এ আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বইয়ের রাসায়নিক গণনা অধ্যায়ের দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব। যেগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসায়নিক গণনা অধ্যায়ের দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও প্রশ্নোত্তর গুলি আপনি যদি ভালো করে দেখে মুখস্ত করে যান, তাহলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাসায়নিক গণনা অধ্যায়ের দু -একটি বাক্যে উত্তর দাও প্রশ্নোত্তর থেকে যা প্রশ্নই আসুক না কেন আপনি সঠিক উত্তর দিতে পারবেন।
ভর ও শক্তির নিত্যতা সূত্রটি কী?
ভর ও শক্তির নিত্যতা সূত্র অনুসারে, কোনো পরিবর্তনের পূর্বে ও পরে ভর ও শক্তির মোট পরিমাণ সর্বদা একই হয়।
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভরের সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ?
যে – কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায়, বিক্রিয়ক পদার্থের মোট ভরের সঙ্গে বিক্রিয়াজাত পদার্থের মোট ভর সমান হয়। একেই রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভরের সংরক্ষণ বলে।
ভরের নিত্যতা সূত্রের পরিবর্তে ভর ও শক্তির নিত্যতা সূত্রটি কখন প্রযোজ্য হয়?
উচ্চশক্তির বিক্রিয়ায় ভরের নিত্যতা সূত্রের পরিবর্তে ভর ও শক্তির নিত্যতা সূত্রটি প্রযোজ্য হয়।
সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের শোষণ বা উদ্ভব হলেও ভরের হ্রাস বা বৃদ্ধি বোঝা যায় না কেন?
সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়াতে তাপের শোষণ বা উদ্ভবের ফলে যে পরিমাণ ভরের বৃদ্ধি বা হ্রাস ঘটে, তা এতই নগণ্য যে অতি সুবেদী তুলাযন্ত্রেও সেটি ধরা পড়ে না।
E = mc2 সমীকরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়?
m পরিমাণ ভরকে সম্পূর্ণরূপে শক্তিতে রূপান্তরিত করার ফলে E পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হলে E = mc2 যেখানে c = শূন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগ।
গ্যাসের প্রমাণ ঘনত্ব কাকে বলে?
প্রমাণ চাপ ও উষ্ণতায় (STP – তে) 1 লিটার কোনো গ্যাসের গ্রামে প্রকাশিত ভরকে গ্যাসটির প্রমাণ ঘনত্ব বলে।
গ্যাসের আপেক্ষিক ঘনত্ব বা বাষ্পঘনত্ব কাকে বলে?
সমচাপ ও উষ্ণতায় কোনো গ্যাসের ভর সম – আয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের ভরের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই তুলনামূলক সংখ্যাটিকে হাইড্রোজেন গ্যাসের পরিপ্রেক্ষিতে ওই গ্যাসের আপেক্ষিক ঘনত্ব বা বাষ্পঘনত্ব বলে।
SO2 গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব সাধারণ বায়ুচাপে ও 25°C উয়তায় 32 হলে একই বায়ুচাপে ও 50°C উয়তায় SO2 এর বাষ্পঘনত্ব কত হবে?
বাষ্পঘনত্ব, চাপ ও উষ্ণতায় ওপর নির্ভরশীল নয় বলে 50°C উষ্ণতাতেও SO2 গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 32 হবে।
বায়ুর গড় বাষ্পঘনত্ব 14.4 হলে উপাদান গ্যাসগুলির গড় আণবিক গুরুত্ব কত?
বায়ুর গড় বাষ্পঘনত্ব 14.4 হলে বায়ুর উপাদান গ্যাসগুলির গড় আণবিক গুরুত্ব হবে (2 × 14.4) = 28.8
কোনো গ্যাস বায়ুর চেয়ে ভারী কি না কীভাবে বুঝবে?
কোনো গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব যদি বায়ুর বাষ্পঘনত্ব (14.4) অপেক্ষা বেশি হয় তবে গ্যাসটি বায়ুর চেয়ে ভারী।
ক্লোরিন গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 35.5। গ্যাসটিকে পাত্রে সংগ্রহ করার সময় বায়ুর কী ধরনের অপসারণ ঘটবে?
ক্লোরিনের বাষ্পঘনত্ব (35.5) বায়ুর গড় বাষ্পঘনত্বের (14.4) চেয়ে বেশি। সুতরাং, ক্লোরিন গ্যাস বায়ুর তুলনায় ভারী। তাই গ্যাসটিকে পাত্রে সংগ্রহ করার সময় বায়ুর ঊর্ধ্বাপসারণ ঘটবে।
12g কার্বন থেকে 44g কার্বন ডাইঅক্সাইড পাওয়ার জন্য ন্যূনতম কত পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন?
এক্ষেত্রে ন্যূনতম 32g অক্সিজেন প্রয়োজন হবে।
4 মোল জল উৎপন্ন করতে কত মোল H2 ও কত মোল 02 বিক্রিয়া করবে?
4 মোল জল উৎপন্ন করতে 4 মোল H2 ও O2 মোল বিক্রিয়া করবে।
12 g C, 32 g 02 – এর সাথে বিক্রিয়া করলে কত গ্রাম CO2 গ্যাস উৎপন্ন করবে?
12 g C, 32g O2 – এর সাথে বিক্রিয়া করলে (12+32) g বা 44 g CO2 গ্যাস উৎপন্ন করবে।
36 g জল তৈরি করতে কত গ্রাম হাইড্রোজেন লাগবে?
36 g জল তৈরি করতে 4g হাইড্রোজেন লাগবে।
5.6 লিটার একটি গ্যাসের STP – তে ভর 11 g গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব কত?
5.6 x 4 = 22.4 লিটার গ্যাসটির STP-তে 11 × 4 = 44 g। সুতরাং গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব 44/2 = 22
স্টয়সিওমেট্রি কাকে বলে?
কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থের মধ্যে পরিমাণগত সম্পর্ককে ভিত্তি করে যে গণনা করা হয়, তাকে স্টয়সিওমেট্রি (stoichiometry) বলে।
এই নিবন্ধে, আমরা মাধ্যমিক স্তরের রসায়ন বইয়ের “রাসায়নিক গণনা” অধ্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দু-এক বাক্যে উত্তর প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নোত্তরগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলো “রাসায়নিক গণনা” অধ্যায়ের মূল ধারণাগুলোকে স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্তভাবে ব্যাখ্যা করে।
এই প্রশ্নোত্তরগুলো মুখস্ত করে রাখলে, আপনি “রাসায়নিক গণনা” অধ্যায় থেকে যেকোনো ধরনের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হবেন। কারণ এই প্রশ্নোত্তরগুলোতে মৌলিক নীতি এবং গুরুত্বপূর্ণ সূত্রগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা “রাসায়নিক গণনা” সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয়।