আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় ‘পৃথিবীর গতিসমূহ’ এর বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

একঝলকে
- সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব – সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে গড় দূরত্ব প্রায় 14.95 কোটি কিলোমিটার।
- পৃথিবীর আবর্তনকাল – পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে একবার আবর্তন করতে 23 ঘণ্টা 56 মিনিট 4 সেকেন্ড সময় নেয়, যা “নাক্ষত্র দিন” নামে পরিচিত।
- নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তন বেগ – পৃথিবীর নিরক্ষরেখায় আবর্তন গতিবেগ ঘণ্টায় 1674 কিলোমিটার।
- মেরুতে আবর্তন বেগ – উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে পৃথিবীর আবর্তন গতিবেগ প্রায় 0 কিমি/ঘণ্টা।
- পৃথিবীর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য – সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর কক্ষপথের মোট দৈর্ঘ্য 96 কোটি কিলোমিটার।
- পৃথিবীর পরিক্রমণ গতিবেগ – সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীর গতিবেগ সেকেন্ডে প্রায় 30 কিমি।
- সৌর বছর – সূর্যকে একবার পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড; এটিকে “সৌর বছর” বলে।
- পঞ্জিকার বছর – সাধারণ পঞ্জিকায় এক বছর 365 দিন ধরা হয়।
- অধিবর্ষ (লিপ ইয়ার) – প্রতি 4 বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে 1 দিন যোগ করে (29 ফেব্রুয়ারি) সৌর বছরের 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড-এর পার্থক্য মেটানো হয়।
পাঠ্যাংশ সম্পর্কিত পরিভাষা (Glossary)
- উপবৃত্ত (Ellipse) – সূর্যকে ঘিরে গ্রহদের কক্ষপথের আকৃতি, যার দুটি প্রান্ত সামান্য চ্যাপ্টা ও অন্য দুটি প্রান্ত ফুলে থাকায় উপবৃত্তাকার হয়।
- নাভি (Focus) – উপবৃত্তের দুটি নির্দিষ্ট বিন্দু, যার চারপাশে গ্রহরা ঘোরে। সূর্য পৃথিবীর কক্ষপথের একটি নাভিতে অবস্থিত।
- ছায়াবৃত্ত (Shadow Circle) – পৃথিবীর যে কাল্পনিক রেখা দিন ও রাতের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে।
- প্রভাত (Morning) – ছায়াবৃত্ত অতিক্রম করে কোনো স্থান যখন সূর্যালোকিত অংশে প্রবেশ করে।
- উষা (Dawn) – সূর্যোদয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে আকাশে দেখা ক্ষীণ আলোকচ্ছটা।
- গোধূলি (Dusk) – সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে আকাশে অবশিষ্ট ক্ষীণ আলো।
- কক্ষপথ (Orbit) – গ্রহ বা মহাকাশীয় বস্তুর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার পথ।
- কক্ষতল (Orbital Plane) – গ্রহের কক্ষপথ যে কাল্পনিক সমতলে অবস্থিত।
- অক্ষ/মেরুরেখা (Axis) – পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী কাল্পনিক রেখা, যার চারদিকে পৃথিবী আবর্তিত হয়।
- আবর্তন গতি (Rotation) – পৃথিবীর নিজ অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণন (24 ঘণ্টায় একবার)।
- পরিক্রমণ গতি (Revolution) – সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর গতিপথ (365.25 দিনে একবার)।
- অপসূর (Aphelion) – বছরের যে দিন সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বোচ্চ (~15.1 কোটি কিমি)।
- অনুসূর (Perihelion) – বছরের যে দিন সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বনিম্ন (~14.7 কোটি কিমি)।
- রবিমার্গ (Ecliptic) – সূর্যের আপাত বার্ষিক গতিপথ, যা আকাশে একটি কাল্পনিক বৃত্ত তৈরি করে।
- বিষুব (Equinox) – বছরের দুই দিন (21 মার্চ ও 23 সেপ্টেম্বর) যখন দিন-রাত সমান হয়।
- বসন্ত বিষুব (Vernal Equinox) – 21 মার্চ; উত্তর গোলার্ধে বসন্তের শুরু।
- শরৎ বিষুব (Autumnal Equinox) – 23 সেপ্টেম্বর; উত্তর গোলার্ধে শরতের শুরু।
- অয়নান্ত (Solstice) – বছরের দীর্ঘতম বা ক্ষুদ্রতম দিন।
- গ্রীষ্ম অয়নান্ত (Summer Solstice) – 21 জুন; উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন।
- শীত অয়নান্ত (Winter Solstice) – 22 ডিসেম্বর; উত্তর গোলার্ধে ক্ষুদ্রতম দিন।
- মেরুজ্যোতি (Aurora) – মেরু অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলে আধানযুক্ত কণার সংঘর্ষে সৃষ্ট আলোকচ্ছটা।
আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় ‘পৃথিবীর গতিসমূহ’ এর বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।