আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় ‘ভূ-গাঠনিক প্রক্রিয়া এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ’ এর বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ভূ-গাঠনিক প্রক্রিয়া এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ – ভূসংস্থানিক তথ্যাবলী
- পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভঙ্গিল পর্বতমালা হল হিমালয় পর্বতমালা।
- পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল মাউন্ট এভারেস্ট (উচ্চতা- 8,848 মিটার)।
- পৃথিবীর বৃহত্তম ও উচ্চতম আগ্নেয়গিরি হল মৌনালোয়া।
- ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল কাঞ্চনজঙ্ঘা (8,586 মিটার)।
- ভারতের একটি স্তূপ পর্বতের উদাহরণ হল সাতপুরা পর্বত।
- ভারতের একটি ক্ষয়জাত পর্বত হল আরাবল্লি পর্বত।
- ভারতের একটি সঞ্চয়জাত পর্বত হল ব্যারেন পর্বত।
- পৃথিবীর উচ্চতম মালভূমি হল পামির মালভূমি (যাকে “পৃথিবীর ছাদ” বলা হয়)।
- পৃথিবীর বৃহত্তম মালভূমি হল তিব্বত মালভূমি।
- পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমি হল সাইবেরিয়া সমভূমি।
- ভারতের উচ্চতম মালভূমি হল লাদাখ মালভূমি।
- ভারতের বৃহত্তম মালভূমি হল দাক্ষিণাত্য মালভূমি।
- ভারতের বৃহত্তম সমভূমি হল গঙ্গা-সিন্ধু-ব্রহ্মপুত্র নদী বিধৌত সমভূমি।
ভূ-গাঠনিক প্রক্রিয়া এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ – পরিভাষা (Glossary)
- ভূসংস্থানিক শক্তি (Geotectonic Forces) – যে শক্তি দ্বারা মহাদেশ, মহাসাগর, ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত ও পর্বত সৃষ্টি হয়।
- পর্যায়ন শক্তি (Gradational Forces) – সূর্যতাপ, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, নদী ও হিমবাহের মাধ্যমে ভূমিরূপের গঠন ও পরিবর্তন ঘটায়।
- মহীভাবক আলোড়ন (Epeirogenic Movement) – মহাদেশ গঠনের জন্য দায়ী ভূ-আলোড়ন।
- গিরিজনি আলোড়ন (Orogenic Movement) – ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টিকারী ভূ-আলোড়ন।
- ম্যাগমা (Magma) – ভূগর্ভে তরল ও উত্তপ্ত খনিজ মিশ্রণ।
- লাভা (Lava) – অগ্ন্যুৎপাতের সময় ভূপৃষ্ঠে নির্গত ম্যাগমা।
- মহীখাত (Geosyncline) – সমুদ্রতলের দীর্ঘ, সংকীর্ণ ও ক্রমনিমজ্জমান অবনমিত অঞ্চল।
- অভিসারী পাত (Convergent Plate) – পরস্পরের দিকে অগ্রসরমান দুটি পাত।
- প্রতিসারী পাত (Divergent Plate) – পরস্পর থেকে দূরে সরে যাওয়া দুটি পাত।
- ভঙ্গিল পর্বত (Fold Mountain) – পলিস্তরের ভাঁজ দ্বারা গঠিত পর্বত (যেমন- হিমালয়)।
- স্তূপ পর্বত (Block Mountain) – দুটি চ্যুতির মধ্যে উত্থিত স্তূপাকার পর্বত (যেমন- সাতপুরা)।
- ক্ষয়জাত পর্বত (Relict Mountain) – প্রাকৃতিক ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট পর্বত (যেমন- আরাবল্লি)।
- গ্রস্ত উপত্যকা (Rift Valley) – দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী নিম্নভূমি।
- পাহাড় (Hill) – সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 300-1,000 মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট শিলাস্তূপ।
- মালভূমি (Plateau) – সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 300-1,000 মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট, চারপাশে খাড়া ঢালযুক্ত অসমতল ভূমি।
- সঞ্চয়জাত সমভূমি (Depositional Plain) – পলি, বালি বা লাভা সঞ্চয়ের ফলে গঠিত সমভূমি (যেমন- গাঙ্গেয় সমভূমি)।
আমরা আমাদের আর্টিকেলে নবম শ্রেণীর ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় ‘ভূ-গাঠনিক প্রক্রিয়া এবং পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ’ এর বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো নবম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য বা চাকরির পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি নবম শ্রেণীর পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।