আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের অষ্টম অধ্যায় ‘পশ্চিমবঙ্গ (অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ)’ এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশ ও রাজ্যগুলির নাম লেখো।
প্রতিবেশী দেশ –
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশগুলি হল –
- পূর্বদিকে বাংলাদেশ।
- উত্তরে ভুটান।
- উত্তর-পশ্চিমে নেপাল।
প্রতিবেশী রাজ্য –
পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় প্রতিবেশী রাজ্যগুলি হল –
- দক্ষিণ-পশ্চিমে ওড়িশা।
- পশ্চিমে বিহার ও ঝাড়খণ্ড।
- উত্তর-পূর্বে অসম।
- উত্তরে সিকিম।
এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় অবস্থিত না হলেও ত্রিপুরাকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য হিসেবে ধরা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ ও তার প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি দ্রব্যের তালিকা তৈরি করো।
প্রতিবেশী দেশসমূহ | আমদানিকারক দ্রব্য | রপ্তানিকারক দ্রব্য |
নেপাল | পশম, কাঠ, চামড়া, মশলা, বিভিন্ন রকম ফল। | ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য, চা, সুতিবস্ত্র, লবণ, ঔষধ। |
ভুটান | বড়ো এলাচ, কমলালেবু, মৃগনাভি, জ্যাম, জেলি, ঘি, পশম, কাঠ। | রাসায়নিক দ্রব্য, সিমেন্ট, কয়লা, ঔষধ, কাগজ, চিনি, লবণ, বস্ত্র। |
বাংলাদেশ | পাট, কাগজ, মাছ, সুপারি, চামড়া, তামাক। | ঔষধ, কয়লা, ইস্পাত, চিনি, লবণ, খাদ্যশস্য। |
পশ্চিমবঙ্গ ও তার প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি দ্রব্যের তালিকা তৈরি করো।
প্রতিবেশী রাজ্যসমূহ | আমদানিকারক দ্রব্য | রপ্তানিকারক দ্রব্য |
ওড়িশা | লৌহ আকরিক, ম্যাঙ্গানিজ, চাল, মাছ | পাটজাত দ্রব্য, চা, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য |
বিহার | গম, চিনি, ভোজ্য তেল, ফল, ভুট্টা | পাটজাত দ্রব্য, চা, রাসায়নিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য |
ঝাড়খণ্ড | অভ্র, আকরিক লৌহ, কয়লা, ম্যাঙ্গানিজ | পাটজাত দ্রব্য, চা, কাচ, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য |
অসম | চা, খনিজ তেল, পাট, বাঁশ, কাঠ | ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য, ঔষধ, রাসায়নিক সার, বস্ত্র, নুন |
সিকিম | কমলালেবু, বড়ো এলাচ, আপেল, কুটির শিল্পজাত দ্রব্য | বস্ত্র, কয়লা, ঔষধ, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য, নুন, চা |
ত্রিপুরা | হস্ত ও কুটির শিল্পজাত দ্রব্য, তাঁতের কাপড় | ঔষধ, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য, রাসায়নিক দ্রব্য |
“পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা পূর্ব ভারতের দ্বারস্বরূপ কাজ করে চলেছে” – উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
“পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা পূর্ব ভারতের দ্বারের মতো কাজ করে চলেছে” এ কথা বলার কারণ হল –
- কলকাতা বন্দর – কলকাতা বন্দর বর্তমানে পূর্ব ভারতের বৃহত্তম বন্দর। নেপাল, ভুটান প্রভৃতি দেশ এই বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া অন্যান্য দেশের সঙ্গে পণ্য বিনিময় ও যাত্রী চলাচল কলকাতা বন্দরের মাধ্যমেই হয়।
- বিমানবন্দর – কলকাতায় অবস্থিত বিমানবন্দর যেমন বহু দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে, তেমনই পূর্ব ভারতের আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে এর মাধ্যমে যাতায়াত করা যায়। তাই একে পূর্ব ভারতের দ্বার বলা হয়।
- সড়কপথ – বিভিন্ন জাতীয় সড়ক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্বারা কলকাতা পূর্ব ভারতের বহু অংশের সঙ্গে যুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির নাম লেখো।
পশ্চিমবঙ্গের জেলার সংখ্যা 23টি। যথা –
- দার্জিলিং
- জলপাইগুড়ি
- দক্ষিণ দিনাজপুর
- কোচবিহার
- উত্তর দিনাজপুর
- মালদা
- মুরশিদাবাদ
- বীরভূম
- পূর্ব বর্ধমান
- নদিয়া
- বাঁকুড়া
- পুরুলিয়া
- পূর্ব মেদিনীপুর
- পশ্চিম মেদিনীপুর
- হাওড়া
- হুগলি
- উত্তর 24 পরগনা
- দক্ষিণ 24 পরগনা
- কলকাতা
- আলিপুরদুয়ার
- কালিম্পং
- ঝাড়গ্রাম
- পশ্চিম বর্ধমান
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পরিক্রমা একটি ছকের মাধ্যমে দেখাও।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পরিক্রমা –
জেলার নাম – দক্ষিণ 24 পরগনা
- সদর দপ্তর – আলিপুর
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 21°30′ উত্তর-22°30′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 88°2′ পূর্ব-89°0′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – দ্বীপ সংবলিত
- নদ-নদী – হুগলি, বিদ্যাধরী, মাতলা, সপ্তমুখী, গোসাবা
- মৃত্তিকা – পলিমাটি, লবণাক্ত মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – সুন্দরী, গরান, গেওয়া, কেয়া, হেতাল
- কৃষিজ ফসল – ধান, গম, পাট, সরষে, আখ, তরমুজ, লঙ্কা
- সীমানা – উত্তরে কলকাতা ও উত্তর চব্বিশ পরগনা; পশ্চিমে হুগলি নদী; পূর্বে বাংলাদেশ; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।
জেলার নাম – উত্তর 24 পরগনা
- সদর দপ্তর – বারাসাত
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 22°11’6″ উত্তর-23°15’2″ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 88°20′ পূর্ব-89°5′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – পলি সমভূমি, জলাভূমি, বাঁধ, ব-দ্বীপ
- নদ-নদী – যমুনা, বিদ্যাধরী, কালিন্দি হুগলি, ইছামতী
- মৃত্তিকা – পলিমাটি, লবণাক্ত মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – কাঁঠাল আম, জাম, সুপুরি
- কৃষিজ ফসল – ধান, লঙ্কা, আলু, পাট, তৈলবীজ
- সীমানা – উত্তরে বাংলাদেশ; উত্তর-পূর্বে নদিয়া; পশ্চিমে হুগলি, হাওড়া; দক্ষিণে দক্ষিণ 24 পরগনা, কলকাতা।
জেলার নাম – পশ্চিম মেদিনীপুর
- সদর দপ্তর – মেদিনীপুর
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 23°30′ উত্তর-22°57′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 86°33′ পূর্ব-87°58′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – সমতলভূমি
- নদ-নদী – সুবর্ণরেখা, শিলাই, কাঁসাই, দ্বারকেশ্বর
- মৃত্তিকা – পলিমাটি, ল্যাটেরাইট মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – শাল, নিম, মহুয়া
- কৃষিজ ফসল – ডাল জাতীয় শস্য, পান, বিভিন্ন ধরনের ফুল, ধান
- সীমানা – উত্তরে বাঁকুড়া, হুগলি; দক্ষিণে ওড়িশা ও পূর্ব মেদিনীপুর; পশ্চিমে ঝাড়গ্রাম; পূর্বে পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া।
জেলার নাম – পূর্ব মেদিনীপুর
- সদর দপ্তর – তমলুক
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 21°36′ উত্তর-22°30′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 87°7′ পূর্ব-88°21′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – উপকূলবর্তী অঞ্চলে বালিয়াড়ি
- নদ-নদী – রূপনারায়ণ, হলদি, কেলেঘাই
- মৃত্তিকা – পলিমাটি, লবণাক্ত মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – ছাতিম, আমলকী, বাবলা
- কৃষিজ ফসল – কাজুবাদাম, মাদুর কাঠি, ধান, পান, পাট
- সীমানা – উত্তর-পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পূর্বে হাওড়া, দক্ষিণ 24 পরগনা।
জেলার নাম – কলকাতা
- সদর দপ্তর – কলকাতা
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 22°37′ উত্তর-22°30′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 88°30′ পূর্ব-88°23′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – সমতলভূমি
- নদ-নদী – হুগলি
- মৃত্তিকা – পলিমাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – আম, জাম, কদম, বট, অশ্বথ
- কৃষিজ ফসল – ধাপা অঞ্চলে শাকসবজি
- সীমানা – উত্তর-পূর্বে উত্তর 24 পরগনা; দক্ষিণে দক্ষিণ 24 পরগনা; পশ্চিমে গঙ্গা নদী, হাওড়া।
জেলার নাম – হাওড়া
- সদর দপ্তর – হাওড়া
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 22°12′30″ পূর্ব-22°46′55″ পূর্ব
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 88°22′80″ পূর্ব-87°50′45″ পূর্ব
- ভূমিরূপ – সমতলভূমি
- নদ-নদী – দামোদর, সরস্বতী, রূপনারায়ণ
- মৃত্তিকা – পলিমাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, নিম, ছাতিম
- কৃষিজ ফসল – ধান, পাট, পান
- সীমানা – উত্তরে হুগলি, উত্তর 24 পরগনা; পূর্বে কলকাতা; দক্ষিণ-পশ্চিমে পূর্ব মেদিনীপুর; দক্ষিণ-পূর্বে দক্ষিণ 24 পরগনা।
জেলার নাম – হুগলি
- সদর দপ্তর – চুঁচুড়া
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 22°39′32″ উত্তর-23°01′20″ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 87°30′20″ পূর্ব-88°30′5″ পূর্ব
- ভূমিরূপ – উচ্চ সমতলভূমি
- নদ-নদী – দ্বারকেশ্বর, কুন্তি, সরস্বতী, বেহুলা
- মৃত্তিকা – উর্বর পলিমাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – দেবদারু, ছাতিম, কলা, আম
- কৃষিজ ফসল – আলু, ধান, গম, তুলা, শাকসবজি
- সীমানা – উত্তরে বর্ধমান, বাঁকুড়া; উত্তর-পূর্বে নদিয়া; পূর্বে উত্তর 24 পরগনা; পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর; দক্ষিণে হাওড়া।
জেলার নাম – নদিয়া
- সদর দপ্তর – কৃষ্ণনগর
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 22°53′ উত্তর -24°11′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 88°09′ পূর্ব-88°48′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – ব-দ্বীপ সমভূমি
- নদ-নদী – মাথাভাঙা, চূর্ণি, ইছামতী, ভৈরব
- মৃত্তিকা – পলিমাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – শিমুল, নিম, দেবদারু
- কৃষিজ ফসল – ধান, ডাল জাতীয় শস্য, পাট, লিচু, পেয়ারা
- সীমানা – উত্তরে মুরশিদাবাদ; দক্ষিণে দক্ষিণ 24 পরগনা; পশ্চিমে বর্ধমান, হুগলি; পূর্বে বাংলাদেশ।
জেলার নাম – মুরশিদাবাদ
- সদর দপ্তর – বহরমপুর
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 23°43′30″ উত্তর -24°50′20″ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 87°49′17″ পূর্ব-88°46′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – মৃতপ্রায় ব-দ্বীপ সমভূমি, পূর্বাংশে বাগড়ি, পশ্চিমাংশে রাঢ় সমভূমি
- নদ-নদী – গঙ্গা
- মৃত্তিকা – পলিমাটি, ল্যাটেরাইট মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – শাল, শতমূল, আম
- কৃষিজ ফসল – ধান, গম, দানাশস্য, লিচু, আম
- সীমানা – উত্তরে মালদা, গঙ্গা নদী; পূর্বে বাংলাদেশ; দক্ষিণে নদিয়া ও বর্ধমান; পশ্চিমে বীরভূম, ঝাড়খণ্ড।
জেলার নাম – পূর্ব বর্ধমান
- সদর দপ্তর – বর্ধমান
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 22°50′ উত্তর-23°53′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 86°40′ পূর্ব-88°25′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – পূর্বদিকে সমতলভূমি
- নদ-নদী – দামোদর, অজয়, দ্বারকেশ্বর
- মৃত্তিকা – পলিমাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – জাম, কাঁঠাল নিম, বট, আম
- কৃষিজ ফসল – ধান, আলু, পাট, শাকসবজি
- সীমানা – উত্তরে মুরশিদাবাদ ও বীরভূম; পূর্বে নদিয়া; পশ্চিমে পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া; দক্ষিণে হুগলি।
জেলার নাম – বীরভূম
- সদর দপ্তর – সিউড়ি
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 23°32′30″ উত্তর-24°35′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 47°05′25″ পূর্ব-88°01′40″ পূর্ব
- ভূমিরূপ – উপত্যকা যুক্ত শৈলশিরা
- নদ-নদী – সিদ্ধেশ্বরী, কোপ্পি
- মৃত্তিকা – প্রাচীন ও নবীন পলিমাটি, পশ্চিমাংশে ল্যাটেরাইট মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – পলাশ, মহুয়া, আমলকী
- কৃষিজ ফসল – আদা, সবেদা, পেয়ারা, লিচু
- সীমানা – উত্তরে মালদা; দক্ষিণে বর্ধমান; পূর্বে মুরশিদাবাদ; পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড।
জেলার নাম – বাঁকুড়া
- সদর দপ্তর – বাঁকুড়া
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 22°38′ উত্তর -23°38′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 86°36′ পূর্ব-87°46′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – পশ্চিম এবং দক্ষিণ দিকে পাহাড়ি অঞ্চল, মধ্যভাগে তরঙ্গায়িত মালভূমি অঞ্চল
- নদ-নদী – কুমারী, সুবর্ণরেখা
- মৃত্তিকা – ল্যাটেরাইট, লাল মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – বহেরা, আমলকী, পলাশ, হরীতকী, হলদি
- কৃষিজ ফসল – ধান, ডাল, আলু
- সীমানা – উত্তরে বর্ধমান; দক্ষিণে পশ্চিম মেদিনীপুর; পূর্বে হুগলি; পশ্চিমে পুরুলিয়া।
জেলার নাম – পুরুলিয়া
- সদর দপ্তর – পুরুলিয়া
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 22°43′ উত্তর -23°42′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 85°49′ পূর্ব-86°54′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – পশ্চিম এবং দক্ষিণ দিকে পাহাড়ি অঞ্চল, মধ্যভাগে তরঙ্গায়িত মালভূমি অঞ্চল
- নদ-নদী – কুমারী, সুবর্ণরেখা
- মৃত্তিকা – ল্যাটেরাইট, লাল মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – বহেরা, আমলকী, পলাশ, হরীতকী, হলদি
- কৃষিজ ফসল – ধান, ডাল, আলু
- সীমানা – উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড; পূর্বে বাঁকুড়া, বর্ধমান; দক্ষিণে পশ্চিম মেদিনীপুর।
জেলার নাম – মালদহ
- সদর দপ্তর – মালদহ
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 24°40′20″ উত্তর-25°32′08″ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 87°45′50″ পূর্ব-88°24′10″ পূর্ব
- ভূমিরূপ – তাল, বারিন্দ, দিয়ারা ভূমিরূপ
- নদ-নদী – পুনর্ভবা, মহানন্দা, টাঙ্গন
- মৃত্তিকা – পলিমাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – তুঁত, রসুন
- কৃষিজ ফসল – ধান, পাট, ভুট্টা, আম
- সীমানা – উত্তরে বিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর; দক্ষিণে মুরশিদাবাদ, বাংলাদেশ; পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড, বিহার; পূর্বে বাংলাদেশ।
জেলার নাম – দক্ষিণ দিনাজপুর
- সদর দপ্তর – বালুরঘাট
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 25°10′55″ উত্তর-25°37′30″ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 88°7′30″ পূর্ব-88°20′10″ পূর্ব
- ভূমিরূপ – বরেন্দ্রভূমি
- নদ-নদী – পুনর্ভবা, আত্রেয়ী, তপন
- মৃত্তিকা – পলিমাটি, ল্যাটেরাইট মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – শিমূল, শিরীষ, বাবলা
- কৃষিজ ফসল – আদা, তৈলবীজ, পাট, পেঁপে, কলা, পেয়ারা
- সীমানা – উত্তরে উত্তর দিনাজপুর, বাংলাদেশ; দক্ষিণে মালদা, বাংলাদেশ; পশ্চিমে উত্তর দিনাজপুর, মালদা; পূর্বে বাংলাদেশ।
জেলার নাম – উত্তর দিনাজপুর
- সদর দপ্তর – রায়গঞ্জ
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 25°17′10″ উত্তর-26°35′15″ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 87°48′37″ পূর্ব-88°20′10″ পূর্ব
- ভূমিরূপ – উত্তরাংশ তাল, দক্ষিণাংশ বরেন্দ্রভূমি
- নদ-নদী – মহানন্দা, কুলিক, গামার সুই
- মৃত্তিকা – প্রাচীন পলিমাটি ও নবীন পলিমাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – শাল, অর্জুন, বাঁশ, বেত, শিরীষ, নিম
- কৃষিজ ফসল – ধান, গম, আনারস, লিচু, নারকেল, কলা, আম
- সীমানা – উত্তরে দার্জিলিং; পশ্চিমে বিহার; দক্ষিণে মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর; পূর্বে বাংলাদেশ।
জেলার নাম – দার্জিলিং
- সদর দপ্তর – দার্জিলিং
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 26°31′ উত্তর-27°13′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 87°59′ পূর্ব-88°53′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – পার্বত্য ভূমিভাগ
- নদ-নদী – জলঢাকা, লিস, গিল, চেল
- মৃত্তিকা – পডসল, ধূসর বাদামি নুড়িবালি, সমৃদ্ধ মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – শাল, সেগুন, ওক, ফার
- কৃষিজ ফসল – কমলালেবু, আনারস, ধান
- সীমানা – উত্তরে সিকিম; দক্ষিণে উত্তর দিনাজপুর, বিহার; পূর্বে কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, ভুটান; পশ্চিমে নেপাল।
জেলার নাম – জলপাইগুড়ি
- সদর দপ্তর – জলপাইগুড়ি
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 26°26′ উত্তর-27° উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 88°25′ পূর্ব-89°53′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – তরঙ্গায়িত ভূমিভাগ, পার্বত্যভূমি
- নদ-নদী – জয়ন্তী, তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, মহানন্দা
- মৃত্তিকা – পার্বত্য মাটি, তরাই মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – খয়ের, শাল, সেগুন, শিশু
- কৃষিজ ফসল – খয়ের, ধান, তামাক, আনারস, চা, কমলালেবু
- সীমানা – উত্তরে দার্জিলিং, ভুটান; দক্ষিণে কোচবিহার, বাংলাদেশ; পূর্বে অসম; পশ্চিমে দার্জিলিং।
জেলার নাম – কোচবিহার
- সদর দপ্তর – কোচবিহার
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 26°32′20″ উত্তর-25°57’40” উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 89°54′35″ পূর্ব-88°47′40″ পূর্ব
- ভূমিরূপ – প্রাচীন আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলায় গঠিত ভূমিরূপ
- নদ-নদী – তিস্তা, তোর্সা, কালাজানি, ডোলং, কুমনাই, গদাধর
- মৃত্তিকা – পলিমাটি, দোআঁশ মাটি, বেলেমাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – শাল, টিক, গামার, শিশু
- কৃষিজ ফসল – পাট, আলু, নারকেল, আদা, হলুদ
- সীমানা – উত্তরে জলপাইগুড়ি; দক্ষিণ-পশ্চিমে বাংলাদেশ; পূর্বে অসম।
জেলার নাম – আলিপুরদুয়ার
- সদর দপ্তর – আলিপুরদুয়ার
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 26°48′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 89°52′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – তরঙ্গায়িত ভূমিভাগ
- নদ-নদী – কালাজানি
- মৃত্তিকা – পলিমাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – শাল, টিক, শিশু
- কৃষিজ ফসল – আদা, আলু, ধান
- সীমানা – পশ্চিমে জলপাইগুড়ি; পূর্বে বাংলাদেশ; দক্ষিণে কোচবিহার; উত্তরে ভুটান।
জেলার নাম – কালিম্পং
- সদর দপ্তর – কালিম্পং
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 27.6° উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 88.47° পূর্ব
- ভূমিরূপ – তরঙ্গায়িত ভূমিভাগ
- নদ-নদী – তিস্তা
- মৃত্তিকা – লাল মাটি, কোথাও গাঢ় রং -এর মৃত্তিকা দেখা যায়
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – ওক, বার্চ, ম্যাপল, অল্ডার, রোডোডেনড্রন, পাইন প্রভৃতি
- কৃষিজ ফসল – কমলালেবু, ক্যাকটাস প্রভৃতি
- সীমানা – পশ্চিমে দার্জিলিং; পূর্বে ভূটান; দক্ষিণে জলপাইগুড়ি; উত্তরে সিকিম।
জেলার নাম – ঝাড়গ্রাম
- সদর দপ্তর – ঝাড়গ্রাম
- অক্ষাংশগত বিস্তার – 21°52′ উত্তর -22°48′ উত্তর
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – 86°34′ পূর্ব-87°20′ পূর্ব
- ভূমিরূপ – ক্ষয়প্রাপ্ত মালভূমি
- নদ-নদী – কংসাবতী, সুবর্ণরেখা
- মৃত্তিকা – ল্যাটেরাইট মাটি
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – শাল, শিমুল, পলাশ, মহুয়া, অর্জুন
- কৃষিজ ফসল – ধান, ডাল, পান
- সীমানা – পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা; পূর্বে পশ্চিম মেদিনীপুর; দক্ষিণে ওড়িশা; উত্তরে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া।
জেলার নাম – পশ্চিম বর্ধমান
- সদর দপ্তর – আসানসোল
- অক্ষাংশগত বিস্তার – অপ্রকাশিত
- দ্রাঘিমাগত বিস্তার – অপ্রকাশিত
- ভূমিরূপ – স্বল্প বন্ধুর ভূমি
- নদ-নদী – অজয়
- মৃত্তিকা – ল্যাটেরাইট
- স্বাভাবিক উদ্ভিদ – শাল, শিমূল, বাবলা, নিম
- কৃষিজ ফসল – ধান, আলু, তৈলবীজ
- সীমানা – পশ্চিমে পুরুলিয়া; পূর্বে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম; দক্ষিণ-পশ্চিমে বাঁকুড়া; উত্তরে ঝাড়খণ্ড।
Class 9 Geography All Chapter Notes
আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের অষ্টম অধ্যায় ‘পশ্চিমবঙ্গ (অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ)’ এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।