আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের অষ্টম অধ্যায় ‘পশ্চিমবঙ্গ (অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ)’ এর রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাধীনোত্তর পর্বে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
অথবা, স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পুনর্গঠন কীভাবে ঘটেছিল আলোচনা করো।
1947 সালের 15 আগস্ট ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গ নামে কোনো রাজ্য ছিল না। তখন অবিভক্ত বাংলা ‘বঙ্গদেশ’ নামে পরিচিত ছিল। স্বাধীনতার সময় এই বঙ্গদেশ দ্বিখণ্ডিত হয় এবং পশ্চিমের অংশ নিয়ে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ। এই সময় পশ্চিমবঙ্গের আয়তন ছিল 78,000 বর্গ কিমি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের পুনর্গঠন হয়ে বর্তমানে এর আয়তন দাঁড়িয়েছে 88,752 বর্গ কিমি।
নামকরণ –
পশ্চিমবঙ্গের ‘বঙ্গ’ বা বাংলা নামকরণের উৎসটি অজ্ঞাত হলেও একটি প্রচলিত মতানুসারে খ্রিস্টপূর্ব 1000 অব্দে এই অঞ্চলে বসবাসকারী দ্রাবিড় উপজাতির ভাষা থেকে কিংবা প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্য থেকে ‘বঙ্গ’ নামের উৎপত্তি হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস –
বৃহত্তর বঙ্গ সভ্যতার সূচনা হয় আজ থেকে প্রায় 4000 বছর আগে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি একসময় প্রাচীন বঙ্গ, রাঢ়, পুণ্ড্র ও সুঙ্গ জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে অশোক এই অঞ্চল জয় করেন এবং চতুর্থ শতকে অধুনা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ত্রয়োদশ শতকে এখানে সুলতানি সাম্রাজ্য আধিপত্য বিস্তার করে। এরপর অষ্টাদশ শতকে পশ্চিমবঙ্গ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দখলে আসে এবং ব্রিটিশ আমলেই বিংশ শতকের প্রথম অবধি কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। লর্ড কার্জনের ‘বঙ্গভঙ্গ’ নীতিতেই একসময় স্পষ্ট হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের সীমানা। পরে 1947 সালে ব্রিটিশ বাংলা প্রদেশে ধর্মের ভিত্তিতে হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি আত্মপ্রকাশ করে। সেই সময় আইনজীবী র্যাডক্লিফ ব্রাউন -এর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা নির্ধারিত হয়।
রাজনৈতিক গঠন ও সীমার পরিবর্তনশীলতা –
- 1948 সালে বিহারের ইসলামপুর মহকুমা পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হয়।
- 1949 সালে ফরাসি অধিকৃত গৌরহাটি ও চন্দননগর পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়।
- 1950 সালে যুক্ত হয় দেশীয় করদ রাজ্য কোচবিহার।
- 1956 সালে ভারত সরকারের রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুসারে বিহারের পুর্নিয়া জেলার পূর্বাংশের বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করে মহানন্দা করিডর তৈরি করা হয়।
- 1956 সালে পূর্বতন বিহার রাজ্যের (বর্তমানে ঝাড়খণ্ড) দক্ষিণ-পূর্ব মালভূমি জেলার পুরুলিয়া নামক অঞ্চলটি পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়।
- 1991 সালে 24 পরগনা জেলাকে উত্তর 24 পরগনা ও দক্ষিণ 24 পরগনা নামে দুটি জেলায় ভাগ করা হয়।
- 1992 সালে পশ্চিম দিনাজপুর জেলাকে ভেঙে উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গঠন করা হয়।
- 2002 সালে মেদিনীপুর জেলা ভেঙে পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভাগ করা হয়।
- 2011 সালে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সর্বদলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, পশ্চিমবঙ্গের ইংরেজি নাম WEST BENGAL -এর পরিবর্তে ‘PASCHIMBANGA’ হবে।
- 2014 সালে জলপাইগুড়ি জেলা ভাগ করে আলিপুরদুয়ার নামে একটি নতুন জেলা গঠিত হয়।
- 2017 সালের 14 ফেব্রুয়ারী দার্জিলিং জেলার কালিম্পং-1, কালিম্পং-২ এবং গোরুবাথান এই তিনটি ব্লক নিয়ে 21তম জেলা কালিম্পং গঠিত হয়।
- 2017 সালের 4 এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ভেঙে 22তম জেলা ঝাড়গ্রাম গঠিত হয়।
- 2017 সালের 7 এপ্রিল বর্ধমান জেলাকে ভেঙে পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভাগ করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্ব আলোচনা করো।
পশ্চিমবঙ্গের অবস্থানগত গুরুত্বগুলি হল নিম্নরূপ –
রাজনৈতিক গুরুত্ব –
পশ্চিমবঙ্গের চারপাশে তিনটি প্রতিবেশী দেশের (নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ) সীমানা বর্তমান, যা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া, প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসম, সিকিমের সীমানাও দেশীয় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব –
ভারতের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের রাজ্যগুলি এবং নেপাল ও ভুটান রাষ্ট্র দুটি পণ্য আমদানি-রপ্তানির ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের ওপর নির্ভরশীল। কলকাতা বন্দরের মাধ্যমেই এই বাণিজ্য চলে। এই বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের কাঁচা পাট, মাছ ও নিউজপ্রিন্ট এবং বিদেশ থেকে খনিজ তৈল, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য, খাদ্যশস্য ইত্যাদি ভারতে আসে। আর চা, পাটজাত দ্রব্য, কয়লা, লৌহ আকরিক, অভ্র, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পণ্য কলকাতা বন্দরের মাধ্যমেই ভারত থেকে বিদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব –
- সড়কপথ – পশ্চিমবঙ্গে বিস্তৃত 2, 6, 34, 35 এবং 41 নং জাতীয় সড়ক দ্বারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
- রেলপথ – দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের সংযোগ স্থাপন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব বাড়িয়েছে।
- বিমানপথ – পশ্চিমবঙ্গের দমদমে অবস্থিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির মাধ্যমে দেশে- বিদেশে যোগাযোগ রক্ষা করা যায় খুব সহজেই।
- জলপথ – পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের অবস্থানের ফলে জলপথে জাহাজ পরিসেবার দ্বারা ভারতের বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলসহ বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও বাণিজ্যিক আদানপ্রদান সম্ভব হয়েছে।
- বন্দর – কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের মাধ্যমে পূর্ব ভারতের যাবতীয় ব্যাবসাবাণিজ্য ও যোগাযোগ সংঘটিত হয়।
সাংস্কৃতিক গুরুত্ব –
পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ভাষা, ধর্ম, জাতি, বর্ণের মানুষ বসবাস করায় তাদের পরস্পরের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের খাদ্যাভ্যাস, পোশাক-পরিচ্ছদও সমানভাবে গৃহীত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সীমানাগত বিস্তৃতি একটি ছকের মাধ্যমে দেখাও।
পশ্চিমবঙ্গের সীমানাগত বিস্তৃতি (কিমি) –
রাজ্য
ঝাড়খণ্ড | 500 কিমি (সর্বাধিক) |
ওড়িশা | 150 কিমি |
আসাম | 90 কিমি |
সিকিম | 60 কিমি (সর্বনিম্ন) |
দেশ
বাংলাদেশ | 900 কিমি (সর্বাধিক) |
ভুটান | 150 কিমি |
নেপাল | 90 কিমি (সর্বনিম্ন) |
ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক গুরুত্ব আলোচনা করো।
ভারতের পূর্বদিকে অবস্থিত তিনদিক স্থল ও একদিক জল দ্বারা বেষ্টিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ভৌগোলিক গুরুত্ব অপরিসীম।
- আয়তন ও জনসংখ্যা – আয়তনে ত্রয়োদশ হলেও জনসংখ্যার বিচারে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মধ্যে চতুর্থ এবং জনঘনত্ব অনুসারে দ্বিতীয়।
- ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্য – উত্তরে রয়েছে সুউচ্চ হিমালয় পর্বতমালা, পশ্চিমে বন্ধুর মালভূমি এবং অবশিষ্ট প্রায় 70% অঞ্চল জুড়ে রয়েছে পলিগঠিত সমভূমি।
- নদনদী – পশ্চিমবঙ্গ একটি নদীমাতৃক রাজ্য। এখানকার প্রধান নদী ভাগীরথী-হুগলি। এই রাজ্যে বরফগলা জলে পুষ্ট (গঙ্গা, তিস্তা, তোর্সা), বৃষ্টির জলে পুষ্ট (দামোদর, অজয়, ময়ূরাক্ষী) ও জোয়ারের জলে পুষ্ট (পিয়ালি, মাতলা, গোসাবা) তিন প্রকার নদীই দেখা যায়।
- জলবায়ু – পশ্চিমবঙ্গে ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু বিরাজমান এবং ঋতুবৈচিত্র্য দেখা যায়।
- মৃত্তিকা – অধিকাংশ স্থান জুড়ে রয়েছে উর্বর পলিমাটি।
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য, সমভূমি ও মালভূমি অঞ্চলের পর্ণমোচী অরণ্য এবং পার্বত্য অঞ্চলের সরলবর্গীয় অরণ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।
- কৃষিজ সম্পদ – ধান, পাট, মাছ উৎপাদনে প্রথম, চা উৎপাদনে দ্বিতীয়। এ ছাড়া গম, যব, ভুট্টা, তৈলবীজ, আলু, বিভিন্ন সবজি প্রচুর পরিমাণে চাষ হয়।
- খনিজ সম্পদ – কয়লা উত্তোলনে ষষ্ঠ। এ ছাড়া চুনাপাথর, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি পাওয়া যায়।
- শিল্প – পাটশিল্পে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম। চা শিল্প, কার্পাসবয়ন শিল্প, লৌহ-ইস্পাত শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি শিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য।
- যোগাযোগ ব্যবস্থা – দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব রেলপথ, দমদম বিমানবন্দর, 2, 6, 34, 35, 41 নম্বর জাতীয় সড়ক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর কলকাতা পূর্ব ভারতের এবং শিলিগুড়ি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার। ভারতের মধ্যে এ রাজ্যেই প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়।
- পর্যটন – সুন্দরবনের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, জলদাপাড়ার একশৃঙ্গ গণ্ডার, শৈলশহর দার্জিলিং, দিঘা, শংকরপুর, মন্দারমনির সৈকতভূমি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
- সংস্কৃতি – পুরুলিয়ার ছৌ নাচ, রাঢ় বাংলার বাউল গান বঙ্গ সংস্কৃতির স্পন্দন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দুর্গাপূজা, ঈদ, বড়োদিশ সমাদরে পালিত হয়।
পশ্চিমবঙ্গকে একটি উন্নত রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় কেন?
সার্বিক দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে উন্নত রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করার কারণগুলি নিম্নরূপ –
- কৃষিক্ষেত্রে অগ্রগতি – পশ্চিমবঙ্গ কৃষিক্ষেত্রে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক এগিয়ে। ভারতের মধ্যে ধান ও পাট উৎপাদনে এই রাজ্য প্রথম স্থান অধিকার করে। এ ছাড়াও গম, তৈলবীজ, ডালশস্য, শাকসবজি ইত্যাদি এখানে ভালো পরিমাণে উৎপন্ন হয় যা রাজ্য তথা দেশের অর্থনীতিকে শক্ত করেছে।
- মৎস্য শিল্পে উন্নতি – পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে সমুদ্র থাকায় এবং এটি একটি নদীমাতৃক রাজ্য হওয়ায় এখানে মাছধরা ও মাছচাষের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যাপক পরিমাণে মাছ উৎপাদিত হয়।
- শিল্পক্ষেত্রে উন্নতি –
- সারা দেশের মধ্যে পাটশিল্পে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম। ভাগীরথী-হুগলির তীরবর্তী পাটকলগুলি পাটশিল্পে এই সমৃদ্ধি দিয়েছে।
- এখানে দুর্গাপুরে লৌহ-ইস্পাত শিল্প, চিত্তরঞ্জনে রেলইঞ্জিন নির্মাণ শিল্প, হলদিয়ায় পেট্রোরসায়ন শিল্প গড়ে উঠেছে।
- এ ছাড়া কাগজ, রাসায়নিক শিল্পে পশ্চিমবঙ্গ উন্নত। কলকাতার সল্টলেক অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ব্যাপক সমৃদ্ধি লাভ করেছে।
- কুটির শিল্পে পশ্চিমবঙ্গ ভারতে প্রথম স্থান অধিকার করে।
- বিদ্যুৎ উৎপাদন – বিদ্যুৎ উৎপাদনেও পশ্চিমবঙ্গ অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। এখানে ব্যান্ডেল, বজবজ, কোলাঘাট, সাঁওতালডিহিতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, ফারাক্কায় জলবিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এখানে সৌরবিদ্যুৎও কিছু অংশে প্রচলিত।
- বাণিজ্য – পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা সমগ্র পূর্ব- ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যক্ষেত্র।
- পরিবহণ –
- এই অঞ্চল সড়ক পরিবহণে উন্নত। এই রাজ্যের উপর দিয়ে 2, 6, 34, 35, 41 নং জাতীয় সড়ক গেছে।
- পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতা। শিয়ালদহ ও হাওড়ার মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন থেকে প্রতিনিয়ত অজস্র ট্রেন রাজ্যের ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করে।
- দমদম বিমানবন্দর পূর্ব ভারতের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
- এ ছাড়া কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর জলপথে পরিবহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
- পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার’ এবং বক্সাদুয়ার ‘ভুটানের প্রবেশদ্বার’ হওয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি পশ্চিমবঙ্গের আরো কাছে এসেছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক বিভাগগুলির পরিচয় দাও।
প্রশাসনিক কাজকর্মের সুবিধার জন্য পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিকে 5টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা –
- প্রেসিডেন্সি বিভাগ।
- বর্ধমান বিভাগ।
- জলপাইগুড়ি বিভাগ।
- মালদা বিভাগ।
- মেদিনীপুর বিভাগ।
নিম্নে এই বিভাগগুলির অন্তর্গত জেলাগুলি ছকের মাধ্যমে দেখানো হল –
প্রেসিডেন্সি বিভাগ – আয়তন – 19,333 বর্গ কিমি। জেলার সংখ্যা – 5টি।
জেলা | সদর | আয়তন (বর্গ কিমি) |
কলকাতা | কলকাতা | 185 |
উত্তর 24 পরগনা | বারাসাত | 4094 |
দক্ষিণ 24 পরগনা | আলিপুর | 9660 |
হাওড়া | হাওড়া | 1467 |
নদিয়া | কৃষ্ণনগর | 3927 |
বর্ধমান বিভাগ – আয়তন – 14,729 বর্গ কিমি। জেলার সংখ্যা – 4টি।
জেলা | সদর | আয়তন (বর্গ কিমি) |
পূর্ব বর্ধমান | বর্ধমান | 5432 |
পশ্চিম বর্ধমান | আসানসোল | 1603 |
বীরভূম | সিউড়ি | 4545 |
হুগলি | চুঁচুড়া | 3149 |
জলপহিগুড়ি বিভাগ – আয়তন – 14,016 বর্গ কিমি। জেলার সংখ্যা – 5টি।
জেলা | সদর | আয়তন (বর্গ কিমি) |
জলপাইগুড়ি | জলপাইগুড়ি | 3044 |
কোচবিহার | কোচবিহার | 3387 |
দার্জিলিং | দার্জিলিং | 3149 |
আলিপুরদুয়ার | আলিপুরদুয়ার | 3383 |
কালিম্পং | কালিম্পং | 1053 |
মালদা বিভাগ – আয়তন 14,418 বর্গ কিমি। জেলার সংখ্যা – 4টি।
জেলা | সদর | আয়তন (বর্গ কিমি) |
মালদা | ইংরেজবাজার | 3733 |
মুরশিদাবাদ | বহরমপুর | 5324 |
উত্তর দিনাজপুর | রায়গঞ্জ | 3142 |
দক্ষিণ দিনাজপুর | বালুরঘাট | 2219 |
মেদিনীপুর বিভাগ – আয়তন – 27,222 বর্গ কিমি। জেলার সংখ্যা – 5টি।
জেলা | সদর | আয়তন (বর্গ কিমি) |
পূর্ব মেদিনীপুর | তমলুক | 4736 |
পশ্চিম মেদিনীপুর | মেদিনীপুর | 6308 |
ঝাড়গ্রাম | ঝাড়গ্রাম | 3037 |
বাঁকুড়া | বাঁকুড়া | 6882 |
পুরুলিয়া | পুরুলিয়া | 6259 |

প্রতিবেশী রাজ্য ও রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আলোচনা করো।
প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক –
- পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকে শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, যেমন – লৌহ আকরিক, কয়লা, অভ্র, বক্সাইট, চুনাপাথর প্রভৃতি এবং খাদ্যদ্রব্য, যেমন – চাল, গম, সরিষা, রেড়ি প্রভৃতি পশ্চিমবঙ্গে আমদানি করা হয় এবং ঔষধ, নানারকমের যন্ত্রপাতি, কাচ ওইসব রাজ্যে রপ্তানি করা হয়।
- অসমের চা, কমলালেবু, কাঠ, কাঁচা পাট এবং সিকিমের ফল, বড়ো এলাচ, মূল্যবান কাঠ প্রভৃতি পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির মাধ্যমে রেলপথ, সড়কপথ ও বিমান পথে ভারতের অন্যত্র পাঠানো হয়।
- উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত রাজ্যগুলির সঙ্গে সড়কপথ, রেলপথের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি সংযোগ রক্ষা করে চলেছে। শুধু তাই নয়, ওই অঞ্চলের যাবতীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি ও রপ্তানি এবং যোগাযোগ রক্ষার জন্য শিলিগুড়ির ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। তাই শিলিগুড়িকে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার বলে।
- অসমের চা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশার কয়লা, অভ্র, লৌহ আকরিক, বক্সাইট প্রভৃতি খনিজ দ্রব্য কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
- এ ছাড়া প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে বহু মানুষ পশ্চিমবঙ্গে জীবিকার সন্ধানে ও পড়াশোনার জন্য আসেন এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ওইসব রাজ্যে মানুষ জীবিকা নির্বাহ ও পড়াশোনার জন্য যান।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক –
- স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। ফলে দুই দেশের ভাষা, সভ্যতা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বহুলাংশে এক বলে উভয় দেশেরই বিশেষ সুবিধা হয়েছে।
- কলকাতা বন্দর দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
- বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসে কাঁচা পাট, মাছ ও নিউজ প্রিন্ট। আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয় খাদ্যশস্য, কয়লা, কলকবজা, যন্ত্রপাতি, লবণ, রাসায়নিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য, লৌহ-ইস্পাত প্রভৃতি।
- নেপাল ও ভুটান দুটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র, তাই পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দরের মাধ্যমেই এই দুটি দেশ যাবতীয় ব্যাবসাবাণিজ্য চালায়।
- নেপাল ও ভুটান থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসে কাঠ, পশম, মৃগনাভি, এলাচ, দারুচিনি, বিভিন্ন ফল ইত্যাদি। আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে নেপালে ও ভুটানে যায় খাদ্যশস্য, বস্ত্র, লৌহ-ইস্পাত, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যাদি, পাটজাত দ্রব্য, রাসায়নিক দ্রব্যাদি, ওষুধ ইত্যাদি।
- নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক পশ্চিমবঙ্গে ব্যাবসাবাণিজ্য, চাকরি, পড়াশোনা করতে আসেন।
- বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য রয়েছে সরকারি উদ্যোগে চালিত বাস যার নাম ‘রূপসী বাংলা‘ এবং কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস‘ নামক ট্রেনেরও চলাচল রয়েছে।
- জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভুটানের সঙ্গে ভারত সরকারের যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছে চুখা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশসমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
বিষয় (প্রতিবেশী দেশ) | বাংলাদেশ | ভুটান | নেপাল |
অবস্থান | পশ্চিমবঙ্গের পূর্বদিকে অবস্থিত | উত্তর দিকে অবস্থিত | উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত |
আয়তন | 1,48,393 বর্গ কিমি | 47,400 বর্গ কিমি | 1,47,181 বর্গ কিমি |
রাজধানী | ঢাকা | থিম্পু | কাঠমাণ্ডু |
প্রধান ভাষা | বাংলা | জাংথা | নেপালি |
সর্বোচ্চ শৃঙ্খ | কেওক্রাডং (1,230 মিটার) | কুলাকাংড়ি (7,554 মিটার) | মাউন্ট এভারেস্ট (8,848 মিটার) |
প্রধান নদী | পদ্মা, মেঘনা | মানস | কালিগণ্ডক |
জলবায়ু | উষ্ণ-আর্দ্র ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির | আর্দ্র নাতিশীতোষ্ণ মৌসুমি প্রকৃতির | শীতল নাতিশীতোষ্ণ মৌসুমি প্রকৃতির |
কৃষিজ ফসল | ধান, পাট, ভুট্টা, গম, জোয়ার, কার্পাস, চা, আখ, তামাক, তৈলবীজ, আলু, ডাল, পান প্রভৃতি | ভুট্টা, ধান, যব, বার্লি, বড়ো এলাচ, কমলালেবু, আপেল প্রভৃতি | ধান, পাট, জোয়ার, আখ, তৈলবীজ, কমলালেবু, আনারস, চা প্রভৃতি |
খনিজ সম্পদ | কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, আকরিক লোহা, চুনাপাথর প্রভৃতি | কয়লা, ডলোমাইট, চুনাপাথর, অভ্র, তামা প্রভৃতি | আকরিক লোহা, তামা, দস্তা, সিসা, গ্রাফাইট, অভ্র, চুনাপাথর প্রভৃতি |
শিল্প | পাটশিল্প, কাগজ, চিনি, বস্ত্র, সিমেন্ট, চা, তাঁত, সাবান, সার প্রভৃতি শিল্প | সিমেন্ট, কাষ্ঠ শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, মদ শিল্প প্রভৃতি | পর্যটন শিল্প, কুটির শিল্প, কাগজ শিল্প, পাট শিল্প, চিনি শিল্প প্রভৃতি |
জনসংখ্যা | 16.75 কোটি (2010) | 7.1 লক্ষ (2010) | 2.98 কোটি (2010) |
দর্শনীয় স্থান | সুন্দরবন, কক্সবাজার, সোমপুরী বিহার, ঢাকা, চট্টগ্রাম প্রভৃতি | থিম্পু, পারো, পুনাখা, ফুন্টশোলিং প্রভৃতি | পশুপতিনাথ, পোখরা, লুম্বিনি, মুক্তিনাথ প্রভৃতি |
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
বিষয় (প্রতিবেশী রাজ্য) | ওড়িশা | ঝাড়খণ্ড | বিহার | সিকিম | অসম | ত্রিপুরা |
অবস্থান (পশ্চিমবঙ্গের সাপেক্ষে) | দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত | পশ্চিমে অবস্থিত | পশ্চিমে অবস্থিত | উত্তরে অবস্থিত | উত্তর-পূর্বে অবস্থিত | পূর্বে অবস্থিত |
আয়তন (বর্গ কিমি) | 1,55,707 | 79,714 | 94,163 | 7,096 | 78,438 | 10,486 |
রাজধানী | ভুবনেশ্বর | রাঁচি | পাটনা | গ্যাংটক | দিসপুর | আগরতলা |
প্রধান ভাষা | ওড়িয়া | হিন্দি | হিন্দি ও ভোজপুরি | নেপালি | অসমিয়া | বাংলা |
নদনদী | মহানন্দা, ব্রাহ্মণী, বৈতরণী | সুবর্ণরেখা, অজয়, বরাকর, দামোদর | গঙ্গা, গোমতী, কোশী, শোন, গণ্ডক | তিস্তা, রংপো, রঙ্গিত, লাংচু | ব্রহ্মপুত্র, মানস, কোপিলি, সুবর্ণসিরি | মুহুরি, জুরি, মণু, খোয়াই, ধলাই |
মৃত্তিকা | ল্যাটেরাইট ও লোহিত মাটি | ল্যাটেরাইট ও লোহিত মাটি | উর্বর পলিমাটি | পার্বত্য মাটি | পলিমাটি ও পার্বত্য মাটি | পলিমাটি ও ল্যাটেরাইট মাটি |
জলবায়ু | ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির | মৌসুমি প্রকৃতির চরমভাবাপন্ন | মৌসুমি প্রকৃতির চরমভাবাপন্ন | শীতল মৌসুমি প্রকৃতির | আর্দ্র মৌসুমি প্রকৃতির | আর্দ্র মৌসুমি প্রকৃতির |
কৃষিজ ফসল | ধান, ডাল, পাট, নারকেল, চিনাবাদাম | ধান, ভুট্টা, গম, জোয়ার, বাজরা | ধান, গম, আখ, তিল, সরিষা | কমলালেবু, এলাচ, ভুট্টা, ধান, আদা | চা, ধান, পাট, কমলালেবু, আনারস | ধান, পাট, চা, রবার, আখ, গম, তুলা |
খনিজ সম্পদ | কয়লা, আকরিক লোহা, অভ্র, ম্যাঙ্গানিজ, বক্সাইট | কয়লা, আকরিক লোহা, অভ্র, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, বক্সাইট, চুনাপাথর | আকরিক লোহা, কয়লা, অভ্র, বক্সাইট, ডলোমাইট | তামা, দস্তা, সিসা | খনিজ তেল, কয়লা, চুনাপাথর | প্রাকৃতিক গ্যাস, চুনাপাথর |
শিল্প | লোহা-ইস্পাত, সিমেন্ট, সার, কাগজ প্রভৃতি | লোহা-ইস্পাত, সার, সিমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প প্রভৃতি | ময়দা, চিনি, ভোজ্য তেল, চালকল প্রভৃতি | মদ শিল্প, চর্ম শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প | চা শিল্প, তৈল শোধন শিল্প, কাগজ শিল্প প্রভৃতি | কাষ্ঠ, বাঁশ ও বেত, কাগজ, চিনি, পাট, তাঁত প্রভৃতি শিল্প। |
জনসংখ্যা (2011) | 3,67,06,920 | 2,69,09,428 | 8,28,78,796 | 5,40,493 | 2,66,38,407 | 31,91,168 |
উল্লেখযোগ্য স্থান | পুরী, কোনারক, লিঙ্গরাজ মন্দির, চিল্কা, চাঁদিপুর প্রভৃতি | ঘাটশিলা, দেওঘর, হাজারিবাগ, ধানবাদ প্রভৃতি | বুদ্ধগয়া, রাজগির, নালন্দা, গয়া, বৈশালী প্রভৃতি | গ্যাংটক, ছাঙ্গু লেক, রুমটেক মঠ প্রভৃতি | কাজিরাঙা, মানস অভয়ারণ্য, কামাখ্যা মন্দির, গুয়াহাটি প্রভৃতি | ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির, নীর মহল, রুদ্রসাগর, উনকোটি তীর্থ প্রভৃতি |
Class 9 Geography All Chapter Notes
আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের অষ্টম অধ্যায় ‘পশ্চিমবঙ্গ (অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ)’ এর রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।