আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় ‘পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়’ এর অধ্যায় সারসংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

নবম শ্রেণী – ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় – অধ্যায় সারসংক্ষেপ
সংশোধিত ও সুসংগঠিত ভৌগোলিক তথ্যাবলি –
- পৃথিবীর মোট অক্ষরেখার সংখ্যা – পৃথিবীতে মোট 180টি অক্ষরেখা রয়েছে (নিরক্ষরেখা সহ), যা 90° উত্তর থেকে 90° দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত।
- ভারতের অক্ষাংশের বিস্তৃতি – ভারত 8°4′ উত্তর থেকে 37°6′ উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত।
- সর্বনিম্ন অক্ষরেখার মান – সর্বনিম্ন অক্ষরেখার মান 0°, যা নিরক্ষরেখা-কে নির্দেশ করে।
- সর্বোচ্চ অক্ষরেখার মান – সর্বোচ্চ অক্ষরেখার মান 90° উত্তর (উত্তর মেরু) ও 90° দক্ষিণ (দক্ষিণ মেরু)।
- পৃথিবীর প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা – গ্রিনিচ মধ্যরেখা (ইংল্যান্ডের গ্রিনিচের উপর দিয়ে অঙ্কিত) হল প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা, যার মান 0°।
- ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা – ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা 82°30′ পূর্ব, যা ভারতীয় প্রমাণ সময় (IST)-এর ভিত্তি।
- মোট দ্রাঘিমারেখার সংখ্যা – পৃথিবীতে মোট 360টি দ্রাঘিমারেখা রয়েছে (180° পূর্ব ও 180° পশ্চিম)।
- সর্বোচ্চ দ্রাঘিমার মান – সর্বোচ্চ দ্রাঘিমার মান 180° পূর্ব/পশ্চিম, যা আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা গঠন করে।
- ভারতের দ্রাঘিমার বিস্তৃতি – ভারতের দ্রাঘিমা 68°7′ পূর্ব থেকে 97°25′ পূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত।
- কলকাতার স্থানাঙ্ক – কলকাতার অক্ষাংশ 22°34′ উত্তর এবং দ্রাঘিমা 88°30′ পূর্ব।
প্রধান সংজ্ঞা ও ধারণা –
- মহাবৃত্ত (Great Circle) – মহাবৃত্ত হল পৃথিবীর পৃষ্ঠে অঙ্কিত বৃহত্তম বৃত্ত, যা পৃথিবীকে দুইটি সমান গোলার্ধে বিভক্ত করে (যেমন – নিরক্ষরেখা)।
- অক্ষরেখা (Latitude) – অক্ষরেখা হল নিরক্ষরেখার সমান্তরাল পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা, যা নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে কৌণিক দূরত্ব পরিমাপ করে।
- দ্রাঘিমারেখা (Longitude) – দ্রাঘিমারেখা হল উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত কাল্পনিক অর্ধবৃত্তাকার রেখা, যা প্রমাণ মধ্যরেখা থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে কৌণিক দূরত্ব পরিমাপ করে।
- কৌণিক পরিমাপ (Angular Measurement) – নিরক্ষরেখা বা প্রমাণ মধ্যরেখা এবং পৃথিবীর কেন্দ্রে কোনো স্থানের মধ্যে তৈরি কোণের ডিগ্রিতে পরিমাপকেই কৌণিক পরিমাপ বলে।
- ভৌগোলিক জালক (Geographical Grid) – অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সমন্বয়ে গঠিত জালকই ভৌগোলিক জালক, যা পৃথিবীর যেকোনো স্থানের অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
- গোলার্ধ (Hemisphere) – নিরক্ষরেখা বা প্রমাণ মধ্যরেখা দ্বারা বিভক্ত পৃথিবীর অর্ধেক অংশকে গোলার্ধ বলে। যেমন – উত্তর-দক্ষিণ গোলার্ধ (নিরক্ষরেখা দ্বারা) বা পূর্ব-পশ্চিম গোলার্ধ (প্রমাণ মধ্যরেখা দ্বারা)।
- তাপবলয় (Heat Zones) – অক্ষাংশভেদে সূর্যকিরণের পতনকোণের তারতম্যের কারণে সৃষ্ট তাপবলয় তিনটি –
- উষ্ণমণ্ডল (0°–23.5°) – সরাসরি সূর্যালোক পায়, অত্যধিক গরম।
- নাতিশীতোষ্ণমণ্ডল (23.5°–66.5°) – মৌসুমি পরিবর্তনসহ মাঝারি তাপমাত্রা।
- হিমমণ্ডল (66.5°–90°) – অত্যন্ত শীতল, বরফাচ্ছন্ন অঞ্চল।
- স্থানীয় সময় (Local Time) – কোনো স্থানের মধ্যাহ্নসূর্যের অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ই স্থানীয় সময়।
- প্রমাণ সময় (Standard Time) – একটি দেশের নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখার উপর ভিত্তি করে গৃহীত সমগ্র দেশের জন্য একই সময় হলো প্রমাণ সময় (যেমন – ভারতীয় প্রমাণ সময়)।
- সময় অঞ্চল (Time Zone) – প্রমাণ সময় অনুসারে বিভক্ত পৃথিবীর 15° দ্রাঘিমান্তরীয় অঞ্চলকে সময় অঞ্চল বলে।
- প্রতিপাদ স্থান (Antipodes) – পৃথিবীর একটি স্থান থেকে কল্পিত ব্যাস অপর গোলার্ধে যে বিন্দুতে ছেদ করে, তাকে প্রতিপাদ স্থান বলে (যেমন – নিউজিল্যান্ড ও স্পেন)।
- আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা (International Date Line) – 180° দ্রাঘিমারেখা বরাবর অঙ্কিত এই রেখাটি তারিখ পরিবর্তনের সীমানা। এই রেখা পূর্ব দিকে অতিক্রম করলে 1 দিন কমে, পশ্চিম দিকে গেলে 1 দিন বাড়ে।
Class 9 Geography All Chapter Notes
আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় ‘পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়’ এর অধ্যায় সারসংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।