্ত বিস্তৃত দ্রাঘিমাকে পূর্ব দ্রাঘিমা বলে।
  • পশ্চিম দ্রাঘিমা – মূলমধ্যরেখা থেকে পশ্চিম দিকে 180° পর্যন্ত বিস্তৃত দ্রাঘিমাকে পশ্চিম দ্রাঘিমা বলে।

দ্রাঘিমারেখার উপাদান – দ্রাঘিমারেখার উপাদানগুলি হল-

  • দেশান্তররেখা – মূলমধ্যরেখার পূর্বে বা পশ্চিমে কোনো দেশের অবস্থান সহজেই দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে নির্ণয় করা যায় বলে, একে দেশান্তররেখা বলা হয়।
  • অর্ধবৃত্ত – দ্রাঘিমারেখাগুলি প্রত্যেকটি অর্ধবৃত্ত।
  • অসমান্তরাল রেখা – সব দ্রাঘিমারেখার পরিধি সমান হলেও এরা পরস্পর সমান্তরাল নয়।
  • 360টি দ্রাঘিমারেখা – মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্ব দিকে 1° অন্তর 179টি ও পশ্চিমদিকে 1° অন্তর 179টি দ্রাঘিমারেখা টানা যায়।
  • সর্বোচ্চ দ্রাঘিমারেখা – সর্বোচ্চ দ্রাঘিমারেখার মান 180° পূর্ব বা 180° পশ্চিম।

অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে কীভাবে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয়?

অথবা, ভূজালকের সাহায্যে কিভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয়।

পৃথিবী গোলাকার হওয়ায়, পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ওই স্থানের পৃথিবীর কেন্দ্রের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন হয় তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোণ উৎপন্ন হওয়ার জন্য দুটি বাহুর প্রয়োজন। একটি বাহু হল ওই স্থানের থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত সংযোগকারী কাল্পনিক রেখা এবং অপরটি নিরক্ষীয় তল বরাবর কল্পিত রেখা।

অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমার সাহায্যে কোনো জায়গার অবস্থান নির্ণয় করা হয়। অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা যখন পরস্পর লম্বভাবে ছেদ করে তখন অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমার সমন্বয়ে তৈরি হয় এক জালক (grid), একে ভূ-জালক বা Geographical grid বলে।

ভূ-জালকের সাহায্যে অবস্থান নির্ণয় – পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত অক্ষরেখা এবং উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত দ্রাঘিমারেখা পরস্পরকে ছেদ করে বলে ভূ-পৃষ্ঠে সৃষ্টি হয় এক ভৌগোলিক জালকের। এই জালকের ছেদ বিন্দুগুলির সাহায্যে ভূ-পৃষ্ঠের কোনো স্থান, জায়গা বা অঞ্চলের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা যায়। তাই মানচিত্রে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা উভয়ই দেখানো থাকে। কোনো জায়গার অবস্থান বা স্থানাঙ্ক বলতে হলে ওই স্থানটির অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা উভয়ই জানতে হবে।

উদাহরণ – কলকাতার অবস্থান বা স্থানাঙ্ক 22°30′ উত্তর অক্ষাংশ এবং 88°30′ পূর্ব দ্রাঘিমা। অর্থাৎ, 22°30′ উত্তর অক্ষরেখা এবং 88°30′ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা পরস্পর যেখানে ছেদ করেছে, সেই ছেদ বিন্দুটিই হল ভূ-পৃষ্ঠের ওপর কলকাতার অবস্থান।

ভূ-জালকের পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি – কোনো ভূ-জালক বা গ্রিডে মানচিত্রের ধারে আড়াআড়িভাবে টানা রেখাগুলির দ্বারা সৃষ্ট ভাগগুলিকে নির্দেশ করা হয় 1, 2, 3, 4 প্রভৃতি সংখ্যা দিয়ে এবং লম্বালম্বি টানা রেখাগুলিকে দিয়ে তৈরি ভাগগুলিকে নির্দেশ করা হয় A, B, C, D, E প্রভৃতি অক্ষর দিয়ে।

কোনো স্থান গ্রিডের কোথায় অবস্থিত তা উল্লেখ করতে প্রথমে অক্ষর বা বর্ণটিকে এবং তারপর সংখ্যাটিকে উল্লেখ করতে হয়।

যেমন – চিত্রে ‘S’ নামক স্থানটির অবস্থান হল C₂ গ্রিডে। আড়াআড়ি পূর্ব-পশ্চিমে টানা রেখাগুলি হল অক্ষরেখা এবং লম্বালম্বি উত্তর ও দক্ষিণে টানা রেখাগুলি হল দ্রাঘিমারেখা। এই রেখাগুলি পরস্পর লম্বভাবে ছেদ করে। অর্থাৎ, অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখাগুলি মিলে অসংখ্য ছোটো ছোটো আয়তাকার বা বর্গাকার খোপ মিলে এক একটি গ্রিড বা ভূ-জালক গঠন করে। ‘S’ বিন্দুটি যে ‘C’ গ্রিডে অবস্থিত তা অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার দ্বারা উৎপন্ন ছেদ বিন্দুর মাধ্যমে নির্ণয় করা গিয়েছে। এই ভাবে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো একটি স্থান বা অবস্থান নির্ণয় করা হয়।

মানচিত্রে গ্রিড S বিন্দুটির অবস্থান C₂ গ্রিডে তা দেখানো হয়েছে
মানচিত্রে গ্রিড S বিন্দুটির অবস্থান C₂ গ্রিডে তা দেখানো হয়েছে

দ্রাঘিমা ও সময়ের সম্পর্ক আলোচনা করো।

দ্রাঘিমার সঙ্গে সময়ের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, যেমন –

দ্রাঘিমার সাহায্যে মধ্যাহ্ন ও স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায় – পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা একবার সূর্যের সামনে আসে। সূর্য যখন যে দ্রাঘিমার মাথার ওপরে আসে সেখানে তখন মধ্যাহ্ন (দুপুর 12 টা) ধরা হয়। সুতরাং, দ্রাঘিমা অনুযায়ী যে-কোনো স্থানের মধ্যাহ্ন নির্ণয় করা যায় এবং এই মধ্যাহ্ন অনুসারে দিনের বাকি সময়ের হিসাব করা যায়।

প্রতি 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় 4 মিনিট – পৃথিবী গোলকাকার (360°) হওয়ায় এবং সূর্যের সামনে 24 ঘণ্টায় একবার আবর্তন সম্পূর্ণ করায় পৃথিবী 1 ঘণ্টায় আবর্তন করে (360° ÷ 24) =15°। অর্থাৎ, প্রতি 15° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় 1 ঘণ্টা এবং প্রতি 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় (60 মিনিট ÷ 15) = 4 মিনিট এবং প্রতি 1 মিনিট দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় 4 সেকেন্ড।

যে স্থান যত পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত সেখানে সময় তত এগিয়ে থাকে এবং যে স্থান যত পশ্চিম দ্রাঘিমায় অবস্থিত তার সময় তত পিছিয়ে থাকে – পৃথিবী পশ্চিমদিক থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করায় পূর্বদিকে সূর্যোদয় এবং পশ্চিমদিকে সূর্যাস্ত হয়। তাই কোনো দুটি স্থানের মধ্যে যে স্থানটি যত পূর্বদিকে অবস্থিত সেখানে পরবর্তী স্থানটির তুলনায় সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত আগে হয় এবং যে স্থানটি যত পশ্চিমে অবস্থিত সেখানে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত তত দেরিতে হয়। যেহেতু, গ্রিনিচের দ্রাঘিমা 0°, সুতরাং, কোনো স্থানের সময় যদি গ্রিনিচের সময়ের তুলনায় এগিয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে স্থানটি পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত এবং পিছিয়ে থাকলে বুঝতে হবে স্থানটি পশ্চিম দ্রাঘিমায় অবস্থিত। এ ছাড়া, যে-কোনো দুটি স্থানের ক্ষেত্রেও যেটির সময় এগিয়ে থাকে সেই স্থানটি অন্য স্থানের তুলনায় পূর্বদিকে অবস্থিত হয়। দ্রাঘিমা ও সময়ের এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার জন্য –

  • যে-কোনো দুটি স্থানের সময়ের তারতম্য জানা থাকলে দ্রাঘিমার পার্থক্য নির্ণয় করা সম্ভব।
  • যে-কোনো দুটি স্থানের দ্রাঘিমার তারতম্য জানা থাকলে সময়ের তারতম্য জানা যায়।
  • যে-কোনো দুটি স্থানের একটির দ্রাঘিমা ও সময় এবং অন্যটির দ্রাঘিমা জানা থাকলে অন্য স্থানটির সময় নির্ণয় সম্ভব।
  • যে-কোনো দুটি স্থানের একটির দ্রাঘিমা ও সময় এবং অন্যটির সময় জানা থাকলে অন্য স্থানটির দ্রাঘিমা নির্ণয় করা যায়।
দ্রাঘিমা ও সময়ের সম্পর্ক
দ্রাঘিমা ও সময়ের সম্পর্ক

আন্তর্জাতিক তারিখরেখা বলতে কী বোঝো? আন্তর্জাতিক তারিখরেখার প্রয়োজনীয়তা লেখো।

অথবা, আন্তর্জাতিক তারিখরেখা দ্বারা কীভাবে সময়ের পরিবর্তনজনিত সমস্যা সমাধান করা যায়? আন্তর্জাতিক তারিখরেখা অতিক্রম করলে কীভাবে তারিখ পরিবর্তন করতে হয়? আন্তর্জাতিক তারিখরেখার গুরুত্ব নিরূপণ করো।

আন্তর্জাতিক তারিখরেখা – মূলমধ্যরেখার ঠিক বিপরীত দিকে 180° দ্রাঘিমারেখা অনুসরণ করে কল্পিত যে রেখায় পৃথিবীর তারিখ শুরু হয়, বা শেষ হয়, তাকে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা বলে। তবে, এই রেখা 180° দ্রাঘিমারেখাকে সম্পূর্ণ অনুসরণ করেনি। মাঝে মাঝে বেঁকে পুরোটাই জলভাগের ওপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে।

প্রয়োজনীয়তা – গোলকাকার পৃথিবী একবার আবর্তন করতে বা 360° ঘুরতে সময় নেয় 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট। অর্থাৎ, পৃথিবী 1° ঘুরতে সময় নেয় 1440 ÷ 360 = 4 মিনিট। পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে বলে, পূর্বদিকে 1° অন্তর 4 মিনিট করে সময় বাড়তে থাকে, কিন্তু পশ্চিমে 1° অন্তর 4 মিনিট করে সময় কমতে থাকে। এর ফলে, জাহাজ বা বিমানে পৃথিবী প্রদক্ষিণকালে তারিখ, বার, সময় নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন – ধরা যাক, 2014 সালের 1 জানুয়ারি, বুধবার সকাল 10টায় মূলমধ্যরেখার (0°) গ্রিনিচ থেকে দুটি বিমান, একটি পূর্বদিকে এবং একটি পশ্চিম দিকে একই গতিতে যাত্রা শুরু করে। পূর্বদিকে যেহেতু সময় বাড়ে, তাই পূর্বগামী বিমান যখন 180° দ্রাঘিমায় পৌঁছবে, তখন সময় হবে 1 জানুয়ারি, বুধবার রাত 10 টা (180° × 4 = 12 ঘণ্টা)। কিন্তু পশ্চিম দিকে সময় কমে যাওয়ায় পশ্চিমগামী বিমান যখন 180° দ্রাঘিমায় আসবে তখন 12 ঘণ্টা পিছিয়ে তার সময় হবে (31 ডিসেম্বর, 2013) মঙ্গলবার রাত 10 টা। অর্থাৎ, 180° দ্রাঘিমায় দুটি বিমানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য হবে 24 ঘণ্টা। বিমান দুটি 180° দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করে ক্রমাগত চলতে থাকলে গ্রিনিচে ফিরে আসবে এবং পূর্বগামী বিমানে সময় হবে বৃহস্পতিবার 2 জানুয়ারি সকাল 10টা এবং পশ্চিমগামী বিমানে সময় হবে মঙ্গলবার সকাল 10টা, 31 ডিসেম্বর, 2013। অর্থাৎ, একই স্থানে সময়ের পার্থক্য হবে 48 ঘণ্টা বা 2 দিন। সময় ও তারিখ নিয়ে এই অসুবিধা দূর করার জন্য 1884 খ্রিস্টাব্দে ‘দ্রাঘিমা ও সময়’ সম্পর্কিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে 180° দ্রাঘিমারেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং ঠিক করা হয়েছে “পূর্ব গোলার্ধের কোনো জাহাজ বা বিমান আন্তর্জাতিক তারিখরেখা অতিক্রম করে পশ্চিম গোলার্ধে গেলে 1 দিন কমিয়ে নেবে এবং পশ্চিম গোলার্ধের কোনো জাহাজ বা বিমান আন্তর্জাতিক তারিখরেখা অতিক্রম করে পূর্ব গোলার্ধে গেলে 1 দিন বাড়িয়ে নেবে।”

আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা ও সময়
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা ও সময়

Class 9 Geography All Chapter Notes

1. গ্রহরূপে পৃথিবীবিষয়সংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
টীকা
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
2. পৃথিবী গতিসমূহবিষয়সংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
টীকা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
দক্ষতামূলক প্রশ্নোত্তর
3. পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়অধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
➼ রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
➼ দক্ষতামূলক প্রশ্নোত্তর
গাণিতিক প্রশ্নোত্তর
4. ভূ-গাঠনিক প্রক্রিয়া এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপবিষয়সংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
5. আবহবিকারঅধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
দক্ষতামূলক প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
6. দুর্যোগ ও বিপর্যয়অধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
7. ভারতের সম্পদ (সম্পদের ধারণা, শ্রেণীবিভাগ ও সংরক্ষণ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
8. ভারতের সম্পদ (খনিজ সম্পদ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
9. ভারতের সম্পদ (প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
10. পশ্চিমবঙ্গ (অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
11. পশ্চিমবঙ্গ (প্রাকৃতিক পরিবেশ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
টীকা
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
12. পশ্চিমবঙ্গ (প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
টীকা
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
13. মানচিত্র ও স্কেলঅধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় ‘পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়’ এর কিছু রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন