এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নবম শ্রেণী – ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় ‘পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়’ এর কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

নবম শ্রেণী - ভূগোল - পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Contents Show

দ্রাঘিমা (Longitude) কাকে বলে?

মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে কোনো স্থানের নিরক্ষীয়তল বরাবর কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা (Longitude) বলে। অর্থাৎ, পৃথিবীর কেন্দ্রে মূলমধ্যরেখা থেকে নিরক্ষরেখা পূর্বে ও পশ্চিমে কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলে। উদাহরণস্বরূপ – কলকাতার দ্রাঘিমাংশ 88°30′ পূর্ব বলতে বোঝায় কলকাতা নিরক্ষীয় তল বরাবর মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্বে 88°30′ কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত।

কৌণিক দূরত্বের সাহায্যে দ্রাঘিমা নির্ণয়
কৌণিক দূরত্বের সাহায্যে দ্রাঘিমা নির্ণয়

নিরক্ষরেখার অপর নাম বিষুবরেখা কেন?

‘বিষুব’ কথাটির অর্থ ‘সমান’। নিরক্ষরেখার ওপর বছরের প্রতিটি দিন সূর্যরশ্মি লম্বভাবে বা প্রায় লম্বভাবে পড়ে বলে দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। অর্থাৎ, 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি। সেই কারণে এই রেখাটির অপর এক নাম বিষুবরেখা

সমাক্ষরেখা কাকে বলে?

ভূগোলকের ওপর একই অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থান বিন্দুগুলিকে পরপর যুক্ত করে যে রেখাটির সৃষ্টি হয়, তাকে সমাক্ষরেখা বলে। অর্থাৎ, সমান অক্ষাংশবিশিষ্ট রেখাকে সমাক্ষরেখা বলা হয় এবং একই সমাক্ষরেখার ওপর অবস্থিত প্রতিটি স্থানের অক্ষাংশ একই (সমান)।

নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত (Great Circle) বলে কেন?

পৃথিবীর ওপর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর মাঝ বরাবর ও সমদূরত্বে পূর্ব-পশ্চিমে যে রেখাটি কল্পনা করা হয়েছে, তাকে নিরক্ষরেখা বলে। এটি একটি পূর্ণবৃত্ত এবং সবচেয়ে বড়ো পরিধির বৃত্ত। সেইজন্য নিরক্ষবৃত্তকে মহাবৃত্ত বলে। মহাবৃত্ত বরাবর পৃথিবীকে কাল্পনিকভাবে কাটলে পৃথিবী সমান দুইভাগে বিভক্ত হবে। মহাবৃত্তের অক্ষাংশ 0°।

অক্ষরেখার উপাদানগুলি কী কী?

অক্ষরেখার উপাদানগুলি হল –

  • উত্তর অক্ষাংশ – নিরক্ষরেখা (0°) থেকে উত্তর দিকে 90° পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষাংশকে উত্তর অক্ষাংশ বলে।
  • দক্ষিণ অক্ষাংশ – নিরক্ষরেখা (0°) থেকে দক্ষিণ দিকে 90° পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষাংশকে দক্ষিণ অক্ষাংশ বলে।
  • নিম্ন, মধ্য ও উচ্চ অংক্ষাংশ –  0°-30° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশকে বলে নিম্ন অক্ষাংশ। 30°-60°  উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশকে বলে মধ্য অক্ষাংশ। 60°-90° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশকে উচ্চ অক্ষাংশ বলে।

প্রতিটি অক্ষরেখার কৌণিক পরিমাপ 360° কেন?

প্রতিটি অক্ষরেখাই এক-একটি পূর্ণবৃত্ত। যেহেতু, একটি বৃত্তের কৌণিক মান 360°, তাই প্রতিটি অক্ষরেখার কৌণিক পরিমাপ 360°।

অক্ষাংশ (Latitude) কাকে বলে?

উভয় গোলার্ধে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে পৃথিবীর কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে। অর্থাৎ, নিরক্ষরেখার উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থান পৃথিবীর কেন্দ্রে নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে অক্ষাংশ বলে। উদাহরণস্বরূপ – কলকাতার অক্ষাংশ 22°34′ উত্তর বলতে বোঝায় কলকাতা নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে 22°34′ কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত।

অক্ষাংশ নির্ণয়
অক্ষাংশ নির্ণয়

180° পূর্ব ও 180° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখাকে কেন একই দ্রাঘিমারেখা বলা হয়?

180° পূর্ব ও 180° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা দুটি একই স্থানে অবস্থিত বলে এই দ্রাঘিমারেখা দুটিকে একই দ্রাঘিমারেখা বলে। পৃথিবীর আয়তাকার মানচিত্রে এই রেখা দুটি অঙ্কন করা যায়, কিন্তু ভূ-গোলকে একটি দ্রাঘিমারেখার দ্বারাই উভয় রেখাদ্বয়কে বোঝানো হয়।

কলকাতার অক্ষাংশ 22°34′ উত্তর বলতে কী বোঝায়?

উত্তর কলকাতার অক্ষাংশ 22°34′ উত্তর বলতে বোঝায় কলকাতা পৃথিবীর কেন্দ্র ও নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে 22°34′ কোণ উৎপন্ন করে এবং কলকাতা উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত।

রৈখিক দূরত্ব (Linear Distance) কাকে বলে?

কোনো সমতল জায়গায় দুটি স্থানের দূরত্ব সোজাসুজি ফিতে বা দড়ি দিয়ে মাপার পর ওই মাপটিকে সেন্টিমিটার, মিটার, কিলোমিটার ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এইভাবে দূরত্ব প্রকাশ করাকে রৈখিক দূরত্ব (Linear Distance) বলে।

ক্ষুদ্রবৃত্ত (Small Circle) কী?

পৃথিবীর ওপর কল্পিত বা ভূগোলকের ওপর অঙ্কিত যেসকল বৃত্তের কেন্দ্র পৃথিবী বা ভুগোলকের কেন্দ্রের সঙ্গে একই বিন্দুতে অবস্থান করে না সেই সকল বৃত্তকে ক্ষুদ্রবৃত্ত বলে। যেমন – পৃথিবীর বৃত্তাকার অক্ষরেখাগুলির মধ্যে নিরক্ষরেখা (মহাবৃত্ত) বাদে অন্যান্য অক্ষরেখাগুলি ক্ষুদ্রবৃত্ত।

কলকাতার দ্রাঘিমা 88°30′ পূর্ব বলতে কী বোঝায়?

কলকাতা থেকে নিরক্ষীয় তল বরাবর পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত অঙ্কিত সরলরেখা, মূলমধ্যরেখা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত সরলরেখার সঙ্গে 88°30′ কোণ উৎপন্ন করে এবং কলকাতা পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত।

সেক্সট্যান্ট কী?

সেক্সট্যান্ট হল সূর্যের সর্বোচ্চ উন্নতি কোণ অর্থাৎ, মধ্যাহ্ন (দুপুর 12টা) নির্ণয়কারী অক্ষাংশ পরিমাপক যন্ত্র। এই যন্ত্রে একটি শক্তিশালী দূরবিন লাগানো থাকে। কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করতে হলে ধ্রুবতারা (উত্তর গোলার্ধ) বা হ্যাডলির অকট্যান্ট (দক্ষিণ গোলার্ধ) নক্ষত্রের অভিমুখে রাখা হয়। এই দুই নক্ষত্রের উন্নতি কোণ নির্দিষ্ট স্থানটির অক্ষাংশগত অবস্থান নির্দেশ করে।

ক্রোনোমিটার (Chronometre) কী?

ক্রোনোমিটার হল সময় নির্ণয়কারী এক বিশেষ ধরনের ঘড়ি, যা জাহাজের নাবিকদের কাজে লাগে। এই ঘড়ি গ্রিনিচের সময়কেই সূচিত করে, তবে এটি যে-কোনো দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময় অনুসারে ঠিক করা যায়। সাধারণত নাবিকরা এর সাহায্যে গ্রিনিচের সময় জেনে জাহাজের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন।

পৃথিবীতে কেন 24টি সময় অঞ্চল (Time Zone) আছে?

পৃথিবী 24 ঘণ্টায় নিজের চারদিকে একবার আবর্তন করে। অর্থাৎ, পৃথিবী 360° অতিক্রম করে 24 ঘণ্টায়। অর্থাৎ, 1 ঘণ্টায় ঘোরে 360° ÷ 24 = 15°। তাই, 1 ঘণ্টার ব্যবধানে 24টি সময় অঞ্চলে সারা পৃথিবীকে ভাগ করা হয়। এছাড়া, 180° রেখার পূর্ব দিকে 12 ঘণ্টা দিন থাকে এবং পশ্চিম দিকে 12 ঘণ্টা রাত্রি থাকে। 180° পূর্ব বা পশ্চিম দ্রাঘিমারেখায় তাই সময়ের মোট পার্থক্য হয় 24 ঘণ্টা। এই কারণেও সময় অঞ্চল 24টি ধরা হয়।

পৃথিবীর সময় অঞ্চল
পৃথিবীর সময় অঞ্চল

একই অক্ষরেখা বরাবর স্থানগুলিতে একই সময়ে দিন ও রাত হয় কি? যদি না হয় তাহলে কেন হয় না?

একই অক্ষরেখা বরাবর স্থানগুলিতে একই সময়ে দিন ও রাত হয় না। কারণ অক্ষরেখাগুলি পূর্ণবৃত্ত এবং পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে বেষ্টন করে রয়েছে এবং একই অক্ষরেখার উপর 180টি দ্রাঘিমারেখা অবস্থান করছে। সূর্যোদয় পূর্বদিকে আগে হয় এবং পশ্চিমদিকে পরে হয় বলে একই অক্ষরেখার পূর্ব গোলার্ধের স্থানগুলির সময় এগিয়ে থাকে এবং পশ্চিম গোলার্ধের স্থানগুলির সময় পিছিয়ে থাকে।

নিরক্ষীয় তল (Equatorial Plane) কাকে বলে?

নিরক্ষরেখা বরাবর ভূমণ্ডলকে কাল্পনিকভাবে পূর্ব-পশ্চিমে কেটে ফেলতে পারলে ভূমণ্ডলের যে কাল্পনিক তল পাওয়া যায়, তাকে নিরক্ষীয় তল বলে। অর্থাৎ, নিরক্ষরেখা ও পৃথিবীর কেন্দ্র যে তলে অবস্থিত তাকে নিরক্ষীয় তল বলে। পৃথিবীর উভয় গোলার্ধ নিরক্ষীয় তলে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত।

নিরক্ষীয় তল (Equatorial Plane)
নিরক্ষীয় তল (Equatorial Plane)

একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত জায়গাগুলির স্থানীয় সময় এক হয় কেন?

পৃথিবী 24 ঘণ্টায় একবার সূর্যকে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে। তাই প্রতিটি দ্রাঘিমারেখাই 24 ঘণ্টায় একবার করে সূর্যের সামনে আসে। সূর্য যখন যে দ্রাঘিমারেখার উপর অবস্থান করে তখন সেখানে লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং সেই দ্রাঘিমার সর্বত্র মধ্যাহ্ন সূচিত হয়। এই মধ্যাহ্ন অনুসারে ওই দ্রাঘিমার স্থানীয় সময় সূচিত হয়। তাই একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত জায়গাগুলির স্থানীয় সময় এক হয়।

গাগণিক মধ্যরেখা কী?

‘গাগণিক’ কথাটির অর্থ হল আকাশের বা গগনের এবং ‘মধ্যরেখা’ বলতে বোঝায় মাঝখানের রেখা। এই মহাকাশকে একটি গোলক কল্পনা করা হয়। এই গোলকের ওপর কল্পনা করা হয়েছে অসংখ্য দ্রাঘিমারেখা যেগুলি গগন বা আকাশের ওপর গিয়ে কাল্পনিকভাবে টানা হয়েছে।

পৃথিবীর আবর্তনের ফলে প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা 24 ঘণ্টায় একবার সূর্যের সামনে আসে। গাগণিক মধ্যরেখা হল সেই রেখাটি মধ্যাহ্নকালে যে রেখায় সূর্যের উন্নতি কোণ সর্বোচ্চ হয় এবং এই রেখার ওপর নির্ভর করে সময় নির্ণয় করা হয়। একমাত্র এই রেখায় সর্বত্র সময় এক হয়। গাগণিক মধ্যরেখার ওপর ভিত্তি করে কোনো স্থানের স্থানীয় সময় বা Local Time নির্ণয় করা হয়।

উদাহরণ – কলকাতায় (88°33′ পূর্ব) যখন (11টা 36 মিনিট 12 সেকেন্ড) সূর্যের উন্নতি কোণ সর্বোচ্চ, তখন কলকাতার স্থানীয় সময় দুপুর 12 টা।

ভৌগোলিক জালক (Grid) কাকে বলে?

দুটি স্থির মেরুবিন্দু (উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু) সংযোগকারী কাল্পনিক রেখাটিকে অক্ষ বলে। গ্লোবের মধ্যে পূর্ব থেকে পশ্চিমে কাল্পনিক অক্ষরেখা এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে কাল্পনিক দ্রাঘিমারেখা জালের মতো বেষ্টন করে থাকে, একে ভৌগোলিক জালক (Grid) বলে। এই রেখাগুলির মাধ্যমে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।

কোথায় গেলে পূর্ব আর পশ্চিম গোলার্ধ উভয়ই একই সঙ্গে দেখতে পাবে?

লন্ডন শহরের কাছে অবস্থিত গ্রিনিচ মানমন্দিরের উপর দিয়ে প্রসারিত মূলমধ্যরেখা (0°) থেকে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধ শুরু হয়। তাই মূলমধ্যরেখার দুপাশে পা রেখে দাঁড়ালে পূর্ব ও পশ্চিম উভয় গোলার্ধই একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যাবে। আবার 180° দ্রাঘিমারেখায় পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধ শেষ হয়। তাই সেখানে গেলেও দুটি গোলার্ধ একসঙ্গে দেখা যাবে।

দ্রাঘিমারেখার পরিবর্তনে সময় বা স্থানীয় সময় পরিবর্তিত হয় কেন?

পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা একবার সূর্যের সামনে আসে। সূর্য যখন যে দ্রাঘিমার মাথার ওপরে আসে সেখানে তখন মধ্যাহ্ন (দুপুর 12 টা) ধরা হয়। সুতরাং, দ্রাঘিমা অনুযায়ী যে-কোনো স্থানের মধ্যাহ্ন নির্ণয় করা যায় এবং এই মধ্যাহ্ন অনুসারে দিনের বাকি সময়ের হিসাব করা যায়।

পৃথিবীতে মোট কটি অক্ষরেখা আছে?

নিরক্ষরেখা থেকে এর সমান্তরালে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে 1° অন্তর মোট 89 + 89 = 178টি ও নিরক্ষরেখাকে ধরে 178 + 1 = 179টি অক্ষরেখা পৃথিবীতে কল্পনা করা হয়েছে। [উভয় গোলার্ধে 90° হল বিন্দু। উত্তর গোলার্ধে এটি সুমেরু বিন্দু ও দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরু বিন্দু। বিন্দু বলে একে রেখা হিসেবে ধরা হয় না]।

পৃথিবীতে কটি দ্রাঘিমারেখা আছে?

মূলমধ্যরেখাকে 0° দ্রাঘিমারেখা ধরে এর 1° অন্তর পূর্ব দিকে 180টি এবং পশ্চিম দিকে 180টি মোট (180 + 180 + মূলমধ্যরেখা) = 361টি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু 180° পূর্ব ও 180° পশ্চিম অক্ষরেখা পরস্পর মিলিত হয়ে একটিমাত্র দ্রাঘিমারেখারূপে কল্পিত হয়েছে। তাই পৃথিবীতে দ্রাঘিমারেখার সংখ্যা (361 – 1) = 360টি।

মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্ব দিকে গেলে সময় এগিয়ে যায় এবং পশ্চিম দিকে গেলে সময় পিছিয়ে যায় কেন?

পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে। তাই পূর্ব দিকে সূর্যোদয় এবং পশ্চিম দিকে সূর্যাস্ত হয়। মূলমধ্যরেখার (0°) সময়কে পৃথিবীর প্রমাণ সময় ধরা হয়। কারণ মূলমধ্যরেখা (0°) পৃথিবীর প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা। তাই মূলমধ্যরেখার থেকে যে স্থান যত পূর্বে অবস্থিত সেই স্থানে তত আগে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত হবে এবং যে স্থান যত পশ্চিমে অবস্থিত সেই স্থানে তত দেরিতে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত হবে। তাই মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্ব দিকে গেলে সময় এগিয়ে যায় এবং পশ্চিম দিকে গেলে সময় পিছিয়ে যায়।

Class 9 Geography All Chapter Notes

1. গ্রহরূপে পৃথিবীবিষয়সংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
টীকা
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
2. পৃথিবী গতিসমূহবিষয়সংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
টীকা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
দক্ষতামূলক প্রশ্নোত্তর
3. পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়অধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
➼ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
➼ দক্ষতামূলক প্রশ্নোত্তর
গাণিতিক প্রশ্নোত্তর
4. ভূ-গাঠনিক প্রক্রিয়া এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপবিষয়সংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
5. আবহবিকারঅধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
দক্ষতামূলক প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
6. দুর্যোগ ও বিপর্যয়অধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
7. ভারতের সম্পদ (সম্পদের ধারণা, শ্রেণীবিভাগ ও সংরক্ষণ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
8. ভারতের সম্পদ (খনিজ সম্পদ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
9. ভারতের সম্পদ (প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
10. পশ্চিমবঙ্গ (অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
11. পশ্চিমবঙ্গ (প্রাকৃতিক পরিবেশ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
টীকা
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
12. পশ্চিমবঙ্গ (প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
টীকা
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
13. মানচিত্র ও স্কেলঅধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় ‘পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়’ এর কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন