আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের অষ্টম অধ্যায় ‘পশ্চিমবঙ্গ (প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ)’ এর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

পশ্চিমবঙ্গের ধান চাষে ব্যবহৃত উচ্চফলনশীল বীজগুলির নাম লেখো।
পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন উচ্চফলনশীল ধান বীজ যেমন – রত্না, জয়া, পঙ্কজ, IR-20, 30, পুষা-33, কাবেরী, বিজয়া, বাণী, কৃষ্ণ প্রভৃতি চাষ করা হয়। এ ছাড়া, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বাসমতী, সীতাভোগ প্রভৃতি সুগন্ধি চালও চাষ করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান চারটি ধান উৎপাদক জেলার নাম লেখো।
2006-07 সালের ধান উৎপাদন অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান চারটি জেলা হল –
- বর্ধমান (1967.0 হাজার টন)।
- পশ্চিম মেদিনীপুর (1798.8 হাজার টন)।
- বীরভূম (1199.4 হাজার টন)।
- বাঁকুড়া (1138.0 হাজার টন)।
2006-07 সালের হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদনে প্রথম চারটি জেলা হল –
- বীরভূম (3128 কিগ্রা/হেক্টর)।
- বর্ধমান (3060 কিগ্রা/হেক্টর)।
- মালদহ (3051 কিগ্রা/হেক্টর)।
- হুগলি (2830 কিগ্রা/হেক্টর)।
খারিফ শস্য কাকে বলে?
গ্রীষ্মের শেষে বর্ষাকালে বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করে যে-সব শস্য চাষ করা হয় এবং শীতের শুরুতে কাটা হয়, তাদের খারিফ শস্য বলে। যেমন – ধান, পাট, ভুট্টা, আখ, ডাল, বাজরা প্রভৃতি।
রবিশস্য কাকে বলে?
শীতকালের শুষ্ক শীতল আবহাওয়ায় জলসেচের সাহায্যে যে-সব শস্যের চাষ করা হয় তাদের রবিশস্য বলে। যেমন – বোরো ধান, গম, যব, ছোলা, সরষে প্রভৃতি।
পশ্চিমবঙ্গের পাট উৎপাদক জেলাগুলির নাম লেখো।
পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চল ও মালভূমি অঞ্চল বাদ দিয়ে প্রায় সর্বত্রই পাট চাষ হয়। পাট চাষের উল্লেখযোগ্য জেলাগুলি হল মুরশিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, মালদহ, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, পূর্ব মেদিনীপুর প্রভৃতি। 2006-2007 সালে পশ্চিমবঙ্গে 15.14 লক্ষ টন পাট উৎপন্ন হয়।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান লৌহ-ইস্পাত কেন্দ্র দুটির নাম লেখো।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান দুটি বৃহৎ লৌহ-ইস্পাত শিল্পকেন্দ্র হল –
- বার্নপুর-কুলটি – 1874 সালে কুলটিতে এবং 1918 সালে বার্নপুরে লৌহ-ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠে এবং 1919 সালে এই দুটি মিলে গঠিত হয় ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি (IISCO)। 1972 সালে এটি সেইল (SAIL) -এর অধীনে আসে।
- দুর্গাপুর – 1960 সালে দুর্গাপুরে লৌহ-ইস্পাত কারখানা স্থাপিত হয়।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর দুই তীরের পাট শিল্পকেন্দ্রগুলির নাম লেখো।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর দুই তীরের পাট শিল্পকেন্দ্রগুলির নাম হল –
হুগলি নদীর বামতীরের শিল্পকেন্দ্র | হুগলি নদীর ডানতীরের শিল্পকেন্দ্র |
কাঁচড়াপাড়া, নৈহাটি, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল, শ্যামনগর, টিটাগড়, খড়দহ, আগরপাড়া, বাটানগর, বজবজ, বিড়লাপুর প্রভৃতি | ত্রিবেণি, বাঁশবেড়িয়া, ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, বৈদ্যবাটি, শ্রীরামপুর, রিষড়া, কোন্নগর, উত্তরপাড়া, বালি, বেলুড়, উলুবেড়িয়া প্রভৃতি |
পশ্চিমবঙ্গের কার্পাসবয়ন শিল্পকেন্দ্রগুলির নাম লেখো।
পশ্চিমবঙ্গের কার্পাসবয়ন শিল্পকেন্দ্রগুলি হল – সোদপুর, পানিহাটি, শ্রীরামপুর, রিষড়া, বেলঘড়িয়া, হাওড়া, কলকাতা, কোন্নগর, শ্যামনগর, উলুবেড়িয়া, কল্যাণী, ঘুঘুড়ি, ফুলেশ্বর, মৌরিগ্রাম, সালকিয়া প্রভৃতি।
পাতার প্রকৃতি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের চায়ের শ্রেণিগুলি কী?
পাতার প্রকৃতি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের ‘চা’ -কে দুইভাগে ভাগ করা যায় –
- কালো চা – প্রথমে চা পাতা তোলা হয় তারপর সেগুলি গাঁজিয়ে শুকিয়ে ফেললে কালো রং -এর হয়। একে কালো চা বলে। পশ্চিমবঙ্গে 85%-90% এই কালো চা দেখা যায়।
- সবুজ চা – চা পাতা তুলে শুকিয়ে তা থেকে চা তৈরি হয়। ফলে সবুজ রং-ই বজায় থাকে একে সবুজ চা বলে। মাত্র 10%-15% সবুজ চা পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান দুটি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকেন্দ্রের নাম লেখো।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান দুটি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকেন্দ্রের নাম হল –
- সল্টলেক সিটি।
- রাজারহাট নিউটাউন।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প কাকে বলে?
কৃষিকাজ, মৎস্যচাষ, পশুপালন প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত দ্রব্য সরাসরি খাওয়ার উপযুক্ত করা কিংবা বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্যে পরিণত করা এবং ওই সমস্ত খাদ্যদ্রব্যের গুণমান বজায় রাখার জন্য প্যাকেজিং ও হিমায়িত করার সঙ্গে যুক্ত সকল ধরনের শিল্পকর্মকে একত্রে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প বলে।
পশ্চিমবঙ্গের ফুডপার্কগুলি কোথায় গড়ে উঠেছে?
পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি 12টি ফুডপার্ক গড়ে উঠেছে। এগুলি হল –
- দার্জিলিং -এর শিলিগুড়ি।
- মালদা।
- হাওড়ার সাঁকরাইল।
- পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া ও শংকরপুর।
- দক্ষিণ 24 পরগনার চাকগড়িয়া, সুলতানপুর ও কাকদ্বীপ।
- উত্তর 24 পরগনার নাজাট।
- হুগলির ডানকুনি ও পান্ডুয়া।
- মুরশিদাবাদ।

পর্যটন শিল্প বলতে কী বোঝো?
পর্যটন সংক্রান্ত সমস্ত পণ্য, পরিকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা ও পরিসেবা, যেগুলি পর্যটকদের আনন্দ-বিনোদনে সাহায্য করে, সেই সমস্ত কিছু নিয়ে গড়ে ওঠা শিল্প পর্যটন শিল্প নামে পরিচিত।
বাঁকুড়া জেলার দুটি কুটির শিল্পের নাম করো।
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলা কুটির শিল্পে বিখ্যাত। এরকম দুটি কুটির শিল্প হল –
তাঁত শিল্প – বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে তাঁত শিল্পে গামছা, শাড়ি প্রভৃতি তৈরিতে বহু মানুষ নিযুক্ত আছে।
টেরাকোটা শিল্প – বিষ্ণুপুর পোড়ামাটির তৈরি মূর্তি বা টেরাকোটার জন্য বিখ্যাত।
বিশ্ব বাংলা কী?
পশ্চিমবঙ্গের যা কিছু বিখ্যাত সেগুলি বিশ্ব দরবারে পরিচিতির জন্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা এবং বাংলাকে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসনে অলংকৃত করার কর্মসূচিকেই বিশ্ব বাংলা বলে।
যেমন – দার্জিলিং -এর চা, বাংলার তাঁত, টেরাকোটা, বিখ্যাত লেখকদের বই (গীতাঞ্জলি, পথের পাঁচালি) প্রভৃতি বিপণন কেন্দ্রে তুলে ধরা হয়। নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বিপণন কেন্দ্রে বিশ্ব বাংলার প্রথম বিপণন কেন্দ্র।
হস্তশিল্পের মেগা ক্লাস্টার কাকে বলে?
বিভিন্ন হস্তশিল্প যখন একসঙ্গে বা গুচ্ছাকারে কোনো স্থানে সন্নিবিষ্ট হয় তখন তাকে হস্তশিল্পের মেগা ক্লাস্টার বলে।
যেমন – পশ্চিমবঙ্গের মুরশিদাবাদ জেলায় হস্তশিল্পের মেগা ক্লাস্টার গঠিত হয়েছে। এছাড়া অসমের শিবসাগর, উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে হস্তশিল্পের মেগা ক্লাস্টার দেখা যায়।
উদ্দেশ্য –
বিভিন্ন রকম সুযোগসুবিধা, আধুনিক পরিকাঠামো, নিত্য নতুন ডিজাইন উদ্ভাবন, পর্যাপ্ত শিক্ষণের ব্যবস্থা, HRD বা Human Resource Development, দেশের বিভিন্ন বাজারের মধ্যে যোগাযোগ প্রভৃতির দ্বারা দেশের শিল্প ব্যবস্থাকে একেবারে নীচের স্তর (ব্লক পর্যায়) থেকে বৃহত্তর পর্যায়ে উন্নীত করা।
ভারত সরকারের Ministry of Textile -এর উদ্যোগে Handicrafts Mega Cluster Mission (HMCM) বীরভূমের শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
WBIDC কী?
WBIDC -এর পুরো কথা হল ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন বা পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম। এটি পশ্চিমবঙ্গের শিল্পোন্নয়নে সাহায্যকারী সংস্থা। এর মুখ্য উদ্দেশ্য হল –
- বিভিন্ন শিল্প সংস্থাকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
- শিল্প স্থাপনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সাহায্য করা।
- নতুন নতুন শিল্প প্রকল্প গড়ে তুলতে পরামর্শ দান করা।
- শিল্পসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা।
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম লৌহ-ইস্পাত কারখানা কবে কোথায় গড়ে ওঠে?
1874 সালে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রথম লৌহ-ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠে। 1953 সালে এই ইস্পাত কেন্দ্রের নাম হয় ISCO (Indian Iron and Steel Company)। দামোদরের জল, ময়ূরভঞ্জের আকরিক লোহা, ঝরিয়া-রানিগঞ্জের কয়লা প্রভৃতির সহাবস্থানে এই ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বন্দর দুটির নাম কী?
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বন্দর দুটির নাম হল – কলকাতা ও হলদিয়া। এই দুটি বন্দরই নদীবন্দর।
শহর কাকে বলে?
ভারতের আদমশুমারি অনুসারে যে অঞ্চলের জনসংখ্যা 5000 জনের বেশি, জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমিতে 400 জনের বেশি এবং মোট জনসংখ্যার 75% -এর বেশি মানুষ কৃষি ব্যতীত অন্যান্য জীবিকায় নিয়োজিত, তাকে শহর বলে।
যে-সকল শহরের জনসংখ্যা 1 লক্ষের বেশি তাদের নগর বলে।
মহানগর (Metropolis) কাকে বলে? পশ্চিমবঙ্গের দুটি মহানগরের নাম লেখো।
মহানগর (Metropolis) – যে-সমস্ত শহরের জনসংখ্যা 10 লক্ষের বেশি, তাদের মহানগর বলা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের দুটি মহানগরের নাম হল কলকাতা ও আসানসোল।
যে-সমস্ত শহরের জনসংখ্যা 50 লক্ষের বেশি তাদের মেগাসিটি (Megacity) বলে। যেমন – কলকাতা।
পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের চারটি পর্যটনকেন্দ্রের নাম লেখো।
পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের চারটি পর্যটন কেন্দ্রের নাম হল –
- দিঘা
- মন্দারমনি
- শংকরপুর
- জুনপুট
দুর্গাপুরকে ‘ভারতের রূঢ়’ বলা হয় কেন?
জার্মানির রাইন নদীর উপনদী রূঢ় -এর অববাহিকায় প্রচুর কয়লা পাওয়া যায়। এই কয়লার ওপর ভিত্তি করে লৌহ-ইস্পাত, ইঞ্জিনিয়ারিং, রাসায়নিক প্রভৃতি শিল্পে সমৃদ্ধ রূঢ় শিল্পাঞ্চল বিকাশলাভ করেছে। অনুরূপভাবে, পূর্ব ভারতের দামোদর উপত্যকার কয়লা বলয়ের ওপর ভিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে ব্যাপক শিল্পায়ন ঘটেছে। তাই দুর্গাপুরকে ‘ভারতের রূঢ়’ বলে।
পশ্চিমবঙ্গের লৌহ-ইস্পাত শিল্পের সম্ভাবনা কতখানি?
ভারতের সাতটি বৃহদায়তন লৌহ-ইস্পাত শিল্পের মধ্যে দুটি গড়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের বার্নপুর-কুলটি এবং দুর্গাপুরে। আবার দেশের তিনটি বৃহদায়তন সংকর-ইস্পাত উৎপাদন কারখানার মধ্যে একটি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে। সুতরাং, ভারতের লৌহ-ইস্পাত শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্ব অনেকখানি। উন্নত কলাকৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের লৌহ-ইস্পাত শিল্পের উন্নতি ঘটাতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর গুরুত্ব আরো বাড়বে। তাই বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গের লৌহ-ইস্পাত শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।
মিনি স্টিল প্ল্যান্ট (Mini Steel Plant) বলতে কী বোঝো?
আকার, আয়তনে ক্ষুদ্র ইস্পাত কারখানা যেখানে সংকর ইস্পাত উৎপাদন করা হয়, তাকে মিনি স্টিল প্ল্যান্ট বলে। এই কারখানায় স্পঞ্জ আয়রন (Sponge Iron), স্ক্র্যাপ আয়রন ব্যবহার করে ইস্পাত তৈরি করা হয়। উদাহরণ – দুর্গাপুরে অবস্থিত ‘অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট’।
পশ্চিমবঙ্গের দুটি মিনি স্টিল প্ল্যান্টের নাম লেখো।
পশ্চিমবঙ্গের দুটি মিনি স্টিল প্ল্যান্টের নাম হল –
- ন্যাশনাল আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি।
- গেস্টকিন উইলিয়ামস লিমিটেড।
লৌহ-ইস্পাত শিল্পের প্রধান কাঁচামালগুলি কী কী?
লৌহ-ইস্পাত শিল্পের প্রধান কাঁচামালগুলি হল –
- আকরিক লোহা।
- চুনাপাথর।
- ম্যাঙ্গানিজ।
- ডলোমাইট।
- কয়লা।
- জল প্রভৃতি।
কয়েকটি উচ্চ ফলনশীল পাট বীজের নাম লেখো।
কয়েকটি উচ্চ ফলনশীল পাট বীজ হল – JRC-1108, JRC-212, JRC-321, D-154, JRO-753 প্রভৃতি।
তন্তুজাতীয় ফসল বলতে কী বোঝো?
যে-সমস্ত কৃষিজ ফসল থেকে তন্তু বা আঁশ নিষ্কাশন করা যায়, তাদেরকে তন্তুজাতীয় ফসল বলে। এই তন্তুগুলি কখনও ফসলের বাকলে আবার কখনও বীজের সঙ্গে থাকে। যেমন – পাট, শণ, তুলো প্রভৃতি।
অর্থকরী ফসল কাকে বলে?
যে-সমস্ত ফসল দেশীয় তথা আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায়, তাকে অর্থকরী ফসল বলা হয়। যেমন – পাট, তুলা, চা প্রভৃতি।
বন্দর নগর কাকে বলে?
যে-সমস্ত নগর বন্দর সান্নিধ্যে গড়ে ওঠে তাকে বন্দর নগর বলা হয়। যেমন – কলকাতা, মুম্বাই প্রভৃতি।
CODEX Cell কী?
ভারতের মধ্যে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে 2005 সালে Codex Cell গঠিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান কৃষি বিভাগ এই Codex Cell গঠন করে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত Codex Cell উন্নত মানের খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও বিশ্ববাজারে তা রপ্তানি করার কাজে নিযুক্ত।
আউটসোর্সিং (Outsourcing) কী?
আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে শিল্পের অবস্থান ও উন্নতির উপর শ্রমিকের অবস্থানের প্রভাব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। কারণ, বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থাগুলি পৃথিবীর যেখানে সস্তায় দক্ষ শ্রমিক পায় সেখান থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করে নিজের সংস্থায় তাদের নিয়োগ করে। এক স্থান থেকে আর এক স্থানে বা এক দেশ থেকে আর এক দেশে শ্রমিক নিয়োগের এই পদ্ধতিকে বলা হয় আউটসোর্সিং। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্রে ভারতের ইঞ্জিনিয়ারদের আউটসোর্সিং বিশেষ লক্ষণীয়।
Class 9 Geography All Chapter Notes
আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের অষ্টম অধ্যায় ‘পশ্চিমবঙ্গ (প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ)’ এর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।