এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।
আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের নবম অধ্যায় ‘মানচিত্র ও স্কেল’ এর পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
মৌজা মানচিত্র (Cadastral Map) ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (Topographical Map) -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
বিষয়
মৌজা মানচিত্র (Cadastral Map)
ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (Topographical Map)
সংজ্ঞা
সাধারণত ভূমির দাগ নম্বর অনুযায়ী যে মানচিত্র প্রস্তুত করা হয় তাকে মৌজা মানচিত্র বলে।
কোনো একটি স্থানের সঠিক অবস্থান, আয়তন এবং প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলি বিভিন্ন প্রচলিত প্রতীক চিহ্ন দ্বারা চিত্রায়িত করে তৈরি মানচিত্রকে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বলে।
স্কেল
সাধারণত বৃহৎ স্কেল মানচিত্র। এর স্কেল 16 ইঞ্চিতে 1 মাইল বা, 1 : 3960।
সাধারণত মাঝারি স্কেল মানচিত্র। এর স্কেল 1 : 25000, 1 : 50000 বা, 1 : 250000।
প্রস্তুতকারী সংস্থা
ভারতে BLRO (Block Land Revenue Office) এই মানচিত্র প্রস্তুত করে।
SOI (Survey of India) এই মানচিত্র প্রস্তুত করে।
উপাদান
এই মানচিত্রে বাড়ি, জমি, পুকুর, মন্দির, বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, বাগান প্রভৃতি উপাদান বিশদভাবে দেখানো হয়।
এই মানচিত্রে ভূপ্রকৃতি, নদনদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদান এবং পরিবহণ, যোগাযোগ, জনবসতি প্রভৃতি সাংস্কৃতিক উপাদান প্রতীক চিহ্নের মাধ্যমে দেখানো হয়।
ব্যবহার
খাজনা বা রাজস্ব আদায়ে জমির পরিমাণ নির্ণয়ে এই মানচিত্রের ব্যবহার বেশি।
সম্পদ সমীক্ষায়, বিভিন্ন পরিকল্পনার কাজে, সামরিক প্রয়োজনে এই মানচিত্রের ব্যবহার বেশি।
বিবৃতিমূলক স্কেল ও ভগ্নাংশসূচক স্কেলের পার্থক্য লেখো।
বিষয়
বিবৃতিমূলক স্কেল (Statement scale)
ভগ্নাংশসূচক স্কেল (Representative fraction scale)
সংজ্ঞা
মানচিত্রে স্কেলকে ভাষা বা লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হলে, তাকে বিবৃতিমূলক স্কেল বলে।
মানচিত্রের দূরত্ব ও ভূমিভাগের দূরত্ব অনুপাত বা ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা হলে, তাকে ভগ্নাংশসূচক স্কেল বলে।
একক
এই স্কেলের বামদিকের অংশ ও ডানদিকের অংশ ভিন্ন ভিন্ন একক দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমন – 1 সেমিতে 2 কিমি।
এই স্কেলের বামদিকের অংশ বা লব এবং ডানদিকের অংশ বা হর একই একক দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমন – 1 সেমিতে 200000 সেমি।
মানচিত্রের দূরত্ব
বামদিকের মানচিত্রের দূরত্ব অংশটি ‘1’ অথবা তারও বেশি সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
বামদিকের মানচিত্রের দূরত্ব অংশ অর্থাৎ লবটি সর্বদা ‘1’ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
ব্যবহার
এই স্কেলে বিভিন্ন একক ব্যবহৃত হওয়ায় এর ব্যবহার কম।
এই স্কেল একই একক বা এককবিহীন হওয়ায় এটি সর্বাধিক জনপ্রিয়।
রৈখিক (Linear) স্কেল ও কর্ণিক (Diagonal) স্কেলের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
বিষয়
রৈখিক স্কেল (Linear scale)
কর্ণিক স্কেল (Diagonal scale)
সংজ্ঞা
দুটি স্থানের মধ্যে প্রকৃত দূরত্বকে যখন মানচিত্রে সরলরেখা দ্বারা অঙ্কন করে দেখানো হয়, তাকে রৈখিক স্কেল বলে।
আয়তক্ষেত্র বা বর্গক্ষেত্রের কতকগুলি কর্ণের সাহায্যে যে স্কেল অঙ্কন করা হয় তাকে কর্ণিক স্কেল বলে।
বিভাগ
এই স্কেলে দুটি ভাগ দেখানো হয়, মুখ্য ও গৌণ ভাগ।
এই স্কেলে মুখ্য, গৌণ ও তৃতীয় এই তিনটি ভাগ দেখানে হয়।
কোণ পরিমাপ
এই স্কেলে কোণ পরিমাপ করা যায় না।
এই স্কেলে কোণ পরিমাপ করা যায়।
পাঠ
এই স্কেলে দশমিকের পর এক ঘর পর্যন্ত সঠিকভাবে পাঠ নেওয়া যায়।
এই স্কেলে দশমিকের পর দুই ঘর পর্যন্ত সঠিকভাবে পাঠ নেওয়া যায়।
ব্যবহার
ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
বৃহৎ স্কেল বা মৌজা ম্যাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
গ্লোব (Globe) ও মানচিত্র (Map) -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
বিষয়
গ্লোব (Globe)
মানচিত্র (Map)
সংজ্ঞা
পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপকে গ্লোব বলে।
সমতল কাগজের ওপর নির্দিষ্ট স্কেলে অঙ্কিত সমগ্র পৃথিবী বা পৃথিবীর কোনো অংশের চিত্রকে মানচিত্র বলে।
মাত্রা
গ্লোব হল ত্রিমাত্রিক রূপ।
মানচিত্র হল দ্বিমাত্রিক রূপ।
তথ্য
গ্লোব থেকে কোনো মহাদেশ বা দেশ সম্বন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না।
মানচিত্র থেকে কোনো মহাদেশ বা দেশের বিভিন্ন বিষয়ের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।
দূরত্ব নির্ণয়
গ্লোব থেকে দুটি স্থানের সঠিক দূরত্ব জানা খুবই কঠিন।
দুটি স্থানের দূরত্ব সহজেই নির্ণয় করা যায়।
ব্যবহার
গ্লোবের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম।
মানচিত্রের ব্যবহার বহুবিধ।
বিবৃতিমূলক স্কেল (Statement Scale) ও লৈখিক স্কেল (Graphical Scale) -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
বিষয়
বিবৃতিমূলক স্কেল (Statement Scale)
লৈখিক স্কেল (Graphical Scale)
সংজ্ঞা
মানচিত্রে স্কেলকে ভাষা বা লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হলে তাকে বিবৃতিমূলক স্কেল বলে।
মানচিত্রে যখন স্কেলকে চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে লৈখিক স্কেল বলে।
বিভাগ
বিবৃতিমূলক স্কেলের কোনো ভাগ নেই।
রৈখিক স্কেল, ডায়াগোনাল স্কেল ও ভার্নিয়ার স্কেল এই তিন ভাগে বিভক্ত।
ব্যবহার
ব্যবহার সহজ হলেও একক লেখা থাকায় ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম।
ব্যবহার তুলনামূলকভাবে বেশি এবং জটিল।
প্রকাশ
1 সেমি = 2 কিমি।
সাধারণত সরলরেখার ওপর অঙ্কন করে প্রকাশ করা হয়।
প্রাকৃতিক মানচিত্র (Physical Map) ও সাংস্কৃতিক মানচিত্র (Cultural Map) -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
বিষয়
প্রাকৃতিক মানচিত্র (Physical Map)
সাংস্কৃতিক মানচিত্র (Cultural Map)
সংজ্ঞা
কেবলমাত্র প্রাকৃতিক বিষয়গুলির ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত মানচিত্রকে প্রাকৃতিক মানচিত্র বলে।
মানুষের সাংস্কৃতিক বিষয়গুলির ওপর ভিত্তি করে যে মানচিত্র তৈরি করা হয় তাকে সাংস্কৃতিক মানচিত্র বলে।
পৃথকীকরণ
প্রতিটি প্রাকৃতিক বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা মানচিত্র তৈরি করা হয়।
আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের নবম অধ্যায় ‘মানচিত্র ও স্কেল’ এর পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।