এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নবম শ্রেণী – ভূগোল – ভারতের সম্পদ (খনিজ সম্পদ) – টীকা

আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের সপ্তম অধ্যায় ‘ভারতের সম্পদ (খনিজ সম্পদ)’ এর টীকা নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতের সম্পদ (খনিজ সম্পদ) - টীকা
ভারতের সম্পদ (খনিজ সম্পদ) – টীকা

বোম্বে হাই/মুম্বাই দরিয়া কী?

ভারতের বৃহত্তম তৈলক্ষেত্র ও সর্বাধিক খনিজ তেল উত্তোলক অঞ্চল হল বোম্বে হাই।

  • অবস্থান – মুম্বাই উপকূল থেকে 176 কিমি দূরে আরব সাগরের মহীসোপান অঞ্চলে এই তৈলক্ষেত্রটি অবস্থিত।
  • আবিষ্কার – 1974 খ্রিস্টাব্দে ONGC -এর প্রচেষ্টায় এই খনিজ তেলের ভাণ্ডার আবিষ্কৃত হয়।
  • আয়তন – এই তৈলক্ষেত্রটি প্রায় 2000 বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত।
  • উত্তোলন – ‘সাগর সম্রাট’ ও ‘সাগর বিকাশ’ নামে দুটি প্লাটফর্ম বা রেগের সাহায্যে এখানে খনিজ তেল উত্তোলন করা হয়। ভারতের উত্তোলিত খনিজ তেলের ½ অংশ এখান থেকে পাওয়া যায়।
  • কূপ – বর্তমানে এখানে 551 টি তেলের কূপ ও 33টি প্রাকৃতিক গ্যাসের কূপ খনন করা হয়েছে।
  • সঞ্চয় – এই তৈলক্ষেত্রে খনিজ তেলের আনুমানিক সঞ্চয় প্রায় 12.5 কোটি টন।
  • প্রধান তৈল খনি – বোম্বে হাই, দমনদরিয়া, হিরা, পান্না, রত্না, নিলম প্রভৃতি।

OPEC – টীকা

সংজ্ঞা – OPEC বা ওপেক হল খনিজ তেলের বাণিজ্য (আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) সংক্রান্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা যা সদস্য রাষ্ট্রগুলির বিশ্বব্যাপী খনিজ তেলের উৎপাদন, দাম এবং রপ্তানিকে নিয়ন্ত্রণ করে।

OPEC কথাটির পুরো নাম হল – Organisation of Petroleum Exporting Countries। 1960 সালে সেপ্টেম্বর মাসে ‘ওপেক’ নামক সংস্থাটি গঠিত হয়। 1991 সাল পর্যন্ত 13টি খনিজ তেল উত্তোলনকারী রাষ্ট্র এই সংস্থার সদস্য ছিল। 2007 সালে আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলা 14তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। OPEC -এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল –

  1. সৌদি আরব
  2. U.A.E. (United Arab Emirates) বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী
  3. ইরান
  4. কুয়েত
  5. কাতার
  6. নাইজিরিয়া
  7. আলজিরিয়া
  8. লিবিয়া
  9. ইরাক
  10. ভেনেজুয়েলা
  11. অ্যাঙ্গোলা
  12. ইকুয়েডর
  13. গ্যাবন

2009 সালে ইন্দোনেশিয়া ‘ওপেক’ থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়। বর্তমানে সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা 11টি। এই সংস্থার সদর দপ্তর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ‘ভিয়েনা’ -তে অবস্থিত।

NCDC – টীকা

NCDC -এর পুরো নাম National Coal Development Corporation বা জাতীয় কয়লা উন্নয়ন নিগম। এটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা যা 1956 খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার দ্বারা গঠিত হয়। ভারতের কয়লা উত্তোলনের ইতিহাস বহু প্রাচীন। 1774 খ্রিস্টাব্দে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা প্রথম কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। দীর্ঘদিন পরাধীনতার কারণে এই অমূল্য সম্পদ বিদেশি কোম্পানিগুলি লুঠ করত। তাই স্বাধীনতার পর ছোটো, বড়ো, মাঝারি সমস্ত কয়লাক্ষেত্র যেখানে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে কয়লা উত্তোলন করা হত সেগুলিকে জাতীয়করণ করার কথা ভাবা শুরু হয়। তারই সর্বপ্রথম পদক্ষেপ হিসেবে NCDC সংস্থাটি গঠিত হয়। প্রথমে 11টি কয়লাক্ষেত্র নিয়ে NCDC কাজ শুরু করে। এরপর নতুন নতুন কয়লাক্ষেত্র অনুসন্ধান, উত্তোলন ও উন্নয়নের কাজ করে জাতীয় আয় বৃদ্ধি, শিল্প ও পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এরপর 1971 সালের ভারত সরকারের জাতীয় শক্তি নীতি অনুসারে দুটি ধাপে 1972 সালের 1 মে এবং 1973 -এর 31 জানুয়ারি যথাক্রমে 226টি কোক-কয়লা ও 711টি নন-কোক কয়লাখনি ভারত সরকার জাতীয়করণ করে। 1975 সালে কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড গঠিত হয়।

IOCL বা Indian Oil Corporation Limited – টীকা

1959 খ্রিস্টাব্দের 30 জুন ভারত সরকার খনিজ তেল পরিশোধন, তেলজাত পণ্য বিক্রয়, গবেষণা, পাইপ লাইন পরিচালনা ইত্যাদি কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যে ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত খনিজ তেল শোধনকারী সংস্থাটি গঠন করেন তার নাম হল – IOCL বা Indian Oil Corporation Limited। এই সংস্থার সদর কার্যালয় মুম্বাই শহরে অবস্থিত। IOCL শুধুমাত্র ভারতে নয় শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, মধ্য প্রাচ্যের কিছু দেশেও খনিজ তেলজাত পণ্য বিক্রির জন্য অফিস পরিচালনা করে। IOCL -এর অধীনস্থ তৈল শোধনাগারগুলি হল অসমের গুয়াহাটি, বঙ্গাইগাঁও, পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া, বিহারের বারাউনি, উত্তর প্রদেশের মথুরা, গুজরাটের কয়ালি, হরিয়ানার পানিপথ। রাষ্ট্রায়ত্ত তৈল শোধনাগারগুলির মধ্যে কয়ালি বৃহত্তম।

যদিও এই মুহূর্তে গুজরাটের জামনগরে অবস্থিত ‘Reliance Petrochemicals’ ভারতের বৃহত্তম পেট্রো-রসায়ন শিল্পকেন্দ্র। পৃথিবীর 500টি তৈল শোধনকারী সংস্থার মধ্যে IOCL -এর অবস্থান 105 তম স্থানে।


আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের সপ্তম অধ্যায় ‘ভারতের সম্পদ (খনিজ সম্পদ)’ এর টীকা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন