এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নবম শ্রেণী – ভূগোল – পশ্চিমবঙ্গ (প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ) – টীকা

আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের অষ্টম অধ্যায় ‘পশ্চিমবঙ্গ (প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ)’ এর টীকা নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

পশ্চিমবঙ্গ (প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ) - টীকা
পশ্চিমবঙ্গ (প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ) – টীকা

ইসকো বা বার্নপুর-কুলটি লৌহ-ইস্পাত কারখানা।

অবস্থান – বার্ণপুর-কুলটি লৌহ-ইস্পাত কারখানাটি পশ্চিম বর্ধমান জেলায় দামোদর নদের উপনদী বরাকর নদীর তীরে অবস্থিত।

স্থাপনকাল – 1870 সালে কুলটিতে এবং 1919 সালে বার্নপুরে লৌহ-ইস্পাত কারখানা গঠিত হয়। 1952 সালে দুটি কারখানা যুক্ত হয়ে গঠিত হয় ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি বা ইসকো (IISCO)। 1972 সালে এটি SAIL -এর অধীনে আসে।

উৎপন্ন দ্রব্য – মূলত পিগ আয়রন ও ফিনিস্ড স্টিল তৈরি হয়। বিক্রয়যোগ্য ইস্পাতের পরিমাণ প্রায় 2.90 লক্ষ মেট্রিকটন।

বিকাশলাভের কারণ –

  • আকরিক লোহা – ঝাড়খণ্ডের সিংভূম ও ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ থেকে লৌহ আকরিক আনা হয়।
  • কয়লা – পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ ও ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া থেকে কয়লা পাওয়া যায়।
  • চুনাপাথর, ডলোমাইট ও ম্যাঙ্গানিজ – ওড়িশার সুন্দরগড় জেলা থেকে চুনাপাথর ও ডলোমাইট এবং মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা থেকে ম্যাঙ্গানিজ আসে।
  • জল – দামোদর নদের জল ব্যবহৃত হয়।
  • বিদ্যুৎ – DVC -এর বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়।
  • পরিবহণ – পূর্ব রেলপথ ও গ্রান্ড ট্রাংক রোড।
  • শ্রমিক- পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের সুলভ শ্রমিক।
  • চাহিদা ও বাজার – কলকাতা, আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিপুল চাহিদা ও বাজার।

দুর্গাপুর লৌহ-ইস্পাত কারখানা।

অবস্থান – দামোদর নদের তীরে অবস্থিত দুর্গাপুরে রানিগঞ্জ কয়লাখনির পূর্ব সীমায় পূর্ব রেলপথের ওপর এই কারখানা অবস্থিত।

স্থাপনকাল – 1956 সালে এই কারখানাটি ব্রিটিশ কোম্পানি ইস্কনের সহযোগিতায় ভারত সরকারের উদ্যোগে স্থাপিত হয়। তবে উৎপাদন শুরু হয় 1960 সালে। বর্তমানে এটি SAIL -এর অন্তর্গত।

শাখা – এই কেন্দ্রে রয়েছে দুটি শাখা। যথা – দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (DSP) ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট (ASP)।

বিকাশলাভের কারণ –

  • আকরিক লোহা – ঝাড়খণ্ডের নোয়ামুন্ডি, গুয়া, ওড়িশার কেওনঝড় থেকে আসে।
  • কয়লা – রানিগঞ্জ ও ঝরিয়া থেকে কয়লা পাওয়া যায়।
  • চুনাপাথর, ম্যাঙ্গানিজ – ওড়িশার গাংপুর, বীরমিত্রপুরের ম্যাঙ্গানিজ ও চুনাপাথর।
  • জল – দামোদর নদের জল ব্যবহৃত হয়।
  • বিদ্যুৎ – দুর্গাপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়।
  • পরিবহণ – দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, পূর্ব রেলপথ ও NH2 জাতীয় সড়ক দ্বারা পরিবহণের সুবিধা আছে।
  • বন্দর – কলকাতা বন্দরের সুবিধা আছে।
  • শ্রমিক – স্থানীয় দক্ষ সুলভ শ্রমিক পাওয়া যায়।
  • বাজার – দুর্গাপুর-আসানসোল, কলকাতা-হুগলি শিল্পাঞ্চলের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

উৎপাদন – দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (DSP) থেকে বছরে 18 লক্ষ টন পিগ আয়রন এবং 15.86 লক্ষ টন বিক্রয়যোগ্য ইস্পাত উৎপাদন হয়। অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট (ASP) থেকে বছরে 2.82 লক্ষ টন সংকর ইস্পাত উৎপাদিত হয়।

বাগিচা কৃষি।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা কোনো সংস্থার অধীনে মূলত বাণিজ্যিক স্বার্থে বিশাল আয়তনের কৃষিজমিতে যদি একই ধরনের ফসল প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়, তবে তাকে বাগিচা কৃষি বলে।

উৎপাদিত ফসল – চা, কফি, কোকো, রাবার প্রভৃতি।

বৈশিষ্ট্য –

  • বাগিচা কৃষিতে সাধারণত বিশালাকার জমির প্রয়োজন হয়।
  • বাগিচা কৃষি সম্পূর্ণভাবে বাজারনির্ভর কৃষিব্যবস্থা।
  • এই কৃষিকাজে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয়।
  • এই কৃষি ব্যবস্থায় একবার রোপণ করে বারবার ফসল পাওয়া যায়।
  • কৃষিজমির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার জন্য প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।
  • এই কৃষি ব্যবস্থায় হেক্টর প্রতি উৎপাদন বেশি হয়।

বাগিচা কৃষির উদাহরণ – ভারতের চা, মালয়েশিয়ার রাবার, ব্রাজিলের কফি প্রভৃতি বাগিচা কৃষির অন্তর্গত।

দার্জিলিং।

দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। দার্জিলিং শহরটি টাইগার হিলের উত্তর ঢালে 2134 মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানকার প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক দৃশ্য, আরামদায়ক জলবায়ু (বিশেষত গ্রীষ্মকালে) পর্যকটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। দার্জিলিং শহরকে ‘শৈল শহরের রানি’ বলা হয়ে থাকে। যেমন – পর্যটন ক্ষেত্রে তিনটি ‘T’ = Toy train, Tea garden and Tiger hill এবং শিল্পক্ষেত্রে তিনটি ‘T’ = Tea industry, Timber industry and Tourism industry দার্জিলিং -এর উন্নতির জন্য দায়ী।

1999 সালের ডিসেম্বর মাসে দার্জিলিং টয়ট্রেন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট -এর অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়া এখানকার প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেন, চিড়িয়াখানা, রক গার্ডেন, হিমালয় মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

টাইগার হিল।

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় টাইগার হিল অবস্থিত। এর উচ্চতা 2590 মিটার। এটি পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। ভারতের উচ্চতম রেল স্টেশন ‘ঘুম’ এখানে অবস্থিত। এখান থেকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট (8,848 মি) এবং ভারতে অবস্থিত হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার (8,586 মি) নৈসর্গিক দৃশ্য দেখা যায়। কাঞ্চনজঙ্ঘার মাথার ওপর দিয়ে সূর্যোদয়ের নৈসর্গিক শোভা দেখতে প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক এখানে ভিড় করেন। এটি দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র 11 কিমি দূরে অবস্থিত।

মিরিক।

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং মহকুমার অন্তর্গত একটি ছোটো চিত্রবৎ শৈলশহর ও পর্যটন কেন্দ্র হল মিরিক। ‘Mirik শব্দটির উৎপত্তি লেপচা শব্দ ‘Miryok’ থেকে যার অর্থ ‘place burnt by fire’। শহরটির আয়তন মাত্র 7 বর্গকিমি এবং 2011 সালের আদমশুমারি অনুসারে জনসংখ্যা 11,513 জন। মিরিকের গড় উচ্চতা 5000 ফিট এবং সর্বোচ্চ উচ্চতা 5800 ফিট, যা দার্জিলিং -এর তুলনায় অনেক কম। ফলে মিরিকের জলবায়ু দার্জিলিং -এর তুলনায় অনেক মনোরম ও আরামদায়ক। মিরিকের এরূপ জলবায়ু এবং অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। মিরিকের আকর্ষণের কেন্দ্রীয় বিষয় হল 1.25 কিমি দীর্ঘ মিরিক হ্রদ। এই হ্রদে নৌকা চালিয়ে ও হ্রদের মাছকে খাইয়ে পর্যটকরা বিশেষ আনন্দ পেয়ে থাকে। মিরিক হ্রদ ছাড়াও অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে চা বাগান, বৌদ্ধমঠ, সিংহলীলা দেবীর মন্দির, কমলালেবুর বাগান, নানা ধরনের অর্কিড ও ফুলের বাগান বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

কার্শিয়াং।

কার্শিয়াং পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। এটি দার্জিলিং হিমালয়ান রেলপথের ওপর অবস্থিত। দার্জিলিং থেকে এর দূরত্ব 32 কিমি এবং শিলিগুড়ি থেকে দূরত্ব 51 কিমি। এটি দার্জিলিং জেলার একটি মহকুমা শহরও। কার্শিয়াং 1458 মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সারা বছরই এখানে মনোরম জলবায়ু বিরাজ করায় স্বাস্থ্যকর পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সাদা অর্কিডের প্রাচুর্যের জন্য কার্শিয়াংকে ‘অর্কিডের শহর’ বলা হয়। এখানকার পার্বত্য ঢালের সুদৃশ্য চা বাগান, নানা ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল সমন্বিত অরণ্য, একাধিক পর্যবেক্ষণকেন্দ্র (view point), মন্দির, গির্জা, মিউজিয়াম এবং ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত ঐতিহাসিক স্কুলসমূহ পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় বিষয়। দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে বিখ্যাত মাকাইবাড়ি চা-এসটেট, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস মিউজিয়াম, ডিয়ার পার্ক, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে মিউজিয়াম, অ্যামবোটিয়ার শিবমন্দির, কেটলিভ্যালি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

কালিম্পং।

পশ্চিমবঙ্গের 21তম জেলা হল কালিম্পং। 2017 সালে 14 ফেব্রুয়ারী কালিম্পং নবতম জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়। দার্জিলিং শহরের উত্তর-পূর্বে প্রায় 51 কিমি দূরে কালিম্পং শহরটি অবস্থিত। এটি বৌদ্ধদের তীর্থভূমি। এর উচ্চতা প্রায় 1250 মিটার। মনোরম জলবায়ু, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং নৈসর্গিক দৃশ্যের জন্য কালিম্পং পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।

ডোলো পাহাড় ও দূরপিনদারা পাহাড়ের মাঝে কালিম্পং অবস্থিত। তিস্তা নদী সিকিম থেকে কালিম্পংকে পৃথক করেছে। এখানে খুব ভালো পশম বস্ত্র তৈরি হয়।

এখানকার আকর্ষণীয় বিষয়গুলির মধ্যে কালিম্পং ক্যাকটাস নার্সারি, কালিম্পং কলা ও কারু শিল্পকেন্দ্র, বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র, ডোলো পাহাড়, হনুমান মন্দির, ভগবান বুদ্ধের মূর্তি ও পার্ক উল্লেখযোগ্য।

খড়গপুর।

দক্ষিণ পূর্ব রেলপথের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন হল খড়গপুর। খড়গপুর রেলওয়ে প্লাটফর্মটি ভারতের দীর্ঘতম এবং পৃথিবীর তৃতীয় দীর্ঘতম প্লাটফর্ম (1072.5 মিটার)। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে জনবহুল এই শহরটি শিল্পশহর, বাণিজ্য শহর এমনকি শিক্ষা শহর রূপে বিখ্যাত। এখানে পৃথিবীখ্যাত প্রযুক্তি শিক্ষাকেন্দ্র IIT (ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি) অবস্থিত। এই শিল্প শহরে গড়ে উঠেছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, রেলইঞ্জিন সারাই কারখানা, সিমেন্ট শিল্প, পিগ্‌ আয়রন ও কোক প্রস্তুত কারখানা প্রভৃতি। খড়গপুর পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বৃহত্তম শহর এবং পঞ্চম জনবহুল শহর।

বন্দরের পশ্চাদ্‌ভূমি ।

কোনো অঞ্চলের উদ্বৃত্ত কৃষিজ, খনিজ ও শিল্পজ দ্রব্য যে বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি করা হয় এবং ওই বন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত দ্রব্য যে অঞ্চলে বণ্টন করা হয়, সেই অঞ্চলকে ওই বন্দরের পশ্চাদভূমি বলে। যেমন – পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, বিহার, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ, সিকিম প্রভৃতি রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল কলকাতা বন্দরের পশ্চাদ্‌ভূমি। পশ্চাদ্‌ভূমির আয়তন ও সমৃদ্ধির মধ্য দিয়েই কোনো বন্দরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।

বৈশিষ্ট্য – আদর্শ পশ্চাদ্‌ভূমির বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

  • কৃষিজ, খনিজ ও শিল্পজ সম্পদে সমৃদ্ধ হবে।
  • যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে।
  • অনুকূল জলবায়ু বিরাজ করবে।
  • ভূপ্রকৃতি সমতল হবে।
  • বাজার উন্নত হবে।

সাগরদ্বীপ।

সাগরদ্বীপ দক্ষিণ 24 পরগনা জেলায় অবস্থিত। এটি সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হুগলি নদীর মোহানার কাছে অবস্থিত। সুন্দরবনের জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলির মধ্যে এই দ্বীপ সবচেয়ে বড়ো এবং সবচেয়ে বেশি জনবহুল। সাগরদ্বীপে অবস্থিত কপিলমুনির আশ্রম গঙ্গাসাগরের একটি পবিত্র তীর্থস্থান। এখানে প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে বিরাট গঙ্গাসাগর মেলা বসে। ওই সময়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী এখানে আসেন। শুধু তাই নয়, ওই মেলা উপলক্ষ্যে প্রচুর বিদেশিও এখানে আসেন। এ ছাড়া এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাবসাবাণিজ্য কেন্দ্রও বটে।

SAIL

সম্পূর্ণ নাম – Steel Authority of India Limited |

প্রতিষ্ঠা – ভারতীয় লৌহ-ইস্পাত শিল্পের উন্নতিকল্পে 1973 সালে এই সংস্থাটি গঠিত হয়।

অধীনস্থ কারখানা – ভিলাই, রাউরকেল্লা, বোকারো, সালেম এবং পশ্চিমবঙ্গের বার্নপুর-কুলটি ও দুর্গাপুর প্রভৃতি বৃহৎ লৌহ-ইস্পাত শিল্পকারখানাগুলি সবই এই সংস্থার অধীন।

উদ্দেশ্য –

  • রাষ্ট্রায়ত্ত লৌহ-ইস্পাত কারখানাগুলির তদারকি করা।
  • প্রশিক্ষিত দক্ষ শ্রমিক সরবরাহ করা।
  • উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা এবং গুণগত মান বাড়ানো।
  • লৌহ-ইস্পাতের মূল্য নির্ধারণ করা।

আলিপুরদুয়ার।

পশ্চিমবঙ্গের 20তম জেলা আলিপুরদুয়ারের সদর শহর হল আলিপুরদুয়ার। এটি হিমালয়ের পাদদেশে কালজানি নদীর পূর্বতীরে অবস্থিত একটি পর্যটন শহর। শহরটি ভুটান ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির প্রবেশপথ (Gateway) হিসেবে পরিচিত। শহরটির আয়তন প্রায় 3383 বর্গ কিমি এবং 2011 সালের আদমশুমারি অনুসারে জনসংখ্যা 1,27,342 জন। আলিপুরদুয়ার শহরটি সংস্কৃতি, শিল্প এবং সংগীত চর্চার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। শহরটির অন্যান্য আকর্ষণীয় বিষয়গুলির মধ্যে বক্সা ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য, চিলাপাতা অরণ্য, রাজাভাতখাওয়া, জলদাপাড়া অভয়ারণ্য, ভুটান গেট বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

কলকাতা, হাওড়া, দার্জিলিং, আসানসোল, শিলিগুড়ি, কার্শিয়াং, দুর্গাপুর, নবদ্বীপ ও ইংরেজ বাজার – এই শহরগুলির পরিচয় বা ডাকনামগুলি একটি ছকের সাহায্যে দেখাও।

শহরঅপর নাম
কলকাতাঅট্টালিকার শহর বা প্রাসাদ নগরী, ফুটবলের মক্কা, মিছিল নগরী, আনন্দ নগরী, ভারতের সংস্কৃতি শহর।
হাওড়াভারতের গ্লাসগো, ভারতের শেফিল্ড, ভারতের বার্মিংহাম।
দার্জিলিংশৈলরানি
আসানসোলকালো হিরের দেশ
শিলিগুড়িউত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার
কার্শিয়াংঅর্কিডের শহর
দুর্গাপুরভারতের রূঢ়
নবদ্বীপবাংলার অক্সফোর্ড
ইংরেজ বাজারআমের শহর
কলকাতা ও হাওড়াযমজ শহর

Class 9 Geography All Chapter Notes

1. গ্রহরূপে পৃথিবীবিষয়সংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
টীকা
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
2. পৃথিবী গতিসমূহবিষয়সংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
টীকা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
দক্ষতামূলক প্রশ্নোত্তর
3. পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়অধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
➼ দক্ষতামূলক প্রশ্নোত্তর
গাণিতিক প্রশ্নোত্তর
4. ভূ-গাঠনিক প্রক্রিয়া এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপবিষয়সংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
5. আবহবিকারঅধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
দক্ষতামূলক প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
6. দুর্যোগ ও বিপর্যয়অধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
7. ভারতের সম্পদ (সম্পদের ধারণা, শ্রেণীবিভাগ ও সংরক্ষণ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
8. ভারতের সম্পদ (খনিজ সম্পদ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
9. ভারতের সম্পদ (প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
10. পশ্চিমবঙ্গ (অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
11. পশ্চিমবঙ্গ (প্রাকৃতিক পরিবেশ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
টীকা
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
12. পশ্চিমবঙ্গ (প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ)অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
➼ টীকা
ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
13. মানচিত্র ও স্কেলঅধ্যায় সারসংক্ষেপ
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পার্থক্যধর্মী প্রশ্নোত্তর
টীকা
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের অষ্টম অধ্যায় ‘পশ্চিমবঙ্গ (প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ)’ এর টীকা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন